নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির জন্য যে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন চলছিল, সে সময় একটি কথা বা শ্লোগান খুব নজরে এসেছিল । যার মূল কথা ছিল - " মনে রেখো, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে বিজ্ঞান, মসজিদ মন্দির নয়!!" কথাটা লেইম লেভেলের চূড়ান্ত পর্যায়ের কথা ছিল । কেন? কারণটা অবশ্য কয়েকটি উদাহারন দিয়ে বুঝানো যাক ।
আচ্ছা মনে করুন, আপনার চুল-দাড়ি অনেক বড় হয়ে গেছে, তাহলে তা কাটানোর জন্য কোথায় যাবেন,? উত্তর- সেলুন! এখন কেউ যদি শ্লোগান দিয়ে বসে বা বলে বসে - মনে রেখো চুল-দাড়ি কেটেছিল সেলুন, মন্দির মসজিদ নয়!! কেমন লাগবে শুনতে ?
কিংবা আবার ধরেন, আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে । ওপেন হার্ট সার্জারী লাগবে । তাহলে এখন আপনি কোথায় যাবেন? একটা বড় হসপিটালে। ধরা যাক, সেখানে আপনার অপারেশন সাকসেসফুলভাবে শেষ হলো!
এখন যদি আপনি বা যে কেউ শ্লোগান দিয়ে বসে - মনে রেখো অপারেশন করেছিলো হসপিটাল, মসজিদ/মন্দির নয়? অনেক লজিকাল যুক্তি, না?!!
আবার মনে করেন, আপনার অনেক ক্ষুদা লেগেছে । পকেটে টাকা আছে । চলে গেলেন একটি রেস্টুরেন্টে । পেট ভরে খেয়ে আসলেন!! এখন রেস্টুরেন্ট থেকে উদরপূর্তি করে বের হয়েই যদি শ্লোগান দেওয়া শুরু করেন - মনে রেখো খাবার দিয়েছিল রেস্টুরেন্ট, মসজিদ /মন্দির নয়!! তাহলে আমাকে স্রেফ আপনার দিকে হা করেই তাকিয়ে থাকা লাগবে!!
It's like - comparing an apple with a mango. If their characteristics do not match, then one will be considered superior compared to another, huh?
ধর্ম হচ্ছে স্পিরিচুয়াল একটা ব্যাপার; এবং এর প্রভাব সব জায়গায় আছে। আপনি একই সাথে একজন ধার্মিক ও বিজ্ঞানী হতে পারেন। একটু চোখ কান খোলা রাখলেই, এই বাংলাদেশেই অনেক বড় বড় ডাক্তার, বিজ্ঞানী আপাদমস্তক ধার্মিক, এমনটা জানা যায় ।
কিন্তু কিছু লোক আজাইরা, হাস্যকর যুক্তি/ শ্লোগান দিয়া সমাজে অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা করে যায়/যাচ্ছে এবং নিজেদেরকে মহাজ্ঞানী (আদতে মহামূর্খ) হিসেবে প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা ধর্মকে দেখে একটি মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে । অথচ তারা কখনই এটা বুঝতে পারবে না, এই ধর্মই অনেকের মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়নের পিছনে বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করে ।
মহান সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুক, এই দোয়া করছি ।
(লেখাটির কিয়োদাংশের আইডিয়া সংগৃহীত)
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৪
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: আপনি বুঝতেছেন ধর্ম স্পিরিচুয়াল।
কিন্তু যে হুজুর ভ্যাকসিনের ফর্মুলা বলে বেড়াচ্ছে বা যে পুরোহিত গোমুত্র সেবন করে করোনা দূর করতে বলছে তারা আর তাদের ফলোয়ারগণ তো বুঝতেছে না। তারা তো ধর্মকে চিকিৎসা থেকে শুরু করে পলিটিক্স সবখানে খাটাতে চায়।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: আল্লাহকে মনে করতে বলা হয়েছে, উপরওয়ালার কাছে সাহায্য চাইতে হবে। এর মানে এই নয় যে, আল্লাহ চাওয়া মাত্র তার বান্দাকে ইচ্ছাপূর্ণ করবেন। আল্লাহ সর্বশক্তিমান কিন্তু এই বলে তিনি সবকিছুর সমাধান ইচ্ছা করেই করেন না। করলে তো আর পরীক্ষাক্ষেত্র হত না।
কিন্তু দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ এই পরীক্ষাকে, পরীক্ষার হলে চিটিং করে ঠিক বাংলাদেশের সিটিং সার্ভিস বাসের মত। শর্টকাটে অন্যকে দিয়ে খতম দিয়ে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান লোক দেখানো পালন করে বা উপস্থিত থেকে। এর মাঝে তৈরী হয় বাই প্রডাক্ট উগ্রপন্থী ও অসাধু সুবিধাভোগী। তবে বাংলাদেশে সহযোগীতা না করলেও অসহযোগীতা ঠিকই করছে।
বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে বাস্তব উদাহরণ দিতাম, কিন্তু ব্লগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে চাচ্ছি না। অনন্ত আজকে না। আজকে ছুটি, কাজ নেই। তাই প্রফুল্ল রাখতে চাচ্ছি।
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৬
জগতারন বলেছেন:
কিন্তু কিছু লোক আজাইরা, হাস্যকর যুক্তি/ শ্লোগান দিয়া সমাজে অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা করে যায়/যাচ্ছে এবং নিজেদেরকে মহাজ্ঞানী (আদতে মহামূর্খ) হিসেবে প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা ধর্মকে দেখে একটি মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে । অথচ তারা কখনই এটা বুঝতে পারবে না, এই ধর্মই অনেকের মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়নের পিছনে বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করে ।
মহান সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুক, এই দোয়া করছি।
সহমত !
এই প্রসঙ্গে একটি কথা আমার মনে আসলোঃ
কেহ আমাকে প্রশ্ন করে;
কোনটি সুন্দর; চাঁদ সুন্দর না সূর্য সুন্দর ?
কোনটি আমাদের বেশী উপকারী; চাঁদ বেশি না সূর্য ?
কোনটি আমাদের বেশী উপকার করে; চাঁদ না সূর্য ?
এ প্রশ্নের সোজাসাপটা উত্তরঃ
চাঁদ ও সূর্য; এ দুইটিই আমাদের উপকারী (!)
চাঁদ ও সূর্য; এ দুইটিই আমাদের দরকার, (!!)
চাঁদ ও সূর্য; এ দুইটিই সুন্দর, (!!!)
চাঁদ ও সূর্য এ দুইটিই আমাদের মনুষ্য সমাজে অপরিহার্জ (!!!!)
প্রশ্ন কর্তা তুমি মূর্খ, তুমি এবার থামো, অফ যাও (বা খামোষ)।
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২২
জগতারন বলেছেন:
আবারও মন্তব্য করতে এলুমঃ
"মানুষ যতদিন নিজের বিবেক সঠিকভাবে বিবেচনা করবেন না
ততদিন আপনি মানুষ বলে দাবি করতে পারেন না।
মামুনুল হকের মতো হাদীস (যা মোবিয়া'র আমল থেক মিথ্যাও হতে পারে) বা
ভুল তাফসীর (ক্বোর'আন-এর) দিয়ে নিজের অনুকুলে মতামত দিবেন না।
কেহ নিজের অনুকুলে অভিমত দিয়ে মহান ইসলাম ধর্ম কলুষিত করবেন না।
মামুনুল হক বা এর মতো হুজুররা ধিকৃত (অধঃপতিত)।
৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিজ্ঞান যতই ফালাফালি করুক
ভ্যকসিন পুশ করুক আল্লাহ না
চাইলে এই গজব থেকে কেউ
রক্ষা পাবেনা। কেরোনা রোধে
দাওয়ার পাশাপাশি মহান আল্লাহর
কাছে এই গজব থেকে নাজাতের জন্য
তার করুনা ভিক্ষা করতে হবে। গোনাহর
জন্য তওবা করতে হবে।
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:১৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অপ্রয়োজনী মৌলবাদ সেটা হিন্দু হোক, খ্রিস্টান হোক, মুসলিম হোক করোনা নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ভারতের করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণ হলো মোদির তথাকথিত হিন্দু মৌলবাদ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা। যেখানে মানুষের জীবনের সুরক্ষা প্রদানের চাইতে নারকেল ভাঙা আর বেলুন ফুলানোর মতো মিডিয়ায় প্রচারসর্বস্ব লোক দেখানো কর্মকান্ড নিয়েই মোদী ও তার কোটি কোটি বেকুব অনুসারি মত্ত ছিল।
অথচ কোরোনার প্রথম ধাক্কা লাগা দেশগুলোর মধ্যে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া এই রোগের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্বেও এদের দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে ভয়াবহ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। এর জন্য এদের কোনো তন্ত্রমন্ত্র উচ্চারণ করে নারকেল ভাঙা বা বেলুন ফুলানোর প্রয়োজন হয় নি।
৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৫৬
সিগনেচার নসিব বলেছেন: ধর্ম ছাড়া আজকাল জমে না। আগে উস্কানি পরে কথা !
৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কথা সত্য অনেক বড় বড় ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার ধর্মও পালন করে তারা ধর্মান্ধ নয়
১০| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমি বিজ্ঞানের সাথেই থাকব।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩২
বোবাকান্না বলেছেন: মসজিদ-মন্দিরে করোনা দূর করতে পারলে সারাবিশ্বে কওমী হুজুর রপ্তানি হতো আর মোদীর সাঙ্গ-পাঙ্গ তো গোমুত্র বিক্রি করে কূল-কিনারা পেতোনা