নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি আর মিলানের গল্প ।। নৌকা বিলাস

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৩

ছবি তার হাতটা মিলানের হাতে দিতেই মিলান অনেকটা শক্ত করে হাতটা ধরলো যেন তার হাত থেকে ছবির হাতটা কোনভাবেই ছুটে না যায় । ছবি অবশ্য বিষয়টা টেরই পায়নি । তার সম্পূর্ণ মনোযোগ এখন নদীর দিকে আর দূরের অনেক অনেক লাইটসের দিকে । মিলান আর ছবি নৌকা ভ্রমণে বেরিয়েছে, অবশ্য একা না, আশেপাশে অনেক লোকজন আছে । সন্ধ্যার পর নদীর চারপাশ খুব শান্ত হয়ে যায় । নদীর ধীরলয়ের ঢেউগুলো তখন যেন গুনগুন করে গান গাইতে শুরু করে । অনেক অস্পষ্ট সেই গান কেউই বুঝতে পারে না, শুধু চোখ বন্ধ করে উপলব্ধি করতে পারে সেই গানের মাধুর্য ।

- অনেক সুন্দর না চারপাশটা ? আমি না কখনই রাতের বেলা এরকম নদীর পারে এসে দাড়াইনি । কখনও রাতের বেলা নৌকাতে উঠিনি । বিষয়গুলো আমার কাছে এখনও স্বপ্নের মত লাগছে । দেখেন দেখেন, ঐ যে দূরে ব্রীজের গা ঘেঁষে ভিড় করা আলোর মিছিলগুলো কেমন মায়াবী না ?

মিলান ছবির করা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না । নদীর দিকে তার মনোযোগটা কমই বরং ছবির দিকে তার মনোযোগটুকু বেশি । মেয়েটা কেমন জানি শিশুসুলভ আচরণ করছে সেই শেষ বিকেল থেকেই । এমন না যে তাকে জোর করে আনা হয়েছে কিংবা এমন কিছু বলা হয়েছে যার কারণে মন খারাপ করে মেয়েটা এখানে এসেছে কিন্তু সেই ঘণ্টা দুয়েক ধরেই মেয়েটা আনমনে বলেই চলেছে, ইশ, কত দেরী হয়ে যাচ্ছে । বাড়ির লোকজন চিন্তা করবে, আমার আসলেই এখানে আসাটা উচিৎ হয়নি । মিলান ছবির এই কথাগুলো প্রথম দিকে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলেও এখন আর শুনছে না । অনেকটা কথা পাশ কাটিয়ে দেবার মত । মিলানের মনে হলো, এখন একটা গান গাইলে কেমন হয় । সে নদীর দিকে তাকিয়েই হঠাৎ গুনগুন করে গান ধরলো । ছবি এতক্ষণ নদীর দিকেই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিল কিন্তু মিলানের গুনগুন করা গান শুনে চারপাশ ভুলে মিলানের দিকেই দৃষ্টি চলে গেলো ছবির ।

- কি গান গাচ্ছেন ? একটু জোরে গান । আমিও শুনি ।
- কি যে বলো না !! আমার মত বেসুরোদের কাছ থেকে আবার গান শোনার আবদার !! জোরে গাইলে আশেপাশের মানুষ নৌকা থেকে হয় নদীতে লাফ দেবে নয়তো ঘুরে সবাই মিলে গণপিটুনি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে । তখন কেমন হবে, বলো তো ?
- ভালো হবে তো । অনেক মজা হবে ।

ছবির মুখে এই কথা শুনে মিলান কিঞ্চিৎ বিরক্তি প্রকাশ করে উল্টো দিকে তাকাতেই মিলানের মুখের দিকে তাকিয়ে ছবি ফিক করে হেসে দিলো । আবারও সেই হাসি !! আচ্ছা, মেয়েটা কি সত্যি মিলানকে পাগল করার ফন্দি এঁটেছে ? মিলান মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছে । এই মেয়েটার সাথে পরিচয় হওয়ার পর সবকিছুই তো তার স্বপ্নের মতই লাগছে । মিলান নিজের গায়েই সামান্য চিমটি কেটে নিলো । উহু !! ব্যাথা করলো তো, তার মানে এটা স্বপ্ন নয়, বাস্তব । অনেক মধুর আর স্বপ্নিল বাস্তব :)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.