নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
লাল গোলাপগুলোর গল্প জানি না
অনেককাল আগে সেগুলো লুট করেছিলাম
কড়া পাহারাদারির মধ্যেও আমি পিছুপা হয়নি
আমার দুই-তিনটা আঙুল সেই সাহসিকতার সাক্ষী
হাঁটু ছোলা আর কনুই বেয়ে যখন চুইয়ে চুইয়ে রক্ত ঝরছিল
তখন এক পশলা বৃষ্টির আশায় আকাশে তাকিয়েছিলাম
ছোটবেলা থেকেই মনে হতো সৃষ্টিকর্তা নিষ্ঠুর নয়
এক ফোঁটা এক ফোঁটা করে একটু একটু বৃষ্টি
ধীরে ধীরে রাগে-গর্জনে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়
যেন আমাকেই শাসাচ্ছে ছোটখাট ভুলগুলোর জন্য
চোখ রাঙাচ্ছে আমার অবুঝ দুষ্টুমিগুলোর জন্য
আচ্ছা বৃষ্টিও কি জানে এই গোলাপগুলো কার জন্য ?
রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বৃথা আস্ফালন আমি ভ্রূক্ষেপ করিনি
আমার কাছে রক্তের চেয়েও অনেক বড় নিজের চাওয়াটুকু
ভালোবাসার যে এত শক্তি আমি নিজেও কোনদিন বুঝিনি ।
আচ্ছা, তোমার কি মনে আছে প্রথমদিকের কথা ?
ছোট্ট একটি বাচ্চা যখন রাস্তা পেরুবে বলে অভয় চাচ্ছিল
বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে তুমি যেন হঠাৎ উদয় হলে
ছোট্ট বাচ্চাটিকে নিজের মত আপন করে নিয়ে
বড় কোমলতার সাথেই রাস্তাটি পার করে দিলে
তুমি হয়তো খেয়ালই করোনি তখন আমাকে
আমার অপলক দৃষ্টিজুড়ে তখন শুধুই তুমি ছিলে
সারাদিন ঘামে ভিজে চপচপ একটি মানুষকে তখনই
কড়া রোদের মাঝে দাড়িয়েও যে প্রশান্তিটুকু বিলিয়ে দিলে
মনে হলো আমারই সৃষ্ট স্বর্গের অপ্সরী আমি পেয়ে গেছি
তোমার সাথে হয়তো সেটাই শেষ দেখা হতো কিন্তু
ঐ যে বললাম, সৃষ্টিকর্তা নিষ্ঠুর হননা, চাইলেও পারেন না
আচ্ছা, দ্বিতীয় দেখা হওয়ার কথা কি তোমায় বলেছিলাম ?
হঠাৎ করে কোন একদিন ছুটতে ছুটতে তুমি বাসটি ধরলে,
নিজের সাথে যুদ্ধ জয় করার আনন্দটাই অন্য রকম
তোমার চোখে-মুখের প্রকাশ্য স্বস্তি সেটা লুকাচ্ছিল না
বাসের হ্যান্ডেল ধরে দাড়িয়ে প্রথম তুমি আমার দেখলে
হঠাৎ সেই মুহূর্ত, আজীবন স্মৃতির ফ্রেমে বাধিয়ে রাখার মত
আমার গায়ে এসে পড়লে তুমি, হয়তো বাস ড্রাইভারের দয়াতেই
ও মা, সে কি লজ্জা তোমার !! আমি আজও ভুলিনি ।
আচ্ছা, এই গোলাপগুলো কি তুমি চেয়েছিলে আমার কাছে ?
তুমি তো এমনিতেই খুব কম চাও সবকিছুই ।
প্রথম প্রেমের পর প্রথম দেখা হওয়ার স্মৃতিটুকু কি মনে আছে ?
কটকটে একটা নীল শাড়ি পরে কপালে কালো টিপ
লজ্জার বাধ ভেঙে যাচ্ছিল তোমার মুখখানা একবার দেখে
ও মা, কোন মানুষ কি সত্যিই এত সুন্দর হয় ?
আসমানের পরীগুলো কি সত্যিই মানুষের বেশ ধরতে পারে ?
আমি জানি না, জানতে চাইও না, শুধু একটাই সত্য আমার
তুমি আমার, তোমার অস্তিত্ব আমার, তোমার ভালোবাসা আমার
বিশ্বাস করো, তোমার ঐ কপালের কালো টিপটার দিকে তাকিয়ে
হাজার বছর এমনিই বাঁচা যায়, অন্য সবকিছুর অভিপ্রায় ছাড়াই ।
আচ্ছা, বাচ্চাটির কি নাম রেখেছ ? সেই নাম "র" দিয়ে শুরু হয় কি ?
মনে আছে, হাতে হাতে রেখে কথা দিয়েছিলে প্রথম বাচাটির নাম
তুমি রাখবে "র" দিয়ে শুরু করে, আমাদের প্রেমের নিশানী করে
প্রথম আমি কথাটি তুলতেই তুমি আমার বুকে লজ্জায় লুকোলে
আমি হাসলাম, এমন লজ্জাবতী একজনকে পেলে কি দুনিয়া লাগে ?
নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ভাবাও শুরু করেছিলাম ।
আচ্ছা, বাচ্চাটি কি আমার কথা জানে ? আমার নাম জানে ?
ওর চেহারার কোন অংশে কি আমার ছাপ পড়েছে একটুও ?
আর যাই হোক, ওর হাসিটা কিন্তু তোমার মত হওয়া চাই
দুঃখের সময় সেই হাসিটুকু কিন্তু নির্ভরতা জুটাবে তোমাকেই ।
আমি খালি ভাবছি, বাচ্চাটি প্রথম কথা শিখলে কি আমাকে ডাকবে ?
আমার দুঃখের হাজার গাঁথার মধ্যে আমি তোমাকে জড়িয়েছি অজান্তেই ।
তুমি কি একটু নিচে আসবে ? না, অবাক হয়ো না, কিছু চাইবো না
রক্তিম গোলাপগুলো তোমার হাতে দিয়েই চলে যাবো
শুধু যাবার সময় একটু খানি তোমার মুখ খানি দেখে যাবো ।
নিজের সন্তানকে দেখার অনুমতিও চাইবো না, জানি তুমি চাইবে না
দাম্পত্য সময়ের ছোটখাট খুনসুটিগুলো তোমার আমার মাঝে
অনেকগুলো রাস্তা তৈরি করে হারিয়ে গেছে লক্ষ্য ঠিক না করেই
যেখানে অজান্তে কষ্টগুলো সময়ের পরাক্রমে ফিরে ফিরে আসে
আমি শুধু জানি, তুমি আমার, তুমি আমারই থাকবে, চিরকাল
একদিন এই রাস্তাগুলো পারি দিয়ে আমি আসবোই, তোমার কাছে
আমার অস্তিত্বটুকু শুধু বিলীন করে দিও না, যতটুকু আমার প্রাপ্য
আমার তোমার মাঝেই হারিয়ে যাওয়া সেই ভালোবাসার কসম
আমার স্বর্গের অপ্সরীকে দুনিয়ার মাঝেও এত সহজে হারাবো না
যা কষ্ট করে অর্জিত হয়, সেগুলো সহজ জয়ে বিজয়ের স্বাদ আসে না
ভালোবাসা এক একটি গোলাপের পাপড়ি, কুড়িটা আমাদের সন্তান
দুনিয়ার যে প্রান্তে ভালোবাসা লুকিয়েই থাকুক না কেন
একদিন সব ভালোবাসা একত্র করে তোমায় বিজয় করে নেবোই ।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড এলোমেলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫
বিজন রয় বলেছেন: এতো মহাকাব্য!!