নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

A learning Advocate!

মেহরাব হাসান খান

আমি H2O,,,,Solid,Liquid & Gas.How do you deserve me?

মেহরাব হাসান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমস্যাপূরণ

১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫০


১...
হাটাহাটি ছাড়া ইদানিং পড়া মুখস্থ হয় না। এমনেও নাফির পড়াশোনায় অত মন নেই। যতটা না পড়ে তার চেয়ে বেশি গান শোনে, সুমির গান। এই মেয়েটা যখন টান দেয়," তুই পাগল তোর মনও পাগল, পাগল পাগল করিস না......
পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না...."
বুকের একপাশে হুহু করে। মনে হয়, লালন সাই বিশেষ করে এই মেয়েটার জন্যই গান লিখেছেন। তিনি জানতেন, একদিন এই মেয়েটা হেরে গলায় তার গান গাইবে।

নাফির পড়াশোনা করা জরুরি। সামনে বার কাউন্সিল পরিক্ষা। এবার আইনজীবী হতে না পারলে আবার কবে পরিক্ষা হবে ঠিক নাই। নাফি যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। লাভ যে খুব বেশি হচ্ছে তা না!ও সকাল বিকাল পড়তে বসে আর তখনি কিন্নর কণ্ঠে গান ভেসে আসে। দারুণ সব গান, কষ্টের গান। মন হুহু করে, চাইলেও মনোযোগ ফেরানো যায় না! গায়িকা তাকে শোনানোর জন্যই হয়তো ওর জানালার সোজাসুজি বসে গান করে....
"বাড়ির পাশে আরশি নগর
সেথা পড়শি বসত করে
এক ঘর পড়শি বসত করে
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে...."

আশ্চর্য! আজকে গানের কথা আর নাফির অবস্থা মিলে গেল। এই গায়িকা আর নাফির বাস কত কাছাকাছি অথচ গায়িকাকে নাফি এখনো দেখেনি।

উত্তরখান মাজার চৌরাস্তা পেড়িয়ে কলেজিয়েট স্কুলের সামনের রাস্তাটা দিয়ে কিছুক্ষণ এগিয়ে গেলেই বাড়িটা দেখা যায়। রঙচটা আকাশী-নীল বাড়িটার চার তলায় নাফিরা থাকে। ওদের ঠিক উপরেই ছাদ। প্রায় প্রতিদিন ছাদ থেকে গান ভেসে আসে, সব এলোমেলো করে দেয়! তবুও এই গায়িকার সাথে দেখা হয়নি!

অবশ্য দেখা না হওয়ারই কথা।ঢাকা শহরে প্রতিটি ফ্ল্যাটের মানুষজন একা থাকতে পছন্দ করে।ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করে দিলেই তারা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন! আর মেয়েটি ছাদে গান করে। প্রতিটি বাসার ছাদ তালা দেয়া থাকে, ভাড়াটিয়াদের ছাদে যাওয়ার অনুমতি কই? অবশ্য বাড়িওয়ালা বা ওদের আত্মীয় স্বজন মাঝেমধ্যে ছাদে যায়! আর আপনি যদি হন যুবক ভাড়াটিয়া, আপনার ছাদে যাওয়া বা যেতে চাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

২...
"দণ্ডবিধি ১৮৬০, ৫০৯ ধারা মোতাবেক কেউ যদি কোন মেয়ের শালীনতা নষ্ট করে বা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে কিছু বলে, কোন অঙ্গভঙ্গি করে বা কোন বস্তু প্রদর্শন করে তবে তার শাস্তি হবে অনধিক ১ বছর জেল, বা জরিমানা, বা উভয়ই।
এই ধারায় ইভটিজিং শাস্তিযোগ্য।"
নাফি বেশ শব্দ করেই এই ধারাটা অনেকক্ষণ ধরে মুখস্থ করার চেষ্টা করছে।
ওর মনোযোগ নষ্ট করলো কিন্নর কণ্ঠী, বেশ সুর করেই টান দিলো,
"আমি যারে বাসি ভালো
সে কিগো তা জানে?
জানলে পরে এমন করে ব্যাথা
দিতো না আর প্রাণে...."
গিটারের টুংটাং চলছেই। নাফি আর থাকতে না পেরে দরজা খুলে বেড়িয়ে গেল। ছাদে উঠতে লাগলো নিঃশব্দে।

নাফি ছাদের দরজার পাশে। গেটের লোহার শিক গলে হুসহুস শব্দে বাতাস আসছে, গেট একবার বন্ধ হচ্ছে একবার খুলছে। বাতাসে সুগন্ধ, রয়্যাল মিরাস পারফিউম!
নাফি গেট ঠেলে ভেতরে ঢুকে গেল।

আকাশে রূপালী চাঁদের আলো মেয়েটার গায়ে পরেছে, মেয়েটির সাদা শাড়ি থেকে আলো ঠিকরে বেড়িয়ে আসছে। মেয়েটি ইট দিয়ে বসার জায়গা করেছে, নাফি ওর পিঠ দেখতে পাচ্ছে আর দেখতে পাচ্ছে কোকড়ানো খোলা চুল।? বাতাসে চুল এলোমেলো উড়ছে, মেয়েটি গিটার বাজিয়ে গান করেই যাচ্ছে; যেন দুনিয়ায় ও, ওর গিটার আর গান ছাড়া আর কিছুই নেই!

নাফি কি বলবে ভেবে পায় না।
"এই যে শুনুন, আপনার গানের গলা দারুণ। কিন্তু আপনি শুধু কষ্টের গান করেন কেন? আমার অস্থির অস্থির লাগে, পড়ায় মনোযোগ দিতে পারিনা। আপনি আনন্দের গান করতে পারেন না?"
পরের ঘটনা দ্রুত ঘটে গেল।
মেয়েটি চট করে উঠে তাড়াহুড়ো করে বেড়িয়ে গেল।এত দ্রুত গেল যে গিটারটা ফেলেই চলে গেল।

এখন চারপাশ একদম শান্ত। মেয়েটির গান বিহীন চাঁদটাকেও কুৎসিত লাগছে। নাফি ঘড়ি দেখলো।
রাত বারোটা। লম্বভাবে আলো দিচ্ছে চাঁদটা। এজন্যই হয়তো মেয়েটির ছায়া পরেনি।
আশ্চর্য! ভরা চাঁদের আলোতেও মেয়েটির মুখ দেখা যায়নি। যেমন কালো হলে আমরা মেয়েদের আহ্লাদ করে শ্যামলা বলি, মেয়েটা তার চেয়েও কালো!

৩...
তারপরের কয়েকটি দিন অত্যন্ত দুর্বিসহ। নাফি কিছুই পড়তে পারে না। অথচ এমন হবার কথা না।মেয়েটির গান নেই, পড়ায় মনোযোগ বেশি আসার কথা।
নাফির সারাদিন কিছুই ভালো লাগে না। গিটারের দিকে তাকালে আরও অস্থির লাগে। একবার ভাবে গিয়ে খোজ নিয়ে আসে, আবার ভাবে যদি মেয়েটি সেদিনের মত রি-এক্ট করে বসে!

নাফির মা নাজমা বেগম ছেলের মতিগতি ঠিক বুঝতে পারেন না। ছেলের হয়েছে কি?
নাওয়া-খাওয়া নেই, সারাদিন কি একটা গিটার জড়িয়ে বসে থাকে। এই ছেলে এখন চাকরির পড়া পড়বে তা না, গিটার নিয়ে পরে থাকে। তাও যদি বাজাতে পারতো। উনি চিন্তিত হন, ছেলেকে কিছু বলেন না।

মেয়েটির সাথে আবার দেখা হল। ঠিক দেখা হল না, নাফি দেখা করলো। মেঘলা আকাশটা দেখতে নাফি বারান্দায় দাঁড়িয়েছে, নিচে তাকিয়ে দেখলো মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে।
নাফি তাড়াতাড়ি নিচে নামলো। ও নিচে নামতেই শুরু হল ঝুম বৃষ্টি।
নাফি কিছু বললো না। ভাবলো মেয়েটিই বলুক। কত কথাইতো বলতে পারে, গিটারের কথা, সেদিম হুট করে ছাদে যাওয়ার কথা, আনন্দের গান করার কথা!

মেয়েটি কিছুই বললো না। ঝুম বৃষ্টিতে রিকশার হুড না তুলে ভিজতে ভিজতে চলে গেল।
মেয়েটি দেখতে ভালো, একটা প্রবাদ আছে না 'নদীর পানি ঘোলা ভালো, জাতের মেয়ে কালোও ভালো'।
মেয়েটি দেখতে অবিকল তাম্রলিপি'র স্টলে মন খারাপ করে থাকা কালো মেয়েটির মত।
বইমেলায় যাকে নাফি জিজ্ঞেস করেছিল," আপনার মন খারাপ?"
মেয়েটি আরও মন খারাপ করে উত্তর দিয়েছিল,"কই নাতো!"

৪...
নাফি বোবার বিরিয়ানি খেতে গিয়েছিল। ওর কাছে ভালো লাগেনি। মানুষজন কেন এটাকে নিয়ে হইচই করে? একজন লোক বারবার লুঙ্গি উঁচিয়ে উরু চুলকাচ্ছে আর ঐহাত দিয়ে কাবাব গোল করছে। এটা দেখার পর খাবার ভালো লাগার কথাও না!
ওর বন্ধুরা সবাই মজা করেই খেল, ও খেতে পারলো না।

মুহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের গলি থেকে বেড়িয়ে প্রথমেই যে ফার্মেসিটা পরে, সেখানে দাঁড়িয়ে আছে সে মেয়েটা!
আগের মতই শাড়ি পরা। নীল শাড়ি, চুল আগের মতই খোলা, হাত ভরা চুরি। চুরিগুলো ঝিলমিল করছে।
মেয়েটা পরের ফার্মেসিতেও গেল।এই ফার্মেসি পেড়িয়ে পরেরটাতেও গেল। আশ্চর্য! মেয়েটি পুরো রাস্তাটা হেটে গেল, আর প্রতিটি ফার্মেসিতেই দাড়ালো। নাফি প্রথমে ভেবেছিল কোন ওষুধ খুজে পাচ্ছে না। তাই বলে প্রতিটি ফার্মেসিতে খুজতে হবে।উত্তরার লাজ ফার্মায় গেলেই তক যে কোন ওষুধ পাওয়া যায়! আর আমাদের মাজারে ব্রাদার্স মেডিসিন'এ সব ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। মেয়েটা এমন করলো কেন? নাফির কৌতুহলের শেষ নেই!

কৌতুহল মিটাতেই হোক আর আকর্ষণ থেকেই হোক, নাফি মেয়েটার পিছু নিল।

মেয়েটি কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে বাস থেকে নেমে গেল। যাত্রী ছাউনিতে বসে একটা একটা করে অনেকগুলো ওষুধ খুলে মুখে পুড়ে দিল। কি ওষুধ ওগুলো?
মেয়েটির বাস থেকে নামার কথা উত্তরা, আজমপুর। এখানে নেমে গেল কেন? হাসপাতালে কেউ থাকলে তো ওখানেই যেত, যাত্রী ছাউনিতে বসে থাকতো না। নাফির অস্থির লাগে!

পাঁচ মিনিট, দশ মিনিট করে বেশ সময় কেটে গেল। নাফি উত্তেজনা ধরে রাখতে পার না, ওর খিদেও লেগেছে খুব!
মেয়েটি ফুটওভার ব্রিজ পাড় হয়ে ধিরে ধিরে রেল স্টেশনের দিকে হেটে যায়। নাফি ওষুধের খোসা দেখে আসে, প্রতিটি ওষুধই এক! ট্রিপটিন ১০ মিলি। ঘুমের ওষুধ!

মেয়েটি একবারও পিছনে তাকায় না! তাকিয়ে নাফিকে দেখলে নিশ্চয়ই রেগে যাবে!

রেল স্টেশন একদম ফাঁকা। দু'চারটা ক্লান্ত কুকুর গুটিয়ে ঘুমোচ্ছে। দু'একটা লাইটে মৃদু আলো জ্বলছে; বাকিগুলো এই জ্বলছে এই নিভছে যেন ডিসকো লাইট! এরই মাঝে মেয়েটি রেল লাইন ধরে হেঁটে যায়। নীল শাড়ি, খোলা চুল, এই হালকা আলোতেও ঝিলমিল করছে হাতের রেশমি চুড়ি!যে কেউ দেখলে নীল পরী ভাববে।
কিছুদূর হেঁটে গিয়েই সে বসে পরে। ঘুমের ওষুধ কাজ কর‍তে শুরু করেছে!

৫...
"আপনি বাসায় যাবেন না?"
মেয়েটি চমকে গেলেও সামলে নিল।
"না, আর যাবো না।আপনি আমার পিছু নিয়েছেন!"
" আপনি এদিকে আসছেন দেখে পিছু নিলাম।আমিতো আপনাকে চিনি। এমন নির্জন এলাকায় একা আসছেন দেখে...! জানেন তো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীটাকে এদিকেই....!"
"ধর্ষককে আমি ভয় পাই না।আপনি চলে যান, আমাকে একা ছেড়ে দিন।"
এরপর দুজনেই চুপ করে যায়। কেউ কোন কথা বলে না। মেয়েটি ঘুমে ঢুলুঢুলু!

নাফি ওকে ধাক্কা দিয়ে নীরবতা ভাঙে।
"চলুন, বাসায় চলুন। আপনার গিটারটা ফেরত নিবেন।"
"ফেরত দিতে হবে না। ওটা আপনাকে দিয়ে দিলাম।"
আবার নীরবতা, নাফি কোন কথা খুজে পায় না।এই মেয়েটাকে অচেনা লাগে। আসলে অচেনাই তো, ও মেয়েটির নামও জানে না!

"আপনি মরতে চাচ্ছেন কেন?"
হুটহাট প্রশ্নে মেয়েটি চমকে যায়।
"জেনে কি করবেন?আমার মরে যাওয়াই ভালো।"
"মরেইতো যাচ্ছেন, আমাকে বলে যান। আপনি মরে যাবার পরে আমিইতো ফেঁসে যাবো।আপনার গিটার আমার কাছে, সবাই ভাববে...."
"কে কি ভাববে এই জন্যই মরে যাবো। আপনি চলে যান, আপনি খুব বিরক্ত করছেন! আমি চিৎকার করবো। এটা কিন্তু ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, আর্মি ছুটে আসবে।"
"ঠিক আছে, তাই করুন।"
মেয়েটি চুপ করে যায়। রেল লাইনের পাথর ছুড়তে থাকে দিগবিদিক।

নাফি মেয়েটির কাধে হাত রাখে, বলে,"কেন এমন করছেন!বাসায় চলুন।"
সাহস করে এলেমেলো চুলগুলো কানে গুজে দেয়।
"আমার আর বাসায় যাবার মুখ নেই। বেঁচে থাকার সাহস নেই। ও আমাকে বিয়ে করবে না। আমাকে বলেছে বাচ্চাটা নষ্ট করে দিতে, গত তিন মাস নিজের সাথে এই নিয়ে যুদ্ধ করছি! বাচ্চাটাকে মেরে ফেলার চিন্তা করলেই অপরাধবোধ আঁকড়ে ধরে। আমি চাই বাচ্চাটা বেঁচে থাকুক, ও চায়না! ও আমাকে বিয়ে করবে না, আমি হিন্দু, ওর পরিবার মেনে নিবে না। অবিবাহিতা মেয়ের বাচ্চা হলে, মেয়েটির, মেয়েটির পরিবারের কি অবস্থা হবে! এই ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমিই মরে যাবো!"

"আমাকে বিয়ে করবেন?"
মেয়েটি একদৃষ্টে নাফির দিকে তাকিয়ে থাকে।

নাফি মেয়েটির হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে রেল লাইন ধরে। মেয়েটি ঠিক হাঁটতে পারছে না, ঘুমে তলিয়ে যাচ্ছে হয়তো। নাফি শক্ত হাতে মেয়েটিকে জড়িয়ে রাখে।
মেয়েটির সাথে নাফিকে একদম মানায়নি। একটা নীল পরীর সাথে ত্যানত্যানা সাদা গেঞ্জি পরা নাফিকে মানাবে কেন!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৬

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার গল্প।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৩

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ। সবচেয়ে অনেক সময় নিয়ে লিখা। কিছুতেই শেষ হতে চায় না। পরে দিলাম, এলেমেলোভাবে শেষ করে।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দারুণ লেখা ,বেশ ভালো লাগলো

১৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৬

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ। দোয়া করবেন যাতে লিখতে পারি।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার লেখা বরাবরই ভালো লাগে।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৩

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আপমাদের জন্যই টিকে যাবো আরও কিছুদিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.