নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
বদরুলের কোপানর দৃশ্য ভিডিও করা গেলো, অথচ একটু সামনে আগ বাড়িয়ে ঠেকানো গেলো না ? এই প্রশ্নটি যার যার মনে আছে অথবা ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে যারা এই ধরনের পোস্ট অত্যন্ত ক্ষোভ সহকারে দিয়েছেন তাদের কাছে আমার নিজস্ব একটা ছোট্ট প্রশ্ন ছিল । আপনি তৎক্ষণাৎ সেখানে থাকলে কি করতেন ? নিজে পারতেন এগিয়ে গিয়ে বদরুলের কোপাকুপি ঠেকাতে ? আমি বলি ? না পারতেন না । জানের প্রাণের মায়া বাঙালির সবচেয়ে বেশি ।
ঐ যে কৌতুকটা শোনেননি ? এক ছেলে বাজার থেকে দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে বাড়িতে আসলো । তখন ঐ ছেলের মা জিজ্ঞেস করলো, কি রে দৌড়াচ্ছিস কেন ? আর বাজারে তোর সাথে না তোর বাবাও গিয়েছিল, সে কই ? তখন ঐ ছেলেটি জবাব দিলো, বাবা আর আমি মিলে এক তরকারি বিক্রেতার কাছ থেকে এক কেজি আলু নিয়ে দৌড় দিছিলাম, হঠাৎ আশেপাশের পাবলিক আমাদের ধরে ফেললো আর পরবর্তীতে মারা শুরু করলো । আমি কোনরকমে পালিয়ে এসেছি । আমার একটা মানসম্মান আছে না !!
গল্পের সারমর্ম হচ্ছে, নিজে বাচলে বাপের নাম । বাঙালির সর্বক্ষেত্রেই অবস্থা এই । বাঙালি নিজের পিঠ বাঁচলেই তবে অন্যের চিন্তা করে । ঐ খাদিজাকে বাঁচাতে গিয়ে যদি নিজের প্রাণটাও যায়, তবে আর কিসের কি !! হ্যাঁ, হয়তো অনেক লোক মিলে ঘিরে ধর্মে নরপিশাচটাকে থামানো যেতো কিন্তু সে যদি ভিড়ের মধ্যেই তার চাপাতি চালাতো আর যদি সেই চাপাতির কোপ লেগে যেতো অন্য কারও গায়ে যে নিজে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল, তবে কি হতো, একবার ভাবুন তো । তাই পারতপক্ষে কারও এগিয়ে না আসাটাকে আমি দোষের কিছু দেখছি না । হয়তো আমার এই কথার বিপক্ষেও যেতে পারে সকলের মতামত ।
তবে হ্যাঁ, দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভিডিও করে সেই ভিডিও আবার ভাইরাল করে দেওয়ার মোটেও পক্ষবাদী আমি নই । ছিঃ, কতটা কাপুরুষতাসমপন্ন কাজ হয়েছে এটা । যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের শত ধিক্কার । এই ভিডিওটা না ছড়ালে হয়তো বদরুলের এই কীর্তি চাক্ষুষ দেখতো না বিশ্ববাসী, তবু বদরুলের মত নরপিশাচদের এমন আইডিয়া তো এরকম খারাপ মানুষগুলোর মাঝে ছড়ানোর সুযোগটা হতো না, তাই না ??
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৩২
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
একা থাকলে অস্ত্রধারী কারো মোকাবেলা করা কঠিন। এতে ক্ষতিই বেশি। তবে, ভিডিও-এর পরিবর্তে কয়েকজনকে ডেকে প্রতিরোধ করতে যাওয়ার কথাই মাথায় আসতো প্রথমে। যত অস্ত্রধারীই হোক, কয়েকজন মিলে এগুলে - সে যাকে কোপাচ্ছিল তাকে ছেড়ে দিত। হাতের অস্ত্র দিয়ে এগিয়ে যাওয়া মানুষকে প্রতিহত করার চেষ্টাই করতো প্রথমে। কারণ, তার পালাতে হবে। এতে করে ভিক্টিমের ক্ষতির পরিমাণ কমে যেত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: একা থাকলে আমিও পালাতাম। তবে ৪/৫ জন বন্ধু থাকলে ঠিকই দাবড়াইতাম...