নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আড়ং যেটা করেছে এটা শুধু অন্যায়ই নয়, স্পর্ধার সীমা লঙ্ঘন X( X((

১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৯

বর্তমান সময়ে অন্যতম আলোড়ন সৃষ্টিকারী কাপড়ের একটি ব্র্যান্ড "আড়ং" । দেশীয় একটি ব্র্যান্ড হিসেবে বিদেশী অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলোর সাথে সমানে পাল্লা দেওয়ার জন্য এরা প্রথম থেকেই বিদেশী ব্র্যান্ড এর মত ভং ধরে রেখেছে । তাই তো এই ব্র্যান্ড এর কাপড়ের মূল্যও প্রায় আকাশছোঁয়া । দামের কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আলোচিত হওয়া এই ব্র্যান্ড নতুন ভাবে আলোচনায় এসেছে ধর্মীয় মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য ও অপমানিত হওয়ার কারণে ।

ঘটনাটি প্রায় ২/৩ দিনের আগের । যারা জানে না, তাদের জন্য বিস্তারিত ঘটনা জানাচ্ছি । ইমরান হোসেন ইমন নামক এক ব্যক্তি আড়ং এ বিক্রয়কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত চাকুরীর ইন্টার্ভিউ তে বেশ সন্তোষজনক পারফরমেস করে এবং সে এই করোনা পরিস্থির কারণে মুখে মাস্ক পড়ে ইন্টার্ভিউ তে অংশগ্রহণ করে । পরবর্তীতে তাকে যখন মাস্ক খুলতে বলা হয়, তখন তার মুখ ভর্তি দাড়ি থেকে তাকে বলা হয়, আড়ং এর গাইডলাইনে নাকি আছে মুখভর্তি দাড়ি থাকলে বিক্রয়কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম নেই । সে যদি ক্লিন শেপড করে আসে তাহলেই নাকি তাকে একমাত্র চাকুরীতে নিয়োগ দেওয়া হবে অন্যথায় নয় । এরপর যুবক সেই চাকুরী প্রত্যাখ্যান করে আসে । দাড়ি কেটে চাকুরী দেওয়ার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে পরবর্তীতে সে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে সেই ভিডিও হু হু করে ভাইরাল হয়ে যায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবারও সেই পুরনো ট্রেন্ড ফিরে আসে "বয়কট আড়ং" । এই হলো বিস্তারিত ঘটনা ।



একজন মুসলিম প্রধান দেশে ধর্মীয় মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করে তারা কিভাবে দেশীয় মনোভাব আর মূল্যবোধকে রিপ্রেজেন্ট করে তা আমার বুঝে আসেনি । ঘটনার পর অধিকাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী ও মুসলিম অন্তঃপ্রাণ জনগোষ্ঠী আড়ং এর এহেন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং কয়েকটি আড়ং এর দোকানের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন । তবে কয়েকজনকে আবার দেখলাম (আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে এদের মধ্যে কয়েকজন মুসলমান নর-নারীও আছেন, তবে নামে আর কর্মে মুসলিম দুটোর মধ্যে যদিও তফাৎ আছে) আড়ং এর হয়েই ওকালতি করছেন । এদের মধ্যে গতকাল একজনের পোস্ট দেখে আমি নিজেই অবাক হলাম ।

তার লেখার মূল বক্তব্য মূলত ৩টি বিষয় । (১) আড়ং ব্র্যান্ড এ কাপড়ের দাম বেশি নয় বরং যৌক্তিক । অন্যান্য কতিপয় উদ্যোক্তারা যারা আড়ং এর বদনাম করে নিজেদের ব্যবসার ব্র্যান্ডিং করেন, তারা নিজেরাই নাকি তাদের নিজস্ব বিজনেস পলিসির জন্য এই প্রপাগান্ডা ছড়ান । তাছা আড়ং নাকি একটি দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করছে । (২) আড়ং কর্তৃক মুসলিম যুবককে দাড়ি কাটতে বলা নইলে চাকুরী অফার না থাকা, বিষয়টা নাকি গুজব এবং নিতান্তই মিথ্যাচার । বাঙালি নাকি গুজবে কান দিয়ে প্রমাণ ছাড়াই হুলস্থুল ঘটনা ঘটিয়ে দেয় । (৩) মাদ্রাসাগুলোতে নাকি শুধু দাড়ি টুপি ও বোরকা ব্যবহৃত জন ছাড়া সাধারণ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ দেয় না । কেন দেয় না, এটা নিয়ে উনি বেশ ক্ষিপ্ত ।

ঐ ব্যক্তির করা এই পোস্টটিতে দৃষ্টিকটু এবং অগ্রহণযোগ্য পয়েন্টগুলো আমি এক এক করে তুলে ধরেছিঃ

১) দেশী ব্র্যান্ড আরও অনেক আছে যেমন রঙ, অঞ্জন'স, নিপুণ, কে-ক্র্যাফট, প্রবর্তনা, বাংলার মেলা, নগরদোলা, বিবিআনা, দেশাল ইত্যাদি । আড়ং এর পণ্য এর দাম এদের সকলের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি । তুলনা তো বিদেশী ব্র্যান্ড এর সাথে দেশী ব্র্যান্ডের হবে না, বরং দেশীর সাথে দেশীরই হবে । তাছাড়া দেশী ব্র্যান্ডের মার্কেটিং করলে শুধু আড়ং কেন, বাকি গুলোর কেন নয় ? (অনেকেই উপরে লেখা অনেক ব্র্যান্ডগুলোর নামও শুনেনি, আমি নিশ্চিত) ।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রিপ্রেজেন্টেশন কিভাবে সেই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্মীয় মূল্যবোধকে অপমানিত করে হয় ? আমেরিকা কিংবা ইউরোপের কোন দেশের কাপড়ের ব্র্যান্ড কি তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধকে উপেক্ষা বা অপমানিত করে ঐ দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে ?

২) দাড়ি থাকার কারণে ইমরান হোসেন ইমন নামক একজন যুবককে চাকরী দেওয়া হয়নি । তিনি লেখায় তিনি বললেন, এর কোন প্রমাণ নেই । তিনি কি প্রমাণ চান? ঐ যুবক কিংবা আড়ং প্রেস বিজ্ঞপ্তি করে জানাবে? তাহলেই কি উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যাবে ? আড়ং তাহলে পরবর্তীতে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলো কেন? তবু আমি বিবিসির নিউজ লিংক দিলাম আড়ং: দাড়ি থাকায় চাকরি প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগ, সিলেটে বিক্ষোভ, আড়ংয়ের দুঃখপ্রকাশ । আশা করি, বিবিসির নিউজকে তিনি ভিত্তিহীন বলবেন না ।

৩) দাড়ি টুপি আর আর বোরখা ছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক হওয়া যায় না, এই কথা বলার উনার ভিত্তি কি ? অনেক দাড়ি টুপি বিহীন ব্যক্তি বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে আছেন, আমি এমন কয়েকজন কে ব্যক্তিগতভাবে চিনি । তাহলে উনি মিথ্যা বলছেন কেন? আর কোন মাদ্রাসার গাইডলাইন যদি এটা থেকেও থাকে যে দাড়িও টুপি বা বোরকা ছাড়া ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকা হওয়া যাবে না, তবে আপনি যেখানে নমনীয় হয়ে দাড়ি টুপি কিংবা বোরকার গা ঘেঁষবেন না, তাহলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আপনার জন্য নমনীয় হবেন কেন ? বিচার মানি না, তালগাছ আমার, বললেই তো হয়ে যায় না

একজন মুসলমান নামধারী ব্যক্তির ইসলাম ধর্মের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য কে অপমান করায় গায়ে লাগলো না কিন্তু গায়ে লাগলো যারা অপমানিত করলো তাদের কিছু বলায়, বিষয়টি ভাবতেই অনেক খারাপ লাগছে । আপনি কোন ধর্ম পালন করবেন না, এটা আপনার স্বাধীনতা কিন্তু কোন ধর্মকে অপমানিত করার কোন অধিকার আপনার নেই । আর আড়ং যেটা করেছে এটা অন্যায় নয়, স্পর্ধার সীমা লঙ্ঘন । আজ আড়ং করেছে, এদের দেখাদিখি এই অন্যায় শিক্ষা যে অন্যের মাঝে সংক্রমিত হবে না, তার গ্যারান্টি কোথায় ? অবিলম্বে আড়ং কে তার গাইডলাইন বা এই অন্যায়মূলক পলিসি সংশোধন করতে হবে, অন্যথায় তাদের কপালে বড় দুঃখ আছে ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আড়ং উচিত কাজ করেছে।
আমার নিজের কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে সেখানে ধার্মিক কোনো লোক আমি রাখতাম না।

সত্য কথা বলি- পরিস্থিতি এরকম দাঁড়িয়েছে, দাঁড়ি টুপিওলা দেখলেই ভয় করে। তাদের জঙ্গি মনে হয়।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৫

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: রাজিব ভাই, আপনার ধর্মীয় ব্যাপারগুলো দেখলেই চুলকানি উঠে সেটা আমার অজানা নয় । তাই আপনি কি মনে করেন বা না করেন, তাতে আমার বা এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীরও কিছু যায় আসে না । এ দেশে দুই একটা অক্ষর পড়ে কিংবা মুক্তমনা ব্লগিং করে মানুষ যে তাদের ধর্মের ঊর্ধে ভাবে, তাদের দেখলে আমার হাসি পায়, করুণা হয় । ধর্মীয় মূল্যবোধ যে কতটা জরুরী, তা ধর্মীয় বিশ্বাস রাখা ছাড়া ধারণ করা বা বুঝানো সম্ভব না । আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনি নামে একজন মুসলিম হলেও ধর্মীয় প্র্যাকটিসের খুব একটা ধার ঘেঁষেন না, তাই ধর্ম নিয়ে অবলিলায় এমন কথা বলে ফেলতে পারেন । জঙ্গি হতে গেলে দাড়ি টুপি লাগে না, লাগে অসৎ ইচ্ছা আর সেই অনুযায়ী কর্ম সাধন ।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

২| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০২

নতুন বলেছেন: বর্তমানে ছেলেরা দাড়ী রাখে ফ্যাশন হিসেবে। শুধুই মাদ্রাসা বা ধর্মীয় লাইনে পড়াশুনা করা ছেলেরা ধর্মবোধ থেকে দাড়ী রাখে।

আবার যখন সারা বিশ্বে ক্লিন সেভের ফ্যাশন চালু হবে তখন দেখবেন এতো দাড়ী দেখা যাচ্ছে না।

আর অনেকেই দেখছি নিজের দাড়ী নাই কিন্তু আড়ং বয়কট করছে তাদার ব্যাপারে কি বলবেন?

১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৮

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: দাড়ি তো আমারও নেই, কিন্তু আমিও বয়কটের পক্ষে । আরে ভাই, বুঝেন না কেন, এখানে প্রতিবাদ হচ্ছে আড়ং এর ধর্মীয় মূল্যবোধকে অপমানিত করার বিপক্ষে, দাড়ি রাখতে দেওয়া বা না দেওয়ার কারণে নয় । আজ দাড়ি রাখতে দিচ্ছে না, কাল পাঞ্জাবী তে এলার্জি হবে, পরশু নামায-রোজা-যাকাতে সমস্যা হবে । তো দাড়ি না রাখা মানুষগুলোর কেউ নামায পড়ে না নাকি ?

ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের জন্য

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: ১/ তাদের প্রডাক্টের যদি এমআরপি সেট করে দেওয়া থাকে তাহলে আর তারা সেটা না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, কিন্তু এমআরপি না থাকলে তারা পূর্ণ স্বাধীনতা আছে দাম সেট করার, যাদের পোষায় না তারা কিনবে না।
কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড ধর্ম নিয়ে অত মাথা ঘামায় না ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে, সেটা প্রফিটের সাথে সম্পর্কিত না হলে। ধর্ম দিয়ে কর্পোরেট দুনিয়া মেপেন না।

২/ এটা সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। যদিও আমি খুলনা ব্রাঞ্চে হিজাব পরিহিত কর্মী দেখেছি, সেটা বেশ আগে যদিও। কোন কমিউনিটির বিরুদ্ধে এমন রুলস বা রেগুলেশন থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

৩/ মাদ্রাসার গাইডলাইন যদি এটা থেকেও থাকে যে দাড়িও টুপি বা বোরকা ছাড়া ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকা হওয়া যাবে না, তবে আপনি যেখানে নমনীয় হয়ে দাড়ি টুপি কিংবা বোরকার গা ঘেঁষবেন না, তাহলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আপনার জন্য নমনীয় হবেন কেন ?
আড়ং এর গাইডলাইন যদি এটা থেকেও থাকে যে দাড়িও টুপি বা বোরকাওয়ালা কর্মী নেওয়া যাবে না, তবে আপনি যেখানে নমনীয় হয়ে দাড়ি টুপি কিংবা বোরকা ছাড়বেন না, তাহলে আড়ং কর্তৃপক্ষ আপনার জন্য নমনীয় হবেন কেন ?
আপনার ডাবল স্ট্যান্ডার্ডটা বুঝতে পারছেন?

১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: ১) যাদের পোষাবে না, তারা কিনবে না বললেই সব দায়িত্ব - কর্তব্য শেষ হয়ে যায় না । এক্ষেত্রে বিজনের্স চেম্বার বা ব্যবসায়িক সমিতি কর্তৃক একটি সাধারণ নীতিমালা আছে । আপনি ইচ্ছেমত মূল্য নির্ধারণ করলে আপনি যে দাম কম নিচ্ছেন বা বেশি নিচ্ছেন, সেটা বলার অধিকার সকলের আছে । কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড দুনিয়া নিয়ে মাথা ঘামায় না, সেটা আমি বা আমরা জানি । কিন্তু নির্দিষ্ট কোন দেশের কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড সেই দেশের ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর মনোভাবকে পারতপক্ষে ঘাটায় না । তাদের মতে "ধর্ম ধর্মের জায়গায় থাকুক, ব্যবসা ব্যবসার জায়গায়" । তাহলে এই ঘটনা কেন সমালোচিত হবে না ?

২) এটা নিয়ে আপনি আর আমার কথার কোন ভিন্নতা নেই । তাই এটা নিয়ে কিছু বলবো না

৩) আপনি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বলছেন, কার্যত সেটাই মনে হচ্ছে । কিন্তু মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানগুলো একটি নির্দিষ্ট শিক্ষাবোর্ড এর অধীনে থাকে, চাইলেই শিক্ষাবোর্ডের গাইডলাইনবিরোধী কোন পলিসি তারা এপ্লাই করতে পারে না । এই জন্য আমি কিন্তু লিখেছি বিভিন্ন মাদ্রাসাগুলোতে দাড়ি টুপি বিহীন শিক্ষক তো আছেন । কিন্তু আড়ং বা এরকম ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু নিজস্ব গাইডলাইন বা পলিসি নির্ধারণে অন্যকে অনুসরণ করে না । যেটা আড়ং এর ক্ষেত্রেও হয়েছে । তাহলে কি মোটের উপর ডাবল স্ট্যান্ডার্ড হলো ?

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: দাড়ি তো আমারও নেই, কিন্তু আমিও বয়কটের পক্ষে । আরে ভাই, বুঝেন না কেন, এখানে প্রতিবাদ হচ্ছে আড়ং এর ধর্মীয় মূল্যবোধকে অপমানিত করার বিপক্ষে, দাড়ি রাখতে দেওয়া বা না দেওয়ার কারণে নয় । আজ দাড়ি রাখতে দিচ্ছে না, কাল পাঞ্জাবী তে এলার্জি হবে, পরশু নামায-রোজা-যাকাতে সমস্যা হবে । তো দাড়ি না রাখা মানুষগুলোর কেউ নামায পড়ে না নাকি ?

ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের জন্য


আপনি যেই ধর্মীয় মূল্যবোধকে নিজে ভালো মনে করছেন না সেটাকে যদি আড়ং ও ভালো মনে না করে তবে আপনি তাকে কিভাবে বয়কট করছেন?

আপনি যেই বোধ অনুযায়ী দাড়ী রাখছেন না সেই বোধই আড়ং এর ইন্টারভিউয়ারের ছিলো তাই সে নিষেধ করেছে।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩১

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: নতুন ভাই, আমি হয়তো দাড়ি রাখছি না কিন্তু আমি দাড়ি রাখার বিপক্ষে নই । কেউ দাড়ি রাখলে আমার আপত্তি নেই বরং দাড়ি রাখার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মানিত মনে করি ও সাধুবাদ জানাই । আপনি আমার অবস্থান আর আড়ং এর অবস্থানকে যেহেতু এক দাড়িপাল্লায় মাপছেন, সেই জন্যই আমি আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করলাম । আমি আবারও বলছি, আড়ং এর এই সিদ্ধান্তকে ধর্মীয় মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রথম ধাপ হতে পারে, এমন আশংকা করছি । তারা আজ দাড়ি রাখার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন না কিংবা নিরুৎসাহিত করছেন । এরপর পরবর্তীতে যদি পোশাকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় কিংবা চাকুরী পিরিয়ডে নামায, রোযা ইত্যাদি ইবাদত কে নিরুৎসাহিত করা হয়, তবে তখন কি এই প্রতিবাদের সময়টুকু বিলম্বিত হয়ে যাবে না ? কিংবা আড়ং কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়ে যাবে না ।

ধন্যবাদ আবারও আপনার মন্তব্যের জন্য

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নতুন ভাই, আমি হয়তো দাড়ি রাখছি না কিন্তু আমি দাড়ি রাখার বিপক্ষে নই । কেউ দাড়ি রাখলে আমার আপত্তি নেই বরং দাড়ি রাখার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মানিত মনে করি ও সাধুবাদ জানাই । আপনি আমার অবস্থান আর আড়ং এর অবস্থানকে যেহেতু এক দাড়িপাল্লায় মাপছেন, সেই জন্যই আমি আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করলাম । আমি আবারও বলছি, আড়ং এর এই সিদ্ধান্তকে ধর্মীয় মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রথম ধাপ হতে পারে, এমন আশংকা করছি । তারা আজ দাড়ি রাখার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন না কিংবা নিরুৎসাহিত করছেন । এরপর পরবর্তীতে যদি পোশাকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় কিংবা চাকুরী পিরিয়ডে নামায, রোযা ইত্যাদি ইবাদত কে নিরুৎসাহিত করা হয়, তবে তখন কি এই প্রতিবাদের সময়টুকু বিলম্বিত হয়ে যাবে না ? কিংবা আড়ং কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়ে যাবে না । ধন্যবাদ আবারও আপনার মন্তব্যের জন্য

এটা ব্যক্তিগত আক্রমন হিসেবে নিয়েন না প্লিজ। বোঝার জন্য উদাহর হিসেবে এমন ভাবে বলেছি।

আপনি ব্যক্তিগত ভাবে যেহেতু দাড়ী রাখেন না তাই অবশ্যই সেইভ করাটাকেই ভালো মনে করেন। এবং দাড়ী রাখার চেয়ে সেভ করা আপনার কাছে বেশি ভালো। নাকি আপনি নিজেই সম্মানিত হতে বা সাধুবাদ পেতে চানা না?

আমি মনে করি আড়ং এ অবশ্যই দাড়ী ওয়ালা মানুষ চাকুরি করছে। কিন্তু যদি ফন্টওফ হাউজে কম্পানি ক্লিন সেইভড কাইকে রাখতে চায় সেটাও আড়ং এর সিদ্ধান্ত বটে। অনেক কাজের পজিসনে কিছু নিয়ম কম্পানি করতেই পারে।

কিন্তু আড়ং যদি বলে যে দাড়ী ওয়ালা কাউকে চাকুরী দেওয়া যাবেনা সেটা অন্যায়। কিন্তু আড়ংএ বড় পদেই অনেক দাড়ী ওয়ারা ।আছে

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আজকে পেপারে দেখেছি আড়ং ক্ষমা চেয়েছে এবার একটু বাদ দিন এটা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.