নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
যারা ঢাকা শহরে থাকেন, তারা যদি বেশ উচ্চবিত্ত না হয়ে থাকেন, তবে তাদের সড়কে চলমান গণপরিবহন যেমন লোকাল বাস, সিটিং বাস, লেগুনা, রিকশা ইত্যাদি ব্যবহার করতেই হয় । যারা নিয়মিত এই গণপরিবহনগুলোতে চলাচল করে থাকেন, তারা নিশ্চয় জানেন যে বর্তমানে দেশে করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ এর আশংকায় বর্তমান সরকার অত্যন্ত কঠোর উদ্যোগ হাতে নিয়েছে বা আরও কঠোর উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনায় আছে । এরই ফলশ্রুতিতে এখন যেমন মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সকল সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে । এর ব্যত্যয় ঘটলেই মোবাইল কোটের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা জরিমানা আদায়ের অথবা বিনাশ্রমে ৩ দিনের কারাদন্ডের আইন পাশ করা হয়েছে ।
সরকারের এই উদ্যোগ সত্যিই বেশ প্রশংসনীয় । সত্যিই এই আইনের ফলে সড়কে জনগণের চলাচলের বেশ পরিবর্তন এসেছে । গণপরিবহনে এই কয়েকদিন আগেও যা দেখা যেতো না কিন্তু এখন প্রায় ৭০% যাত্রী মাস্ক পড়েই ওঠে । বাকীদের অবস্থাও আশা করি অতি দ্রুত পরিবর্তন আসবে । কিন্তু বিপত্তি অন্যখানে ।
এই গণপরিবহন যারা পরিচালনা করে অর্থাৎ চালক, চালকের সহকারী (হেল্পার ও সুপারভাইজার), এদের মধ্যে প্রায় ৯০% মাস্ক পড়েই না । এদের কাছে অনেকেই আগ বাড়িয়ে মাস্কের কথা জিজ্ঞেস করলেই সাধারণত এরা কমন কিছু কথা বলে । যেমনঃ
ক) মাস্ক পড়ে ছিলাম একটু আগেও, কিছুক্ষণ আগেই খুলেছি ।
খ) আমাদের করোনা হবে না, হইলে আগেই হইতো এখন হবে না, অথবা আমাদের করোনা হয়ে গেছে, ওসব আর হবে না
গ) সারাদিন মাস্ক পড়ে থাকতে কষ্ট হয়
ঘ) ভাড়াটা দেন, একটু পর সামনে গিয়ে মাস্কটা পড়তেছি
ঙ) মাস্ক পড়ে থাকতে থাকতে মুখ, নাক, কান ব্যাথা হয়ে গেছে
ইত্যাদি । এই চালক কিংবা চালকের সহকারী যারা হয়, তারা অধিকাংশই অল্পশিক্ষিত । কথায় আছে, "অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী"। অনেক সময়ই দেখা যায়, এরা অনেক যাত্রীর সাথে মাস্ক পড়া না পড়া নিয়ে ঝগড়া পর্যন্ত করে । অথচ এরা এটা বুঝে না, এরা যেহেতু সারাদিন অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসে, এরাই করোনা ভাইরাসের উত্তম বাহক হতে পারে । এদের মাধ্যমেই সহজে যে কেউই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে । যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের থাকে । এরা যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তাহলে তাদের অবস্থা বা পরিণতি আরও ভয়াবহ হতে সময় লাগবে না মোটেও ।
তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । যদি এক সপ্তাহ টানা গণহারে এদের উপর মোবাইল কোটের দ্বারা কয়েকজন চালকের কিংবা চালকের সহকারীর মাস্ক না পড়ার অপরাধে বিচার নিশ্চিত করা যায়, তাহলে আশা করি বাকীরাও সাবধান হয়ে যাবে । ঢাকা শহরে বিশেষ করে গণমানুষের উপর করোনা সতর্কতা বাড়ানোর জন্য জরিমানার অর্থ কিংবা কারাদন্ড দিবস আর না বাড়িয়ে আগে এটা নিশ্চিত করুন, আশা করি এতে ঢাকা শহরে প্রায় প্রতিদিন এত বিশাল জনগোষ্ঠীর একসাথে গা ঘেঁষে চলাচল করার পরও করোনার সংক্রমণের ভয় কিছুটা কম থাকবে ।
ছবিসূত্রঃ গুগল
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: মাস্ক কি এখন সরকার এসে পড়িয়ে দেবে?
লাঠি ছাড়া এই জনগন মাস্ক পড়বে না।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
গফুর ভাই বলেছেন: আমি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি বাংলাদেশের সব সম্যসার মুলে আছে তার অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা জায়গার তুলনায় অনেক বেশি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে উর্ধ্বতন কত্তৃপক্ষ হচ্ছেন ব্লগারেরা; আপনি চাইলে, আমি লাঠি নিয়ে নামতে পারি।