নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

(পর্বভিত্তিক বড় গল্প) জীবনের এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন - পর্ব ৮ :( :(

১৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

যারা এই গল্পের আগের পর্বগুলো পড়েননি বা পড়ার সুযোগ পাননি, তাদের জন্য লিংক শেয়ার করলাম নিচেঃ
(পর্বভিত্তিক বড় গল্প) জীবনের এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন - পর্ব ১-৪
(পর্বভিত্তিক বড় গল্প) জীবনের এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন - পর্ব ৫
(পর্বভিত্তিক বড় গল্প) জীবনের এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন - পর্ব ৬
(পর্বভিত্তিক বড় গল্প) জীবনের এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন - পর্ব ৭

আমার আর কোন প্রশ্ন না পেয়ে হয়তো বদরুল সাহেব একটু আশাহতই হলেন । তিনি হয়তো চেয়েছিলেন আমি বেশ অবাক হবো, এই ভেবে যে তিনি তো আমার সার্কেলের লোকদেরকে ভালোই চেনেন । কিন্তু আমার মুখের ভাবলেশহীন অবস্থা দেখে উনার আশাহত হওয়াটাই স্বাভাবিক । আমার প্রশ্ন যা হওয়া উচিৎ ছিল সেটা না করলেও সেই অনুযায়ী উত্তর দেওয়া শুরু করলেন বদরুল সাহেব । "আসলে এনায়েত করিম আমার বড় ভাইরা-ভায়ের বন্ধু । আপনার ব্যাপারে কথা বলতেই উনি কাল আমাকে ফোন করেছিলেন । পরে অবশ্য আমার ভাইরা-ভাই কে নিয়ে রাতের দিকে আমার বাড়িতেও নাকি এসেছিলেন । আমি তো পুলিশ স্টেশনেই ছিলাম, তাই আর আমার সাথে দেখা হয়নি । পরে আবারও ফোন দিয়েছিলেন । তখনই আপনাকে নিয়ে কথা হলো বিস্তারিত ।" আমি আগের বিষয় নিয়ে চিন্তামুক্ত হয়ে গেলেও নতুন আরেকটি বিষয়ে চিন্তাযুক্ত হয়ে গেলাম । আমাকে নিয়ে আবার কি বিস্তারিত কথা হলো ? তবে কি এনায়েত করিম আমাকে নতুন করে কোন বিষয়ে ফাঁসিয়ে দিলেন ? আমাদের দোকান যে মার্কেটে সেটি ভেঙে দেবে বলে অনেকদিন ধরেই নোটিশ দিয়ে যাচ্ছে মার্কেট মালিক সমিতি । শুধুমাত্র আমাদের দুইজনের কারণেই ভাঙতে পারছে না । আমাদের দোকান ঐ মার্কেটে মাত্র দুই বছর হলেও, আগে এর পাশেই ছিল প্রায় দশ বছর ধরে । তাই মার্কেট এলাকায় আমাদের ভালোই প্রভাব রয়েছে । আর এনায়েত করিমও বেশ প্রভাবশালী লোক । এই কারণেই মার্কেট ভাঙ্গা সম্ভব হচ্ছে না মার্কেট মালিক সমিতির । আমি ভাবছি, একা প্রভাব বজায় রাখার জন্য এনায়েত করিম কিন্তু আমাকে ফাঁসিয়ে দিতে পারেন । তিনি ঠিক এই কাজটিই করেননি তো ? আমি এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না, বদরুল সাহেবকে জিজ্ঞাসা করেই বসলাম, "স্যার, কি বলেছেন এনায়েত করিম সাহেব আপনাকে ?" "আচ্ছা, আগে বসুন । পরে সব কথা হবে ।" বদরুল সাহেব ইশারা করতেই তিনটি চেয়ার আমাদের তিনজনের জন্য এগিয়ে দেওয়া হলো । আমরা চেয়ারের ব্যবস্থা হওয়া মাত্রই বসে পড়লাম । এতক্ষণ দাড়িয়ে কথা বলার জন্যই কিনা পা দুইটা বেশ চিনচিন করছে এখনও । নূপুর আর সালামেরও একই অবস্থা । আমি ওদের মুখ দেখেই বুঝতে পারছি । আর তাছাড়া অনেকক্ষণ চুপ করে থাকার কারণেই কিনা তারা দুজনেই বেশ অস্বস্তিতেও আছে ।

আমি আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, "কি বলেছেন এনায়েত করিম সাহেব আপনাকে, স্যার ?" বদরুল সাহেব আমাকে আরও কিছু সময় উৎকণ্ঠায় রাখার জন্যই কিনা সময়ক্ষেপণ করতে লাগলেন । "আচ্ছা, এনায়েত করিম সাহেবের বস্ত্রালয়ের দোকান তো আপনার দোকানের পাশেই, তাই না ?" "জী, হ্যাঁ ।" "এনায়েত করিম সাহেবের সাথে আপনার উঠাবসা কেমন মানে প্রতিদিন খোঁজখবর নেওয়ার সুযোগ পান কিনা একে অন্যের ?" "না ব্যস্ততার কারণে বেশিরভাগ দিন এমন হয়ে ওঠে না । তবে সময় সুযোগ পেলে একে অন্যের খোঁজ নেওয়া হয় ।" "তবে যাই বলেন, এনায়েত করিম সাহেব কিন্তু আপনার সম্পর্কে আমাকে অনেক গোপন কথাও বলেছেন ।" এই কথা বলেই বদরুল সাহেব উচ্চস্বরে হাসা শুরু করলেন । বদরুল সাহেব যে এমন জোরে হেসে উঠবেন হঠাৎ করে এমন প্রত্যাশা হয়তো কারোরই ছিল না, তাই আশেপাশে সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসলেন বদরুল সাহেব । এমনকি আসলাম শেখও দেখি মুচকি মুচকি হাসার চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন । বুঝাই যাচ্ছে, তার মোটেও হাসি আসছে না, কিন্তু নকলভাবে হাসি আনার ব্যর্থ চেষ্ঠা যাকে বলে । বদরুল সাহেব উচ্চস্বরে হাসতে হাসতেই আসলাম শেখের এই ব্যাপারটি লক্ষ্য করলো, আর তাকে এই কারণে সন্তুষ্ট হলো বলেই মনে হলো । মানুষের অনেক সময়ই এই সমস্যাটা হয় । তারা একা একা কোন কাজ করতে শুরু করলে, সঙ্গীর অভাবে সাহস হারিয়ে ফেলে, তখন হয় তারা কাজটি বন্ধ করে দেয়, নয়তো বারবার নতুন করে শুরু করে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা কোন সঙ্গী না পায় । বদরুল সাহেবের হাসি হয়তো শুরু হতেই থেমে যেতো কোন সঙ্গীর অভাবে, কোন এক্ষেত্রে আসলাম শেখ তার যোগ্য সঙ্গী হওয়াতে বদরুল সাহেব অনেকক্ষণ যাবৎ-ই হাসলেন আর এরপর থামলেন । আর আসলাম শেখের এই কর্মকাণ্ড দেখে ঠিক সব মানুষের সাধারণ বৈশিষ্ট্য না, তবে বাঙালির একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্যের কথা মনে পড়লো আমার । বাঙালি আর কিছু পারুক না পারুক ঊর্ধ্বতনকে খুশি করার চেষ্ঠা ঠিকই করে, তা নিজের যতই কষ্ট হোক না কেন । যাই হোক, আসল কথাতে আসি এবার । আমি আবারও চিন্তায় পড়ে গেলাম । একে তো বদরুল সাহেব আমাকে সরাসরি বলছেনই না এনায়েত করিম সাহেব তাকে কি বলেছেন, আবার তিনি একটির পর একটি কথা বলে আমাকে ঘাবড়ে দেওয়ার চেষ্ঠাও করছেন । না, তাকে তো জোরও করতে পারছি না । কোথায় জানি শুনেছিলাম পুলিশের হ্যাঁ-এর সাথে হ্যাঁ মেলাতে হয়, না করলেই বরং সমস্যা বাধে । তবু আমি একটু সাহস সঞ্চার করে আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, "আচ্ছা, এবার কি আপনি বলবেন, আপনাকে এনায়েত করিম সাহেব আসলে কি বলেছেন ? আমি পুরোটুকুই শুনতে চাচ্ছি ।" বদরুল সাহেব আমার প্রশ্ন শুনে আমার দিকে মিটমিট করে চাইলেন । লোকটির হয়তো এই মুহূর্তে রেগে যাওয়ার কথা কিন্তু লোকটি আমাকে নিয়ে মজা নিচ্ছে, তাই সহসা রাগছে না । ওদিকে আমার টেনশন বেড়েই চলেছে ।

(বাকিটা আগামী পর্বে)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

আল্লার বান্দা বলেছেন: আট পর্ব শেষেও জানা গেল না গ্রেফতার এর কারণ। দুই তিন পর্বের কাহিনী কে টেনে লম্বা করতে করতে ষ্টার জলসা বানানো হয়েছে। মনে হয় এই কিস্তা শেষ হয়ে গেলে লেখার জন্য আর নতুন কোন টপিক পাওয়া যাবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.