নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।
মেয়েটি বান্ধবীর সাথে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছিল আর হাসতে হাসতে কি যেন বলছিল । ছেলেটি অনেক বছরের সাহস একবারে সঞ্চার করে মেয়েটির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো । হাতে একটি গোলাপ ফুল, খুব তাজা গোলাপ, এইমাত্র ফুলের দোকান থেকে কিনে এনেছে, তাও আবার এনেছে হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়াতে দৌড়াতে । যে করেই হোক, তাকে আজ বলতেই হবে । ছেলেটির দাঁড়ানোর ভঙ্গি দেখে মেয়েটি আর মেয়েটির বান্ধবী আবারও হেসে দিলো, আর ছেলেটি মনে মনে ভাবলো হয়তো মেয়েটিই তাকে পজিটিভ ইশারা করছে । ছেলেটি তাই আর এক মুহূর্তও অপেক্ষা করলো না । মেয়েটির দিকে ফুলটি বাড়িয়ে বলেই দিলো -
- আই লাভ ইউ ।
মেয়েটি ছেলেটির দিকে তাকালো আবার । তার দৃষ্টির মধ্যে রাগ নেই, ভালোবাসা নেই, করুণা নেই, কষ্ট নেই, সুখ নেই, ব্যাথা নেই, কোন কিছু বলার ইচ্ছা নেই । এক কথায় বলা চলে ভাবলেশহীন দৃষ্টি । তাও কি মনে করে যেন মেয়েটিও বলে উঠলো,
- তো ?
- (ছেলেটির সাহস যেন আরও বেড়ে গেছে) তো মানে ?
- আই লাভ ইউ তো কি ?
- না, মানে, আমি তোমাকে ভালোবাসি । অনেক অনেক ভালোবাসি । তোমার কি কিছুই বলার নেই ? হয় বলো, আই ডোন্ট লাভ ইউ অথবা বলো, আই লাভ ইউ ঠু ।
- যদি দুটোর একটাও না বলি ?
- মানে কি ?
- মানে কিছুই না । ঘোড়ার ডিম ।
- ঘোড়ার ডিম !!!!! বুঝলাম না ।
- বুঝিয়ে বলতে পারবো না ।
- তাহলে তোমার কি কিছুই বলার নেই ?
- না ।
ছেলেটি এবার অসহায়ভাবে মেয়েটির দিকে তাকালো, একটি উত্তর তো তার অনেকদিনের প্রত্যাশা । মেয়েটি তাকে হ্যাঁ বলুক কিংবা না বলুক, উভয়ক্ষেত্রেই সে নির্ঘাত পাগল হয়ে যাবে । আচ্ছা, মেয়েগুলো এমন কেন ? এদের পেয়ে গেলেও ভয় হয় আবার হারালেও ভয় হয় । ছেলেটি একনাগাড়ে ভেবেই চলেছে মনে মনে । আর ওদিকে মেয়েটির পুরো মনোযোগ যেন এখন শুধুই ফুচকার প্লেটের দিকে । ফুচকা এত মজা হয়েছে যে আরেকবার খাবে কিনা, মেয়েটিও ভেবে চলেছে মনে মনে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ফুচকার সাথে আরও ঝাল আরও টক নিয়ে খাক মেয়েটি।