নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১ এর ২৫ই মার্চের মতই মধ্যরাতে কাপুরুষত্বভাবে রক্তাক্ত হলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় X( |-)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১০

দেশে আরেকটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে গেলো গত ১৭ই ফেব্রুয়ারী তাও ৭১ এর ২৫শে মার্চের মধ্যরাতের মতই একই সময়ে ।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর বরিশাল শহরের রুপাতলী হাউজিং এ মধ্যরাতে বিভিন্ন বাসায় গিয়ে গিয়ে বাস ড্রাইভার, হেলপার, তাদের ভাড়াটিয়া গুন্ডারা হামলা করেছে।

যে যেভাবে পেরেছে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে, রডের পাইপ দিয়ে মেরেছে, সাথে পিস্তল, রামদাসহ ভিবিন্ন দেশি অস্ত্র তো ছিলোই, অনেক ছাত্র ভাই আহত হয়েছে। মেরে এখানে ওখানে ফেলে রাখা হয়েছে।



ঘটনার বিস্তারিত এই পর্যন্ত যা জানা যায় -

গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী বরিশালের রূপাতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারে কথাকাটাকাটির সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভাইকে ছুরি মারা হয়।

সেজন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাস্তা অবরোধ করে। রাস্তা অবরোধ চলাকালে এক ব্যাক্তি ক্ষমতাপ্রদর্শনপূর্বক রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক অবরোধের বিরুদ্ধাচরণ করে রুখে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভাইয়েরা তখন তাকে থামানোর চেষ্টা করলে একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।

ঐ ব্যক্তি সেসময় চরম অবমাননাকর ও লাঞ্ছনার শিকার হয়। ঐ দুই ঘটনার সূত্র ধরে ১৭ই ফেব্রুয়ারী মধ্যরাতে ছাত্রদের মেস ও বাহিরে অবস্থানরত ছাত্র ভাইদের ওপর চাপাতি, রামদা, ছুরি ও জিআই পাইপ নিয়ে বারবার হামলা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র ভাই গুরুতর আহত ও জখম হয়ে মেডিকেলে ভর্তি আছে। অনেক ভাইকে রাতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরবর্তী দিন (অর্থাৎ ১৮ই ফেব্রুয়ারী) অনেকের সন্ধান পাওয়া যায় যাদের আগের দিন ধরেই নেওয়া হয়েছিল যে তারা হয়তো মারাই গেছে ।

যেন অভিভাবকবিহীন অবস্থার মত ছাত্র ভাইয়েরা খুবই শোচনীয় অবস্থার মধ্যে আছে। রূপাতলী হাউজিং এর ব্লক সি-তে ছাত্রদের মেস সহ অন্যান্য মেসে হামলার ফলে অনেক ছাত্র ভাই গুরুতর জখম। অনেক রক্তক্ষরণ ও জখম হওয়ার ফলে তারা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। সেই মধ্যরাতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বারবার ফোন করা হলেও কেউই ফোন ধরেনি, এমনকি ৯৯৯ এ ফোন দিয়েও পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায়নি ।




এক প্রাক্তন ছাত্রের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে যা জানা যায় -

রাত ২ টায় আমাদের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে একের পর এক পোস্ট পেলাম যে রুপাতলি এরিয়া জোনে ভার্সিটির ছাত্রদের মেসে ঢুকে আক্রমন করছে শ্রমিক লিগের লোকেরা।

ছাদে যেয়ে ফোন দিলাম ৯৯৯ এ, তাদের সাথে কথা বলে বললামন আমাদের সাহয্য দরকার পুলিশ কোন সাহয্য করছেনা, তারা এসপি সাহেবকে ফোন দিবে সেই কথা দিয়ে ফোনটা রাখে । কোন ভরসা না পেয়ে রাতের অন্ধকারে একাই বাসা থেকে বের হয়ে নথুল্লাবাদ থেকে ভার্সিটির টোল পর্যন্ত হেটে আসলাম, মাঝখানে আমতলা পুলিশ ফারিতে হেল্প চাইলে তারা বলে ফোর্স নাই তবে পুলিশ লাইন থেকে একটা ফোর্স পাঠাবে ।

যাই হোক রুপাতলি মোরে এসে দেখলাম সব শ্রমিক লীগের লোক হাতে রামদা আর চাপাতি হকস্টিক নিয়ে দাড়ানো সাথে পুলিশের লোক। আমাকে দেখিয়ে একজন বললো ওই যে ভার্সিটির ছাত্র, কথা শেষ হতে না হতেই ওরা ৪/৫ জন আমার কাছে আসলো, আমি বললাম তেল মামুনের পরিচিত আমি সে আমার চাচা হয়, আর আমি চাকুরিজিবি। তেল মামুনের নাম শুনে ওরা আমাকে ছেরে দেয় ।

আগামী ৩০ মিনিট ওদের সাথে দাড়িয়ে থাকি, এর মাঝখানে টোল ঘর, পেট্রোল পাম্প, আর হাউজিং এর মধ্যে দিয়ে ঘুরে আসলাম । প্রতিটা জায়গায় ওরা দাড়িয়ে আছে ভার্সিটির ছাত্রদের মারবে তার জন্য । হাউজিং এর প্রায় ৫০% বাসায় লাইট জালানো কেউ বাইরে নাই,সবাই রুমের মধ্যে দরজা আটকে আছে।

একা একা ওদের একজন হয়ে অসহায়ের মত ঘুরছি । স্বাধীন দেশে একটা সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র হয়ে আমার বন্ধুরা ছোট ভাইরা মার খেয়ে ১২ জন হসপিটালে ।


তেল মামুন আর শিপন এই দুই হারামজাদার নাম ওদের মুখে বারবার শুনছি । ওরা ভার্সিটির মেয়েদের নিয়ে নোংরা কথা বলছে । আমি বিচার কি চাইবো,আমি জানি ওরা কার লোক, আমি এটাও জানি ওদের এই ভার্সিটির ছাত্রদের মেসে ঢুকে মারার শক্তি কে দিছে । এমন একটা গ্রুপ আর এমন একজন ব্যাক্তি এর নাম ওরা নিছে যার ছত্রছায়ায় এটা করছে তা শুনে চমকে উঠার মত ।

রুপাতলিতে পুলিশ ওদের সাপোর্ট দিছে, ইনফ্যাক্ট এমন একজন ডাকসাইট নেতাকে সেখানে দেখছি যে পুলিুশকে বলছে যে কোন শ্রমিককে গ্রেফতার করবেন না, যাকে বরিশাল বিবির পুকুরের অপজিট বরিশালের সেই বিখ্যাত রাজনৈতিক ভবনে দেখছি,
যাই হোক কি হবে আমি জানিনা, তবে এই রাতটা ২৫ মার্চের কালো রাতের সাথে কিছুটা হলেও তুলনীয়, এতটাই নৃশংস ওরা কাজগুলো করছে !
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পরিস্কার বুঝাই যাচ্ছে ঘটনার মোটিভ পুরোটাই ক্ষমতা প্রদর্শন এবং এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা সব ছিল অসহায় ও নীরব দর্শক । জেলায় জেলার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলে কি হবে যদি রাজনৈতিক পরিচয়ের সামনে একটি ধ্বজভঙ্গ জাতি গড়ে উঠে !!

এর প্রতিবাদে পরেরদিন অর্থাৎ ১৮ই ফেব্রুয়ারী সকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা ধর্মঘট ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবীর পক্ষেই আমার অবস্থান এবং জানি দায়ী ব্যক্তিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে তবু দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩৯

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ভাই,
জানে - বাঁইচা আসে- এইটাই তো অনেক বড় বিষয়, তাইনা?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.