নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
আগের পর্বগুলোর লিংকঃ তমাল আর সুমির পরিণয় - ।। ১ম পর্ব ।।, তমাল আর সুমির পরিণয় - ।। ২য় পর্ব ।।, তমাল আর সুমির পরিণয় - ।। ৩য় পর্ব ।।, [link|http://www.somewhereinblog.net/blog/mhku007/30188094|তমাল আর সুমির পরিণয় - ।। ৪র্থ পর্ব ।।
বাবার প্রশ্নের উত্তর কিভাবে দেওয়া যায়, সেই চিন্তা করা শুরু করতেই বাবার দিকে তাকিয়ে তমাল দেখতে পেলো বাবার চেহারার রুঢ় ভাবটা সরে গিয়ে এখন বেশ হালকা ভাব, যেন এতক্ষণ তিনি বড় ছেলের সাথে মজা করছিলেন । বাবার এরকম চেহারা দেখে তমালও বেশ রিলাক্সড হলো । এরপর খাওয়ার টেবিলে আর তেমন কথাই হলো না । শুধু আনোয়ার সাহেব তাসিনের পড়াশুনার খোঁজখবর নিলেন, এই যা । লাঞ্চ শেষ করে তমাল আবার নিজের রুমের দিকে গেলো । খাটে বসেই মোবাইল হাতে নিয়ে প্রথম সে তার বন্ধু এবং কলিগ রুম্মানকে ফোন করলো । রুম্মান তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু, অবশ্য দুইজন ভিন্ন ডিপার্টমেন্টের । তমাল যে মেয়ে দেখতে যাবে সেই খবরটা রুম্মান জানতো । রুম্মান তমালকে অনেক করে ধরেছিল যে মেয়ে দেখার সময় সেও যাবে কিন্তু তমাল সেটা চায়নি । অবিবাহিত বন্ধুদের এমন কিছুতে সাথে নিয়ে না যাওয়াটাই মঙ্গল । যাই হোক, বেশ কয়েকবার রিং হওয়ার পর রুম্মান ফোন ধরলো ।
- হ্যালো রুম্মান, দোস্ত কি খবর ?
- আরে মামা, তোমার খবর বলো ? মেয়ে পছন্দ হয়েছে ?
- হুম, এবারের যাত্রায় পছন্দ হয়েছে ।
- ওহ, কংগ্রাচুলেশন । তা সানাই বাজছে কবে ?
- দেখি, বললেই তো হয় না । মেয়েটার ভার্সিটিতে সামনেই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা, আর আমাদের অফিসের বড় কনসাইনমেন্টের কথা তো তুই জানিসই । অফিস থেকে ছুটি চাইলেও তো এখন ছুটি গ্রান্ট হবে না । তাই এই বছরের লাস্টে ছাড়া তো পসিবল না ।
- তার মানে, মামা, লং টার্ম লাভ লাইফ শুরু হবে তোমার, তাই না ?
- তা বলতে পারিস বটে । জীবনে তো আর কাউকে পটাতে পারলাম না, এখন বিয়ের আগে হবু বউকেই না হয় প্রেমিকা বানালাম । তাও তাতে যদি মেয়েটির সম্মতি পাওয়া যায় তাহলেই, নয়তো সব চিন্তা বাদ । একেবারে বিয়ের চিন্তা ।
- আরে, যাবে, যাব,এ সব মেয়েরাও এরকমই চায় । যাই হোক, মেয়ের নামটাই তো বললি না এখনও ?
- সুমি । সওরোজ মুজাফফার সুমি ।
- ওরে, বাবা, নামটাই তো অস্থির, তাহলে মেয়েটা তো আরও অস্থির হবে । তুই কিন্তু কালকে অফিসে এসেই আমাদের মেয়ের ছবি দেখাবি ।
- আরে অবশ্যই অবশ্যই, তবে শর্ত আছে কিন্তু...
- এ্যা, কি শর্ত আবার ?
- নজর দিতে পারবি না একেবারেই ।
তমালের এই কথা বলা মাত্রই রুম্মান হো হো করে হাসিতে ফেটে পড়তে লাগলো, সাথে তমালও যোগ দিলো । দুই বন্ধু মিলে হাসতে হাসতেই কথোপকথন শেষ করলো, তমাল কল কেটে দিলো ।
ফোন কেটে দিতেই বিছানায় গা এলিয়ে দিলো তমাল । শোয়া মাত্রই সুমির চেহারা ভেসে উঠলো তমালের চোখের সামনে । আসলেই মেয়েটা অনেক সুন্দর । আচ্ছা, শেষপর্যন্ত এই বিয়ে হবে তো !! মেয়েটা আবার বেকে বসবে না তো !! দেখা গেলো, একদিন ওদের বাসা থেকে ফোন এসে সব কিছু ভেস্তে গেলো । আর সাথে সাথে ভেঙে গেলো তমালের স্বপ্নও ।
(চলবে)
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২১
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ছোট ছোট পর্ব পড়ে মজা নাই।