নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈষম্য দূর করতেই রাখতে হবে কোটা

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:১২

ভাত-রুটি যা-ই খাই, সেটা একটু বেশি স্বাদ লাগে; কম দামী হলেও যে জামাটা পরি, সেটায় একটু বেশি স্বস্তিবোধ হয়; বুকের ভেতর যে বাতাসটা গ্রহণ করি, সেটা একটু বেশি বিশুদ্ধ আর প্রশান্তির মনে হয় আমি একটি স্বাধীন দেশে জন্ম নিয়েছি বলে, মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশটা স্বাধীন করেছিলেন বলেই। আমার দুাদুর গোটা জীবনে আর বাবা তার শৈশব-কৈশোরে এত স্বাদের ভাত খেতে পারেননি, এত স্বস্তির জামা পরতে পারেননি, এত বিশুদ্ধ আর প্রশান্তির বাতাস বুকের ভেতর গ্রহণ করতে পারেননি। আমি পেরেছি, আমি ভাগ্যবান। যদিও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণার পর অমুসলিমদের কাছে ভাতের স্বাদ কিছুটা ম্লান হয়েছে, জামাটা একটু আঁটোসাটো হয়েছে, বাতাসে মিশে থাকে বিষাদের ঘ্রাণ!

তারপরও সরকার দেশের বাজেটের অর্ধেকও যদি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খরচ করে, তাতেও আমার কোনো অভিযোগ নেই। মুক্তিযোদ্ধারা কেবল নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন তাই নয়, গোটা পরিবারকেই বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার নিদারুণ যাতনা ভোগ করেছেন যুদ্ধকালীন সময়ে এবং পরবর্তীতেও। তাই মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের কাছে আমাদের অনেক ঋণ।

যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা একেবারে বাদ দিতে চায়, হয় তারা স্বাধীনতাবিরোধী, না হয় অকৃতজ্ঞ। মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখতেই হবে, কারণ তাদের সন্তানরা যুদ্ধের যাতনা ভোগ করেছেন। তবে এই কোটা সন্তানদের পর্যন্তই রাখা উচিত, এর পরের প্রজন্মে নয়। এমনিতেই হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রের সু্বিধা ভোগ করছে, এজন্য সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।

আদিবাসী কোটাও রাখতে হবে। রাষ্ট্র তো বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় শিক্ষার সব রকম সুবিধা পৌঁছে দিতে পারেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুর্গম পাহাড়ে বেড়ে ওঠা একজন শিক্ষার্থীর একাডেমিক ফলাফল ঢাকা বা চট্টগ্রাম শহরে বেড়ে ওঠা একজন শিক্ষার্থীর মতো হবে না। তাই তাদেরকে রাষ্ট্রের মূল ধারায় রাখতে কোটা রাখতেই হবে। নইলে এই প্রান্তিক মানুষেরা আরও পিছিয়ে পড়বে, জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে না। যা রাষ্ট্রের জন হবে ক্ষতিকর। তেমনিভাবে প্রতিবন্ধী কোটাও রাখতে হবে। নইলে প্রতিবন্ধীরাও দেশের বোঝা হবে। তাই মানবিক কারণে, বৈষম্য দূর করতেই কোটা রাখতে হবে। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্বাধীনতাবিরোধী ও আদিবাসীবিদ্বেষীদের ছানাপোনারা ঢুকে পড়েছে। তারা কোটা বাতিল চাইবেই, কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেই উস্কানিতে পা দেওয়া অনুচিত।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:০৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাবনা, আপনার লিখার সাথে একমত পোষণ করি। ধন্যবাদ।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:১১

মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধনবাদ।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৩৭

কামাল১৮ বলেছেন: কোটার কোন বিকল্প নাই।সারা বিশ্বেই আছে কোটা।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মিশু মিলন বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:৩৩

এক্সম্যান বলেছেন: কেউ কি শতভাগ কোটা বাতিল চেয়েছিল বা চেয়েছে? কি জানি আমার চোখে পরেনি। নুরু পাগলার সময়েও কোটা সংস্কার চেয়েছিল, এবার বৈষম্যমুলক কোটা বাতিল চেয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিদের কোটা দেয়ার অর্থ বৈষম্যমুলক আচরন করা। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে রাস্ট্রের সামর্থ অনুপাতে সবকিছুই করার চেষ্টা করছে, বা প্রয়োজনে আরো করা উচিৎ, সন্তানদেরকেও আমাদের অল্প সামর্থের ভিতরে যা করা পসিবল সরকার করছে, তাইবলে বংশানুক্রমে দিয়ে যাওয়ার কোনো যুক্তি দেখিনা।

জেলা কোটা ছারা অন্যকোটা গুলো থাকা উচিৎ, বিশেষ করে প্রতিবন্ধি কোটা আর নারী কোটা।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মিশু মিলন বলেছেন: সংস্কার যেমনি চাইছে, তেমনি অনেকে বাতিলও চাইছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে রাজাকারের ছানাপোনারা ঢুকে পড়েছে। এই ছানাপোনা শিবিরকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল চায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে লেখালেখি করছে। আন্দোলনকারীদের অনেকের হাতের প্ল্যাকার্ড উস্কানিমুলক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে লেখা।

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৪৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত এই ব্লগে পড়া সবচেয়ে যুক্তিশীল লেখা।

শেষের প্যারাটি বেশি পছন্দ হয়েছে। তার আগের প্যারাটিও ভালো, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ কোটা নিয়ে লিখেছেন। এই প্যারার বক্তব্যের সাথে একমত। তবে এখানে আপনার ভাবনাটি আরও একটু বিস্তৃত করলে ভালো হতো বলে মনে করি।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ। সময়ের অভাবে লেখা সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের কাছে আমাদের অনেক ঋণ। যারা স্বাধীনতা চায় নি তারা এই বাক্যটার মর্মার্থ হয়তো বুঝবে না।

বেশ গুছিয়ে বলেছেন, কোটা আসলেই কেন থাকা উচিৎ।
কোটা রাখতেই হবে। তবে রাষ্ট্রের সামর্থানুযায়ী আনুপাতিক হারে।
আর মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা নাতি-নাতনি পর্যন্ত না টানাই উত্তম।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪

ধুলো মেঘ বলেছেন: আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটা একেবারেই বাদ দিতে চাই। আপনি এখন আমাকে স্বাধীনতাবিরোধী বা অকৃতজ্ঞ যা খুশি তাই বলতে পারেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের ঋণ কোনভাবেই শোধ হবেনা যদি আমাদের ব্যক্তিগত সব সম্পদ তাদেরকে দিয়ে দেই - তাহলেও। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে মেয়ে বা নাতি নাতনীদের প্রতি আমাদের কোন দায় নেই। তাদের বাপ দাদারা দেশ স্বাধীন করেছে ভালো কথা - তারা বেঁচে খাবার মত ভালো একটা পরিচয় পেয়েছে, কিন্তু সরকারী চাকরিতে তাদের কোন দুঃখে অগ্রাধিকার দিতে হবে? কোন যুক্তিতে? দেশের স্বাধীনতা বা অগ্রগতিতে তাদের অবদান কি?

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মিশু মিলন বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। কেউ যুদ্ধকালীন সময়ে শহীদ হয়েছেন, কেউ আহত হয়েছেন। অনেকেরই লেখাপড়ায় ছেদ পড়েছিল, পরে আর কনটিনিউ করতে পারেননি। কৃষক শ্রমিকসহ নানা পেশার যারা যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, তারাও নিজের পেশা বাদ দিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলেন। ফলে পাকিস্তানী এবং রাজাকাররা এদের ঘর-বাড়ি লুট করে পুড়িয়ে দেয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট করে। এরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এর প্রভাব এদের পরিবারের ওপরও পড়েছে। পরিবারও আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লেগেছে, অনেকে কাটিয়ে উঠতে পারেননি। সঙ্গত কারণেই মুক্তিযোদ্ধারা তো বটেই এবং তাদের পরিবারেরও অনেক ত্যাগ আছে এই দেশের জন্য। দুঃসহ এক সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে এই পরিবারগুলো। জিয়া, এরশাদ, খালেদার শাসনামলে নানা নিপীড়ন সইতে হয়েছে তাদের, অপরাধীর মতো বাঁচতে হয়েছে। তাই মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারকে আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়া এই রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

কেন তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে? এই প্রশ্ন তোলার আগে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সামরিক শাসনামলের ইতিহাস ভালো মতো জানতে হবে। কাছ থেকে দেখতে হবে, জানতে হবে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের বিগত জীবনের কথা। এবং হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হবে। আমার পরিবারে কেউ মুক্তিযোদ্ধা নেই। কিন্তু নিজ দায়িত্বে আমি এসব জানার চেষ্টা করেছি, অনুভব করার চেষ্টা করেছি।

এরপরও যদি আপনি বুঝতে না পারেন, তাহলে হয় আপনি স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সন্তান, অথবা অকৃতজ্ঞ।

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: কোথায় আপনাকে বলেছে বাতিল চায়? তারা যৌক্তিক সংস্কার চায়। কিন্তু সরকার তাদের সাথে করে প্রতারণা। এগুলো দুরভিসন্ধিমূলক। আবার আপনার প্রচুর দরদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে ভালো লাগলো। তার নূন্যতম দরদ যদি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্যে থাকতো। তারা মরে মনে হয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তাই না?
তারা পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের নিয়ে কেউ ভাবে না কারণ তাদের নিয়ে তো ভোটের রাজনীতি নাই। মৃত ব্যাক্তি তো আর সরাসরি আওয়ামী এ্যাক্টিভিজম করবে না।
প্রথমেই বলি, আপনি কোটা সংস্কারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ঐক্যের কনসেপ্ট বোঝেননি। আপনি নিজেও ধারণা পরিষ্কার না জেনে কথা বলতে এসেছেন। যাই হোক, তবুও লিখছেন আলোচনা হবে। এই তো!
আবারও বলি তারা যৌক্তিক সংস্কার চায়।

১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

মিশু মিলন বলেছেন: আপনি কোটা সংস্কারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ঐক্যের কনসেপ্ট বোঝেননি। [/sb

ব্লগে লেখার মুশকিল হলো অনেক অশিক্ষিত লোকজন মন্তব্য করে, আর সময় ব্যয় করে তার উত্তর দিতে হয়! আমি একজন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সাংবাদিক, আমার কাজই এগুলো নিয়ে, অথচ আমি নাকি বিষয়টির কনসেপ্ট বুঝিনি!

উপরে একজনের মন্তব্যের উত্তরে আমি বিষয়টি পরিস্কার করেছি। তারপরও আবার বলি- সংস্কার যেমনি চাইছে, তেমনি অনেকে বাতিলও চাইছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক ছাগু আছে, দাগী শিবিরকর্মী আছে, যারা কোটা বাতিল চায়। তারা অনলাইনে প্রচারও চালাচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননাকর কথা বলছে। অনেকের হাতের প্ল্যাকার্ডও উস্কানিমুলক, নিউজ পোর্টালগুলো একটু মন দিয়ে পড়লেই বোঝা যায়।

আমি কোথাও বলেছি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার দরদ নেই? বা তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি? বলিনি। সব মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি-্ই আমার দরদ ও শ্রদ্ধা আছে। অকারণ প্রশ্ন তুলে মূর্খতা জাহির করা হলো।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.