নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর অবসর ইচ্ছা পোষণ ও বাঙ্গালীর ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্ট এর বাজার বসানো :| :||

১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৩

ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সম্প্রতি তার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন তার পেশায় যে বেতন তিনি পান, সেটা তার নিজের জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। আর এই স্বল্প বেতনে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকাটা কষ্টকর।



তার পরদিন মিডিয়ায় এই সংবাদ ফলাও করে প্রচার করার পর থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজে এই পোস্ট দেখেছি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে প্রতিটি পোস্টেই অন্যান্য রিয়্যাক্ট এর চেয়ে হা হা রিয়্যাক্ট বেশি। আর পোস্টগুলোর কমেন্ট সেকশন তো রীতিমত সার্কাস। বেশিরভাগই কমেন্ট করছেন, "হাস্যকর ব্যাপার!! এই বরিস জনসনকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভার পদে নিয়োগ দেওয়া হোক"। অথচ কাউকেই দেখলাম না যে কিনা এটা বলবে, " বাংলাদেশের কোন সরকারি পদে অন্তত এই কারণে পদত্যাগ কেউ করবে না কখনো"।

আরিফ আর হোসেন, একজন জনপ্রিয় ফেসবুক লেখক। তার প্রতিটি পোস্টেই বা লেখাতেই তিনি হাজার হাজার রিয়্যাক্ট পান। তিনি কথায় কথায় একটা কথা প্রায় বলেন, "বাংগালী একটি কিউট জাতি"। তিনি কিন্তু এই কিউট বলতে সুন্দরের আতিশয্য বুঝান না, তিনি বুঝান যে বাংগালী একটা সহজ সরল জাতি। এই জাতিই কিন্তু আবার ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেই দেশ স্বাধীন করেছিল।

বরিস জনসনের মত প্রধানমন্ত্রীরা উন্নত বিশ্বের মাথা হওয়ার পরও এদের লাইফস্টাইল অত্যন্ত সিম্পল। এই বরিস জনসন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাস্ট্রপতি সংবাদে এসেছেন তাদের সাদাসিধে জীবন যাপন করার জন্য। কিন্তু আমরা উন্নয়নশীল দেশ হয়েও আমাদের অবস্থা প্রায় বিপরীতই।

আমাদের মানসিকতা এমন হয়ে গেছে যে আমাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয় ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্ট দেওয়ার মাধ্যমে। হয়তো আমরা রাস্তায় নামতে পারি না, আমরা সঠিক বিচার পাই না, আমাদের সাথে অন্যায় হয়েছে, আমরা মুখ ফুটে কিছু বলতে পারি না - এত টেনশন নিবো না, খালি হা হা রিয়্যাক্ট দিবো। অনেকে হয়তো এই হা হা রিয়্যাক্ট বলতে ফানি কিছু বুঝে কিন্তু এই হা হা রিয়্যাক্ট আসলে একটি জাতির সাধারণ ভীতু জনগনের প্রতিবাদ, ক্ষোভ, আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ।

আর যদি বাংলাদেশী সাধারণ জনগণের মনের সত্যিকার কথা জানতে হয়, তাহলে দেশের সরকার দ্বারা প্রণীত কোন সিদ্ধান্ত বা আন্তর্জাতিক কোন রাজনৈতিক সংবাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন ফেসবুক পেজের পোস্টগুলোর কমেন্ট সেকশন ঘুরে আসবেন, আশা করি নিরাশ হবেন না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমাদের মানসিকতা এমন হয়ে গেছে যে আমাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়
ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্ট দেওয়ার মাধ্যমে।

.......................................................................................................
ডিজিটাল যুগে ভ্রমন করছি, আর কি চান বলুন,
এরপর তো রোবটের সাথে বসবাস করতে হবে ।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উনার পিএম এর জবে সংসার চলে না আর আমরা এমপি হয়ে সুইস ব্যাংক ভরি। তাই জনগণ হা হা করে একটু

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বরিস জনসন বেতন না পেলে চলতে পারবেন না, আমাদের মিনিষ্টারগুলোকে বিনা বেতনে আজীবন থাকতে দিলে, থেকে যাবে।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমাদের সকল সরকারী লোকজনের বেতনের চেয়ে উপরি বেশি।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ক্ষোভের রিয়েক্টও থাকবে না!
যদি দুচারটি অনুভূতির আঘাতের মামলায় দুচারজন জেলে যায়! বলাতো যায় না যেভাবে তুচ্ছ কারণে মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে যেতে হয়।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারী চাকরির একটা সময়ত সীমা আছে। রাজনীতিবিদদের কোনো সময় সীমা নাই। মৃত্যুই তাদের অবসর দেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.