নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচনের আগে মিথ্যা আশ্বাসগুলো পরবর্তীতে সত্য করার সহজ সমাধান ;) :D

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:১৩

রাজনীতির মারপ্যাঁচ আমার মাথায় তেমন ঢোকে না । ঢোকে না বলেই হয়তো কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার সমর্থন কাজ করে না । এর কাজ ভালো লাগলে, ভালো বলি । আবার খারাপ লাগলে, খারাপ বলি । মাঝে মাঝে কোন দলের প্রতি খারাপ লাগাটা এত বেশি কাজ করে যে অনেকেই ভেবে নেই যে আমি হয়তো তার বিপরীত কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি । আসলে বেশি খারাপ লাগা তখনই কাজ করে যখন এক্সপেক্টেশনটা বেশি থাকে ।

ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় কিংবা অঞ্চলভিত্তিক নির্বাচনগুলোতে জয়ের জন্য নির্বাচনের আগে অনেক সত্য মিথ্যা আশ্বাস দেয় । কিন্তু জয় হয়ে গেলেই দেখা যায় আশ্বাসগুলো সম্পূর্ণ বিশ্বাস হারিয়েছে । কিছু আশ্বাস হয়তো কাগজে কলমেই থেকে যায় । অনেক রাজনৈতিক নেতার দেওয়া আশ্বাস আবার কিছুটা অবিশ্বাসযোগ্য বটে । তবু এই আশ্বাসটুকু অনেক ভোটারের মনে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনে ।

এই চিত্র শুধু যে আমাদের দেশে তা কিন্তু না, পুরো বিশ্বে, এমনকি বড় বড় উন্নত, উন্নয়নশীল ইত্যাদি দেশগুলোতে রাজনৈতিক একই চিত্র দেখতে পাওয়া যায় । অবশ্য উন্নত দেশগুলোতে আশ্বাস পূরণ না করার হার তুলনামুলক অনেক কম কারণ সেই দেশগুলোতে আশ্বাসও যুক্তি সহকারেই দেওয়া হয় । তবে আমাদের দেশে এই চিত্র বেশি ভয়াবহ । সেই আশ্বাস, এরপর হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস । ফলশ্রুতিতে বারবার বিশ্বাসের স্থান পরিবর্তন আবার সেই একই ঠোঙায় বারবার মুড়ি রাখার মত অবস্থা ।

বারবার মনে একটা সমাধান কাজ করে যে, এই আশ্বাসগুলো কিংবা প্রতিশ্রুতিগুলো কাগজে কলমে লিপিবদ্ধ করলে কেমন হয়, তাও আবার আইনগতভাবে ? মানে হচ্ছে প্রত্যেকজন রাজনৈতিক নেতা আর আকাশে-বাতাসে নয়, বরং একটি দলিলে তার এই প্রতিশ্রুতিগুলো লিখে জুডিশিয়ারি অর্ডিন্যান্সের আন্ডারে কোথাও জমা রাখবেন, পরবর্তীতে নির্বাচনে জয়ের পর সেই প্রতিশ্রুতিগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূরণ না করলে কিংবা প্রতিশ্রুতি পূরণে টালবাহানা কিংবা একেবারে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ঐ দলিলের উপর ভর করে আইনগতভাবে জবাবাদিহিতা দাবি করবে । এটা তো খুব সহজ সমাধান, সবচেয়ে বড় কথা এই সমাধানটুকু কি খুব কঠিন কিংবা অবাস্তব নামান্তর ?

যদি অবাস্তব হয়, তবে বাকিরা মিলে সিদ্ধান্ত নিক কিভাবে এর সমাধান করা যায় । কারণ মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আর যাই হোক, উন্নয়ন সম্ভব হয় না । তাই তো আমরাই ভোট দিয়ে আসি এটা জেনেই যে আমাদের বিশ্বাস নিয়ে আবার ছিনিমিনি খেলা হবে এবং এরপর আবার এবং এরপর আবার । যুগ যুগ ধরেই আমরা এই ট্রেন্ড দেখে আসছি, অথচ আমার মাথায় আসা এই সমাধান কি আর কারো মাথায় আসেনি ? আশ্চর্য তো !!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, আপনার কাছে যাহা সমাধান মনে হয়েছে উহা কোন সমাধান নয়, সেজন্য কারো মাথায় সহজে উহা আসেনি। আপনি যথার্থই বলেছেন যে্, আপনার মাথায় রাজনীতি ঢুকে না।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: চাঁদগাজীর বাঁশ খেলেন তো!!:D

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: স্বাধীনতার পর থেকে নির্বাচন হচ্ছে। জনগন আশ্বাস পাচ্ছে। পেয়েই যাচ্ছে। ফলাফল শূন্য।
সামনের নির্বাচনে যারা এমপি হতে চায়। নমিনেশন পেতে চায়- তারা খুব তোড় জোড় শুরু করেছে। কোটি কোটি টাকা খরচ শুরু করেছে। ফলাফল শূন্য। নতুন এমপিরা প্রটোকল পাবে। তাদের টাকা দশ গুন বৃদ্ধি পাবে। এই তো। যুগ যুগ ধরে এমনই হয়ে আসছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.