নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
এক সন্ধ্যায় বিল্লিমাঁরো মহল্লার কাশিম জান গলির বাড়িতে
নির্জন কক্ষে বসে মির্জা গালিব আমায় শের শোনালেন।
আমি তাঁর জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম- তাঁর প্রিয়
শামী কাবাব আর রুটি।
তিনি শিশুর মতো উল্লসিত হয়ে আমাকে বুকে টেনে
আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন সুরার পেয়ালা।
সেটাও অবশ্য আরেক বন্ধুর দেওয়া।
এক গভীর নির্জন রাতে গড়াইয়ের পাড়ে বসে
শাঁইজি আমাকে শোনালেন তার গান
তারপর ফিরে এসে তার আখড়ায়
একপাতে খেলাম ভাত কলাপাতায়।
পদ্মার বুকে বজরায় বসে-
রবির সাথে আলাপ হলো গভীর
গল্প, কবিতা, গান আর ছবির।
রবি আমায় প্রেম বিলালেন
রবি আমায় প্রেম শেখালেন।
এরপর একদিন কার্তিকের নবান্নের বিকেলে
কুয়াশায় ভেসে বেড়ালাম কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজলের বনে।
লক্ষ্মীপেঁচা, শঙ্খ-চিল, শালিক দেখাতে দেখাতে
জীবনানন্দ আমায় নিয়ে গেলেন কর্ণফুলী-ধলেশ্বরীর কোল ঘেঁষে
ধানসিঁড়ি নদীর তীরে।
সেই থেকে আমি তরবারির কোষে ভরে নিলাম কলম
পোয়াতী পদ্মায় তরবারি ফেলে দিয়ে।
অস্ত্রের ঝনঝনানির বদলে
মেতে উঠলাম শব্দ বুননের খেলায়।
কিন্তু উন্মূল শকুনের রোষাগ্নিতে আজ বিপন্ন
জীবনানন্দের লক্ষ্মীপেঁচা, শঙ্খ-চিল, শালিকের ঝাঁক।
রবির সৃষ্টি-লালনের সুরের উর্বর ভূমি রক্ষার্থে
আমি শুধু প্রজন্ম চত্ত্বর নয়, আরো দূরে যেতে পারি- যাব।
কলমকে বিশ্রাম দিয়ে
পুনর্বার কোটিদেশের কোষে ভরে নেব চকচকে তরবারি।
©somewhere in net ltd.