নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
হঠাৎ বাসার কলিংবেলটি বেজে উঠলো । মিসেস রেহানা বিছানায় শুয়ে ছিলেন । বাসায় কেউ নেই তাই নিজেই উঠে গিয়ে দরজা খুললেন । দরজা খুলেই দেখতে পেলেন মিসেস সোহানা দাড়িয়ে আছেন । প্রায় ৩২ টা দাঁত বের করে হাসছেন তিনি ।
- কি ব্যাপার ভাবী ? আপনি ? এই সময় ? কিছু লাগবে নাকি ?
- আরে, আপনি কি দরজায় দাড় করিয়ে রাখবেন নাকি আমাকে ?
- ওহ, সরি, আচ্ছা, ভিতরে আসেন । (সোফার দিকে দেখিয়ে) বসুন, ভাবী ।
- এখন তো কেবল সন্ধ্যা সময় । কি করছিলেন ভাবী ?
- কিছু না, এমনি শুয়ে ছিলাম । শরীরটা ভালো লাগছে না । কাল রাতে একটু বেশি জেগে ছিলাম তো তাই ।
- কেন ? মিনার জন্য নাকি ?
- হুম, মিনার জন্যই । আমার তো এই একটামাত্র মেয়ে । সামনে এসএসসি পরীক্ষা । ও তো ভীষণ ফাকিবাজ । এখন যদি মনোযোগ দিয়ে, রাত জেগে না পড়ে, তাহলে তো পরীক্ষায় ভালো করতে পারবে না । কিন্তু ওর কোন খেয়াল নেই । রাত ১০ টা বাজলেই ঘুমানোর জন্য পাগল হয়ে যায় । তাই ওর সাথে জেগে থাকতে হয়, আমি সাথে জেগে থাকলেই ও পড়ে ।
- ভাবী, এত কষ্ট করার বয়স কি আর আমাদের আছে ? আমার মেয়ে লাবণ্য কে তো পড়ার কথা বলাই লাগে না । দেখুন না, মিনা আর ও একসাথেই তো এসএসসি দেবে । ওকে তো সব সাবজেক্টে স্যার দিয়েছি । মাসে ওর বাসার স্যার বাবদ আমাদের প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয় । ছেলেমেয়ে মানুষ করা কি চাট্টিখানি ব্যাপার, ভাবী ?
- (মিসেস সোহানার কথায় লজ্জা পেয়ে) না, তা তো বটেই । কিন্তু আপনার ভাইয়ের তো এত ইনকাম নেই । আমরা তো মিনাকে একটাও স্যার দিতে পারলাম না বাসায়, আপনি তো জানেনই ।
- হ্যাঁ, তা তো জানিই । স্যারদের পড়া পড়তে পড়তে লাবণ্য একটুও সময় পায় না অন্য কিছু করার, জানেন ভাবী ? যাক, একটু কষ্ট করুক আর তো মাত্র কয়েকটা দিন ।
(যথারীতি লাবণ্য এসএসসিতে এ+ পায় । মিনা পায় ৪.৮৮ । রেজাল্টের দিন মিষ্টি দিতে এসে মিসেস সোহানা মিসেস রেহানাকে আরও কয়েকটি খোটা দিয়ে চলে যান)
ঠিক ২ বছর পর মানে এইচএসসি পরীক্ষার আগেও একই রকম অবস্থা হয় । কিন্তু মায়ের অপমানের কথা মাথায় রেখে মিনা এবার ঠিকি এ+ পায় । অবশ্য লাবণ্যও এ+ পায় তবে প্রশ্ন কিনে । কিন্তু প্রশ্ন কেনার টাকা মিনার বাবা-মায়ের নেই । এর ঠিক কয়েকদিন পর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হলো । রেজাল্ট দিলে জানা গেলো মিনা মেধা তালিকায় ৭৮ তম হয়েছে । কিন্তু লাবণ্য মেডিকেলে চান্সই পাইনি ।
মিসেস রেহানা মিসেস সোহানার বাসায় মিষ্টি নিয়ে গেলেন । দরজায় দাড়িয়ে কলিংবেল চাপলেন । অনেকক্ষণ পর দরজা খুললেন মিসেস সোহানা নিজেই । কিন্তু আজ মিসেস সোহানার মুখে কোন হাসি নেই । মিসেস রেহানা মিসেস সোহানার হাতে মিষ্টির প্যাকেটটা দিলেন । সাথে শুধু একটা কথাই বললেন, ভাবী, মেধার মূল্যায়ন কখনও টাকা দিয়ে হয়না ।
এই কথা শুনে মিসেস সোহানা মিসেস রেহানার সামনেই কেঁদে ফেললেন । অঝোর সেই কান্না, অনেক কষ্টের সেই কান্না ।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২
মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার কমেন্টে লেখাটি বুঝতে পারলাম কিন্তু ভোট দিয়ে আমার লাভ ??
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪০
বিপরীত বাক বলেছেন: এতটা ব্যাকডেটেড গল্প বলতে রুচি হলো?
এখন কি আর সেই যুগ আছে? প্রাইভেট মেডিকেল গুলো আছে কিসের জন্য।
আর একমাস পর যে মিসেস সোহানা ৪০ লক্ষ টাকার বেসরকারি মেডিকেল এডমিশন নিয়ে মিসেস রেহানারে মিষ্টির প্যাকেট দিতে যাবে সেটা লিখলেন না।
এদেশের সবকিছুর বিনিময় মুল্য আছে টাকার কাছে। টাকাই সবকিছুর পরিমাপক আর নিয়ন্ত্রক এই দেশে।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: গল্পের কাহিনীটা বুঝলে হয়তো আপনার কথার সত্যতা আছে কিন্তু সরকারী আর বেসরকারী কি এক ব্যাপার হলো ? বড়লোক হোক আর কিংবা গরীব ছেলেকে কিংবা মেয়েকে সরকারী মেডিকেলে পড়ানোর ইচ্ছা সকল বাবা-মায়েরই থাকে ।
ব্যাকডেটেড....?? হয়তো, কিন্তু বাস্তবতা যুগ যুগ ধরে অনেক সময়ই পরিবর্তন হয় না..... ৫০ বছর আগেও বোমা মেরে একদল মানুষকে মারা যেতো, এমনকি আজও যায়..... এবার কেউ যদি সেটা নিয়ে ক্রিটিসিজম করে কিংবা অন্য কোন কারণে সেটা নিয়ে একটা গল্প সাজায়, সেটা কিন্তু ব্যাকডেটেড মনে হবে না.....
আশা করি, বুঝতে পেরেছেন......
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
বেলের শরবত বলেছেন: ভগ্নিসারথি নামে এক মহাকাঙাল আছে এই ব্লগে। কেমনে জানি জায়গা পাইছে বুবস.কমে সেরা ব্লগে। বাস, দুনিয়াটা ভাইঙা পরছে ফকিন্নিটার মাথায়, বুটের জন্য এমনে কাঙালিপনা কোথাও দেখি নাই্ জাতীয় ইলেকশন বাদে। মাল্টি খুইল্ল্যা সেইটা দিয়াও জায়গায় জায়গায় ল্যাদাইতে ল্যাদাইতে ভরায়া ফালাইতাছে বুটের জন্য। পাত্তা না পায়া এখন শুরু করছে জার্মানপ্রবাসের নামে কুৎসা গাওয়া।
হালা ফকিন্নি।
১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: থাক ভাই, এত রাগ হয়ে লাভ নেই । যার যার আপন ধান্দায় সে সে চলে, আমি কিংবা আপনিই কিন্তু এর ব্যতিক্রম নই । আমরা এখানে আসি কিছু লিখতে কিছু পড়তে আবার কিছু নতুন জানতে । এটাও তো ধান্দা, তাই না ?
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০২
শরনার্থী বলেছেন: আপডেটঃ
জার্মান প্রবাসে- 1305
অগ্নি সারথির ব্লগ- 217
ইস্টিশন ব্লগ- 147
প্রবীর বিধানের ব্লগ- 57
ইতুর ব্লগ- 23
অসম ব্যবধান শুরু হয়েছে মোটামুটি। প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগের সাথে লড়াই করে যাওয়াটা বেশ দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। আবারো আপনাদের ভোট দেবার অনুরোধ করছি। প্লিজ আপনারা ভোট দিন।
ভোট দিতে যা করতে হবেঃ
প্রথমে https://thebobs.com/bengali/ এই ঠিকানায় যেতে হবে। এরপর আপনার ফেসবুক আইডি দিয়ে লগইন করুন। লগইন হয়ে গেলে বাছাই করুন অংশে ক্লিক করুন। ক্লিক করে ইউজার অ্যাওয়ার্ড বাংলা সিলেক্ট করুন। এরপর মনোনীতদের একজনকে বেছে নিন অংশে ক্লিক করে, অগ্নি সারথির ব্লগ সিলেক্ট করুন। এরপর ভোট দিন বাটনে ক্লিক করে কনফার্মেশন পেয়ে গেলেই আপনি সফল ভাবে আমাকে ভোট প্রদান করে ফেলেছেন। এভাবে ২৪ ঘন্টা পরপর মে ২, ২০১৬ পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে।