নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
#IndiaNeedsOxygen
এই হ্যাশট্যাগটি শুধুই একটি হ্যাশট্যাগ নয়, এটা যে কতটা ভয়ংকর একটি হ্যাশট্যাগ তা আপনি এই হ্যাশট্যাগে ক্লিক করে ফেসবুক কিংবা টুইটার যেখানে ইচ্ছে, একটি ট্যুর দিয়ে আসলে টের পাবেন ।
গত বছর আমেরিকায় (তথা সারা বিশ্বের কোন একটি নির্দিষ্ট দেশে) ১ দিনে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ মানুষের করোনা শনাক্তের পর যারা ভেবেছিলেন, ওরকমটা শীতপ্রধান দেশ বলেই আমেরিকায় হয়েছে, এরকম কাঠফাটা গরমপ্রবণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে হবে না । কিন্তু এইবার ভারতে গত কয়েকদিন আগেই ১ দিনে প্রায় ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার করোনা রোগী সনাক্ত এবং ২১০০+ ব্যক্তির মৃত্যু - চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কোনরকম কন্ডিশনই এই করোনার জন্য প্রতিকূল অবস্থা বয়ে আনে না ।
শ্মশানগুলোতে চিতার পর চিতা জ্বলছে, এমন একটি ছবিও বেশ ভাইরাল হয়েছে ।
এমনকি লাশ পুড়ানোর জন্য সিরিয়ালও বেশ লম্বা ।
একটি চিতার আগুন থামার আগেই হয়তো আরেকটি চিতা তে আগুন ধরানো হচ্ছে ।
হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের অভাব আর চারিদিকে নিদারুন হাহাকার । হাসপাতালগুলোতে সিট না পেয়ে হাসপাতালের বাইরে রাস্তাঘাটে মানুষ শুয়ে আছে কিংবা হাসপাতালগুলোতে একটু পর পর সাইরেন বাজিয়ে এ্যাম্বুলেন্সগুলোর প্রবেশ – যা দেখছি তাতেই শিউরে উঠছি ।
অনেকগুলো প্রশ্ন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে । যেমনঃ বর্তমান মোদী সরকার এই অবস্থার দায় এড়াতে পারবে কী কিংবা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউ যাহাই বলি না কেন, এর জন্য পূর্বপ্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হোক, আংশিক ভাবে নেওয়া হয়েছিল কী কিংবা জনগণকে এই করোনা মহামারীর বিষয়ে সচেতন না করে রাজনীতির খেলায় বিজেপি, কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো কি এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিল কিংবা বিরোধী দলগুলোর কিংবা রাজ্য সরকারগুলোর সামর্থ্যের মধ্যে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নীতিবাচক মনোবাসনা ছিল কী ইত্যাদি ইত্যাদি ।
প্রশ্ন যাহাই হোক, উত্তরগুলো কেমন যেন মানুষভেদে ভিন্ন হচ্ছে । তবে এটা পরিস্কার যে, উচ্চমহল থেকে পূর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাব ছিল । তবে ভারতের জনগণদের জন্য আশার বাণী হয়ে এসেছে, তারা যাদেরকে চিরশত্রু ভেবে আসতো, তাদের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানের জনগণের সহানুভূতি প্রদর্শন (পাকিস্তানী জনগণের কারণে পাকিস্তানে এই হ্যাশট্যাগ নাম্বার টপে আছে) এবং ভারতের জন্য সামর্থ্যের মধ্যে কিছু করতে পারার ইচ্ছা প্রকাশ । এমনকি পাকিস্তানী জনগণ তাদের সরকারকেও ভারতের সাহায্যার্থে কিছু করার জন্য অভ্যন্তরীণভাবে চাপ দিচ্ছে । জী, হ্যা, সকল ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে - মানুষের বিপদে মানুষের এগিয়ে আসা এবং সেটি ধর্ম, জাত, কূল ইত্যাদি বিবেচনা না করেই ।
কেন জানি মনে হয় করোনার হাজারটা নেগেটিভ দিকের মধ্যে এই একটাই পজিটিভ দিক, আর তা হচ্ছে, বিপদের সময় বন্ধু – শত্রু চিনতে পারার সুযোগ কিংবা আরও পরিস্কার করে বললে, উপর দিয়ে কেউ যেমনই হোক, তার ভিতরটা আসলে কেমন, সেটা চিনতে পারার সুযোগটা পাওয়া যাচ্ছে । তবে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বিপদ নামক মেঘের ঘনঘটা দ্রুত কেটে যাবে, এমনটা আশা করা হয়তো যায়, কিন্তু সেই আশা কতটুকু বাস্তব, তা বলা যাচ্ছে না । কয়েকদিন পর পর এই ভাইরাসের একেক ধরনের স্ট্রেইন (চাইনিজ স্ট্রেইন, ব্রাজিলিয়ান স্ট্রেইন, সাউথ আফ্রিকান স্ট্রেইন, পশ্চিমবঙ্গীয় স্ট্রেইন ইত্যাদি) যেন মানুষের সর্বোচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে চূর্ণ করে দেওয়ার পণ করেছে ।
তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে আমাদের প্রতিবেশী রাস্ট্রের এই বিপদের সময় তাদের প্রতি সহানুভূতি ব্যক্ত করছি এবং এই পবিত্র মাহে রমযানে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছি, যেন তিনি এই পৃথিবীর সকল অসহায়, বিপদগ্রস্ত মানুষকে তার রহমতের ছায়াতলে আশ্রয় দান করেন এবং এই করোনা নামক অভিশাপকে চিরতরে দূর করেন । আমিন
২| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো দেখে মনটা খারাপ হলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গতকয়েকদিন ধরে এসব দেখে শিউরে উঠেছি। তবে দেশের ভেতরে মিডিয়া ছবিগুলোর মতো ভয়াবহ কিছু দেখাচ্ছে না। হয়তো বা জনগণকে অহেতুক বিভ্রান্ত না করার জন্যে হতে পারে। অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ।