নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজেরিয়াল পজিশনে থাকার সুবাদে একটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখি, যে কোন কাজে আমাকে রোডম্যাপ কিংবা প্ল্যানিং একেবারে শুরু থেকেই করতে হবে। সেটা হোক পুরাতন গদবাধা প্রজেক্ট কিংবা নতুন কোন প্রজেক্ট। আমি খেয়াল করে দেখেছি সেই প্রজেক্টই আমার একেবারে লস প্রজেক্ট হিসেবে কাউন্ট হয়েছে যেখানে আমার রোডম্যাপ সেট করা হয়নি।
রোডম্যাপিং মানে হচ্ছে টোটাল প্রজেক্ট প্ল্যানিং। অর্থাৎ প্রজেক্টের মাইলস্টোনগুলো কিংবা সাব-ওয়ার্ক স্টেপ গুলো কি কি, কতদিনের মধ্যে আনুমানিক ৫০% কিংবা পুরোটা শেষ হতে পারে, কতজন ম্যানপাওয়ার লাগবে, রিসোর্স কি কি লাগবে, সেই কাজগুলোর ব্যাক-আপ প্ল্যানিং কি (যাতে কোনভাবেই সেটা ফেইল না হয়), ম্যানপাওয়ারের কিংবা রিসোর্সের ইফিসিয়েন্সির লেভেল যাচাই করা, কাজের টাইমলাইন ফেইল হওয়ার উপক্রম কিংবা ফেইল হয়ে গেলে করণিয় কি - ইত্যাদি অনেক ব্যাপারই টোটাল প্রজেক্ট প্ল্যানিং এর অংশ।
৫ই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বর্তমান ইন্টেরিম সরকারের অনেক বড় সমর্থকগোষ্ঠীর তালিকা করলে হয়তো আমার নামটাও আসবে কিন্তু এই বাংলাদেশ ২.০ তে আমি বাক-স্বাধীনতার ফিরে পাবার খুশিতে একটা কথা ভুলবো না যে সিদ্ধান্ত যে বা যখনই নিক, সমালোচনা হতে হবে। সমালোচনা ব্যতীত কাংখিত রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব না।
সংস্কার - এই একটিমাত্র শব্দ বর্তমান এই ইন্টেরিম সরকারের একমাত্র এজেন্ডা। দেশের প্রতিটি সেক্টরে যেখানে যেখানে স্বৈরাচারী সরকারের ছোয়া লেগেছে, সেখানেই পচনের মারাত্মক দূর্গন্ধ। আসলে চিন্তা করলে বুঝা যায় সেটা টোটাল সিনারিও, নির্দিষ্ট সেক্টরভিত্তিক না। ইন্টেরিম সরকার প্রতিষ্ঠার সময় বড় বড় নামগুলো মনে অনেক আশার জন্ম দিয়েছিল কিন্তু প্রায় ২ মাস ধরে সেই আশার জায়গাটা খুব বেশি আশাবাদী করছে না।
এই বড় বড় লোকগুলো কিন্তু তাদের জীবনে অনেক সেক্টরে ম্যানেজেরিয়াল পজিশন দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তারা আমার চেয়ে রোডম্যাপিং এ অনেক বেশি দক্ষ। কিন্তু সরকারে এসে কেন অদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে, বুঝতেছি না। আশেপাশে কান পাতলেই যেখানে আফসোস পার্টির দীর্ঘশ্বাস শোনা যায়, সেখানে প্রতিটি বড় বড় করণীয় সংস্কারমূলক কাজের রোডম্যাপ সেটিং হতে পারতো সমাধান কিন্তু এরকম কার্যত চোখে পড়ছে না।
বড় বড় জাতীয় সংস্কার আপামর জনতার মনের দাবী কিন্তু গরীব অসহায় মানুষের প্রধান দাবী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এর দাম বৃদ্ধির লাগাম যেন এই সরকার অতিসত্ত্বর টেনে ধরে। কিন্তু কার্যত এখানে সরকারের প্রচেষ্টা চোখে পড়ছে না কিংবা প্রচেষ্টা হলেও সফলতার কোন গ্রাফ আকা যাচ্ছে না। আপনাদের নির্ধারণ করা মূল্য যদি বাজার ক্রেতারা না মানে তাহলে বাজার মনিটরিং স্ট্রংলি কেন করা হচ্ছে না, সেটাও অনেকের মনের জিজ্ঞাসা। এমনকি ভোক্তা অধিকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তর্ভুক্তিও এখানে অনেক কম।
পরিশেষে বলতে চাই, দয়া করে পার্টিকুলার এই বিষয়ে আপনাদের রোডম্যাপিং এখানে আপামর সকল শ্রেণির জনতার মনের দাবী। যদি দাবী মেটাতে না পারেন তাহলে কোন সীমাবদ্ধতার কারণে পারছেন না, আশা করি সেটাও জনগণকে জানাবেন। স্বৈরাচারী সরকারের কাছ থেকে যেটা জনতা পায়নি সেটাই তো আপনাদের (ইন্টেরিম সরকার) কাছে চায় সবাই। এই চাওয়া কি অতিরিক্ত কিছু?
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০০
কাঁউটাল বলেছেন: ভারতের দালাল, ভাকুর কুকুর ইত্যাদি সম্প্রদায়কে লাথি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বের করে দিতে হবে সবার আগে। নাইলে এরা স্যাবোট্যাজ করতেই থাকবে।
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯
আদিত্য ০১ বলেছেন:
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে, আওয়ামী সরকার তো ঋন করে জনগনের ওপর বোঝা সৃষ্টি করে গেছে, কিন্তু ইউনুস সাহেব পলিছি মেইক না করে এই যে সফরে গিয়ে এক খানা পেইন্টিং বই দিয়ে এত এত ঋন চাচ্ছে, তো এই ঋন কি জনগনের ওপর বোঝা না? নাকি উনি এত এত ঋন গ্রামিন ব্যাংক আর উনার ব্যবসা দিয়ে পরিশোধ করবেন, মানে এখন এই ঋন কিছুই না
৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫২
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আজ অব্দি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই তো ঠিক ভাবে চালু করতে পারলো না। আর বাদবাকি সংস্কার কখন হবে? জনগণ ওনাকে এত সময় দিবে বলে মনে হয় না।
৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২
ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি বলেছেন: আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে পেটের ক্ষুধাটাই আগে ম্যাটার করে। তারা সরকারের জনপ্রিয়তা, অজনপ্রিয়তা যাচাইটাই করে থাকে নিত্যপণ্যের মূল্যের হাল-হকিকত দিয়ে। আমি এটা স্বাভাবিকই ভাবি। অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। গরীবের খাবার হিসেবে পরিচিত মোটা চাল ৭০ টাকা কেজি, মসুর ডাল ১৪০ টাকা কেজি, আলু ৬০ আর আমিষের একমাত্র উপায় ডিম ৬০টাকা হালি। গরীব খাবেটা কি? আমরাই তো স্বল্প আয়ে কূলাতে পারি না, নিম্নবিত্তদের কি অবস্থা অনুমান করতে পারি!
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: উনি আমেরিকার পরামর্শে ঋন নিয়ে শেষ পর্যন্ত দেশটা তাদের কাছে বন্ধক রেখে চলে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ঠিকই বলছেন রোড ম্যাপিং করে আগাতে হবে কিন্তু সমস্যা তো অন্য জায়গায় ভারত তো সব সময় পিছে লাইগা আছে শান্তিতে কাজ করতে দিচ্ছে না এক বার সংখ্যালঘুদের দিয়া গ্যাঞ্জাম করে ,একবার পাহাড়ি দের দিয়া গ্যাঞ্জাম করে ,একবার হুজুর দের দিয়া গ্যাঞ্জাম করে ,গার্মেন্টসে ঘুটু করে ,অন্তর্বতী সরকার শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত আগুন নেভানোতে ব্যাস্ত আছে রোড ম্যাপিং করার মতো অবস্থায় তো নাই। পুলিশ এখন পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াতে পারে নাই ,আনসার কাজ বাদ দিয়া সার্কাসের দলে নাম লেখাইছে ,আর্মি তিন পা আগায় দুই পা পিছায় ,আমলারা বেশিরভাগ মনে প্রাণে আওয়ামীলীগ এদের দিয়া সরকার চালানো অসম্ভব এরা উল্টা উপদেষ্টাদের নাকে দড়ি দিয়া ঘুরাচ্ছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়ার আগেও ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপায় গেছে ইচ্ছা মতো টাকা ছাপানোর ফলে দ্রব্য মূল্য উর্ধ মুখী। বাজার থেকে অতিরিক্ত টাকা না সরানো পর্যন্ত দ্রব্য মূল্য কামানো সম্ভব হবে না। অন্যদিকে কিছু দিন আগেই বন্যা হয়ে গেলো দুর্গত এলাকার গরু মুরগি মাছের খামার ফসল ঘরবাড়ি সব কিছুই তো নষ্ট হয়ে গেছে এটাও দ্রব্য মূল্যে উর্ধমুখী হওয়ার আরেকটা কারণ। যাই বলেন সংস্কার না করে কোনো ভাবেই নির্বাচনে যাওয়া ঠিক হবে না। আগেও বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ এর সময় বি এন পি বলছিলো তারা নির্বাচিত হলে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ এর কাজ তারা সম্পন্ন করবে কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর সেই ওয়াদা তারা ভুলে গেছে । সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে আবারো একই সমস্যা হবে নতুন স্বৈরাচার এর জন্ম হবে।