নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
১ম পর্বের লিংকঃ লেখক নামা - পর্ব -১
।। লেখক নামা - পর্ব - ০২ ।।
- কেন ? এখানে "ও মা" করার কি আছে !! বুঝলাম না তো । আপনার ভালো লেখা চাই নাকি যেমন তেমন লেখা হলেই চলবে ?
- না, ঠিক আছে কিন্তু তাই বলে ৭-৮ মাস পর এসে আপনি এই কথা শোনাবেন ?
- দেখুন এখানেই তো লেখক আর লেখার মধ্যে ব্যাপারটা । যে কোন কবিতা যেমন কবির কাছে তার সন্তানস্বরূপ ঠিক তেমনি লেখাটাও একজন লেখকের কাছে ঠিক তাই কিন্তু কি জানেন, এই সন্তানকেও মাঝে মাঝে ত্যাগ করতে হয়, সীমাবদ্ধতার কারণে ।
- কি জানি বাপু, আপনারা লেখক মানুষ, কি যে বলেন, ওসব আমাদের মাথার উপর দিয়ে যায় ।
- (আমি কিন্তু এখনও ভদ্রলোকের সাথে মজা চালিয়ে যাচ্ছি) দেখুন আনিস সাহেব, আমরা লেখক ঠিকি কিন্তু আপনার মত সাধারণ মানুষরাই তো পাঠক । এখন বলুন তো, আমার মত লেখকের কথা যদি পাঠকের মাথার উপর দিয়ে যায় তাহলে লেখা কি মাথার উপর দিয়ে যাবে না ?
- আহা লেখক সাহেব, আপনি কোথাকার কথা কোথায় টানলেন !! আমি তো হালকা হলেও বুঝছি, ওটা তো আপনার মন রক্ষা করার জন্য বললাম যে বুঝিনি যাতে করে আপনি অমন ভারি ভারি কথা বলার একটা আলাদা আনন্দ পান । আমি কিন্তু বুঝেছি ।
ভদ্রলোকের কথা শুনে এবার আর হাসি চেপে রাখতে পারলাম না । সত্যি সত্যি জোরে জোরে হো হো করে হেসে দিলাম । আনিস সাহেব প্রাণপণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন যে আমার সাথে এ যাত্রায় তিনি যেন নিরাশ হয়ে, পরাজিত হয়ে না ফিরে যান । আমিও পরক্ষণেই ভাবলাম, নাহ, ভদ্রলোককে এতটা হতাশ করা ঠিক হবে না । তাই এবার সত্যিটা বলেই ফেললাম ।
- আনিস সাহেব, নিশ্চিন্ত হন, লেখাটা আমার কাছেই আছে । আমি ফেলেনি ।
আমার কথা শুনে আনিস সাহেব লম্বা একটা দম নিলেন বলেই মনে হলো আর তার হাসিমুখটুকু আরও চওড়া হলো । মনে হলো তিনি কিছুক্ষণের জন্য আমাকে কোন প্রশ্ন করার আগ্রহটুকু হারিয়ে ফেলেছেন । আমি সামান্য একজন লেখক হয়ে তার মত একজন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সিইও এর সাথে কিভাবে এরকম সস্তা রসিকতা করতে পারি, এমন কোন ভাবনাও মনে হলো ভদ্রলোকের মাথায় নেই । তিনি এখন নিশ্চিন্ত হতে পেরেছেন, লেখাটা আছে শুনেই । না হলে ৭-৮ মাসের অপেক্ষার গচ্ছা বেশ ভারি আকারে মাশুল দিতে হতো তাকে । একটু পর আমিই জিজ্ঞেস করলাম,
- কি খাবেন, চা নাকি কফি ?
আমার মনে হলো আমার প্রশ্ন শুনেই আনিস সাহেব মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আমার রুমের বেহাল দশাটুকু দেখতে লাগলেন । আমার রুমটা বেশ বড়ই । সিঙ্গেল রুম এখনও, বিয়ে-সাদি করিনি । সিঙ্গেল লাইফের সবচেয়ে বড় প্যারার নাম আলসেমি আর অগোছালো মনোভাব । আমারও একই অবস্থা । পুরো রুমে কোন একটা জিনিস খুঁজে পেতে গেলেও বেশ কাহিল হতে হবে । কাহিনীর শুরুতেই চেয়ারের কাপড় খাটে রাখার কথাটুকু শুনেই সবার বুঝার কথা ।
একটু পর মনে হলো আমার রুমের বেহাল দশা দেখেই কিনা আনিস সাহেব মাথা নাড়িয়ে না করে দিলেন, যে তিনি চা কিংবা কফির কোনটাই নেবেন না । আমিও আর কি !! মেহমানদারীর উটকো দায়িত্ব থেকে নিস্কার পেয়ে গেলাম ।
(বাকিটুকু পরবর্তী পর্ব-এ)
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।