নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
তৃতীয় লিঙ্গ যাকে আমরা খাঁটি বাংলায় বলে থাকি হিজড়া বা হিজলা (আঞ্চলিক ভাষায়), আর ইংরেজিতে Transgender অথবা Third gender অথবা Equal gender । বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে বছর দুই-তিনেক আগে এই তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায় সাংবিধানিকভাবে বৈধতা লাভ করে । অর্থাৎ তারা অন্য দুই লিঙ্গের সম্প্রদায়ের মতই সমাজে সকলের সাথে চলাফেরা, মেলা মেশা, সামাজিকতা, একই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া, একই সাথে হাসপাতাল, পুলিশ স্টেশন, ফায়ার স্টেশন, পার্টি ইত্যাদি জায়গায় যাওয়ার বৈধ অনুমতি লাভ করেছে । কিন্তু বাস্তবে এগুলো সবই কাগজ-কলমে কারণ বাস্তবে এইসব কর্মকাণ্ডে তাদের বৈধ হওয়ার তেমন প্রমাণ বা ভিত্তি নেই ।
এবার আসি, এর মূল কারণে । অর্থাৎ কেন বাস্তবে তাদের বৈধতার প্রমাণ মিলছে না ? কারণ বাংলাদেশে এই তৃতীয় লিঙ্গ প্রমাণ করার কোন নির্দিষ্ট বা উপযুক্ত মেডিকেল টেস্টের উপায় বা ব্যবস্থা নেই । একটা উদাহারন দিলে ব্যাপারটি আরও খোলাসা হবে । সম্প্রতি বাংলাদেশ সামাজিক কল্যাণ ফেডারেশন বা সংগঠন উদ্যোগী হয়ে মোট ১৪ জন তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়কে মাইনর কোটা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়েছিল । কিন্তু পরবর্তীতে প্রমাণ হয় যে এই ১৪ জনের ১২ জনই আসলে পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ নয় । এই ১২ জন ছোটবেলা থেকেই পুরুষ হিসেবেই স্বীকৃতি পেয়েছিল কিন্তু সুবিধাভোগের জন্যই এরা তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে কোটার সুবিধা নিতে চেয়েছিল । এই থেকেই প্রমাণ হয় যে আসলে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায় নিজেরা কতটা অসহায় । এই ব্যাপারে "সম্পর্কের নয়া সেতু (তৃতীয় লিঙ্গের জন্য সংগঠন)" এর প্রধান জয়া শিকদার বলেছেন, এই ব্যাপারে শুধুমাত্র মেডিকেল টেস্ট নয় আরও সরকারী ব্যবস্থা বা গুরুত্ব বাড়ানো উচিৎ । তিনি এই ক্ষেত্রে এই মেডিকেল টেস্টের সাথে সাথে একজন বয়োজ্যৈষ্ঠ তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে নিয়ে কমিটি করার পরামর্শ দিয়েছেন, যদি সত্যি সত্যি সরকারী ভাবে তাদেরকে নিয়ে কিছু ভাবা হয়ে থাকে । তবে আদতে এর কোন প্রমাণ মেলে না । যেমনঃ যেকোন সরকারী প্রতিষ্ঠানেই তারা তাদের পর্যাপ্ত সম্মানটুকু পায় না, এমনকি তাদের সাথে ভালো করে কথাও বলা হয় না । ব্যাপারগুলো অনেকটাই স্বাভাবিক কারণ সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এই তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায় এদেশে অত্যন্ত নির্যাতিত ও নিপীড়িত । এমনকি ব্রিটিশ আমলে তো এই তৃতীয় লিংগ সম্প্রদায়কে "অপরাধী"-ও বলা হতো ।
যাই হোক, উপরের ছবি তিনটি খেয়াল করে দেখুন । প্রথম ছবিতে একজন সামাজিকভাবে অন্যদের সাথে হলি উৎসব (সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম আনন্দ উৎসব) পালন করছে, দ্বিতীয় ছবিতে মাথায় ঘোমটা পড়া এই তৃতীয় লিংগ মানুষটির নাম এমেলিয়া, সে স্বপ্ন দেখছে প্রথম বাংলাদেশী এবং একজন তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে মিস ওয়ার্ল্ড হয়ে সে বাংলাদেশের নাম উঁচু করবে এবং তৃতীয় ছবিতে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে হাস্যজ্জৌল ভঙ্গিতে দেখা আচ্ছে । হ্যাঁ, এখন তারাও বাংলাদেশের স্বাধীন ও স্বীকৃত নাগরিক । আমার ব্যক্তিগত অভিমত, তাদের জন্য সরকারীভাবেই বিশেষ উদ্যোগ নেয়া গেলে, তারা অন্যদেরকে ভোগান্তি করা থেকে বিরত থাকবে ।
তথ্য সূত্রঃ ৪ই ডিসেম্বর, ২০১৫ এর DAILY STAR পত্রিকা ।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৫
রানার ব্লগ বলেছেন: রাষ্ট্রে বিভিন্ন কারনে সক্ষমতা থাকতে নাও পারে , কিন্তু হিজড়রা বৈধ নয় এটা কে বল্ল আপনাকে। আমরা ব্যর্থ তাদের পুনর্বাসন করতে এটা আমাদের ব্যর্থতা তাই বলে আমাদের ব্যর্থতা ও দের ঘারে চাপিয়ে দিয়ে বলতে পারি না ওদের সামাজিক বৈধতা বা স্বীকৃতি নাই। এমন যদি হত তবেত রাস্তার ফকিরা বা পথ শিশুরাও সামাজিক ভাবে বৈধ বা স্বীকৃত না। আদৌ কি তাই।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫
মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: ভাই, শিরোনামেই তো বললাম হিজড়ারা এই দেশে বৈধ । তবে স্বীকৃতি নেই । এর বাইরে যে যাই বলুক না কেন, কতটুকু সত্য সেটা যাচাই করে দেখা উচিৎ ।
ধন্যবাদ, কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য ।
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩১
ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশে আইন অনেক আছে তার প্রয়োগ আর কার্যকরিতা বড়ই কম, নেই বলা চলে। যেমন ট্রাফিক আইন। হিজড়াদের বেলাতেও সেরকমই, আইন আছে তবু ওরা সামাজিকভাবে নিগৃহিত।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭
হোসেন মালিক বলেছেন: ট্রেনে চলতে গেলে এদের জ্বালায় বাচি না
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২২
অপেক্ষায় নাজির বলেছেন: দ্বিতীয় ছবিতে মাথায় ঘোমটা পড়া মেয়েটি, চেনা চেনা লাগছে..