নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শানু চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তার মনে হচ্ছে অনন্তকাল ধরে দাঁড়িয়ে আছে। মানিক কাপ হাতে নিলো। শানু চলে যাবে কিনা বুঝতে পারছে না।মানিক পিরিচ নেয়নি, এরমানে শানুর যাওয়া চলবে না।সে গল্প করবে।
"শানু, আসলে দেশে একটা পেপার থাকা উচিত যেখানে কেবল ভালো খবর থাকবে।এই পেপার কেনা সবার জন্য বাধ্যতামূলক।তুমি কি বলো?"
"আপনার যা মনে হয় তাই।" সে মনে মনে বললো, তাতে তোর কি আসে যায়!তুইতো আগে ধর্ষণের খবর, পরে বিনোদনের পাতা পড়েই পেপার রেখে দিস। মেয়েদের মনে অনেক কথাই আসে, সব বলা যায় না।
শানু দুলা ভাইয়ের সাথে কখনো খারাপ আচরণ করে না। কারণ এখানেই তাকে থাকতে হবে, কোনভাবেই বড় দুলা ভাইয়ের বাসায় থাকা যাবে না। বড় দুলাভাই অনেক অনেক উপহার আনে। বড় আপা ওগুলো দেখে আহ্লাদে গদগদ হয়। শানুর রাগ হয়, বিনু কিছুই বুঝতে পারে না। মানুষ এত সহজ সরল হয়?
সে ভেবেছে, একদিন বিনু আপাকে বলে দিবে বড় দুলাভাই রাতে ওকে জ্বালায়। তাই ও রাহাতের ঘরের মেঝেতে ঘুমায়।রাহাত বেশ অবাক হয়, দুইটা রুম খালি পরে থাকে।খালামনি তবু ওর রুমের মেঝেতে ঘুমায়। রাহাত বিরাট অস্বস্তিতে থাকে, ১২-১৫ বছর সময়টা সবার জন্যই অস্বস্তিকর।
ছোটবেলায় গ্রামে একটা প্রবাদ শুনেছি।নিপাট সন্ধ্যায় শাকচুন্নি লম্বা চুল ছড়িয়ে বেড়াতে বের হয়। খিলখিলিয়ে হাসে আর বন, বাশ বন, মাঠের এমাথা থেকে ওমাথা দৌড়ে বেড়ায়।তখন যদি ওর একটা চুল ছিড়ে বোতলে ভরে ফেলা যায়, শাকচুন্নি চির জীবনের জন্য দাসী হয়ে থাকবে। সব কাজ করে দিবে, কোন বাকবিতণ্ডা করবে না। তবে ইনিয়েবিনিয়ে কেঁদে নিজের চুল ফেরত চাইবে।চুল ফেরত দিলেই সর্বনাশ!ঘাড় মটকে পালাবে।
শানুর দুই দুলাভাই বিনু, রানুর চুল কোনভাবে বোতলে বন্দি করেছে। ওদের আর মুক্তি নেই।
বিনু বলে,"হ্যারে শানু, তোর দুলাভাই তোকে এত আদর করে।তাও তুই আমাদের সাথে থাকতে চাস না কেন? বেচারা তোর কথা প্যাচাল পারে।তোকে ছোট বোনের মত দেখে।"
"হ্যা, আপা।ছোটবোনের মত সব দেখতে চায়।"
বিনু কিছুই বুঝতে পারে না। আরও আবেগি হয়ে বলে,"আমি জানি।আর তুই আমাদের সাথে থাকিস না।কেন বলতো?"
বিনুর বাসায় শানুকে সবসময় তটস্থ থাকতে হয়, কখন রাহাত বাসায় নেই, কখন বিনু ঘুমাচ্ছে, তখনি বড় দুলাভাই সুযোগ খুজবে।শরীরে এখানে সেখানে হাত দিবে। আপা কিছুতেই এগুলো বিশ্বাস করবে না!
এরচেয়ে ছোট দুলাভাই অনেক ভালো। তার দিকে তাকিয়েও দেখে না। তাই বলে সে মহাপুরুষ, তা নয়।
আগে শানু তাই ভাবতো। পরে খেয়াল করেছে, ছোট দুলাভাই পাশের ফ্ল্যাটের ছোট ছেলেদের সাথে খাতির করেছে।ওদের নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকে।শানু অনেক চেষ্টা করেছে কি করে দেখার, কিছুই দেখার উপায় নেই। বন্ধ ঘর আর অন্ধকারে কি ভালো কাজ হয়?
রানুও এটা বিশ্বাস করবে না। কি করে করবে? ওর চুল মানিক আগেই বোতলে ভরে রেখেছে।
কাল রাতে যে ঘটনা ঘটেছে, এরপরেও রানু মানিকের হয়েই কথা বলেছে। বলেছে,"পুরুষ মানুষের রাগ থাকবেই।যত রাগ তত ভালো মানুষ।রাগ ছাড়া পুরুষ ঢোরা সাপের মত, কোন কাজের না।"
গত রাতে ২ টার দিকে শানুর ঘুম ভেঙে গেল মানিকের চেচামেচিতে।
"দাঁড়া তোর ব্যবস্থা করছি। রাস্তার মোড় থেকে মস্তান ছেলেগুলারে ডেকে আনি, ওরা তোকে শান্ত করবে।"
"তুমি এগুলা কি বলো!"
"আমি সত্যি কথাই বলি।তুই এখন আমার বাসা থেকে বের হয়ে যা, আমার কিছুই নিয়ে যাবি না।নেংটা হয়ে বেড়িয়ে যা, নইলে আমি গেলাম ছেলেগুলারে ডেকে আনি।"
রানু কোন উচ্চবাচ্য না করেই বিবস্ত্র অবস্থায় বেড়িয়ে গেল!
শানু একটু পরই তাকে খুজতে গেল।পাশের বাসায় রানু যাবে না। আজ আন্টি বাসায় নেই। তবু শানু ওদের বাসায় আগে খোজ নিলো। দরজা খুলে দিলো আবিদ।
"আপনাদের বাসায় রানু আপা এসেছে?"
"না, আমাদের বাসায় আসেনি। তবে একজন বিবসনা রূপবতী তরূণীকে মন্দিরের দিকে যেতে দেখেছি। সে নিশ্চয়ই রানু আপা না।"
"আপনি আপাকে ডেকে ঘরে আনলেন না কেন?"
"তুমিই ভেবে দেখ, আমি রানু আপাকে ডাক দিলে তার কেমন লাগতো!"
শানু আর কথা না বাড়িয়ে মন্দিরের দিকে চলে গেল।
আবিদের সাথে শানু বেশি কথা বলতে পারে না। কথা জড়িয়ে যায়, হাত-পা কাঁপে, ঠান্ডা হয়ে যায়। অথচ প্রতি রাতেই শানু স্বপ্নে দেখে, ওদের একটা মেয়ে হয়েছে। নাম আশা, আবিদের "আ" শানুর "শা" মিলিয়ে "আশা"। শানু রান্না করে, আবিদ দাঁড়িয়ে থাকে। রাতে ওরা বারান্দায় বসে চা খায়, আশা আবিদের কোলে ঘুমিয়ে পড়ে। লোকটাকে শানু প্রতিদিন দেখে, তবুও অস্বস্তি কাটে না। এমন কেন হয়?
হুমায়ুন আহমেদ এই লক্ষণ দেখে বলতেন, শানু, তুমি আবিদের প্রেমে পড়েছ!
শানু রানু আপাকে মন্দিরে না পেয়ে বাসায় ফিরে এল।
রানু দেবী দূর্গার পিছনে লুকিয়ে আছে। মন্দিরে পায়ের শব্দ শুনেই হয়তো নড়ে উঠলো। ওর সাথেই নড়ে উঠলো দেবীদূর্গা!
পুরুত মশাই কাঁপছেন!হাতের অর্চনার থালা পরে গেল। দেবী জাগ্রত, দেবীর গায়ে কাপড় নেই। দেবী পুরনো কাপড় খুলে ফেলেছেন। পুরুত স্পষ্ট শুনতে পেল, দেবী কিছু বলছে।
পুরুত নিজের পাপের ক্ষমা চাইলেন।তিনি দেবীকে পুরনো কাপড় পরিয়েছিলেন।
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন,"যে ঈশ্বর ক্ষুধার্ত মামুষকে খাবার দিতে পারে না, সে ঈশ্বর আমাদের স্বর্গসুখ দিতে পারবেন; আমার বিশ্বাস হয় না।"
তিনি এই ক্ষুদ্র ঘটনাটা জানলে খুশি হতেন। দেবী একজন মেয়ের লজ্জা নিবারণ করেছেন, এই কম কি!
রানু আবিদের জন্য সকালের নাস্তা তৈরি করছে। কোনো সংকোচ নেই, যেন নিজের বাসা। কে বলবে এই মেয়েটাকে কাল তার স্বামী তালাক দিয়েছে, বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। রানু আবিদকে শুনিয়ে শুনিয়ে কথা বলছে," ভাইয়া,আসলে কি তোমার ভাইয়ের একটু রাগ বেশি।তবে মানুষ ভালো। নইলে কি আর স্ত্রীর সাথে শালিকা লালনপালন করে! স্ত্রীর সাথে শালি ফ্রি!হাহা.....
দেখবে সন্ধ্যার আগেই আমাকে নিতে আসবে। মানুষটার বিরাট মায়া। কালকে হঠাৎ করে শানুর উপর রেগে গেল, কেন শানু ভালো করে পড়াশোনা করে না? পড়াশোনা না করলে চাকরি হবে? ভালো বিয়ে হবে? তুমি বল!"
আবিদ জানে, শানু অনেক পড়াশোনা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্স্ট হয়।শানু অসম্ভব রূপবতী, ওর মত মেয়েরা পাশ করেলেই চাকরি হয়ে যায়।
তবে প্রেম বিয়ের কথা আলাদা।সবাই ভাবে সে রূপবতী; নিশ্চয়ই প্রেমিক আছে, পাত্রেরও অভাব হবার কথা না। এজন্য প্রেম এদের প্রেম করা হয়না! বিয়েটাও তাড়াতাড়ি হয় না।
আবিদের ইচ্ছে করছে, রানু আপাকে কথাটা বলেই দেয়। অবশ্য আপা খুব লজ্জা পাবে।
আবিদের খুব ইচ্ছে করে শানুকে বলে, কিছু মানুষের মেরুদণ্ড থাকে না।মাথায় গু ভরা থাকে, কিন্তু দাম চিংড়ি মাছের মত অনেক বেশি।
এরা কাউকে নিজের কষ্টের কথা বলতে পারে না।এদের পাশের অনেক লোক থাকে এদের সহমর্মি হতে চায়।
বলা হয় না। শানু খুব লজ্জা পাবে। রূপবতীদের লজ্জা দিতে নেই, অভিশাপ লাগে। রূপের অভিশাপ!
মানিক রাতের খাবার খাচ্ছে। শানু পাশেই দাঁড়িয়ে।
"শানু, তোমার আপাকে বলবে রাগের মাথায় তালাক দিলে তালাক হয় না। সে চাইলে ফিরে আসতে পারে। তবে একটা শর্ত আছে, তাকে নগ্ন অবস্থায় ১০০ বার কান ধরে ওঠবস করে, নিজের থুতু মেঝেতে ফেলে চেটে খেয়ে ফেললেই হবে।আমি সব ভুলে যাবো। যদি সে ফিরে আসতে না চায়, সমস্যা নাই। তুমি আমার সাথেই থাকবে। আমি তোমাকে ভালো পাত্র দেখে বিয়ে দেব,এটা আমার দায়িত্ব।
তোমার আপাকে বলবে, নটিগিরি যাতে আমার চোখের সামনে না করে। অন্যকোথাও চলে যায়, নাজমা বোর্ডিংএ যেতে পারে। ওখানে খদ্দের অনেক; ও সুন্দরী, টাকার অভাব হবে না। ওতো একদিনেই আবিদ ছেলেটাকে পটিয়ে ফেলছে!"
শানু কিছু বললো না।ও জানে, আপাকে অন্যকোথাও যেতে হবে না। আপা শুনেই দৌড়ে আসবে, সে যেকোনো শর্তে রাজি। আপার চুল আগেই দুলাভাই বোতলে ভরে রেখেছে।
আপার জন্য শানুর খারাপ লাগছে। ও মন ভালো রাখার চেষ্টা করছে, একটু পর ওর চাকরির ইন্টারভিউ । পরিক্ষার আগে মন ভালো রাখতে হয়।
ঝকঝকে রুম, দেয়ালে মাত্র একটা ছবি। খুব সাধারণ ছবি, খালের দুপাশে ঘন সবুজ ঘাস আর দু'একটা বাড়ি। খালই হবে, নদীর এত কাছে বাড়ি থাকে না, নদীর পাড়ে থাকে কাশফুলের বন।পানিতে ঘাস, বাড়ির ছায়া পড়েছে। মাঝখানে একটা নৌকা চলছে, লাল-নীল-হলুদ-সবুজ রঙের পাল তোলা নৌকা। শানু একদৃষ্টে অনেকক্ষণ তাকিয়ে আছে, মনে হচ্ছে নৌকাটা চলছে। আকশের পাখিগুলো উড়ছে!একেবারে জীবন্ত ছবি।
রাত আটটায় ওর ডাক পরলো। ইন্টারভিউ নেবার মত কেউ নেই।ভদ্রলোক একাই বসে আছেন। ছাই রঙের কোট, ক্যাটকেটে লাল রঙের টাই পরেছেন। চুল সুন্দর করে কাটা। থুতনিতে ছাগলের মত দাড়ি না থাকলে তাকে আন্দালিব রহমান পার্থ বলে চালিয়ে দেয়া যেত।
ইইন্টারভিউ দিতে এসেছে শানু, সে ঘামছে না। ভদ্রলোক খুব ঘামছেন।তার সামনে অতিরূপবতী এক তরুণী বসে আছে। সে ভেবেছিল, খারাপ চেহারার কেউ আসবে। দেখা যায়, খারাপ চেহারা, পড়াশোনায় ভালো না,মেয়েরা চাকরি পায়না, বিয়ে হয় না। তারা যেকোনো মূল্যে চাকরি চায়।তাদের ইচ্ছেমতো কাজে লাগানো যায়। এই মেয়ের কেন চাকরি দরকার? তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, এরপর থেকে সিভি'র সাথে ছবি চাইবেন।
এই সুন্দরীদের সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলা যায় না, তিনি বললেন,"তুমি বাড়তি পেইজে লিখেছ, তোমার যেকোনো মূল্যে চাকরি চাই। এর জন্য তুমি সব করতে পারও।তুমি কি কি করতে পারবে?"
তিনি সরু চোখে তাকিয়ে রইলেন। শানু কিছুই বললো না।
তিনি শানুর চুল স্পর্শ করলেন। শানু আগের মতই শান্ত।
শানু চাকরিটা পেয়েছে, তাকে দুই মাসের অগ্রীম বেতন দেয়া হয়েছে।
শানু, রানু বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সাথে কিছুই নেই। বিনু আসতে চেয়েছিল। আসতে পারেনি, রাহাতের জেএসসি পরিক্ষা চলছে। আর বড় দুলাভাইয়ের গায়ে একটু জ্বরজ্বর!
রানু একবার মিনমিন করে বলেছে, সে মানিকের দেয়া শর্তে রাজি। কি হবে, স্বামীর সামনে লজ্জার কি আছে। কিন্তু শানুকে জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না৷ মেয়েটা হুট করে বদলে গেছে।চেনাই যাচ্ছে না। রানু বিয়ের শাড়িটা নিয়ে এসেছিল, শানু সেটাও নিতে দিলো না।
রানু, শানু দাড়িয়ে আছে। একটা রিকশাও খালি নেই। রিকশা দিয়ে আজমপুর গিয়ে ওখানে থেকে বাসে বনানী যাওয়া যাবে। হেটেই বাজারে যাওয়া যায়। শানুর পা ভারী হয়ে আছে, ভীষণ ভারী।
একটু দূরেই আবিদ দাঁড়িয়ে আছে, হাতে রক্ত জবা। আবিদের পা-ও ভারী, ও এগিয়ে এদের কাছে আসতে পারছে না। দূর থেকেই দুবোনকে দেখছে। এদের দেখতে "ফ্রোজেন" মুভির প্রিন্সেস এনা,এলছার মত লাগছে।
শানু এগিয়ে এল।
"কেন পিছন পিছন আসছেন বলুনতো।"
"তোমাদের এগিয়ে দেই।"
"আমাদের এগিয়ে দেবার কিছু নেই।আমাদের সাথে ব্যাগ নেই যে, এগিয়ে দেবেন।আর আমরা একাই যেতে পারবো।"
আবিদ রক্ত-জবাগুলো বাড়িয়ে দিয়ে বললো,"আমি তোমাকে ভালোবাসি, শানু।আমাকে বিয়ে করবে?"
একটু দূরেই দাঁড়িয়ে আছেন আবিদের মা। আবিদ, শানু কেউ দেখতে পায়নি। ছেলে ভালোবাসার কথা বলতে পেরেছে, সাহসী ছেলে। উনি খুশি হলেন।
"বিয়ের পাত্রী হিসেবে আমি নিচু শ্রেণির। আপনি বাসায় যান, আবিদ ভাই। দেখুন, চাচী তাকিয়ে আছেন।"
আবিদ ঐদিকে না তাকিয়েই বললো,"তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর দাওনি।"
শানু আবিদের দিকে তাকিয়ে আছে। রানু শানুর কাছাকাছি চলে এসেছে। আবিদের মার খুব ইচ্ছে করছে শানু কি বলে তা শুনবেন। সম্ভব না, ছেলে লজ্জা পাবে।
"আবিদ ভাই, আমাকে বিয়ে করা যায় না।আমার শরীর অপবিত্র!"
"শরীর অপবিত্র হয় না। দু'একবার ব্যবহৃত হলেও অপবিত্র হয়। আল্লাহ শরীর ব্যবহারের জন্যই তৈরি করেছেন।"
রানু, শানু চলে যাচ্ছে।শানুর হাতে রক্ত জবা। দুজনের কান্না পাচ্ছে, কেউ কাঁদছে না।পুতুল কাঁদতে পারে না। উনি পুতুল তৈরি করেছেন খেলার জন্য।পুতুলকে আদর করা হবে,আবার ছুড়ে ফেলা হবে; এতে পুতুলের কিছু আসে যায় না।
কিন্তু আবিদ কাঁদছে। সে পুতুল না, সে মানুষ। আবিদের মা ছেলের গায়ে হাত রেখে সান্ত্বনা দিতে চাইছেন, পারছেন না। তিনিও পুতুল, পুতুলের আবার ইচ্ছা অনিচ্ছা কি?
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৩
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: অপেক্ষা করছি।
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি খুব ভালো লিখেন অন্তত আমার কাছে খুব ভালো লাগে আপনার লেখাগুলো। আপনি অনেক দেরী করে ব্লগে এসেছেন আরো আগে এলে হয়ত যথার্থ মুল্যায়ন পেতেন। নিয়মিত লেখা চালিয়ে যান।
নিজের লেখার ব্যাপার পুর্ণাঙ্গ মতামত পাবার জন্য ব্লগীয় যোগাযোগ কিন্তু গুরুত্বপুর্ন। আপনাকে তেমন দেখি না কোন আলোচনায় বা অন্য পোস্টে যেতে। এই যোগাযোগ আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৬
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: কেউ ভালো বললে ভালো লাগে।
নিজের প্রথম লিখাটা কোন একটা প্রতিযোগিতায় পাঠিয়েছিলাম, ওদের ভালো লাগেনি। ২য় লিখাটাই ব্লগে প্রকাশ করেছি! সে হিসেবে দেরি হবার কথা না।
এখানে বেশিরভাগ কবিতা লিখেন, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখেন; আমি বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা লিখি। তাই কোন আলোচনায় অতটা যাই না। আর ভয়ও লাগে, ব্লগে সহনশীলতা কতটুকু আমার অত জানা নেই। প্রায়ই দেখি ঝগড়া লেগে যায়।
এইযে আপনি ভালো বললেন, এটাই দারুণ মূল্যায়ন। একজন ভালো বললেও নিজেকে সার্থক মনে করি।
লিখা চালিয়ে যাবার বেশ ইচ্ছে।বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা কত লিখা যায়! মাঝেমধ্যে মাথাভর্তি গল্প থাকে সময় থাকে না, যখন সময় থাকে তখন গল্প আসে না। লেখালেখিটা ঠিক আমার কাছে না, অন্যকেউ কলকাঠি নাড়ে।
আপনার ভালোলাগা ধরে রাখার চেষ্টা করবো।
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫১
ইসিয়াক বলেছেন:
অসাধারণ প্লট।
এখনো আমাদের সমাজে মেয়েদেরকে পুতুল হিসাবে ব্যবহার করা হয়[কিছু ব্যতিক্রম বাদে]।
ভীষণ মানবিক কাহিনী ।এই সমাজের ই চিত্র। রানু শানুর কাহিনী ভালো লেগেছে।
আমার খুব ভালো লেগেছে।
শুভসকাল
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: সমাজের বাইরে সাহিত্য হয় না। সমস্যাটা ঐখানে যে, মেয়েরা এটা মেনে নিয়েছে।
সেদিন চাকরির ইন্টারভিউ দিচ্ছিলাম।আমাদের জিজ্ঞেস করা হল কত বেতন চাই, আমি বললাম কমপক্ষে ২৫ হাজার। আমার পাশের মেয়েটা বললো ১২ হাজার! আমি অবাক, ও আর আমি একই যোগ্যতার!
এই স্বেচ্ছা পুতুলুদের মায়া লাগে।
৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কোন ফাকে এই গল্প গেলো গা
আচ্ছা তাও পাইছি
পড়বো ইনশাআল্লাহ
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হাহা..... চলে যেত পারলো কই? ঠিকই খুজে পেলেন। জানাবেন কত পঁচা হল!
৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০
মা.হাসান বলেছেন: ছবিটা কোথা থেকে তোলা?
আপনার আগের পোস্টের প্রথম লাইন পড়ে আর ভেতরে ঢুকিনি। বেশি কষ্টের কথা পড়তে ইচ্ছে করে না।
শরীর কি এতই ঠুনকো? এত সহজে অপবিত্র হয়?
আপনার পক্ষে কি সম্ভব লেখা গুলো বেশি রাতে পোস্ট না করে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মাঝে পোস্ট করা? রাত দশটা থেকে সকাল দশটা ব্লগে বেশি লোক থাকে না, কিন্তু অন্যান্য পোস্টের কারনে আপনার পোস্ট ভিতরের পাতায় চলে যাবে এবং খুব কম লোকই খুঁজে পড়বে।
নিরন্তর শুভ কামনা।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগের সামনের ময়লার ঝুড়ি থেকে তোলা।থুতু ফেলতে গিয়ে চোখ আটকে গিয়েছিল। তখন গল্পটা লিখছিলাম, মনে হল ছবিটা গল্পের সাথে যায়।
আপনি আগের গল্পটা পড়ুন, কষ্টের গল্প না।
হ্যা, ঐসময়ে লিখা দিবো। আসলে সময় নিয়ে কখনো ভাবিনি।
ধন্যবাদ, আপনাদের শুভকামনা টিকিয়ে রাখবে।
৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৭
আনমোনা বলেছেন: আপনি খুব কষ্টের লেখা লিখেন। শুধু কষ্টের না, লেখা একেবারে স্নায়ু ধরে টান দেয়। এই ভয়েই আপনার লেখা পড়তে চাইনা, তারপরেও পড়ে ফেলি আপনার লেখনীর গুনে। আপনি গল্পের ছলে এমন নির্মম সত্য লেখেন যা আমরা এড়িয়ে যেতে চাই।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩১
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আমিও এড়িয়ে যেতে চাই, পারি না। মাথায় ঘুরঘুর করে, যন্ত্রণা দেয়। আপনাদের এতে জড়িয়ে শান্তি পাই। সমাজে সমস্যার সমাধান
জানি না, অসহায় লাগে।
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট পড়ার পর স্বিদ্দান্ত নিলাম আপনি আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৫
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আপনি কোথায় ছিলেন বলুনতো? পোস্টে আপনার কমেন্ট নেই, কেমন বাজে লাগে!
আপনার পোস্ট পড়লাম, কোন ক্লু পেলাম না।
কারও প্রিয় হওয়া অবশ্যই গর্বের। ভালো লাগছে।
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০
অধীতি বলেছেন: জীবনের এপিঠ ওপিঠ।কি সুন্দর বলেছেন।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪
ইসিয়াক বলেছেন: পড়ে মন্তব্যে আসছি.....