নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
গত তিনদিন আগে শপথ গ্রহণ করলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ড: মুহাম্মদ ইউনুস কে প্রধান উপদেষ্টা করে এই সরকার গঠনে উপদেষ্টামন্ডলের সবচেয়ে বড় চমক মনে হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান কয়েকজন সমন্বয়কদের মধ্যে দুইজন - জনাব আসিফ আল মাহমুদ আর নাহিদ ইসলাম।
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে নানামতের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ যেমন অন্যান্য সমন্বয়কদের কোন পদ না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ ঢাকা ছাড়া অন্যান্য জেলার সমন্বয়কদের কোন আলোচনায় এখন পর্যন্ত সম্পৃক্ত না করা নিয়েও প্রশ্ন উঠাচ্ছেন। আবার এমনটাও শোনা যাচ্ছে, ছাত্র আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের অবদানকেও আমলে নিয়ে তাদেরকেও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয়ভাবে শরীক করা যেতো।
মানুষ অনেক, তাই মতও অনেক। তবে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবচেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়াচ্ছে কোনরকম রাজনৈতিক দলের কোন প্রতিনিধিকে সম্পৃক্ত না করার জন্য। এত হাজার হাজার ছাত্র জনতার রক্ত এই কারণে ঝড়েনি যে এক পিশাচকে তাড়িয়ে আরেক পিশাচকে গদিতে বসানো হবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই। আমার মনে হয় স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর অবশেষে যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে দেশের ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। দুইজন ফ্রেশার ছাত্রদের নিয়ে যদিও সমালোচনা হচ্ছে, কিন্তু এই সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধি দরকার ছিলই। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যে তাদের নিজ নিজ জায়গায় বড়সড় কোন পজিটিভ পরিবর্তন ঘটিয়ে তারা জনগণের প্রশংসার পাত্র হবে।
তবে আমার মতামত, শুধু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেই ছাত্র প্রতিনিধি নয়, এদের সাথে একটি রাজনৈতিক দলও গঠন করা উচিত। কারণ দীর্ঘমেয়াদি হোক কিংবা স্বল্পমেয়াদী হোক, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে একটু সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করতেই হবে। জনগণের কাছে সঠিক বিকল্প না থাকলে ঘুরেফিরে যে লাউ সে কদুই হবে। হয়তো মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এই অনভিজ্ঞ ছাত্র দলের হাতে দেশ আসলে নিরাপদ থাকবে কিনা? এরা হতে পারে অনভিজ্ঞ কিন্তু অভিজ্ঞরা তো তাদের সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশ লুটেপুটে খায়, এরা তাদের চেয়ে খারাপ দেশ চালাবে কেন ।
তবে ছাত্রদের দ্বারা যে রাজনৈতিক দল গঠন করতে হবে, সেখানে ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা সকল জেলার সমন্বয়কদের এবং সকল সরকারি, বেসরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের কে প্রাধান্য দিতে হবে বড় পদগুলোতে। আশা করি, এতে সকলের সমালোচনার রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হবে।
এই দেশটাকে আবার নতুন করে গড়া হচ্ছে, এখানে নিজেদের মধ্যে যেন কোন মন খারাপের জায়গা তৈরি না হয়, ক্ষমতার লোভ যেন পেয়ে না বসে বরং দেশ নিজের মত করে গড়ার লোভই যেন থাকে সবসময়। আমি বরাবরই বিশ্বাস করি, "যতদিন তোমাদের হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ"
২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৪
মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৫
নয়া পাঠক বলেছেন: পুরোপুরি এটা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না, সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সকল সরকারী প্রতিষ্ঠান হতে রাজনীতি চিরতরে বন্ধের একটি প্রচেষ্টা চলছে, এবং এটা করতেই হবে। আর বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও জবাবদিহীতার মধ্যে থাকতে হবে। সত্যিকারের একটি গণতান্ত্রিক দেশে রূপান্তর ঘটবে এদেশের। আর এরা যদি রাজনৈতিক দল গঠন করে তাহলে আর ছাত্র রাজনীতি বন্ধ থাকবে কেমনে। আপাতত যারা আছে তারা থাকুক, পরবর্তীতে তারা যখন ছাত্র থাকবে না তখন চেষ্টা করে দেখতে পারে।