নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
হ্যালো ভাই, আপনি তো দিন দিন হাতি হচ্ছেন, এত খান কেন? অথচ দেখা যায় নিজেই ফাস্ট ফুডের বিশাল ভক্ত, দৈনিক পিজা, বার্গার, মোমোস ইত্যাদি ছাড়া তার চলেই না । নিজের ভুঁড়িই উঁকি দেয় টি শার্ট ভেদ করে ।
ভাই আপনার মেয়ে তো দারুণ স্মার্ট হয়ে গেছে দেখছি । সেদিন তার কোচিং এর বাইরে দেখলাম, কোন ছেলের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে । অথচ নিজের মেয়েই দেখা গেলো বলা নেই কওয়া নেই, পাশের বাড়ির ছেলের হাত ধরে ভাগছে ।
তুমি কিন্তু দারুণ বেয়াদপ, খালি মুখে মুখে তর্ক করো, বড়দের কথা শুনো না, যা মন চায় তাই করো, এভাবে বড় হবা কি করে? অথচ নিজেই দেখা গেলো, ফোনে কাকে যেন বলছে, সে বড় হয়েছে তো কি হয়েছে ভয় পাই নাকি আমি? ইটের জবাব আমিও পাথর দিয়ে দিতে জানি ।
এই ছেলে শুনো এই কর্পোরেট লাইফে টিম ওয়ার্ক করাটা খুব জরুরি । এভাবে একা একা পাণ্ডিত্য দেখাও কেন । অল্প বিদ্যা কিন্তু ভয়ংকরী । নিজেকে নিয়ে এত অহংকার করবা না জীবনে । অথচ নিজেই দেখা গেলো পারুক না পারুক, নিজের অতীত জীবনের অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলে বসে যায় জুনিয়রদের কাছে । আমি এই করেছি, সেই করেছি, আমি ছাড়া হতো না ইত্যাদি আরও কত কত কথা ।
ভাই আপনি না দারুণ বউ পাগল । বউ ছাড়া দেখছি থাকতেই পারেন না । বউকে দেখছি রাজরানী বানিয়ে রাখেন । বউ ছাড়া আপনার কি যে হবে ভাই । অথচ নিজেরই ডিভোর্স হবে হবে এমন অবস্থা । সংসারে বনিবনা নেই ।
ইত্যাদি ইত্যাদি আরও কত কত কাহিনী
আমাদের এই সমাজটা বড়ই আজব । এখানে আমরা অন্যকে সমালোচনা করি নিজের তৈরি একটি ফিল্টারে ছেঁকে নিয়ে । মনে হয় আমি যেটা বলেছি বা যেটা করেছি বা যেটা ভেবেছি সেটাই সঠিক । অনেকের আবার এই বলা, করা বা ভাবাটা গ্রুপভিত্তিক বা গন্ডিভিত্তিকও হয়ে থাকে । কিন্তু যত যাই হোক, এতেই ঐ বলা, করা বা ভাবা বিষয়টাই চিরন্তন সত্য বা একেবারেই সঠিক কিছু হয়ে যায় না ।
মানুষ বড়ই বিচিত্র প্রাণী । মহান সৃষ্টিকর্তা এমনিতে মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বানাননি । মানুষ যাতে নিজের মত করে চিন্তা করে সঠিক পথে থেকে সঠিক কাজটি করতে পারে, সেটাই সৃষ্টিকর্তার চাওয়া । এই সঠিক কাজ কোনটি, এটা ব্যক্তিগত ভাবে খুঁজে বের করতে হয় । অপরের দেখানো পথে চলতে থাকলে, সেটা সঠিক পথ নাও হতে পারে । আপনি যেটা ভাবছেন, সেটা হয়তো আপনার জন্য সঠিক কিন্তু অপরের জন্যও সেটাই সঠিক, এটা আপনি সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না । যদি সে আপনার একান্ত আপনজন হয় তবে কিছুটা ব্যতিক্রম হতে পারে অবশ্য ।
তাই আঙ্গুলটা আগে নিজের দিকে উঠান । Point your fingers toward you first । এটা আয়নার সামনে গিয়ে করার দরকার নেই । বরং বিবেকের সামনে গিয়ে করেন । আপনি যাই বলেন বা করেন না কেন, এটার ফলাফল কিন্তু আপনি অবশ্যই পান । হয়তো প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কাজের কথা।