নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
আগের ২টি পর্ব -
বাংলাদেশী ফুটবল (ফিচার রচনা) - পর্ব ০১ - বাংলাদেশী বংশদ্ভূত বিদেশী খেলোয়াড়দের বাংলাদেশীয় ফুটবলে আগ্রহ
বাংলাদেশী ফুটবল (ফিচার রচনা) - পর্ব ০২ - কিংবদন্তী ফুটবলার ও বর্তমান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলের লাভ ও ক্ষতি
ফুটবল খেলা যারা নিয়মিত অনুসরণ করেন, তারা রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্টাস, প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (সংক্ষেপে পিএসজি) ইত্যাদি নামগুলোর সাথে ভালো ভাবেই পরিচিত । এই প্রত্যেকটি নাম আসলে একেকটি ফুটবল ক্লাবের নাম । ইউরোপের পাঁচটি বৃহত্তর ফুটবল লীগ তথা স্পানিশ প্রিমিয়ার লীগ (লালীগা), জার্মান প্রিমিয়ার লীগ (বুন্দেসলীগা), ইতালিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (সিরি এ), ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ (ইপিএল), ফ্রেঞ্চ প্রিমিয়ার লীগ (লীগ ওয়ান) জগৎজুড়ে সকল ফুটবল ভক্তদের টিভি, কম্পিউটার কিংবা অন্যান্য স্ক্রিনের সাথে আটকে রাখে এক প্রকার । ঠিক তেমনি ব্রাজিলিয়ান কিছু ক্লাব যেমন সান্তোস, পালমেইরাস, আর্জেন্টাইন কিছু ক্লাব যেমন বোকা জুনিয়র্স ইত্যাদি ফুটবল ক্লাবও ফুটবল ভক্তদের কাছে বেশ সুপরিচিত ।
বিদেশের ফুটবল চষে বেড়ানো এই আমরা কয়জন খোঁজ রাখি নিজ দেশের ফুটবল নিয়ে ? এই উদ্দেশ্য নিয়েই শুরু হয় আমার ফিচার লেখা । তার ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে তৃতীয় পর্ব । এই পর্বটিতে আজকে আলোচনা করবো বাংলাদেশে ফুটবলে জাতীয় সকল লীগ নিয়ে ।
লেখা শুরু করার আগে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ “সঞ্চয়িতা” থেকে একটি কবিতার কয়েকটি লাইন খুব মনে পড়ছে, সেটা উল্লেখ করতে চাই এখানে,
বহু দিন ধ’রে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু ।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশিরবিন্দু
কবিগুরুর এই কবিতার লাইনগুলো ঠিক যেন এ দেশীয় গভীর রাত জেগে খেলা দেখা বিদেশী ফুটবলের পাড় ভক্তদের সাথে মিলে যায় । এদের বিদেশী ফুটবলের নাড়ি-নক্ষত্র সব জানা, অথচ জিজ্ঞাসা করে দেখুন, নিজ দেশের পাঁচটা ফুটবল ক্লাবের নামও বলতে পারবে না, খেলোয়াড়ের নাম তো দূরের ব্যাপার । তাহলে এবার শুরু করি, এই পর্বের আলোচ্য বিষয় তথা বাংলাদেশী ফুটবল লীগ নিয়ে কথাবার্তা ।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগঃ
বাংলাদেশের ফুটবলের প্রথমসারির জাতীয় লীগকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (ফুটবল) বা বিপিএল বলে (যদিও একই নামে ক্রিকেটেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ, সংক্ষেপে বিপিএল আছে) । ২০০৭ সালে এটি শুরুর সময় নাম ছিল “বি-লীগ”। ২০০৯ সালে লীগের নামকরণ করা হয় “বাংলাদেশ লীগ”। ২০১২ লীগের নাম আবারো পরিবর্তন করে বর্তমান নাম “বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ” রাখা হয়। (২০০০ সালে জাতীয় একটি লীগ শুরুর পূর্বে শুধুমাত্র ঢাকার ক্লাব দলগুলো নিয়ে অনুষ্ঠিত “ঢাকা লীগ” ছিল বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লীগ) ।
এটাই মূলত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় লীগ । যারা জানে না, তাদের আরও জানাতে চাই, এই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ছাড়াও দ্বিতীয় বৃহত্তর জাতীয় লীগ বা দ্বিতীয় ডিভিশন লীগ “বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগ”, তৃতীয় “সিনিয়র ডিভিশন লীগ”, এর পর “ঢাকা মহানগর দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগ”, প্রচলিত আছে (এই পর্বে এ লীগগুলো নিয়েও সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে) ।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে ২০০৭ থেকে বর্তমান (২০২০-২০২১) পর্যন্ত ১৩টি সিজন খেলা হয়েছে (১৩তম সিজন এর খেলা চলমান আছে, ২০২০-২১ সেশনে, এর মধ্যে ১২তম সিজন তথা ২০১৯-২০ সিজন করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য কোন বিজয়ী বা ফলাফল ছাড়াই স্থগিত হয়) । এই ১৩ সিজনে অসংখ্য মাঠে বা ভেন্যুতে খেলা হয়েছে । তার মধ্যে এই সিজনে মোট ৪টি মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে অধিকাংশ খেলাই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে । বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস (তারা ২০১৮-১৯ সিজনের চ্যাম্পিয়ন) । এই ১৩ সিজন ধরে সবচেয়ে সফল দল ঢাকা আবাহনী (মোট ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে) । আশ্চর্য হলেও সত্য সাড়াজাগানো ঢাকা ডার্বি ম্যাচ (ঢাকা আবাহনী বনাম ঢাকা মোহামেডান এর মধ্যকার খেলাকে ঢাকা ডার্বি বলে ) - এ ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ ঢাকা মোহামেডান এখন পর্যন্ত একবারও এই “বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ” এর শিরোপা জেতেনি (তবে তারা ৩ বার রানার্সআপ হয়েছে)।
এই ১৩ সিজনে অংশগ্রহণ করেছে মোট ২১টি ফুটবল ক্লাব । এরা হচ্ছে - আবাহনী লিমিটেড (ঢাকা), মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (ঢাকা), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র (ঢাকা), ব্রাদার্স ইউনিয়ন (ঢাকা), শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র (ঢাকা), আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ (ঢাকা), রহমতগঞ্জ এমএফএস (ঢাকা), শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব (ঢাকা), আবাহনী লিমিটেড চট্টগ্রাম (চট্টগ্রাম), বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব (ঢাকা), সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব (ময়মনসিংহ), বসুন্ধরা কিংস (নীলফামারী), উত্তর বারিধারা স্পোর্টিং ক্লাব (ঢাকা), চট্টগ্রাম মোহামেডান (চট্টগ্রাম), খুলনা আবাহনী (খুলনা), জুটমিল কর্পোরেশন দল তথা বিজেএমসি (ঢাকা), ফেনী সকার ক্লাব (ফেনী), ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব (ঢাকা), নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব (নোয়াখালী), সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব (নারায়ণগঞ্জ), বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাব (সিলেট) । যার মধ্যে ২০২০ - ২১ সিজনে খেলছে প্রথম ১৩টি দল ।
লীগের নিয়ম হচ্ছে - সিজন শেষে টেবিলের প্রথমে থাকা দলটিকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় এবং টেবিলের সর্বনিন্মে থাকা দুইটি দল অবনমিত বা রিলেগেটড হয়ে দ্বিতীয় লীগ তথা “বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগ” এ নেমে যায় । আবার প্রতি সিজন শেষে “বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগ” এ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল পরবর্তী সিজনে “বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ” খেলার জন্য উন্নীত হয় । তাছাড়া ঘরোয়া কাপ হিসেবে “ফেডারেশন কাপ” টুর্নামেন্ট আছে (যেখানে সকল লীগ এর দল খেলে, অনেকটা স্পেনের কোপা ডেল রে টুর্নামেন্ট এর মত) । আরেকটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট “স্বাধীনতা কাপ” এ শুধুমাত্র বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে অংশগ্রহণ করা দলগুলোই খেলতে পারে । বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে চ্যাম্পিয়ন দলটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট “এএফসি কাপ” খেলার যোগ্যতা অর্জন করে । এএফসি তথা “এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন” টুর্নামেন্টটি মূলত ৩৬ দলের (৩৬ দেশের লীগ বিজয়ী ক্লাবগুলোর সমন্বয়ে গঠিত) অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ।
এই হচ্ছে সর্বোপরি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ সংক্রান্ত সার-সংক্ষেপ । তবে আক্ষেপ থেকে যায় কারণ দেশের এই সর্ববৃহৎ ফুটবল লীগের নামকরণ প্রতিবছর পরিবর্তন হয় এর স্পন্সর অনুসারে । ২০১৮-২০১৯ সিজনে এই লীগের স্পন্সর ছিল টিভিএস। যে কারণে এই লীগটি “টিভিএস বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ” নামেও পরিচিত ছিল। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে স্পন্সর ছিলো যথাক্রমে মান্যবর এবং জেবি গ্রুপ। লীগ ও সেই নামে পরিচিত ছিলো। ২০১৭ তে এর স্পন্সর সাইফ পাওয়ার ব্যাটারি। অথচ স্পন্সরশীপে প্রাধান্য না দিয়ে প্রতি সিজনের জন্য একটি সাধারণ নাম বাছাই করা যেতো ।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগঃ
এটি মূলত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতীয় লীগ । এই লীগে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর উদ্দেশ্য থাকে হয় চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হয়ে প্রথম সারির জাতীয় লীগ “বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে” অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করা । দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর সারির এই জাতীয় লীগ শুরু হয় ২০১২ সাল থেকে । প্রথম সিজনের বিজয়ী হয় “কক্সসিটি ফুটবল ক্লাব (কক্সবাজার)” (বর্তমান নিয়মানুসারে, যদিও এই লীগ থেকে দুই দলকে বিপিএল এ উন্নীত করা হয় কিন্তু প্রথম সিজনে শুধু কক্সসিটি কে-ই উন্নীত করা হয়েছিল) । বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব (ঢাকা) (তারা ২০১৮-১৯ সিজনের চ্যাম্পিয়ন) । এই লীগের খেলা শুধুমাত্র “বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম, ঢাকা” মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়, তবে ক্ষেত্রবিশেষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা তেও এই লীগের কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় । এই লীগের পয়েন্ট টেবিলের সর্বনিন্মে থাকা দুইটি দল অবনমিত হয়ে “সিনিয়র ডিভিশন লীগ” এ খেলার জন্য রেলিগেটেড হয় ।
২০১২ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত মোট ৭ সিজনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৭টি আলাদা আলাদা ফুটবল ক্লাব । তবে লক্ষণীয় যে, বসুন্ধরা কিংস ফুটবল ক্লাব (ঢাকা) ২০১৭ সালে “বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগ” এ চ্যাম্পিয়ন হয়ে “বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ” এ উন্নীত হয়ে পরের বছরই অর্থাৎ ২০১৮-১৯ সিজনেই “বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ” এর শিরোপা জেতে । ২০২০-২১ সিজনে শুরু হয়েছে ৮ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ থেকে । এই সিজনে মোট ১২ টি দল অংশগ্রহণ করছে (যদিও অন্যান্য বছর ১০টি করে দল নিয়ে এই লীগ আয়োজন করা হয়) । এই লীগ এর ঘরোয়া কাপ “ফেডারেশন কাপ” ।
সিনিয়র ডিভিশন লীগঃ
“ঢাকা লীগ” বর্তমান নাম “ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগ” হলো বাংলাদেশের তৃতীয়সারির জাতীয় ফুটবল লীগ । ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের শীর্ষ বিভাগ ছিল এই লীগ। কেবল ঢাকার কয়েকটি দলকে নিয়ে এই লীগ খেলা হত। এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন জাতীয় লীগ । প্রিমিয়ার লীগ বা চ্যাম্পিয়নশীপ লীগ এর গোড়াপত্তনের আগে থেকেই ফুটবলে জাতীয় লীগ বলতে এই লীগটিকেই বুঝানো হতো ।
এই লীগের অতীতে গেলে দেখা যাবে, ভাষা আন্দোলনের বছর ১৯৫২ এরও চার বছর আগে অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে সর্বপ্রথম এই লীগ তথা তৎকালীন “ঢাকা লীগ” এর প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয় ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব । এরপর থেকে নিয়মিতই অনুষ্ঠিত হতো এই জাতীয় লীগ । কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বছর ১৯৭১ ও তার পরের বছর ১৯৭২ সালে এই লীগটি স্থগিত ছিল । ১৯৭৩ সাল থেকে আবারও নিয়মিত হয় “ঢাকা লীগ” । ১৯৯৩ সালে এই লীগের নাম পরিবর্তন করে “প্রিমিয়ার ডিভিশন লীগ” করা হয় । ১৯৭৩ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এই ২০ বছরে এই লীগের চ্যাম্পিয়নের সিংহাসন বারংবার আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এর মধ্যেই হাতবদল হয় (এই ২০ বছরে আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব উভয়ই চ্যাম্পিয়ন হয় ৮ বার করে) ।
১৯৯৩ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত লীগের নাম “প্রিমিয়ার ডিভিশন লীগ” থাকার পর ২০০৭-০৮ থেকে এই নাম আবারও পরিবর্তন করে “সিনিয়র ডিভিশন প্রিমিয়ার লীগ” রাখা হয় (২০০৬ সালে এই লীগ অনুষ্ঠিত হয়নি) । ১৯৪৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত এই লীগের সবচেয়ে সফল দল “মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (ঢাকা)” (তারা মোট ১৯ বার এই লীগের শিরোপা জিতেছে) । এরপর আবাহনী ক্রীড়া চক্র (ঢাকা) (তারা মোট ১১ বার এই লীগের শিরোপা জিতেছে) । এই লীগ এর পয়েন্ট টেবিলের সর্বনিন্মে থাকা দলটিকেও রেলিগেটেড হয়ে “ঢাকা মহানগর দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগ” খেলার জন্য অবনমিত হতে হয় ।
ঢাকা মহানগর দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগঃ
এটি বাংলাদেশের চতুর্থ সারির জাতীয় ফুটবল লীগ যা ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক চালু হয়। লীগে মোট ১৩টি দল অংশ নেয়। লীগের বিজয়ী “সিনিয়র ডিভিশন লীগ” এ পদোন্নতি পায়। এই লীগও “বীরশ্রেষ্ট শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম” এ অনুষ্ঠিত হয় ।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এই হচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলের জাতীয় লীগ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা । এই লেখা পড়ার পর যাদের মনে হবে দেশের ফুটবল নিয়ে আরও বিস্তারিত খবরাখবর রাখা তারা বাফুফে ওয়েবসাইট http://www.bffonline.com এ গিয়ে আপডেট খবর রাখতে পারেন । পরবর্তী পর্বে জানাবো দেশীয় ফুটবল ক্লাবগুলো নিয়ে ।
যাদের অভিযোগ আছে যে, “দেশীয় লীগগুলোর সম্প্রচার দেখা যায় না, তাই চাইলেও খেলা দেখতে পারি না”, তাদের জন্য এবার সুখবর জানাবো । বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বৈশাখী টিভি ২০১৬ মৌসুমের ১৩২ ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করে। রেডিও নেক্সট ২০১৬ মৌসুমের খেলাগুলোর ধারাবিবরণী প্রচার করেছে। মে, ২০১৯ হতে আইএসপি-কে বাফুফে বিপিএল, বিসিএল সহ ঘরোয়া প্রতিযোগিতার স্বত্ব প্রদান করে, সে অনুযায়ী আইএসপি-এর সম্প্রচার সহযোগী বাংলা টিভি বিপিএল-এর খেলা সম্প্রচার শুরু করে । ২০১৯ সাল হতে বিপিএল-এর সকল ম্যাচ 'মাইকুজু' নামক একটি 'অনলাইন স্ট্রিমিং' সেবা প্রদানকারী প্লাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান দেশীয় স্পোর্টস টিভি চ্যানেল “টি স্পোর্টস তথা তিতাস স্পোর্টস”ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের খেলা সরাসরি সম্প্রচার দেখায় । এমনকি এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন সম্প্রতি ঘোষণা দেয় এই “টি স্পোর্টস” চ্যানেলটি বাংলাদেশে এশিয়ান ফুটবলের সম্প্রচার করবে, তারা এই সত্ত্ব কিনেছে ।
তাই আর আফসোস না করে, একজন পাড় ফুটবল ভক্ত হিসেবে ইউরোপ এর ফুটবল দেখার পাশাপাশি নিজ দেশীয় ফুটবল নিয়েও সমান আগ্রহ দেখাবেন, আশা করি ।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া ডট কম
(বাংলাদেশীয় ফুটবল সম্পর্কে জানতে পরবর্তী ফিচার রচনাগুলোতে চোখ রাখুন)
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: তথ্যমূলক।
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৯
এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: ব্যতিক্রমী বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা। লিখে যান, চোখ রাখবো।
৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টে মন্তব্য নাই কেন?
ব্লগাররাও এন কেমন হয়ে গেছে। ভালো পোষ্টে মন্তব্য করে না । আজিব।
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর লেখা। আগের পর্বে দেখে আসলাম যে আমার মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন শেষ পর্যন্ত।
আসলে মোহামেডান বা আরও অনেক টিমের মৃতপ্রায় হয়ে যাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক হাওয়া কাজ করেছে। এ কারণে মোহামেডানের একবারও বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হতে না পারাটা অনাকাঙ্খিত নয়। নিজের পছন্দের টিমের এমন হাল দেখে কষ্ট হয়।
সম্ভবত ৯৮ এ, হুন্দায় স্টিল বা এরকম নামে দক্ষিণ কোরিয়ার একটা টিমের সাথে মোহামেডান খেললো ঢাকা স্টেডিয়ামে। আমি তখন বলতে গেলে ঢাকা স্টেডিয়ামের স্থায়ী বাসিন্দা। ওই ম্যাচে সাব্বির অসাধারণ একটা গোল করলেন প্রায় একক প্রচেষ্টায়। এখনও চোখে লেগে আছে।
আপনাকে ধন্যবাদ। ফুটবল নিয়ে লেখার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ফুটবল আমার প্রিয় খেলা।
সিটি করপোরেশন বেশ কিছু মাঠ করেছে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু সেসব মাঠ লাতা মারা থাকে সব সময়। আমার ইচ্ছা করে সেসব মাঠে ফুটবল খেলি। অবশ্য মাঠে তালা না মেরে উপায়পও নাই। লোকজন মাঠে বসে বাদাম খায়। চিপস খায়। চা খায়। মাঠ নোংরা করে।