নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

।। কাউকে ভালবাসলে তাকে ছেড়ে যেতে হয় না ।।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:১২

মেয়েটি যখন ফিরে এসেছিল তখন আর আমি, তার সাথে রিলেশনে জড়াইনি । আমি হয়তো পারতাম কিন্তু বিবেকে বাধছিল । শেষবার আমার এক বন্ধুর সাথে ওকে যখন হাসতে হাসতে হেঁটে যেতে দেখেছিলাম তখন আমি ধরেই নিয়েছিলাম মেয়েটি সত্যি আর আমার নেই । এই যা, মেয়েটি মেয়েটি করছি । জগতে প্রত্যেক মানুষের তো একটা নাম থাকে । হ্যাঁ, মেয়েটিরও আছে । প্রিয়ন্তি । নুসরাত তারাবান প্রিয়ন্তি । নামের অর্থ ওর কাছে অনেকবারই জানতে চেয়েছি কিন্তু কোন এক রহস্যজনক কারণে ও আমাকে ঐ অর্থ বলেনি । আর আমিও পরে ওকে আর ঘাটাইনি ।

প্রিয়ন্তির সাথে পরিচয় পর্ব শুরু হয় আমার এক খালাতো বোনের বিয়েতে । বোনের ননদের বান্ধবী ছিল প্রিয়ন্তি । বিয়ের আসরে প্রথমে গিয়েই খালাতো বোনের দিকে নজর দিলাম, স্বাভাবিক, কারণ বাঙালি বিয়েগুলোতে মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে প্রথমেই থাকে পার্লার থেকে হেব্বি করে সেজে আসা কনে । কিন্তু হঠাৎ আমার সেই দৃষ্টি পুরো ৩০ ডিগ্রি কোণে ঘুরে গিয়ে প্রিয়ন্তির দিকে পরেছিল । ওর হাসিটা খুব সুন্দর । যে কারও মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ।

আমাদের হয়তো ব্রেক-আপ হতো না, যদি ওর রাশিয়ার স্কলারশিপটা না হতো । আমাকে না বলেই এপ্লাই করেছিল, আবার আমাকে না বলেই চলে যাওয়ার ব্যবস্থাও করে ফেলেছিল । তিন বছরের রিলেশনের প্রাপ্তি হিসেবে ও নাকি আমাকে সারপ্রাইজ করতে চেয়েছিল, আমি ওকে কিছুই বলিনি । শুধু বলেছিলাম, "কখনও ফিরে এসে যেন আমাকে খুঁজো না ।" আমার কথাটাই সত্য হলো শেষমেশ । মাত্র দুই বছরের মাথাতেই ও ফিরে এলো আর এসেই আমাকে ফোন । আমি ওর নাম্বার চিনে ফোন রিসিভ করার পরও না চেনার ভান করেছিলাম । প্রিয়ন্তি হাউমাউ করে কান্না জুড়ে দিলো, মেয়েটির সব কিছুর প্রতি আমার একটা মায়া ছিল, এই কান্নার প্রতিও । সেই মায়া নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই । আমি সাথেই সাথেই ফোন কেটে দিলাম ।

প্রিয়ন্তি এখন আমার এক্স । অবশ্য সম্পর্ক শেষ করার আগে ওকে বলা শেষ কথাটি হচ্ছে, "কাউকে ভালবাসলে তাকে ছেড়ে যেতে হয় না ।" শেষ কথাটি বলে আমি হাঁটা দিয়েছিলাম আর ফিরেও তাকাইনি । এতগুলো কথা বলার একটাই কারণ প্রিয়ন্তি হঠাৎ করে আবার আমার জীবনে আলোচনায় চলে এসেছে । ওর ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়েছে । না, প্রাইমারী স্টেজে নয় । ওর হাতে আর মাত্র ছয় মাসের মত সময় আছে ।

প্রিয়ন্তি এই পৃথিবীতে থাকবে না, এই কথাটি দুই বছর আগে জানলেও হয়তো আমি নিজেও আত্মহত্যার চেষ্ঠা করতাম । আর এখন !! ভাবতেই অবাক লাগছে, মেয়েটির জন্য আমার কোন অনুভূতিই বেঁচে নেই । আচ্ছা, মানুষ কি সত্যিই স্বার্থপর হয় নাকি সময় তাকে এমন স্বার্থপর বানায় ? আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি । আজ আকাশটা বড্ড কালো, হয়তো আমাবস্যা তাই । কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, আকাশের উপরে যিনি বসে আছেন, তিনি আমার থেকে মুখ লুকিয়েছেন, আসলেই কি তাই ?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: খারাপ লাগছে মেয়েটির কথা শুনে, (যদি গল্প হয় তবেই ভাল।) তবে হেডলাইনের সাথে একমত না।

ভালবাসা, ব্যাপারটা আপেক্ষিক। ভালবাসা ব্যাপারটা দুজনের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে যাবার পর অবশ্যই আপনার কথা ফেলে দেবার মতো না। যতক্ষণ না, কেউ বিশ্বাস নষ্ট না করে। :)

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আশাকরি এটি একটি গল্প; সত্যিকার ঘটনা হলে, আমি খুবই নিরাশ হবো যে, আপনাকে বানানোর সময় সৃস্টিকর্তা ভেজাল মেটেরিয়েল দিয়ে বানায়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.