নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
- বৃষ্টি মুখরিত কোন এক দিনের কোন এক সন্ধিক্ষণে তোমার বৃষ্টিস্নাত মুখমণ্ডলে যখন বৃষ্টির এক একটি ফোঁটা টপ্টপ করে পড়ে তোমার মুখটাকে আলোকিত করে, তখন তোমাকে সাক্ষাৎ হুরপরীর মত লাগে, এই কথাটা তোমায় কি কেউ আগে বলেছে ?
- ধুর, যাও, তুমি না, কেমন যেন !!
- কেমন ?
- এই যে বিয়ের পনেরো বছর পরও এমন ঢং করো !! আমার ভালো লাগে না ।
- ওমা ! বিয়ের পনেরো বছর হয়েছে তো কি হয়েছে ! আমরা কি বুড়ো-বুড়ী হয়ে গেছি নাকি ? এখনও তো আমাদের ছেলে-মেয়েও বিয়ে দিতে পারলাম না । নাতি-নাতনীর মুখ দেখতে পারলাম না । সব কাজ শেষে অবসরে তোমায় নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত হানিমুনে যেতে পারলাম না । আর তুমি এখনই সব রসবোধ হারিয়ে ফেললা ??
- ধুর, আবারও শুরু করলে ?!?! হানিমুনে যাবে, এহহহ, শখ কত !! যাও, আমি আরেকটা বিয়ে করে পালিয়ে যাবো তোমার কাছ থেকে ।
- না গো, এভাবে বলো না !! আমি তো পাগল হয়ে যাবো ।
- হয়েছে, হয়েছে, আর যাত্রাপালা করতে হবে না । আচ্ছা, তুমি কি গো ? সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই কি শুরু করলে !! রাতে কোন দুঃস্বপ্ন দেখেছো নাকি ?
- কি, তুমি আমার এই রোমান্টিকতাকে দুঃস্বপ্নের সাথে তুলনা করলে ? যাও তোমার সাথে আর কথা নেই ।
- আচ্ছা, বাবা, সরি, যাও, ফ্রেশ হয়ে আসো । আমি তোমার জন্য নাস্তা দিচ্ছি ।
- আচ্ছা, নাস্তায় আজকে কি আছে ? টেবিল ভর্তি খাবার ?
- কি আমার বড়লোক গো, যে টেবিলভর্তি খাবার চোখে দেখবে জীবনে !! দুইটা রুটি আর সামান্য আলুভাজি সাথে একটি ডিম ভাজি । আপাতত এটা নিয়েই খুশি থাকো ।
- না, তোমার কি এই জীবনে কোনদিনও একটু রোমান্টিক হতে ইচ্ছা করে না ?
- করে, তবে সেটা তুমি অফিসে চলে যাওয়ার পর ।
- তার মানে ?
- তোমার সামনে রোমান্টিক হতে আমার কেমন জানি লজ্জা করে !!
- ওহ, এই না ম্যাডাম বললেন, বিয়ের পনেরো বছর পেড়িয়ে গেছে । তিন তিনটা সন্তান ঘরে চলেও এসেছে, আর এখনও আমার কাছে লজ্জা । হায়, সৃষ্টিকর্তা, এই জীবন আমি কেন রাখবো, একটু বলে দাও ।
- এই যে !! আবার নাটক শুরু হলো জনাবের । আচ্ছা তুমি যাবা ?? আমি কিন্তু নাস্তা বানাবো না কিন্তু......
- এই না, না, আমি যাচ্ছি । তুমি যাও রান্নাঘরে আর আমি যাই টয়লেটে ।
- ঠিক আছে, যাও, জলদি করে যাও ।
অতঃপর দুজনাই হাসতে হাসতে যে যার উদ্দেশ্যে আলাদা হয়ে গেলো ।
©somewhere in net ltd.