নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
- আচ্ছা, প্রচণ্ড রাগ হলে কি করতে হয় রে ?
লাবিবের কথা শুনে পাশ থেকে বাকীরা ওর দিকে এমনভাবে তাকালো যেন লাবিবের রাগ করার অধিকারটাও নেই । সে রাগ নিয়ে কথা বলে বড় একটা অন্যায় করে ফেলেছে । লাবিব বসে আছে আসিফদের বাড়িতে । প্রায় ১০ বছর পর স্কুল বন্ধুদের রি-ইউনিয়ন, তাও আবার ইফতার আয়োজনে । আসিফদের বাসায় ওরা স্কুল বন্ধু মোট ৬ জন । প্রায় সকলেই সদ্য ভার্সিটি থেকে মাস্টার্স শেষ করেছে কিংবা প্রায় শেষ করা অবস্থায় । এর মধ্যে যার বাসায় আয়োজন সে অর্থাৎ আসিফ একটা কোম্পানিতে জয়েন করেছে ছয় মাস আগে । আসিফ অবশ্য অনেক আগে থেকেই ইফতার সাজানোতে ব্যস্ত । ওদের টুকটাক স্মৃতি রোমন্থন কিংবা আড্ডায় আসিফের যোগ দেওয়ার সময় কোথায় !! নিয়ান একটা সুডুকু মেলাতে ব্যস্ত, লাবিবের কথা সে শুনতেই পায়নি । মুহিত আর পিয়াস আসলে পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে ব্যস্ত । রাকায়েত আসিফকে হেল্প করছে । লাবিবের কথায় তাই মনোযোগ দিলো শুধু মুহিত আর পিয়াসই ।
- কার রাগ হলে ? তোর ? তুই আবার রাগও করতে পারিস নাকি ?
মুহিত এই কথা বলা মাত্রই পিয়াস আর মুহিত দুইজনেই জোরে হেসে উঠলো । আর তাদের হাসি শুনে নিয়ানের সুডুকু থেকে মনোযোগ হারিয়ে গেলো । কি আর করার !! সুডুকু বাদ দিয়ে সেও হাসিতে যোগ দিলো মুহিতের আর পিয়াসের সাথে, যদিও সে ভালো করে জানেই না হাসির কারণটা কি । ওদিকে লাবিবের সত্যি সত্যি বিরক্তি লাগছে ওদেরকে হাসতে দেখে, সে বিরক্তিভরা কণ্ঠেই বললো,
- ধুর, তোরা ইয়ার্কি করিস না । তোদের কাছে কোন আইডিয়া থাকলে বল ।
- (পিয়াস) হঠাৎ হেসে ফেলবি, কাজ হবে নির্ঘাত ।
- (মুহিত) আরে, না, ধুর, বাজে আইডিয়া । সব বাদ । গোসল করে ফেলবি ।
- (পিয়াস) ঘোড়ার ডিমের আইডিয়া তোমার । সারাদিন বাইরে থাকা একটা লোক হঠাৎ অনেক রেগে গেলে, সে গোসলটা কোথায় করবে শুনি ? পাবলিক গোসলখানায় ?
পিয়াসের কথা শুনে নিয়ান হেসে দিলো । নিয়ানের হাসি শুনে মুহিতের কিঞ্চিৎ রাগ হলো । তাই নিয়ানকে উদ্দেশ্য করে মুহিত বলে উঠলো,
- এত যে হাসছিস, পারলে তুই একটা বুদ্ধি দে তো ।
- (নিয়ান) হুম, বলছি । ভালো হয় যদি ঐ সময় বুদ্ধিদীপ্ত কিছুতে মনোনিবেশ করা যায় । পারলে সুডুকু কিংবা দাবা কিংবা আইকিউ জাতীয় কোন খেলা খেলতে হবে । মোবাইলেও সহজে খেলা যায় এগুলো আজকাল ।
- (পিয়াস) আইছে আমাদের বুদ্ধিজীবী !! ভাই মাফ কর, কিছু পয়সা নে, তাও থাম, ভাই । এসব সব বাদ লাবিব, রাগ হলে মনে মনে আচ্ছামত গালাগালি করবি । তবে খবরদার কেউ যেন না শোনে, এইটা খেয়াল রাখবি ।
পিয়াসের কথা শুনে সবাই একযোগে হেসে দিলো, এমনকি লাবিবও । তাদের হাসির মধ্যে আসিফ আর রাকায়েত যোগ দিলো আড্ডায় । বাকী দুইজন যোগ হতেই তাদের আড্ডার গতি আরও বেড়ে গেলো । এরকমভাবে আরও আধাঘণ্টা কাঁটার পর সকলেই অযু করে তৈরি হয়ে নিলো । মসজিদে আজান শোনা যেতেই ইফতার শুরু হয়ে গেলো ।
বন্ধুরা একসাথে থাকলে সব আড্ডাই ভালো জমে কিন্তু সেই আড্ডায় কিছু প্রশ্নের উত্তর কখনই সঠিকভাবে পাওয়া যায় না । আচ্ছা, পাঠকদের মধ্যে কারও কি ভালোভাবে জানা আছে যে, প্রচণ্ড রাগ হলে আসলে কি করতে হয় ?
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৩৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শিরোনামটা "যৌবনের আড্ডায় আমরা কয়েকজন" হলে, কেমন হতো??