নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প - জীবন, মায়া সবশেষে পরিহাস - পর্ব - ০৩

০২ রা মে, ২০১৮ ভোর ৫:০০

যারা আগের ২টি পর্ব পড়েননি, তাদের জন্য লিংক দিলাম । ১ম পর্বঃ গল্প - জীবন, মায়া সবশেষে পরিহাস - পর্ব - ০১ ও ২য় পর্বঃ গল্প - জীবন, মায়া সবশেষে পরিহাস - পর্ব - ০২

৩য় পর্ব -

সাবিনা সবে মাত্র ক্লাস সেভেনে উঠেছে । আশেপাশের পনেরো-বিশটা পরিবারের যত মানুষ আছে, তাদের সবার থেকেই সাবিনা বেশি শিক্ষিত । কারণ গ্রামে বেশিরভাগ মানুষ ক্লাশ ফাইভের বেশি পড়াশুনা করে না । সাবিনার পড়াশুনার প্রতি অত্যাধিক আগ্রহ । সে ক্লাসে কখনই সেকেন্ড হয়নি, সবসময়ই ফাস্ট । তার সাথের মেয়েগুলোর বেশিরভাগেরই বিয়ে হয়ে গেছে নয়তো পরিবারের চাপে পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেছে । এখন সাবিনারও এই অবস্থা হবে । সাবিনা এই কথাটি শোনার পর থেকেই কাঁদছে অবিরত । ওর মাও অনেক বলে-কয়ে ওর কান্না থামাতে পারছে না ।

- গরীবের মাইয়া হইয়া জন্মাইছিস, এত পড়াশুনা কইরা কি করবি ?
- কিন্তু মা, আমি তো আরও পড়বার চাই ।
- এত পইড়াও তো শেষমেশ ঐ মাইনসের বাড়ি বউ-ই তো হইবি । এই আমার মত থালা-বাসন মাজবি, কলসি কইরা পাশের পুকুর থেইকা পানি নিয়া আসবি, পোলাপাইন মানুষ করবি । তাইলে ঐ পড়াশুনা তোর কি উপকারটা করবে, একবার আমারে বুঝা তো ।
- ও, তুমি জীবনেও বুঝবার পারবা না । তোমারে জীবনভর বুঝাইলেও না । ও মা, তুমি বাপজান রে কও না, আমারে বিয়াডা না দিতে ।
- ধুর, তোরে বিয়া না দিলে, তোর বাপে ট্যাংকের টাকা কই থাইকা যোগাড় করবো ? শেষমেশ কি তুই চাস তোর ঐ ছোট ছোট দুইটা ভাইবোন নিয়া আমরা দুইজন রাস্তায় নামি ? তুই কি একবার তোর দাদুর কথাটাও ভাবলি না ?
- তাই বলে, ঐ দামড়া ব্যাটার লগে আমারে বিয়া দিবা ? দুনিয়ায় কি কম বয়সী পোলারা সব মইরা গেছে ?
- আরে মোর জ্বালা, তুই বুঝতে চাইতাছস না কেন ? ঐ ব্যাটাই পারে একমাত্র আমাদের টাকা দিতে । হেতের তো ম্যালা টাকা । তুই যা, এই ব্যাটার ঘরে বউ হইয়া যা । তোরে রাজরানীর মত করে রাখবে ।
- আমি রাজরানী হইতে চাই না । আমি শুধু শিক্ষিত হইবার চাই ।
- আবার একই কথা কস !!! ধুর, ঠিক আছে তুই বিয়া করিস না । খালি পারলে আমগো লাইগা কয়েক গজ দড়ি কিইন্না নিয়া আয় । এই টাকার জন্য জ্বালার চেয়ে, আমরা সবাই এই দড়ি গলায় দেই, এইটাও অনেক ভালো । তুইও তো এইটাই চাস, তাই না ??!!

সাবিনা আর কিছুই বলতে পারে না । একে তো সে তার বাবা-মায়ের পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছে, অন্যদিকে নিজের সাথে ঘটতে যাওয়া অন্যায়টুকু সে মন থেকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না । তাহলে উপায় ?!

(চলবে)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

মৌরি হক দোলা বলেছেন: তিনটি পর্ব-ই পড়লাম। ভালো লাগল :)

সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম......

২| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

শামচুল হক বলেছেন: ভালো লাগল। ধন্যবাদ

৩| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক।

৪| ০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

মাহের ইসলাম বলেছেন:
সুন্দর লিখেছেন।

আমার লেখায় লিংক দিলে, লেখার টাইটেল এর পরিবর্তে লেখা এসেছে , Click Here.
লিংকে টাইটেল কিভাবে আনবো ?

৫| ০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

মাহের ইসলাম বলেছেন: লিংক করতে পেরেছি।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.