নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গৌধুলি লগ্নে কথাগুলো সব দীর্ঘশ্বাস হয়ে যায়... :| :|

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৭



গৌধুলির সময়টা আলতাফ সাহেবের বেশ প্রিয় । কর্মজীবনে ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চাকরী করে এসে বাড়িতে এই সময়টা ছেলে-মেয়েগুলোর সাথে বসে গল্প করে কাটাতেন । রিটায়ার্ড করেছেন ২ বছরের মত । রিটায়ার্ড করার পর এই সময়টা বিপত্নীক মানুষটা সম্পূর্ণ নিজেকে দিয়ে দিয়েছেন । একটা ছোট ক্যাসেট প্লেয়ারে কিশোর কুমার কিংবা লতা মঙ্গেশকার কিংবা আশা ভোসলে কিংবা কুমার শানুর গান বাজিয়ে হাতে পত্রিকা নিয়ে কফির কাপে চুমুক দিয়ে দোলানো চেয়ারটাতে দুলুনি খেতে খেতে দেশ ও বিশ্বের আপডেট নিয়েই তিনি স্বর্গীয় সুখ পান এই গৌধুলির সময়টাতে । অবশ্য এই স্বর্গীয় সুখের সময়টুকুর ব্যপ্তি বেশি না, আধা ঘণ্টার মত । এই আধা ঘণ্টা তাকে কেউ ডিস্টার্ব করুক, এটা যেমন তিনি চান না, তেমনি বাসার সবাই জানে বলেই তাকে কেউ ডিস্টার্বও করে না । এমনকি তার প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনরাও তাকে এই একাকী থাকার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেনি এই দুই বছরের কোনদিনই ।
কিন্তু কোনদিন যা মোটেও হয়নি সেটা আজকেই কেন জানি হলো । কেবল কুমার শানুর “যদি ফিরে আসি” গানটা শুরু হলো, তখনই দরজায় জোরে জোরে নক । তাও একবার দুইবার না অবিরত নক হতেই লাগলো, মনে হচ্ছে যেন কেউ দরজা ভেঙে ঢুকেই যেতে চাচ্ছে ভিতরে । আলতাফ সাহেবের মনোযোগ বিঘ্ন ঘটলো । তিনি প্রথমে ক্যাসেট প্লেয়ারের গান বন্ধ করলেন, এরপর পত্রিকা ও কফির মগ দুটোই পাশে রাখা টেবিলে রাখলেন । দরজার নক এখনও হচ্ছে, ধীরে ধীরে দরজায় নকের শব্দ কেন জানি কর্কশ হয়ে যাচ্ছে । আলতাফ সাহেব চেয়ার থেকে ধীরে ধীরে উঠলেন । তবে তার দরজার কাছে যাওয়ার আগেই রান্নাঘর থেকে মিমি এসে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো । মিমি আলতাফ সাহেবের একমাত্র মেয়ে । মিমি একবার আলতাফ সাহেবের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেকটা চিন্তিত হয়েই জিজ্ঞেস করলো,
- কে ?
তার প্রশ্ন করার পরপর রহস্যজনকভাবে দরজার নক করা থেমে গেলো । এরপর কয়েক সেকেন্ডের নিরবতা । মিমি তাই আবারও জিজ্ঞেস করলো,
- দরজায় নক করছে কে ?
এরপর প্রায় সাথে সাথেই উত্তর এলো,
- মিমি, দরজা খোল । আমি রুবেল ।
রুবেল, পুরো নাম সাহিনুর রহমান রুবেল, আলতাফ সাহেবের একমাত্র ছেলে আর বড় সন্তান । মিমি দরজা খুলে দিলো । রুবেল কোনরকমে ভিতরে ঢুকেই আগে দরজাটা ছিটকিনি লাগালো । তার চোখ-মুখ পুরোই আতংকগ্রস্থ হয়ে আছে । আলতাফ সাহেব অথবা মিমি কিছু বলার আগেই রুবেল তাদের দিকে তাকিয়ে বললো,
- ওরা আসছে বাবা । ওরা আসছে । আমাকে ধরতে । আমাকে বাঁচাও বাবা । ওরা নির্ঘাত আমাকে মেরে ফেলবে ।
রুবেলের মুখে এই কথা শুনে রুবেলের সারা শরীর জুড়িয়ে থাকা ভয়টুকু আলতাফ সাহেব আর মিমির নিকটও গিয়ে ভর করলো । কেন জানি, ভয়টা সবসময়ই সংক্রামক ব্যাপার ।



রুবেল আর মিমিকে নিয়েই আলতাফ সাহেবের সংসার । মিমিকে জন্ম দিতেই গিয়েই মারা যান রোশনারা বেগম ওরফে মিসেস আলতাফ । সে আজ থেকে প্রায় তেইশ বছর আগের ঘটনা । রুবেল আর মিমিকে বড় করতে গিয়ে প্রায় সারাজীবন ছোটখাট দ্বিতীয় শ্রেণিতে চাকরী করা আলতাফ সাহেব অনেক কিছুই ত্যাগ করেছেন, অনেক সাধ-আহ্লাদ ভুলে গিয়েছেন । জীবনে দ্বিতীয় বিয়েটা পর্যন্ত করেননি । এর প্রতিদান অবশ্য তার ছেলে-মেয়েগুলো ছোটবেলা থেকেই দিয়ে এসেছে । পড়াশুনায় দুইজনেই ভালো । রুবেল অনার্স শেষ করে এখন মাস্টার্সের ছাত্র আর মিমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ।
ব্যাপারটি একটু অদ্ভুতই বটে । রুবেল প্রায় ছয় মাসের মত বাড়িতে অনুপস্থিত । কোন খোঁজখবরই ছিল না ওর এই ছয়মাসে । ওর মোবাইল বন্ধু ছিল, এমনকি কোন বন্ধু-বান্ধবও বলতে পারেনি ও কোথায় আছে । যাই হোক, বেশ অনেকক্ষণই পার হয়েছে । এখনও রুবেলের চোখে-মুখে প্রচণ্ড আতংক । আলতাফ সাহেবের মিমির দিকে তাকিয়ে এক গ্লাস পানি আনতে বললেন । মিমি দৌড়িয়ে রান্নাঘরের দিকে গেলো পানি আনতে । আলতাফ সাহেব ছেলেকে ধরে সোফায় বসালেন । রুবেলের শরীর মনে হচ্ছে কাঁপছে । মিমি পানি নিয়ে আসলো আর এনে রুবেলের হাতে দিলো । রুবেল পানি নিয়েই একবারেই পুরো গ্লাসের পানি খেয়ে শেষ করলো । এতক্ষণে একটু স্বাভাবিক হচ্ছে বলে মনে হলো আলতাফ সাহেবের কাছে । হ্যাঁ, এখন রুবেলকে জিজ্ঞাসা করাই যায় ঘটনা সম্পর্কে ।
- কি হয়েছে, একটু খুলে বল তো বাবা ?
আলতাফ সাহেব রুবেলের চোখের দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার ঘাড়ে হাত বুলাতে বুলাতে জিজ্ঞেস করলেন । ছেলেটার এখন সহানুভূতি জিনিসটার খুব দরকার ।
আলতাফ সাহেবের প্রশ্ন শুনে রুবেল আলতাফ সাহেবের হাতে মাথা রেখে আবারও কান্নায় ভেঙে পড়লো । প্রচণ্ড কান্না । রুবেলের এই কান্না দেখে আলতাফ সাহেবের চোখেও পানি চলে এলো । ওদিকে মিমি আর সহ্য করতে না পেরে, ঘরের এক কোণায় চলে গেলো । মানুষ সহসা তাদের দুর্বলতা প্রকাশ করতে যায় না, কেন জানি । রুবেল কোনরকমে একটু কান্না থামিয়ে বললো,
- বাবা, আমি মস্ত বড় ভুল করে ফেলেছি । আমাকে মাফ করে দাও ।
- কি হয়েছে সেটা তো বল...
- বাবা, গত ছয়মাস আমি বাড়ি থেকে পালাইনি বাবা, বিশ্বাস করো । আমি রাঙ্গামাটি ছিলাম । ঢাকা থেকে দুই বন্ধু আর এক বড় ভাই মিলে আমরা রাঙ্গামাটি গিয়েছিলাম । সব প্ল্যান সেই বড় ভাইয়েরই ছিল । অনেক টাকার একটা এসাইনমেন্ট ছিল সেটা । আমি টাকার লোভে পড়ে গিয়েছিলাম । বিশ্বাস করো বাবা, কোন খারাপ কাজ করার উদ্দেশ্য আমার কোনকালেই ছিল না । বড় ভাইয়ের নির্দেশেই আমরা কাউকে না বলেই ঢাকা ত্যাগ করি । তবে সেখানে আমরা বড় একটা মুসিবতে পড়ে যাই । কোনভাবেই বুঝতে পারিনি, সেই এসাইনমেন্টের কারণে আমরা বড় একটি চক্রের কোন্দলে পড়ে যাবো । সেখানেই আমার এক বন্ধু মার্ডার হয়ে যায় । দোষ এসে পড়ে আমাদের তিনজনের উপর । সেই থেকে পুলিশ আমাদের খুঁজছে । আমরা বাধ্য হয়েই এই ছয়মাস পলাতক ছিলাম । ভয়তে বাড়িতেও যোগাযোগ করতে পারিনি কারণ আমরা কেউই চাইনি আমাদের কারণে আমাদের বাড়ির লোকও মুসিবতে পড়ুক । কিন্তু বাবা, গত এক সপ্তাহ আগে ওরা আমার সেই বন্ধু আর বড় ভাইকে খুঁজে পায়, আমিও ছিলাম কিন্তু ওদের আসার ব্যাপারটি আমি আগেই টের পেয়ে লুকিয়ে গিয়েছিলাম । আমার সেই বন্ধু আর বড় ভাই লুকানোর সময়টুকু পর্যন্ত পায়নি । আমার চোখের সামনেই ওদেরকে গুলি করে মারা হয়েছে । ওরা পুলিশ ছিল না বাবা, বিশ্বাস করো । ফায়ারসার্ভিসের পোশাক পড়া পাঁচজন মানুষ । এরপর আমাকে না পেয়ে ওরা চলে গিয়েছিল । বিশ্বাস করো, বাবা, এখন ওরা আমাকেও মেরে ফেলবে, আমাকে বাঁচাও বাবা, আমাকে বাঁচাও ।
এক নিঃশ্বাসেই মনে হলো কথাগুলো বলে গেলো রুবেল । ওদিকে আলতাফ সাহেব পড়ে গেছেন চিন্তায় । ফায়ারসার্ভিসের লোকদের তো মানুষ মারার কথা না । অথচ এরা পুলিশের মত কাজ করছে আবার ধরা মাত্রই অপরাধী মেরে ফেলছে, এখানে নিশ্চিত বড় কোন ষড়যন্ত্র চলছে । এই ষড়যন্ত্র থেকে যে করে হোক তার একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতেই হবে ।



হঠাৎ বাড়ির টেলিফোনের ঘণ্টা বেজে উঠলো । ক্রিং ক্রিং । আলতাফ সাহেব, মিমি আর রুবেল সবাই সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছে । এই অসময়ে কারোরই ফোন করার কথা না, কারণ এখনও আলতাফ সাহেবের নিজস্ব সময়ের আধা ঘণ্টা পার হয়নি । মিমিই গিয়ে টেলিফোনটা উঠালো আর কানে নিয়ে ধরলো,
- কে বলছেন ?
ফোনের অপর প্রান্তে কে কি বললো তা বুঝা গেলো না, তবে একটু পরই মিমি নিজের কান থেকে টেলিফোন সরিয়ে আলতাফ সাহেবের দিকে ধরলো । আলতাফ সাহেব মিমির হাত থেকে টেলিফোন নিয়ে নিজের কানে লাগালেন ।
- হ্যালো, আলতাফ চৌধুরী বলছি, কে বলছেন প্লিজ ?
- আসসালামু আলাইকুম স্যার । আমি কে, কি কারণে বা কেন ফোন করেছি আর নাম্বারই বা কি করে পেলাম, এইসব ফরমালিটি বাদ দিই । In case আপনি কথার মাঝপথে ফোন রেখে দেওয়ার কথা যদি ভেবে থাকেন, তাহলে আমি suggest করবো, সেই ভাবনা দূর করুন । কারণ আমি এখন যা যা বলবো আপনাকে সবই শুনতে হবে ।
- হুম, বলুন, শুনছি ।
- এতক্ষণে নিশ্চয় আপনার ছেলে রুবেল আপনার বাড়িতে ঢুকেও গেছে । শুধু এতটুকু ওকে বলবেন, এই কাজটা সে মস্ত বড় ভুল করেছে । সে শুধু নিজের জীবন না, আপনাদের দুইজনের জীবনকেও বিপদে ফেলেছে । ওকে হয়তো মেরে ফেলা আমাদের জন্য কোন ব্যাপারই না । কিন্তু আমরা ওর খালাতো ভাই জুনায়েদের ব্যাপারে শুনেছি । এও জেনেছি, সে নাকি র‍্যাবে কর্মরত আছে । তাই incase আপনারা তার সাথে যোগাযোগ করেন বা করে ফেলেছেন already, আমি আবারও suggest করবো, বাদ দিন । আপনাদের কোন ক্ষতিই হবে না, যদি আমি যা যা বলি, ঠিক তাই তাই হয় ।
- আমি ওয়াদা করছি, আপনি যা বলবেন, তা-ই হবে । শুধু আমার ছেলেটাকে মাফ করুন । ওর জীবন ভিক্ষা চাইছি আমি ।
- দেখুন, লজ্জিত করবেন না । আসল ঘটনা যদি জেনে থাকেন, তাহলে হয়তো আমার intension কে আপনি এতটা খারাপ ভাববেন না ।
- আসল ঘটনা !! কি সেই আসল ঘটনা ?
- ওহ, তার মানে রুবেল আপনাদের কিছুই বলেনি ।
- না, আপনি কি দয়া করে আমাকে বলতে পারেন ।
- যদিও আমার বলা উচিৎ না, তবু আপনাকে জানিয়ে রাখি । মনে রাখবেন, আসল ঘটনা জানার পর incase যদি আপনি ঘটনা কোথাও ফাঁস করেন, তাহলে এক সন্তানের পরিবর্তে দুই সন্তানকেই হারাবেন । আপনার জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি, মিমির দৈনিক রুটিনও আমাদের জানা ।
- (আতংকিত কণ্ঠে) না, আমি কাউকে জানাবো না । আপনি...আপনি বলতে পারেন বিশ্বাস করে...
- হা হা হা, এখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কিছুই নেই । আসল ঘটনা হচ্ছে, মায়ানমার থেকে আমাদের গ্রুপের কাছে দুই ট্রাক অস্ত্র পাচার হয়ে আসার কথা । দুই ট্রাক অস্ত্র পাচার হয়ে আসা চাট্টিখানি কথা নয় । এই কারণে আমরা প্রায় প্রতিটি স্তরে লোক সেট করেছি । প্রশাসনে, রাজনীতিতে, সরকারী কর্মক্ষেত্রগুলোতে ইত্যাদি । তবে আমরা ছাত্র রাজনীতির ছত্রছায়া এইক্ষেত্রে বেশি নিরাপদ বলে ধরে নিয়েছিলাম । তাই বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাঙ্গন থেকে কয়েকটি ছোট ছোট গ্রুপ বানিয়ে আমরা ছড়িয়ে দেই পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলোতে আর ঢাকাতে । সেই গ্রুপগুলোর কাজ শুধুমাত্র কভার দেওয়া । অবশ্যই এখানে অনেক টাকার ব্যাপার-স্যাপার ছিল । আপনার ছেলে এমনই একটা গ্রুপের সাথে রাঙ্গামাটি গিয়েছিল । কিন্তু জানেনই তো, নাক গলানো ব্যাপারটা আমাদের দেশের কোন অংশেই বেশি সহনীয় না । রুবেলের গ্রুপের গ্রুপ লিডার ছিল নয়ন । ঐ গ্রুপে রুবেল ছাড়াও আরও ছিল রুবেলের দুই বন্ধু আসাম আর সুহাস । নয়ন রাঙ্গামাটি যাবার পরপরই আমাদের এক কমান্ডারের সাথে বেয়াদবি করে আর পরবর্তীতে সে আর সুহাস মিলে অপারেশন disclose করে দেবার হুমকি দিয়ে বেশি টাকার demand করে বসে । বাধ্য হয়েই নয়ন আর সুহাসকে দুনিয়া থেকে বিদায় করতে হয় আর আসাম পালানোর চেষ্ঠায় মারা পড়ে । রুবেল হয়তো নিরাপদেই পার হয়ে যেতো যদি সে ঘটনাগুলো চেপে রাখার চেষ্ঠা করতো শুধু । কিন্তু আফসোস, ওর intension এমন কিছুই ছিল না । ভাগ্যক্রমে সে রাঙ্গামাটি থেকে successfully পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় আর ঢাকাতে এসে বাড়িতে এসেই আশ্রয় নেয় । এখন আপনি তো পুরো ঘটনাই শুনলেন । এটাও জেনে গেলেন, আমি এখানে একা কেউই না, আমি আমাদের গ্রুপের behalf হয়ে কথা বলছি । আশা করি, কোনোরকম হুমকি আপনার ছেলের কাছ থেকে বা আপনার পরিবার থেকে আসবে না । এখন রাখি । বিদায় ।
লোকটির কথা শেষ হতে না হতেই লোকটি ফোন রেখে দিলো । আলতাফ সাহেব অনেকটা শক্ত হয়ে গেছেন । মিমি আর রুবেল কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই তিনি সেখান থেকে উঠে গেলেন আর বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালেন । হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে বাইরে । ঝুম বৃষ্টি । কেউ কেউ বলে, বৃষ্টিতে দাড়িয়ে কাঁদলে নাকি চোখের পানি দেখা যায় না, বোঝাও যায় না যে কেউ কাঁদছে । কিন্তু কেউ বলে না, কিছু কথা গোপন রাখার চেষ্ঠায় সেগুলো শুধু দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরিয়ে যায় । আলতাফ সাহেব দাড়িয়ে দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখছেন । অনেক কিছু দেখেও না দেখার ভান করতে হয়, শুনেও না শুনার ভান করতে হয় । এতেই সবার মঙ্গল, এতেই সবাই সুখী হয় । কিন্তু আলতাফ সাহেব কি আদৌ কোনদিন সুখী হতে পারবেন আগের মত ? হয়তো পারবেন, হয়তো না ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ছেড়ে দিল?
গতিশীল হতে পারতো পারতো আরো। মাঝেমাঝে ঝিমিয়ে গেছে গল্প। বাধ্য হয়ে কয়েক লাইন স্কিপ করতে হয়েছে।
খারাপ হয়নি। তবে ভালও না। আপনি আরও অনেক ভালো লিখেন, এর চেয়ে

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১১

মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: গল্পটা রহস্যের দিকে ধাবিত হতেই শেষ করে দিলেন? নাকি প্রথম পর্ব?

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: গল্পটা অসম্পূর্ণ। হুট করে সমাপ্তি টানা হয়েছে। কাহিনীও একটু ভাল হতে হতে তাল কেঁটে গেছে। লেখার মাঝে মাঝে ইংরেজী শব্দ থাকাটা বিরক্তিকর ছিল। আর, ঐ শব্দের বানানটাও আবার ছিল ভুল।

যাই হোক - আরো পূর্ণাঙ্গ লেখা আশা করছি। কাহিনী দেখে মনে হচ্ছে, আপনি ভাল লিখতে পারবেন হালকা চেষ্টা করলেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.