নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি ছেলে বলে.........

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৯

ইদানিং বিষয়গুলো কেমন জানি অদ্ভুতভাবে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য করাতে এসে ঠেকেছে । মেয়েরা (তবে সকলে নয়) তো সেই আদিকাল থেকেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি অভিযোগ করে আসছে যে তাদেরকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে । এমনকি পৃথিবীর অধিকাংশ স্থানে বা ঘটনাতেও তারা দুর্বল, অসহায় । বিষয়টি অনেকাংশেই সত্য । তবে সৃষ্টিকর্তা মেয়েদের অসহায় বানায় পরে, আগে মেয়েরাই নিজেদের অসহায় রূপে রূপান্তর করে । কারণ মেয়েরা এখন ইচ্ছা করলেই কি না পারে । এই যুগে তো ছেলে-মেয়েদের সমান চোখেই দেখা হয় (কিছু ব্যতিক্রমবাদে) । সে যাই হোক বিতর্ক সবখানেই ছিল, আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে । তবে একজন ছেলে হয়ে জন্মানোটাও ইদানিং চ্যালেঞ্জ ।




বাবা-মায়ের বাড়তি আশা পূরণ, একটু বড় হলেই মেয়ে পটিয়ে গার্লফ্রেন্ড বানানো, ধুমছে পড়াশুনা করা আর কোন পথে ক্যারিয়ার গড়তে হবে নিয়ত সেই চিন্তা করা, পড়াশুনা পর্ব শেষ হলে একটি চাকরী-বাকরি জুটানো আর সেই চাকরী-বাকরীতে ভালো ইনকাম করার পর দেখেশুনে একটি মেয়ের পরিবারকে রাজী করিয়ে আপদ নিজের ঘাড়ে নেওয়া (মানে বিয়ে করা), অবশ্য এর জন্য টাকার বান্ডেলগুলোর সদ্ব্যব্যবহার করাটাও দরকার হয়, এরপর ছেলে-মেয়ে মানুষ করা আর ঘরের মধ্যে প্রতি পদে পদে স্ত্রীকে মানিয়ে চলা তো আছেই, এরপর ধীরে ধীরে বুড়ো হওয়া, বুড়ো হওয়া মাত্রই নিজের ছেলে-মেয়েদের কাছে আপদ বনে যাওয়া, তবু ছেলে-মেয়ে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলেও নিজের স্ত্রীকে একা না ফেলে তার সঙ্গ দিয়ে যাওয়া আর ধীরে ধীরে রোগ-শোকে ভুগে সেই স্ত্রীর আগেই দুনিয়া ছেড়ে যাওয়া তো আছেই । মেয়েরা তো পড়াশুনা পর্ব শেষ হলে কোন একটি সফল পুরুষের ঘাড়ে অনায়াসে ঝুলে পড়তে পারে কিন্তু ছেলেদের তো সেই সুযোগটাও নেই । আসলে দুনিয়া কারও জন্য সহজ নয় । মাত্র অল্প কয়েকজনের করা অপরাধের শাস্তি সকলের ভোগ করাটা ন্যায্য হয় না, তাই সকল ছেলেই কিন্তু খারাপ হয় না ।




নারী নির্যাতন কিংবা অত্যাচার কিংবা ধর্ষণ ইত্যাদির কথা ঘুরেফিরেই আসে । এর জন্য যেমন আইনও আছে, তেমনি আছে প্রয়োগও । কিন্তু ঘরের অভ্যন্তরীণ কোন্দল (Domestic Violence) সম্পর্কে কিন্তু কেউ বলে না । এই বিষয়টি শুধু এশিয়া মহাদেশেই নয়, বাকী মহাদেশগুলোতে অন্যান্য দেশগুলোতেও এটি একটি বিরাট সমস্যা । অনেক পুরুষ মানুষ তো এই ঘরের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ দরকার বলেই মনে করে ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যতটুকু পড়েছি ভালো লেগেছে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫২

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য । :|

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: shame on you...

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: অদ্ভুত তো !!! কি হলো ভাই ??

যাই হোক, ধন্যবাদ লেখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য । :|

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২১

কানিজ রিনা বলেছেন: তবে একটি বুড়ি কিন্তু একটি বুড়োর বয়ষে
কম হয় বলে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বুড়িটা
বুড়োর মৃত্যুর সময় ঠিকই সেবা করে যায়
শেষ নিশ্বাস ত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত।
তবে কাল ক্রমে মেয়েরা মহরানার বদলে
স্বামীর বাসরে ঢোকে যৌতুক দিয়ে। তারপর
দাশীরুপে একদম পর মানুষকে আপন করে
সারা জীবন কাটাতে হবে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: আপনি যেটা বলছেন, তা আর এখনকার যুগের চিত্রের সাথে মিল খায় না । আর খেলেও গ্রামের দিকে খায় । শহর অঞ্চলের মেয়েদের সাথে তো চিত্র মোটেও মিল খায় না ।

যাই হোক, ধন্যবাদ লেখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য । :|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.