নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
- আরে দোস্ত কি খবর ?
- খুব একটা ভালো না রে, বলিস না, খুব চিন্তায় আছি ।
- কি সমস্যা ?
- জানিস না, কালকে বিসিএস পরীক্ষা । চিন্তায় পড়াটা তো স্বাভাবিক
- ওহ, তাই বল । আমি তো আরও ভাবলাম কি না কি
- সারাদিন পড়ার টেবিলেই বসে ছিলাম । মাথাটা ঘুরতেছে তাই একটু বাইরে এসেছি । দেখি একটু পর গিয়ে আবার পড়তে বসবো
- চা- কফি কিছু খাবি ? আয় একটু বস, কথা বলি
আমার প্রস্তাবে রাজী হয়ে বন্ধু বসলো । দুইটা ব্ল্যাক কফির অর্ডার দেওয়া হলো । কফি চলেও আসলো একটু পর । কফির ধোঁয়াটে কাপেই আমাদের গল্প এগিয়ে চললো ।
- তা তোর সিট কোথায় পড়েছে ?
- পলিটেকনিক কলেজে
- ওহ, সেটা তো এখান থেকে বেশ দূর । সকাল সকাল রওনা দিতে হবে
- হুম । তোর সিট কোথায় পড়েছে ?
- আমার সিট মানে ?
- তোর সিট মানে, বিসিএস পরীক্ষার সিট !!
- আমি তো ফরমই তুলিনি, জানিস না ?
- ফরম তুলিসনি !!! কি বলিস !! তুই বিসিএস দিবিনা ?
- না, বিসিএস ব্যাপারটাই আমার ভালো লাগে না তেমন
- কেন ?
- আচ্ছা, তুই বল । অন্যান্য দেশে যখন একটা বয়স শেষে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকদের সরকারী চাকুরী প্রদান করে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতাগুলোকে কাজে লাগানো হয়, সেখানে আমাদের তরুণ সমাজকে শত শত বইয়ের ভাজে মুখ ঠেসে ধরে, মুখস্ত করিয়ে, তোতা পাখির মত আউলিয়ে সেই বইগুলোকেই বছর শেষে নৈব্যক্তিক আর লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নে বমি করিয়ে সেটার দ্বারা মূল্যায়ন করিয়ে সরকারী চাকুরী দেওয়ার মানে কি ? অথচ এই তরুণ সমাজ কিন্তু তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে শুধু সরকারী চাকুরির পিছনে না ছুটে ক্রিয়েটিভ চিন্তাধারার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে পারতো । আমাদের দেশে জনসংখ্যা মাথাতিরিক্ত । এই অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে বোঝা না বানিয়ে সম্পদ বানানো যেতো কিন্তু এই প্রচলিত সিস্টেমের দ্বারা সেটা কি আদৌ সম্ভব ? কোনরকমে একটা সরকারী চাকুরী পেলে কে কার আগে নিজের পকেট ভারী করবে, সেই চিন্তাতেই আবার অস্থির হয়ে যায়, এমন দেশ কি আমরা চেয়েছিলাম ? এই কি বিসিএ- এর লক্ষ্য ?
আমার কথা একনাগাড়ে শুনলো বন্ধুটি । এরপর কফির শেষে চুমুক দিয়ে হঠাৎ করেই দাড়িয়ে গেলো ।
- দোস্ত থাক, আমি যাই, বেশ পড়া বাকী আছে । কাল পরীক্ষা দিয়ে এসে সন্ধ্যার দিকে আরও গল্প করা যাবে । কমপক্ষে বিসিএস পরীক্ষাটা দেওয়ার আগে উল্টাপাল্টা কোন ভাবনা মনের মধ্যে ঢুকাতে চাই না ।
এই বলে বন্ধু উল্টো দিকে ঘুরে হাঁটা শুরু করলো । আমার বলা কথাগুলো একটাও তার কানে ঢুকেনি, এমনটাই মনে হলো আমার ।
#এই কথোপকথনের চরিত্র ও ঘটনা কাল্পনিক হলেও ঘটনাপ্রবাহ সত্য । আগামীকাল বিসিএস পরীক্ষা । পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একবার চক্কর দিলে, ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলে এমন মনে হওয়াটাই বেশ স্বাভাবিক যে বিসিএস না দিলে জীবন ১৬ আনাই বৃথা !! এতই যদি তরুণ সমাজ সরকারী চাকুরী করে দেশের হাল ধরে তবে বিসিএস ক্যারিয়ারের ৩৭ বছর পার হয়ে ৩৮ বছরে পা দিয়েও দেশ কেন এখনও বৃদ্ধদের হাতে ? কেন তরুণ সমাজ সামনে এগিয়ে দেশ চালানোর ক্ষমতাটুকু নিজেদের হাতে নিতে পারে না ? এমন পঙ্গু তরুণ সমাজ খালি জানে বিসিএস দিতে, এরা দেশ চালাতে জানে না, দেশ গোল্লায় গেলেও এদের কিছুই আসে যায় না, এরা সবসময় নিজের আখের গোছাতেই ব্যস্ত !!
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে?
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমিও ফর্ম তুলি নি; এখন মনে হচ্ছে না তুলে ভুলই হয়েছে। পোস্টের বিষয়বস্তুর সাথে একমত। তবে এ বুলি আওড়ালে লোকজন বলবে, পায় না তাই খায় না।
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাংলায় এখন দুই ধরনের শিক্ষার্থী আছে
১) যারা বিসিএস দেয়
২) যারা বিসিএস দেয় না
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
বেনামি মানুষ বলেছেন: আপনি কিসে পড়েন?