নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ আসবে কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটে একটু নাটক সিনেমা হবে না - ইহা বড্ড বেমানান ;) X((

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬



বাংলাদেশ ক্রিকেটে কোন পরাশক্তি নয় । কোনদিন ছিল না, আর এখন যে অবস্থা, এভাবেই চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে পরাশক্তি হতে পারার সম্ভাবনাও ক্ষীণ । আচ্ছা, "এভাবে চলতে থাকলে" - এই কথাটার ব্যাখ্যা নানান ভাবে দেওয়া যায় । আমি আমার মত করে দিচ্ছি ।

বিসিবি - বাংলাদেশ ক্রিকেট কাউন্সিল, বিশ্বের চতুর্থ ধনী একটি জাতীয় ক্রিকেট বোর্ড । চতুর্থ ধনী হলেও আদতে নখদর্পণহীন একটি প্রাণী হয়ে বিসিবি আছে সেই আদিকাল থেকেই । আমাদের দেশের ক্রিকেটে উন্নতি না হওয়া, ভালো ভালো ক্রিকেটার একেবারে রুট লেভেল থেকে গ্রুমিং করে নিয়ে না আসা, খেলোয়াড়ে খেলোয়াড়ে কিংবা খেলোয়াড় ও বোর্ডের কর্মকর্তাদের মধ্যে গণ্ডগোল বাধিয়ে রাখা, ইত্যাদি নানামুখী কর্মকাণ্ড অবশ্য এই বিসিবি নিয়মিত দক্ষতার সাথেই করে থাকে । ক্রিকেটে ওভারঅল সাফল্য না আসলেও, এভাবেই বিসিবি আলোচনায় থাকতে পছন্দ করে। বিশেষ করে বিসিবি সভাপতি জনাব নাজমূল ইসলাম পাপন । ভদ্রলোক একাধারে ৩/৪টি পদে একেবারে উচ্চ আসনে বসে আছেন বিসিবি বাদেও নানা সেক্টরে (যেখানে ১টি উচ্চ পদ সামলাতেই মানুষ হিমসিম খেয়ে যায়) ।

এবার আসি বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে পঞ্চপান্ডব বলে খ্যাত ৫ জন সিনিয়র ক্রিকেটের মধ্যে খান বংশীয় ও প্রায় ১৭ বছর ধরে খ্যাতিনামাপ্রাপ্ত দেশীয় ওপেনার তথা তামিম ইকবাল খান এর বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত দলে চান্স না পাওয়া এবং পরবর্তীতে ভিডিও করে আত্ম সাফাই গাওয়া নিয়ে । অবশ্য এর সাথে গতকাল রাতে টি স্পোর্টস এ দেওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বর্তমান ক্যাপ্টেন ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ইন্টার্ভিউ ভিডিও এর কথা না বললেই নয় ।



এখানে অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর গতকাল তামিম আর সাকিব এর ভিডিওতে ক্লিয়ার হয়েছে । কিন্ত তবু কিছু প্রশ্ন থেকে যায়, যা হয়তো সাংবাদিকদের মাথায় আসেনি, তাই সাকিব কিংবা তামিমকে এখনও করেনি, তাই ক্লিয়ার হয়নি কিংবা তারা নিজেরাও বিষয়গুলো ক্লিয়ার করেনি ।

প্রেক্ষাপট - ১ঃ মিডিয়ায় সাকিব কিংবা তামিম এই দুইজনের নামেই দুইটি মারাত্মক নিউজ এসেছে । সাকিবের নামে এসেছে এই যে সাকিব নাকি এই আপদকালীন সময়ে (মানে তামিম হঠাৎ অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর) অধিনায়কত্ব নেওয়ার সময় বোর্ডকে শর্ত দিয়েছে যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো তাকে নিতে দিতে হবে কিংবা বোর্ডের হস্তক্ষেপ কম থাকবে । অথচ সাকিব এমন কোন শর্ত বোর্ডকে দেয়ইনি (চিন্তা করেন, কি ভয়ানক কথা এইটা । আর তামিমের নামে এসেছে, তামিম নাকি নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের চলমান ক্রিকেট সিরিজের মধ্যেই ৩য় ওয়ানডে ম্যাচ বিশ্রাম নিতে চায় এবং বোর্ডকে সাফ জানিয়ে দেয়, তার ফিজিকাল অবস্থা কিছুটা খারাপ, তার দেহে এখনও কিছুটা ব্যাথা আছে, তাই সে বিশ্বকাপে মাত্র ৫টি ম্যাচই খেলবে, এর বেশি একটা ম্যাচও খেলবে না । অথচ তামিম এটা বলেইনি (আবার ভাবেন কি ভয়ানক কথা) । এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ঠিক বিশ্বকাপের আগে দলের মনোবল ভাংগার জন্য দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২জন খেলোয়াড়ের নামে এই যে দুইটি মারাত্মক মিথ্যা কথা, এইটা ছড়িয়েছে কে বা কারা? তাদের ধরতে এখনও বিসিবি বা খেলোয়াড় বা অন্য কোন পক্ষ থেকে এখনও কোন অবস্থান নেওয়া হচ্ছে না কেন?

প্রেক্ষাপট - ২ঃ অনেকেই বলছে তামিম যেহেতু ফিজিকালি নিজেকে অতটা ফিট মনে করছে না কিংবা যেহেতু সে ভাবছে তার দীর্ঘ বিশ্রাম দরকার, তাই সে হঠাৎ করে এই বছরের শুরুর দিকে ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দেয় । একেবারে হুট করেই । অনেক তামিমভক্ত কিংবা সাধারন জনগনের মতে সেটা সম্পূর্ণ দলের ভালোর জন্যই । আবার গতকাল রাতে প্রকাশিত ভিডিওতে সাকিব বললো তামিম সেই ২০২১ থেকেই ক্যাপ্টেনসি আজ ছাড়ি কিংবা কাল ছাড়ি করছে । এমনকি দলের একজন ক্রিকেটার (যে কিনা সিনিয়র নয়), সে নাকি এও বলেছে, ভাই ক্যাপ্টেনসি ছাড়লে আগেই ছেড়ে দেন, যাতে নতুন কেউ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে সময় পায় । তাহলে আমার প্রশ্ন, এক্ষেত্রে তামিম দলের চিন্তা করলে তো ২০২১, এমনকি ২০২২ এও ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দিতে পারতো । এই ২০২৩ সালে এসে যখন দলের দুইটি বড় টুর্নামেন্ট খেলতে হবে (এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ), তখন দলের ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দিয়ে দলকে অগোছালো বানিয়ে দিলো কেন? আবার হঠাৎ অভিমানে অবসরেই বা গেলো কেন ? জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে খান সাহেব এত কথায় কথায় অভিমান করেন কেন? তিনি তো আর এলাকার/পাড়ার ক্রিকেট খেলছেন না, জাতীয় পর্যায়ে খেলছেন, এটা তার মনে রাখা দরকার । জানি না, এই কথাগুলোর উত্তর খান সাহেব হয়তো দ্বিতীয় পর্যায়ে আত্ম সাফাই দিয়ে ভিডিও করে জানাবেন (মনে হচ্ছে কোন ইন্টারেস্টিং ওয়েব সিরিজ উপভোগ করছি আমরা) ।

প্রেক্ষাপট - ৩ঃ তামিম তার ভিডিওতে বলেছে, ফিজিও এর রিপোর্টে বলা আছে, সে যদি বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের চলমান ক্রিকেট সিরিজের ৩য় ওয়ানডে ম্যাচসহ টানা ১৪/১৫ দিন বিশ্রাম নেয়, তাহলে বিশ্বকাপের সে ফিট হয়েই বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারবে (শরীরে টুকটাক ব্যাথা থাকলেও) । তাই তামিম এই বিষয়টাই সবাইকে (বোর্ড কর্মকর্তা ও নির্বাচকদেরকে) জানিয়েছে । সে ৫টি ম্যাচ বা বেছে বেছে খেলার কথা বলেইনি । আবার সাকিব টি স্পোর্টস এর ভিডিওতে বলেছে সে নাকি শুনেছে যে তামিম বেছে বেছে খেলবে । আচ্ছা এবার আমার প্রশ্ন, তামিম যেটা বলেইনি, সাকিব ঠিক সে কথাটিই শুনলো কি করে? আর এই কথাটা সাকিব জানলো কি করে? কোন বোর্ড কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছে নাকি কোন সাংবাদিক ? আদতে এই দুইয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখার ইচ্ছাটা কার বেশি ? এটাও জাতির কাছে খোলাসা হওয়া দরকার ।

প্রেক্ষাপট - ৪ঃ তামিমকে বিশ্বকাপে সুযোগ দিলে কখনও কখনও তাকে ওপেনিং ছেড়ে মিডল অর্ডারে খেলতে হতে পারে, বোর্ড কর্মকর্তাদের একজন তামিম ইকবালকে এই প্রস্তাব দিলে, প্রচণ্ড আত্মসম্মানে ভুগা খান সাহেব মনে করলেন যখন ১৭ বছর তিনি ওপেনিং ছাড়া অন্য পজিশনে খেলেননি, তাই এই কথাটা আদতে তাকে অপমান করতে বলা হয়েছে । ফলাফল তাকে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি, বরং সে নিজের নাম উইথড্রো করেছে । এখানে দলের প্রয়োজনে মানুষকে ছাড় দিতে হয়, নিজের জন্য খেলা উচিত না, ইত্যাদি কথাগুলো সাকিব গতকাল প্রকাশিত ভিডিওতে বলেছে । আচ্ছা তাহলে আমার প্রশ্ন, খান সাহেব ক্যাপ্টেন থাকাকালীন, সৌম্য সরকারওকে ওপেনিং থেকে ৭ এ খেলিয়েছেন (কেন? কারণ তার ফর্ম নেই), সাকিবকে ৩ থেকে ৪ বা ৫ এ খেলিয়েছেন, মুশকিল কে ৪ থেকে ৫ বা ৬ এ খেলিয়েছেন, আফিফ, মিরাজ ইত্যাদি আরও কতজনকে তাদের পছন্দনীয় পজিশন থেকে নামিয়ে উঠিয়ে পরীক্ষা করেছেন, তখন তিনি ঠিক আছেন, আর কেউ যদি তাকে নামিয়ে উঠিয়ে পরীক্ষা করেন, তাহলে সেটা মস্ত ভুল । আসলে তিনি প্রচন্ড ইগোস্টিক পারসন । দলের প্রয়োজনে এরকম পজিশন চেঞ্জ করলে কেউ কখনও আপত্তি না করলেই খান সাহেবকে নিজের কম্ফোর্ট জোন ছাড়তে বললে তার প্রবল আপত্তি । অথচ আফগানিস্তানের বিপক্ষেই কেবল তাকে একটু নিচে নেমে খেলতে বলা হয়েছিল । যেহেতু আফগানিস্তানের ওপেনিং বোলিং পার্টনারশিপ ফারুকি ও মুজিবের বলে খান সাহেব বরাবরই উদার হয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন । এখানেও তার ভালোটাই চাওয়া হয়েছিল ওভারঅল দলের জন্য, তিনি সেটা মানবেন না কেন?

প্রেক্ষাপট - ৫ঃ খান সাহেব অভিমান করে বিশ্বকাপ দল থেকে নিজে সরে গেলেন, ভালো কথা । খান সাহেবের আপন বড় ভাই নাফিস ইকবালের দলের ম্যানেজার পদ থেকে সরে যাওয়ার বিজ্ঞানটা বুঝলাম না । এখানে কি তিনি ভাইয়ের জন্যই কেবল দলে ছিলেন? নাকি দেশের জন্য? দেশের জাতীয় দলের জন্য? পরিবারপ্রীতি তথা স্বজনপ্রীতি তথা নেপোটিজম ব্যাপারটা বরাবরই ভয়ানক । এটা থেকে যতটা দূড়ে থাকা যায়, সেটাই ভালো । আবার নির্বাচক প্যানেল থেকে নাকি সরে গেছেন আরেক খান পরিবারের সাবেক খেলোয়াড় আকরাম খান । কারণ নাকি সেই একই (এটা আমার শোনা কথা, শিউর বলতে পারছি না) । এই যে স্বজনপ্রীতির একটি চক্র গড়ে উঠেছিল, এটা থেকে সরে আসা বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য মঙ্গল নয় কি?

ইত্যাদি আরও আরও প্রেক্ষাপট । আমি লিখতে থাকলে, ঠিক এরকম সাইজের আরও কয়েকটি লেখা তৈরি করা সম্ভব । কিন্তু এই প্রশ্নগুলো যেহেতু তৈরি হয়েছেই, এটা শুধু আমার মনের প্রশ্ন নয়, এটা অমুক ভক্ত তমুক ভক্তকূল ব্যতীত নিরপেক্ষ আপামর জনতার মনের প্রশ্ন ।

তাই শুরুতে যেই কথা বলে শুরু করেছিলাম, সেটা আবারও বলি । বিসিবি লংকায় আগুন দিয়ে এখন মজা নিচ্ছে । চাইলে তারাই সব দফারফা করে সবকিছু শান্ত করে দিতে পারতো কিন্তু না, সব শান্ত হয়ে গেলে তো তাদেরই সমস্যা । যে দল তারা বিশ্বকাপে কোনরকমে পাঠাতে পেরেছে, এদের তো কোনকিছু অর্জন করার কথা নয়, তাই এরকম টুকটাক বিষয় নিয়েই আলোচনায় থাকার মোক্ষম সুযোগটা হারাতে চায় না বিসিবি ।

যত যাই হোক, নিজের দেশ, বাংলাদেশের এই দলের বিশ্বকাপ সফরের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা । দল জিতুক কিংবা হারুক, দলের সাথেই থাকবো । যারা এখন দলে আছে, তাদের উপরই ভরসা এখন সবটা । এই বিশ্বকাপে আমাদের বড় কোন সাফল্য আসবে, এই কামনা করেই শেষ করছি......

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তামিম যা করে চলেছেন, এগুলো সবই তার বিপক্ষে যাচ্ছে - অবসরের ঘোষণা দেয়া, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসরের ঘোষণা বাতিল - এগুলো জনগণের কাছে নাটক বলে মনে হচ্ছে। এত ইগোয়িস্টিক কোনো প্লেয়ার দলে না থাকাই উত্তম। তামিম ইকবালের উপর সত্যিই খুব রাগ হচ্ছে এখন।

আপনি ভালো লিখেছেন। যুক্তিযুক্ত।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: বিশ্বকাপের ঠিক আগে ঘটনাগুলো ভিতরে ভিতরে সমাধান করে ফেলা যেতো । গণমাধ্যম, গণজনতা কিংবা বিশ্বমিডিয়াকে জানানোর কোন দরকারই ছিল না । জানি না, এখানে কার স্বার্থসিদ্ধি হলো, তবে সমগ্র বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য ভালো হলো না ।

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: একটা গরীব দেশ এতোটাকা দিয়ে কোচ,বিশেষজ্ঞ,টেনশিয়ান,সেবাদাস পোষে। তারপরও যদি দেশের মানুষ যদি মাঝে মধ্যে পটকা ফুটাতে না পারে - এই দুঃখ কোথায় রাখি ?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: বাংলাদেশের এখন যেটা বেশি দরকার, সেটি হচ্ছে ক্রিকেটের বাইরে যে কোন লোককে ক্ষমতায়নের বাইরে রাখা । এরা ক্রিকেটের বুঝে কি? এছাড়া আমাদের দেশীয় খেলোয়াড়দের গ্রুমিং ও ডেভেলপমেন্টে সর্বদা দেশীয় কোচের উপর ভরসা করা । হাতুরেসিংহ হয়তো ভালো কোচ কিন্তু আমাদের দেশীয় কোচ সালাউদ্দিন তার চেয়ে ঢের ভালো কোচ, বলেই আমি মনে করি । দেশীয় লোকই পারে এখন এই খেলোয়াড়গুলোর মনোবল ফিরিয়ে আনতে । তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সৎচিন্তা, সৎচাওয়া আর দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করা । তাহলেই কেবল সফলতা ধরা দেবে তাও নিয়মিতই ।

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫

আমি নই বলেছেন: পুরো ঘটনার পিছনে সাকিব কলকাঠি নারতেছে, তারা সাফাই দেয়াটাই প্রমান করে। সে একটার পর একটা বাধা দিয়েছে যার সর্বশেষ হল নিচে নেমে ব্যাটিং করা। লেখক সৌম্য সহ অনেকের কথাই বলেছেন, সাথে এটাও বলছেন তারা ফর্মহিন ছিল। তামিম তার লাস্ট ম্যাচে ৪৪ রান করেছিল, তাহলে তাকে কেন নিচে নেমে খেলতে হবে? এখানে ইগো কোথায়?

যদি ওপেনিংয়ে সে খারাপ খেলত অথবা সে নতুন প্লেয়ার হত তাহলে মানতাম যে পরীক্ষার দরকার আছে, তাও সেই পরীক্ষাটা অবস্যই বিশ্বকাপের মত খেলায় নয়। ১৭ বছর ধরে ওপেনিংয়ে করছে, ওপেনিংয়ে ভালোও করছে তাকে আপনি হঠাৎ করে বিশ্বকাপের মত খেলায় ৩-৪এ নামিয়ে পরিক্ষা করতে চান? কোন যুক্তিতে ভাই?? দলের প্রয়োজনে, হা হা!!!

সাকিব ভালভাবেই জানে এ দেশের মানুষের মনে রাখার শক্তি কম, এরা শুধু শেষটাই মনে রাখতে পারে। তাই প্লান করেই বলেছে দলের প্রয়োজনে যেকোনো পজিশনেই খেলতে হবে আর জনগন ভাবতেছে, তাইতো সাকিবতো সঠিক বলেছে!!!
তামিম তার বক্তব্যে ক্লীয়ার করেছিল যদি এ্যপ্রোচটা একটু পজিটিভ হতো তাইলে হয়ত মেনেও নিত। কিন্তু বিশ্বকাপে যাওয়ার পর যে আবার নতুন নাটক করতনা তার কি গ্যারান্টি ছিল? কারন লাস্ট ৩-৪ মাস থেকেই একের পর এক নাটক চলছিলই। যদি সাকিব তামিম কে মন থেকেই চাইত তাহলে এত ত্যানা না প‌্যাচায়া অধিনায়ক হিসেবে বলত আমার তামিমকে চাই, আর একজন সিনিয়র প্লেয়ার, সাবেক অধিনায়ক হিসেবে তামিমের সাথে বসে গেম প্লান করত। তাকে বলত ভাই দলের প্রয়োজনে তোমাকে কিন্তু নিচেও খেলা লাগতে পারে। আমি সিউর তামিম দ্বিমত করতনা। তা না করে কেউ একজন হঠাৎ করে ফোন দিয়ে বলবে প্রথম ম্যাচ তুমি খেলোনা, আর যদি খেলোও তাহলে নিচে ব্যাট করো এই আজব কথা না মানতে পারলে সেটা ইগো??? এত কন্ডিশন মেনে, মানষিক চাপের মাঝে খেলতে হবে কেন? তামিম কি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ফেলনা??

আপনিও লাস্ট ঘটনাটা মনে করেই লিখলেন তামিম অভিমান করে সরে গেলেন, আসলে ঘটনা হল তাকে মানষিক চাপ দিয়ে সরে যেতে বাদ্ধ করা হয়েছে।

আচ্ছা ভাই কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ি একজন রানিং অধিনায়ক কি দলের সিলেকশন প্রক্রিয়া, আন্তকোন্দল ইত্যাদি নিয়ে গনমাধ্যমে কথা বলার ক্ষমতা রাখেন?? আমার মনে হয় রাখেন না, কারন এতে করে দলের মনবল ভেংগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোনো ভালো অধিনায়ক যে কিনা বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে সে কখনই দলের ইন্টারনাল বিষয়ে খেলার আগে কথা বলবেনা, বিশ্বকাপ শেষ করে তার পর বলতে পারে। কিন্তু সাকিবের দরকার নিজের ইমেজ ঠিক রাখা, তাছারাতো এ্যডস পাবেনা তাই দলের মনবল ভাংগুক আর যাইহোক টি-স্পোর্টসকে মনের মাধুরি মিশিয়ে বলে গেল।

আর ভাই, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছেনা, যে দলের কোনো এ্যম্বিসন নাই, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করাই বড় কথা। মাঝে মধ্যে দুই একটা দলকে হারিয়ে তৃপ্তি রাখার জায়গা পায়না এমন একটা দলে তামিমের মত একজন প্লেয়ার, যার কিনা এটাই শেষ বিশ্বকাপ তাকে রাখলে, ওপেনিং করতে দিলে বা মানসিক ভাবে সাপোর্ট দিলে দলের লাভ ছারা কোনো ক্ষতি হতনা। সাথে তাকে তার প্রাপ্য সম্মানটাও দেয়া হত।

এই ফুটবল বিশ্বকাপেও আমরা দেখেছি অনেক দেশ তাদের সেরা প্লেয়ার একটা ম্যাচও খেলতে পারবেনা জেনেও দলে রেখেছিল। এগুলো মানসিকতার বিষয়, সম্মান দেয়ার বিষয় এটা সাকিবের মত নিচু মানষিকতার খেলোয়ারের মাথায় কখনই আসবেনা।

নাফিজ ইকবাল এমনিতেই দল ছেরেছেন এটাও বলা যায় না, এখানেও যে সাকিব কলকাঠি নারছেনা সেটা বলা যাবেনা। এই প্যারায় স্বজনপ্রিতির কথা বলেছেন এটা বরই হাস্যকর। তামিমের পরিসংখ্যান জানার পরেও যদি আপনি মনে করে থাকেন সে স্বজনপ্রিতির কারনে দলে চান্স পায় তাইলে আসলে কিছু বলার নাই। আকরাম খানও তার যোগ্যতা বলেই বোর্ডে ছিলেন। এখানে স্বজনপ্রিতি কোথায় হয়েছে একটু ব্যাখ্যা করবেন??
স্বজনপ্রিতি যে নাই তাও বলা যাবেনা, সুজন যে কিনা একই সাথে বোর্ডের ২-৩ তিনটা পদে থাকেন, মাঝে মাঝে আবার দলের ম্যানেজার পদেও থাকেন এগুলা হল স্বজনপ্রিতি যা হয়ত আপনার চোখে পরে নাই।

বাপরে, মেলা লিখলাম, এটা একটা পোষ্ট হয়ে গেল......

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: আসলেই ভাই, ইহা অনেক বড় কমেন্ট । অনেকটা সামুর যে কোন পোস্টের মতই । আপনি না হয়, আমার পোস্টটার লিংক শেয়ার দিয়ে, এর নিচে আপনার এই পোস্টটি করে দিতে পারতেন । যাই হোক, আপনার কিছু ধারনার পক্ষে বিপক্ষে আমার কিছু মতামত আছে বলে বোধ করছি ।

১. তামিমকে নিচে নেমে খেলতে বলা হয়েছে স্পেশালি আফগানিস্তানের সাথে । কেন? এর ব্যাখ্যা আমি পোস্টে দিয়েছি । তবে হ্যাঁ এটা ঠিক । এটা তো তাকে সিলেক্ট করে, বিশ্বকাপে পাঠিয়ে, ম্যাচের আগের রাতে কিংবা সকালেও বলা যেতো । এই তামিমই কিন্তু অধিনায়ক থাকাকালীন যে কোন মূল্যেই সাকিবকে ৩ থেকে ৪ বা ৫ এ জায়গা ফিক্সড করেছিলেন, শান্তকে ৩ এ জায়গা করে দেওয়ার জন্য । অথচ সাকিবের ৩ নাম্বার পজিশনের স্ট্রাইক রেট কিংবা ব্যাটিং গড় প্রায় ৪৫ এর উপরে, যেখানে ৪ নাম্বার পজিশনে এই গড় গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯ আর ৫ নাম্বার পজিশনে ৩৪ । তাহলে আপনার কথার সুর মিলিয়ে বলতে চাই, "যেখানে ৩ নাম্বার পজিশনে সাকিব এতটা ভালো করছে তাকে আপনি হঠাৎ করে খেলায় ৪-৫ এ নামিয়ে পরিক্ষা করতে চেয়েছিলেন? কোন যুক্তিতে ভাই??" । যাক, সাকিবের মত খেলোয়াড় কিন্তু ইগো বা রাগ বা অভিমান কোনটাই এখন পর্যন্ত একবারও প্রকাশ করেননি । যেখানে যে কোন সিনিয়র খেলোয়াড়ের জন্য হঠাৎ-ই তাকে না বলে তার পজিশন চেঞ্জ করাটা তার জন্য সুখকর নয়, যেমনটা এখন তামিম মনে করছে ।

২. আপনার সুরে আরেকবার বলতে চাই, "যদি সাকিব তামিম কে মন থেকেই চাইত তাহলে এত ত্যানা না প‌্যাচায়া অধিনায়ক হিসেবে বলত আমার তামিমকে চাই, আর একজন সিনিয়র প্লেয়ার, সাবেক অধিনায়ক হিসেবে তামিমের সাথে বসে গেম প্লান করত। তাকে বলত ভাই দলের প্রয়োজনে তোমাকে কিন্তু নিচেও খেলা লাগতে পারে। আমি সিউর তামিম দ্বিমত করতনা। তা না করে কেউ একজন হঠাৎ করে ফোন দিয়ে বলবে প্রথম ম্যাচ তুমি খেলোনা, আর যদি খেলোও তাহলে নিচে ব্যাট করো এই আজব কথা না মানতে পারলে সেটা ইগো??? এত কন্ডিশন মেনে, মানষিক চাপের মাঝে খেলতে হবে কেন? তামিম কি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ফেলনা??" । কেউ একজন যে ফোন দিয়ে বলেছে তোমাকে নিচেও খেলা লাগতে পারে, সেখানে সাকিব কিন্তু ক্লিয়ার করেছে তার হাত ছিল না, সে জানেই না । তবে হ্যাঁ আফগানিস্তানের ওপেনিং বোলিং জুটির কাছে তামিমের নাজুকতার ইতিহাস দেখে সে হয়তো এই সিদ্ধান্তে কোন আপত্তি করেনি । এখন ইমোশনাল জাতির একজন প্রতিনিধি হয়ে আপনি ভাবছেন, কেন তামিমকে ফেলনা মনে করা হলো? এখানে দলের সিরিয়াস গেম প্ল্যান করার সময় যখন ভাবা হলো তামিম যেহেতু শুরুতে খারাপ করে, তাকে একটু নিচে নামিয়ে খেলিয়ে তাকে ভালো খেলতে উদ্বুদ্ধ করি, দলেরও এতে ভালো হবে । এখানে তামিম ফেলনা কেন মনে হলো আপনার?

৩. আপনার আরেকটি কথা, "আচ্ছা ভাই কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ি একজন রানিং অধিনায়ক কি দলের সিলেকশন প্রক্রিয়া, আন্তকোন্দল ইত্যাদি নিয়ে গনমাধ্যমে কথা বলার ক্ষমতা রাখেন?? আমার মনে হয় রাখেন না, কারন এতে করে দলের মনবল ভেংগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোনো ভালো অধিনায়ক যে কিনা বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে সে কখনই দলের ইন্টারনাল বিষয়ে খেলার আগে কথা বলবেনা, বিশ্বকাপ শেষ করে তার পর বলতে পারে। কিন্তু সাকিবের দরকার নিজের ইমেজ ঠিক রাখা, তাছারাতো এ্যডস পাবেনা তাই দলের মনবল ভাংগুক আর যাইহোক টি-স্পোর্টসকে মনের মাধুরি মিশিয়ে বলে গেল।" । ভাই দয়া করে কোড অফ কন্ডাক্ট এর কত নাম্বার ক্লসে এই কথাটা আছে একটু আমাকে জানাবেন । আমি জানি না । দুই, তামিম যখন হঠাৎ-ই কোড অফ কন্ডাক্ট (আপনার কথা অনুযায়ী) ভায়োলেশন করে অন্তত সংবাদ সম্মেলন না করে, ব্যক্তিগত একটি ভিডিও করে এভাবে বিসিবি ও তার আনুষঙ্গিক বিষয়ের উপর দোষ চাপিয়ে দেবে, সেখানে দলের অন্য খেলোয়াড়দের মনোবল ঠিক থাকবে? সাকিব সামনে এসেছে, সাকিব না এসে অন্য কেউ হলেও এরকম একটি ভিডিও মেসেজ দেশ ও দলকে দেওয়াই লাগতো । না হয় আপনার মত আবেগী দর্শক একটার উপর একটা বিশ্বকাপ বয়কট করতেই থাকতো, শুধুমাত্র তাদের পছন্দনীয় খেলোয়াড়কে দলে না নেওয়ার জন্য ।

৪. আর নাফিস ইকবাল পরবর্তীতে তার অবস্থান এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পরিস্কার করেছে । কথায় কথায় অপছন্দনীয় বলে সাকিবকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন । সাকিব বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় (সেটা আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়) । এছাড়াও সে বর্তমান দলের ক্যাপ্টেন । মানে নেতা । আপনি সাকিবকে অপছন্দ করতেই পারেন, কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন ক্যাপ্টেনকে আপনি অপছন্দ করতে পারেন না । ক্ষমতা এমনি এমনি কারও কাছে যায় না, ন্যূনত্বম যোগ্যতা না থাকলে । যাই হোক, আবেগ দিয়ে এগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না

আপনার যদি আরও কিছু বলার থাকে, কমেন্ট সেকশনে বলবেন, চেষ্টা করবো উত্তর করতে ।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.