নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
দৃশ্যপট - ১
মেয়েটি ভালাবাসার মানুষটিকেই বিয়ে করেছে । অনেক বছরের দীর্ঘ প্রেমের সফল পরিণতি যাকে বলে । আশেপাশের সকলেই খুশি তাদের এই পরিণয়ে । প্রেম ব্যাপারটা আজকাল কোন বিশুদ্ধ ঘটনা নয় । প্রেমের আধুনিকতা এখন শুধু মনের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, শারীরিক চাহিদার মধ্যে এসে ঠেকেছে । কিন্তু মেয়েটি ভালো, সে বিশুদ্ধ প্রেমই করেছে । শারীরিক লোভ-লালসা জমিয়ে রেখেছিল বিবাহ পরবর্তী জীবনের জন্য । তাই তো বিবাহের পর তার খুশি অন্য সাধারণ যে কোন বিবাহিত মেয়ের চেয়ে অনেক বেশি কারণ সে আসলেই তার ভালাবাসার মানুষটিকেই পেয়েছে ।
কিন্তু বিপত্তি বাধে অন্যত্র । মেয়েটি বেশ সামাজিক । না, না, ভুল ভাববেন না । আসলে মেয়েটি সামাজিক যোগাযোগের সাইটে বেশ একটিভ । অবশ্য এই সাইটটি হচ্ছে ফেসবুক । বিয়ের পর স্বামীর সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে ছবি, কোথাও খেতে গেলে ছবি, পরিচিত কারও সাথে দেখা হয়ে গেলে গ্রুপ ছবি, পারিবারিক আড্ডা হলে ছবি, বিয়ের মাস পূর্ণ হলে প্রতি মাসে ছবি, কেনাকাটা করতে করলে ছবি, বছর পূর্ণ হলে ছবি, প্রেগন্যান্ট হয়ে যাওয়ার স্মৃতিগুলো জমিয়ে রাখতে ছবি, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ছবি, বাচ্চা হওয়ার পর বাচ্চাসহ প্রসূতি মায়ের ছবি, এরপর বাচ্চা বাসায় নিয়ে আসার পর ছবি ইত্যাদি এভাবে চলতেই আছে ঘটনাপ্রবাহ । এই সকল কিছুই ফেসবুকে দিয়ে মেয়েটি তার ক্ষণের ক্ষণের আপডেট তার ফেসবুক পরিচিতদের জানিয়ে দিয়েছে ।
আচ্ছা, এই ছবিগুলো কি মেয়েটির পারসোনাল না ? হ্যাঁ অবশ্যই । তাহলে মেয়েটি শেয়ার দিলো কেন ? কাউকে জানিয়ে তার কি লাভ ? আর যদি জানাতেই হয় তবে সব জানালো না কেন ? এই যেমনঃ ব্যক্তিগত রাতগুলোর ছবি (আশা করি বিস্তারিত না বললেও বাকীটা সবাই বুঝতেই পারে) ইত্যাদি । পারসোনাল লাইফ যদি পারসোনাল না হয়ে সামাজিক হয়, তাহলে সেখানে অন্য যে কারও হস্তক্ষেপ আসতেই পারে আর সেটি হলে মেনে নেওয়া যাবে তো ?
দৃশ্যপট - ২
ছেলেটি অতি দীর্ঘ সময়ের প্রেমের পরিণতি করেছে ভালাবাসার মানুষটিকেই বিয়ে করে । ঠিক দৃশ্যপট - ১ এর মেয়েটির মতন । ছেলেটার বিয়ের আগে থেকেই বাতিক ছিল ক্ষণে ক্ষণে প্রেম করতে গেলে সেই সময়ের একটি ব্যক্তিগত ক্ষণের ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করা । সে যতবার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়েছে ততবারই ছবি দিয়েছে ফেসবুকে । খোঁজ নিলে হয়তো এমন অনেককেই পাওয়া যাবে যারা ঠিক সঠিক সংখ্যাটিই বলতে পারবে যে ছেলেটি বছরে ঠিক কতবার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়েছে । সেই ছেলেটিই যখন বিয়ে করলো, তখন বন্ধু মহলের ভিতরকার প্রশ্ন, যাক, এইবার যতবার ঐ ছেলেটা বউয়ের সাথে একা ঘরে ঘুমাবে বা থাকবে সেই ছবিও ফেসবুকে আমরা দেখতে পাবো জানি না, তাদের এই ইচ্ছা আদৌ পূরণ হবে কিনা ?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আচ্ছা, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, ফেসবুকে কোন কিছু শেয়ার করার স্বাধীনতা সবার আছে । এই অধিকার তথ্য আইনেই আছে । কিন্তু এমন কিছু শেয়ার করা কি আদৌ উচিৎ যার কারণে নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপার বলেই কিছু থাকে না ? ঐ মেয়েটির (দৃশ্যপট -১) বা ঐ ছেলেটির (দৃশ্যপট - ২) কোন ফেসবুক শুভাকাঙ্ক্ষী যদি এখন তাদের অতি ব্যক্তিগত কোন ছবি দেখার আবদার করে বসে সেটা কি বাড়াবাড়ি হবে ? কেন, তা তো হওয়া উচিৎ না, তাই না ? আবদার করাও তো ঐ ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মধ্যে পরে, তাই নয় কি ?
ভাই ও বোনেরা, নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সম্মান বজায় রাখুন । ফেসবুকটারে সামাজিক রাখুন আর জীবনের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলোকে ব্যক্তিগত । দেখবেন, জীবনটার স্বরূপ তখন সম্পূর্ণ অন্যরকম হবে ।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৪০
শামচুল হক বলেছেন: কথা ঠিক
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৪৭
সোহানী বলেছেন: সময়পোযোগী লিখা। কিন্তু কে বুঝে কার উপদেশ। পোলাপানগুলা এমন বোকা কেন?? যাহোক আমার অনেক লেখায় এ প্রসঙ্গ এনেছি। .....+++++++++
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:০৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বর্তমান নতুন প্রজন্ম এত এত উদাহরণ পাওয়ার পরও কীভাবে এখনো বোকামি করে যাচ্ছে তাই ভাবি সবসময়...
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৪৫
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: সঠিক কথা।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: একদম সুন্দর কথা উঠে এসেছে। সত্যি মানুষ এতো বোকা হয় কেমন করে!!!
৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৬
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। একেবারে পারফেক্ট। এই ফেসবুকের কারণে যে কত ছেলে-মেয়ের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে তার হিসাব নেই। কী মজা যে পায় এরা তা আজও বুঝতে পারলাম না!
৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সামাজিক এবং ব্যাক্তি জীবন কিন্তু একেবারেই "দুই ভূবনের দুই বসিন্দা"
৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কথা সত্য । এতো শেয়ার করলে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয় । মেয়েদের শুশুর বাড়ির অনেক গিফট ছবি দেখেও কিছু মেয়ের মন খারাপ হতে দেখেছি , অনেক কাহিনী করেছিল । আমার মজা লেগেছিল । দুনিয়াতে পসিটিভ থিংক করতে পারে কম লোক আছে ।
আমার কিন্তু ভালোই লাগে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৪
কানিজ রিনা বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন, সময় উপযোগী, কিছু
রাম ছাগল মেয়েরা আছে শুধু বাথরুম
আইটেম বাদরাখে আর আপনি যা বলেছেন
তা বাদে সবই ফেচবুকে দিয়ে কি মজা পায়
জানিনা। চেহারা সুন্দর মেয়েগুল যেন অন্যকে
চেহারা দেখাতেই ফেচবুকে আসে। সেই সাথে
কিছু রাম ছাগল পুরুষও আছে। ধন্যবাদ সুন্দর
উপস্থাপনের জন্য।