নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
শীতকাল দোরগোড়ায় । ক্যালেন্ডার অনুসারে শীত চলে আসলেও বাস্তবে সেই শীত বাবাজি আসি আসি করছে । অনেকটা দরজায় কড়া নাড়ার মত । দরজা খুলে দিলেই এসে হাজির হবে । প্রতি বছর এই শীতকাল আসলেই শুরু হয় ওয়াজ মাহফিলের মৌসুম । অমুক কলোনির তরুণরা মিলে কিংবা অমুক মাদ্রাসার ছাত্ররা মিলে কিংবা অমুক এলাকার মুরুব্বীরা মিলে ইত্যাদি এমন অনেকেই মিলে বিভিন্ন ভাবে এসব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে থাকে । আমি নিয়মিত ধর্মচর্চা করার চেষ্ঠা করি । সেই অর্থে ওয়াজ মাহফিলের প্রয়োজনীয়তা আমি ভালো করেই বুঝি ।
গরম কালে কেন নয়, শীতকালেই সব ওয়াজ মাহফিলগুলো হয় কেন ? গরমকালের মত শীতকালে ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হয় না । সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে আর নিচে বেশ কয়েকটা মাদুর বিছিয়ে দিলে বেশ সংখ্যক মানুষ একসাথে বসে ওয়াজ শুনতে পারে ইত্যাদি অনেক কারণেই শীতকালই ওয়াজ মাহফিলের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ।
ওয়াজ মাহফিলগুলো আয়োজন করা হয় সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্র সম্পর্কে, আল্লাহ্র প্রেরিত নবী-রাসূল সম্পর্কে, ফেরেশতা সম্পর্কে ও আল্লাহ্র সৃষ্টি সম্পর্কে মানুষদের জানানো, আর জানা থাকলে বিভিন্ন কোরআন-হাদিসের উক্তি দিয়ে সেই কথাগুলো মানুষের মনের ভিতর বসিয়ে দিয়ে তাকে খারাপ পথ থেকে দূরে রাখার জন্য । মানুষ খুব সহজেই ভুলে যায় সবকিছু । যারা জানে তারা ভুলে যায়, আর যারা জানে না তারাও ভুলে যায় । এই ওয়াজ মাহফিলগুলো অনেকটা এলার্ম ঘড়ির মতও কাজ করে সেক্ষেত্রে ।
তবে এই ওয়াজ মাহফিলের ভালোর পাশাপাশি খারাপ কিছু ব্যাপারও থাকে । এই যেমনঃ মানুষের চলাচলকারী পথ পুরো বা আংশিক আটকিয়ে, গভীর রাত পর্যন্ত মাইকে উচ্চ শব্দে ওয়াজ শোনানো ইত্যাদি । পথ আটকে, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করা কোনমতেই সমীচীন বা গ্রহণযোগ্য নয় । তাছাড়া সন্ধ্যা থেকে ওয়াজ শুরু করে সেই ওয়াজ তার ১১টা বা তার বেশি সময় পর্যন্ত নিয়ে গেলে সেই ওয়াজ মাহফিলের ভালোর পাশাপাশি খারাপ বিষয়গুলোও হাইলাইট হবে, যা অনেক মানুষের মনে ওয়াজ মাহফিলের ব্যাপারে খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি করবে, এটাও সমীচীন নয় ।
বেশ কিছু সমাধানমূলক উপদেশ এইক্ষেত্রে উল্লেখ করা সম্ভব । যেমনঃ
১) ওয়াজ মাহফিল করতে হবে ফাঁকা মাঠে কিংবা আবাসিক ঘরবাড়ি যেখানে আছে সেখান থেকে দূরে । যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায় ক্ষতি না হয় ।
২) অবশ্যই আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবার অংশগ্রহণে উৎসাহ প্রদান করতে হবে কিন্তু কোনক্রমেই কাউকে বাধ্য করা যাবে না ।
৩) ওয়াজ মাহফিলগুলো সবচেয়ে ভালো হয় শহর বা গ্রামে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আয়োজন করা ।
৪) রাস্তা পুরো আটকে কিংবা অর্ধেক আটকে কখনই এমনকিছু আয়োজন করা সমীচীন হবে না । কারণ ভালো কোন কাজের ক্ষেত্রে মানুষের মতের বিরুদ্ধে যাওয়া সমীচীন নয় ।
৫) ওয়াজ মাহফিলগুলো কখনই হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম ইত্যাদি জায়গাগুলোর আশেপাশে আয়োজন করা উচিৎ নয় । আর যদি একান্ত বাধ্য হয়েই আয়োজন করতে হয় সেক্ষেত্রে শব্দ যাতে বেশি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন । ইত্যাদি ।
অতিরিক্ত ভালো জিনিসও খারাপ । তাই কোন জেই অতিরিক্ত ভালো নয় । তবে আমাদের উচিৎ আমাদের (মুসলমানদের জন্য শুধুমাত্র) বাড়ির আশেপাশে বা এলাকায় আয়োজনকৃত ওয়াজ মাহফিলগুলোতে যাওয়া । সেই কথাগুলো অন্তরের ভিতর নেওয়া । ধর্মীয় বিশ্বাস অন্তরে না রেখে জীবন পরিচালিত করলে, সেই জীবনে শুধু হতাশা ছাড়া অন্য কিছু খুঁজে পাওয়া বড়ই মুশকিল হয়ে দাড়ায় ।
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫
বাবা বিড়াল বলেছেন: মাহফিল উপলক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা আদায় করা হয়। অনেক মানুষ অনিচ্ছা সত্ত্বেও টাকা দিতে বাধ্য হয়। এটা চাঁদাবাজি। যা ধর্মের নামে অধর্মেরই শামিল।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৬
কালীদাস বলেছেন: ওয়াজের পরে যদি গরুর ভুনা খিচুরি বা তেহারী খাওয়ায়, তাইলে চিল্লাক না, সমস্যা কি? ওয়াজের তেহারীর টেস্টই আলাদা রোগীদের জন্য সমস্যা, সেটা ঠিক, কিন্তু ছোট পুলাপানদের ঐ সময় পরীক্ষার সমস্যা নেই। কাজেই ওয়াজ আর তেহারি, চলুক একসাথে
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৫
গেম_প্লানার বলেছেন: ভাই সবথেকে ভালো সমাধান হচ্ছে যার ওয়াজ শুনতে যাবে শুধু মাত্র তাদের প্রয়োজনে যতটুকু ভলিয়ম দরকার ততটুকু দিয়ে ওয়াজ করা । অহেতুক যারা আগ্রহী নয় বা ওয়াজ শুনতে আসেনি তাদের শোনানো টা আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়।
ঠিক একই কথা মিছিল , মিটিং ইত্যাদির ক্ষেত্রে।
জোর করে শোনায় ভালো কথা কিন্তু এত জোরে ভলিয়ম দেয় যা খুবই বিরক্তিকর। তবে এটাও সত্যি জোরে দিলে অনেকে সেই ওয়াজ শুনে ,কোথায় হচ্ছে সেটা খুজে বের করে শুনতে আসে। তাই আমি কোনটা ভালো বা কোনটা মন্দ । কোন পক্ষই নিতে পারলাম না ।