নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১..
নিহান হাতে একটা পাউরুটি নিয়ে বসে আছে।খাচ্ছে না, ওর খাওয়ার ইচ্ছেটা মরে গেছে। রাঈদ থাকলে কাড়াকাড়ি করে এতক্ষণে খাওয়া হয়ে যেত।রাঈদ চারটি কলার মধ্যে তিনটাই খেয়ে ফেলতো, রাঈদের পেটে একটা রাক্ষস আছে যে!
নিহান আজ বেলি ফুলের মালা বিক্রি করতেও যায়নি।ওর অত টাকার দরকার নেই!টাকা দিয়ে কি হবে?
আসল কথা রাঈদটা নেই, হুট করে উধাও হয়ে গেছে।এখন সারাদিন কেউ খাই খাই করে না।সিপি'র পাশ দিয়ে যাবার সময় চিকেনবল খাওয়ার বায়না কেউ করে না! তাই বেলি ফুলের মালা বিক্রি করার তাগাদাটা আর নেই!
জাতীয় যাদুঘরের সামনে এক সপ্তাহ আগেও দু'ভাইবোনকে দেখা যেত।হাত ধরাধরি কর বেলি ফুলের মালা বিক্রি করছে।যেন হাত ছাড়লেই অন্যজন হারিয়ে যাবে।
আজ নিহান একাই!রাঈদ গেল কোথায়?
রাঈদের একা কোথাও যাবার কথাও না।ছেলেটা একদম ভীতুর ডিম।
ওরা যাদুঘরের গেটেই ঘুমায়। মাঝরাতে পিশি পেলেও, রাঈদ নিহানকে ডেকে তোলে। ও পিশি করে, নিহান হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকে।
"রাঈদ, তুই পিশি করার সময় যে আমার হাত ধরে রাখিস। তোর লজ্জা করে না!"
"বোনের কাছে লজ্জার কি আছে।আর তুই আর আমিতো মায়ের পেটে একসাথেই ছিলাম।তখন কি জামা কাপড় ছিল? আর রাতে আমারে যদি পরীতে নিয়ে যায়, তোর কি হবে?"
"এহ!যেই না চেহারা, তোরে আবার পরীতে নিবো।"
"আমি তোর চাইতে সুন্দর আছি।আচ্ছা, কাল মুহিব ভাই, কেয়া আপুকে জিজ্ঞেস করবো। কে বেশি সুন্দর?"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দায় হাটাহাটি করলেও নাকি অনেক কিছু শেখা যায়।এজন্যই হয়তো ছেলেমেয়ে দুটি টিকে থাকা শিখে গিয়েছিল।
ওরা কোথা থেকে এসেছে?কে ওদের নাম দিয়েছে? কেউ জানে না।
তবে ছেলেমেয়ে দু'টিকে কখনো কেউ আলাদা হতে দেখেনি। কয়েকদিন ধরে অবশ্য ছেলেটাকে দেখা যাচ্ছে না।
২..
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের নিজস্ব গ্যালারিতে আজকে একটু অন্যরকম উত্তেজনা।
একটা আশ্চর্য সুন্দর ছবি দেয়ালে টানানো হয়েছে।
একটা ছেলে কষ্টে-ব্যাথায় কাতরাচ্ছে!
ছেলেটার বা-হাতের আঙুল কুচিকুচি করে কাটা, একটা চোখ উপড়ে কোটর থেকে বাইরে ঝুলে আছে, সারা গায়ে অসংখ্য কাটাকুটি, মুখের দু'পাশে বর্শি দিয়ে ধবধবে সাদা সোফায় আটকানো, আত্মাটা হয়তো তখনও বেড়িয়ে যায়নি।তবু সে দমেনি।হাত বাড়িয়ে টেবিলে রাখা বার্গারটা ধরার চেষ্টা করছে।
ছেলেটার উদোম, পরনে সাদা হাফপ্যান্ট। সাদা সোফা, সাদা প্যান্ট রক্তে লাল।অসাধারণ ছবি, নাম দেয়া হয়েছে "ক্ষুধা"। এর আগে ক্ষুধাকে এমনভাবে কোন শিল্পী কল্পনা করেনি!
সত্যিই তো, যত কষ্ট, যন্ত্রণা, হতাশার মধ্যে দিয়ে মানুষ যায়।তবুও কি ক্ষুধা পোষ মানে?সেতো ঠিকই জানান দেয়, নিয়ম করেই জানান দেয়।
ছবিটা নিয়ে রাতারাতি তোলপাড় শুরু হয়েগেল।সদ্য পাশ করা একজন কেমিস্ট এ. কে. খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছেন।পেশা হিসেবে বেছে নেবেন ফার্মাসি'র কোন চাকুরী। তবে ছবি আঁকা তার প্যাশন।
সব পত্রিকাগুলো এমন মাতামাতি শুরু করলো, যেন এ. কে. খান'কে নোবেল দেয়া উচিত।
৩..
বেশ কিছুদিন কেটে গেল।জমানো টাকা প্রায় শেষ।
নিহানকে আবার দেখা গেল, শাহবাগ মোড়ে বেলি ফুলের মালা বিক্রি করছে।
রাঈদ ফিরেনি!এতে আর কারও কিছু আসে যায় না।তবে নিহান ঠিকই দিনে দু'বার শাহবাগ থানায় ভাইয়ের খোজ নেয়।
আজকের দিনটা নিহানের জন্য বিশেষ দিন।আজ রাঈদের জন্মদিন। আজ রাঈদ ফিরবেই, ও ভাইকে কথা দিয়েছে, ওর জন্মদিনে "জমিদারি ভোজ" রেস্টুরেন্টে কাচ্চি খেতে নিয়ে যাবে। ও একটু একটু করে টাকা জমিয়েছে। আজ রাঈদ না ফিরে পারেই না।ছুঁচোটা খাওয়ার জন্য যেকোনো স্থানে যেতে রাজি!
নিহান যাদুঘরের গেটেই বসে ছিল।সন্ধ্যা পেড়িয়ে গেল।রাঈদের ফেরার নাম নেই!
একটা সাদা পাজেরো ওর সামনেই থামলো। বের হলেন কাঁচাপাকা চুলের, চোখে সোনালী ফ্রেমের চশমা আটা এ. কে. খান।পরনে সব সময় গ্রামীণ চেকের পাঞ্জাবি,কোটি।তিনি দেশীয় পণ্য ব্যবহার করেন! তাকে কে না চেনে?
নিহানও টিভিতে দেখেছে, টিএসসির বড় পর্দায়, শাহবাগ মোড়ের টিভিতে এই লোককে কয়েকদিন একটানা দেখিয়েছে।
নিহানের সাথে তার কি কথা হল, কে জানে?তবে নিহান হাসতে হাসতে গাড়িতে উঠে গেল।
একটা ছোটমেয়ে তার ভাইসহ গত কয়েক বছর ধরে যাদুঘরের গেটেই ঘুমায়, ফুলের দোকান থেকে বেলি ফুলের মালা নিয়ে বিক্রি করে, গত একমাস প্রতিদিন
থানায় বসে থাকে, রাতে ফিচফিচিয়ে কাঁদে ঘুমাতে পারে না। গেটের দারোয়ান, পাশের ডাব বিক্রি করা বুড়ো লোকটা, থানার প্রতিটি পুলিশ, শাহবাগ মোড়ের সব ফুল বিক্রেতা, এমনকি চারুকলা, ছবির হাটে আড্ডা দেয়া ঢাবিয়ান'রাও এদের চিনে।
অথচ এইযে প্রথমে ছেলেটা, পরে মেয়েটা হুট করে উধাও হয়ে গেল; এতে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই।ওরা সবাই আছে নিজের মত।
এই শহর আজব শহর! এ শহরে প্রতিদিন অনেক লোক স্বপ্ন নিয়ে আসে, আবার স্বপ্ন ভেঙে গেল হারিয়ে যায়।এতে শহরের বা শহরে বসবাস করা লোকগুলোর কিছু আসে যায় না!তারা ব্যস্ত থাকে।
৪..
কয়েকদিন যেতে না যেতেই এ. কে. খানকে নিয়ে আবার সারা দুনিয়া জুড়ে তোলপাড়। কয়েকটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার সাংবাদিক বাংলাদেশে এল কেবল তার একটা সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য। তার পরের ছবিটি ল্যুভর মিউজিয়াম কমিটি তাদের গ্যালারিতে প্রদর্শনের প্রস্তাব দিল।
মাটির মানুষ এই কেমিস্ট চিত্রশিল্পী খ্যাতির পিছনে ছুটলেন না।তিনি ছবিটি চারুকলার গ্যালারিতেই রাখলেন। আহা!দেশের প্রতি কি প্রেম।
বরেণ্য ভাস্কর মৃণাল হক, প্রধানমন্ত্রী চিত্রটি চারুকলায় দেখতে এলেন। স্বয়ং মৃণাল হক তার প্রশংসা করে বললেন, এ. কে. খান দারুণ চিত্রকর। ওর মত কষ্ট,ব্যাথাকে কেউ আগে চিত্রে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি!শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন কিছু চেষ্টা করেছিলেন, তাও দুর্ভিক্ষ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল।
এ ছবিটি আগেরটিকে ছাড়িয়ে গেল।নাম দেয়া হয়েছে "প্রত্যয়"।
একটা নগ্ন মেয়ে, ফরসা নিতম্ব, কিশোরী মেয়ে! বুক এখনো স্পষ্ট হয়নি,চুলে মুখ ঢেকে আছে, সারা পিঠে স্পষ্ট অত্যাচারের ছাপ, হয়তো যৌন নির্যাতন করা হয়েছে, দু'হাটুর মাঝখান থেকে রক্তের ধারা বয়ে গেছে, হাটু চেরা, শরীর অসংখ্য স্থানে কাটা, তবে কোথাও একফোঁটা রক্ত নেই।খুব যত্নে হয়তো কাটা হয়েছে, কোন রক্ত বের হয়নি, নয়তো দারুণ দক্ষতায় মুছে দেয়া হয়েছে! শিল্পী নিপুণ হাতে ফুটিয়ে তুলেছেন!
মেয়েটি এত অত্যাচারের পরও কিছু একটা ধরার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে, যেন জিনিসটা ধরতে পারলেই জীবন সার্থক!
ছবির এককোণে দেখা যাচ্ছে সাদা সোফার এক পাশ, তাতে রক্ত মাখামাখি, একটা আধা টেবিলে বার্গার, আর একটা পা!মেয়েটা ওইদিকেই এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছে!"প্রত্যয়" নামটা এজন্যই মানানসই।
৫..
খ্যাতির চাপটা বাকি অল্প সময়ে বিখ্যাত লোকদের মত এ. কে. খানও সামলাতে পারলেন না। "ক্ষুধা" আর "প্রত্যয়" এরপর কোন ছবি আঁকতে পারলেন না। পারেননি বললে ভূল হবে, আসলে ফুরসত পাননি।
সারাক্ষণ যেখানে সেখানে মেয়েটাকে দেখতে লাগলেন।আত্মা নাকি দিনে দেখা যায় না, এটা ভূল প্রমাণ করে উনি দিনেও মেয়েটাকে দেখতে লাগলেন।
মেঝেতে পা ছড়িয়ে বসে নিহান হাসিহাসি মুখে তাকিয়ে বলে,"কি খবর, শিল্পী সাহেব। আপনারা দিনতো শেষ।"
এ. কে. খান কাঁপাকাঁপা গলায় বলেন, এটা হ্যালুসিনেশন।আসলে মেয়েটার অস্তিত্ব নেই।কিন্তু একদিন ঠিকই তিনি কথা বলা শুরু করেন।
"আপনার মরণ হবে না, আপনি বেচে থাকবেন।"
"তাতে তোর কি?তুই নাই, তুই কেউ না।তুই আমার কল্পনা।"
"চাইলে ছুয়ে দেখতে পারেন।দেখুন না, দেখুন।হাহা হিহি...."
পিচ্ছি নিহান এগিয়ে আসে।এ. কে. খান চোখ বন্ধ করে ফেলেন।
"চোখ খুলুন, দেখুন আপনার পুরুষযন্ত্রে কুষ্ঠ হয়েছে। আস্তে আস্তে আপনার সারা শরীরে ছড়াবে, আপনি তবুও মারা যাবেন না।বেশ মজা হবে!হাহা হিহি......"
"তুই চুপ থাক..."
এ. কে. খান মুখ খারাপ করেন।তবুও মেয়েটা যায় না, মেঝেতেই বসে থাকে।
তিনি চেক করে দেখলেন, সত্যিইতো তার লিঙ্গে সাদা সাদা দু'একটা ফোস্কার মত।তিনি নিজেকে ধিক্কার দিলেন, কেন যে সেদিন প্রটেকশন নিলেন না।নেয়া উচিত ছিল, তাড়াহুড়ো করা উচিত হয়নি!
তিনি ডাক্তার দেখালেন, দেশে পেড়িয়ে বিদেশের বড়বড় ডাক্তার। কিছুতেই কিছু হল না।সাদা সাদা ফোস্কায় সারা শরীর ভরে গেল।তিনি দেশে ফিরে এলেন। এখানে আধ্যাত্মিক চিকিৎসা চললো_ পানি পড়া, গায়ে তাবিজ নেয়া, কোমড়ে সপ্তধাতুর তাবিজ পরা, ঘর বন্ধ করা, দরজায় লোহা ঝুলিয়ে দেয়া।দরজায় লোহা থাকলে আত্মা ঘরে প্রবেশ করতে পারে না।
কাজের কাজ হল না, লাভ যা হল, মেয়েটার সাথে ওর ভাইটা জুটে গেল।সারাদিন ঘর বেলি ফুলের ঘ্রাণে ভরে থাকে।তিনি ছাড়া আর কেউ এই ঘ্রাণ পান না।
"কি বলেছিলাম না, আপনার কুষ্ঠ হবে।হয়েছে না!"
"এটা কুষ্ঠ না।চিকিৎসা চলছে, ভালো হয়ে যাবে।"
ভাইবোন একসাথে হেসে ওঠে।পরক্ষণেই তারা রস কস সিংগারা বুলবুলি খেলায় মেতে ওঠে।
ওরা সারাদিন এ ঘরেই থাকে, রাঈদের হাতে থাকে একটা পুরো বার্গার। আশ্চর্য! এই বার্গার কখনো শেষ হয় না।
৬..
এ কে খান চিৎকার করে কাজের লোককে ডাকছেন।তার পিপাসা পেয়েছে। কেউ সাড়া দিচ্ছে না।তিনি উঠবেন, এই সাধ্য নেই!তার সারা গায়ে থকথকে ঘা।বিছানার সাথে শরীর লেগে গিয়েছে। নড়লেও ব্যাথা পাচ্ছেন।
নিহান কথা বললো,"কেউ নেই, সবাই চলে গিয়েছে।তাতেও লাভ নেই,অযত্নে আপনি মারা যাচ্ছেন না। আপনি বেঁচে থাকবেন।আমরা আপনাকে পাহারা দিবো।আপনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।"
রাঈদটা যোগ করলো,"দেখুন, আমাকে যে এসিডে ডুবিয়েছেন, সারা গা থেকে মাংস খুলে পরেছে।আপনার গা থেকেও মাংস খুলে খুলে পরছে।হাহা হিহি....আপা দেখ।দেখ! দেখ!"
নিহান মুচকি হাসলো, বললো,"দেখার অনেক সময় আছে।উনিতো মরে যাচ্ছেন না।আমরাও কোথাও যাচ্ছি না।"
নিহান রাঈদের কপালে চুমু খেল।
ঘরে পিনপতন নীরবতা, কেবল শোনা যাচ্ছে "রস কস সিংগাড়া বুলবুলি মস্তক......."
"রস কস সিংগারা বুলবুলি মস্তক....."
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০৭
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: অয়োময় অর্থ লৌহময় বা কঠিন।অন্য আরেকটা অর্থ যে লোকটা মরবে না।
দুদিক থেকেই নামটা সার্থক হবার কথা।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অসাধারণ আপনার লেখা।
আমি আপনার লেখার ফ্যান হয়ে গেছি ভাইজান
লিখে যান আরও
দোয়া রইলো
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০৮
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ!
চেষ্টা করবো।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: অয়োময় অর্থ লৌহময় বা কঠিন।অন্য আরেকটা অর্থ যে লোকটা মরবে না।
দুদিক থেকেই নামটা সার্থক হবার কথা।
অয়োময় অর্থ আমি জানি।
এই নামে হুমায়ূন আহমেদের একটা নাটক ও একটা বই আছে। নাটক দেখেছি, বইটাও পড়েছি।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০১
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: নামটা ঐ গল্প থেকেই ধার করা। নাটকটা এখনো দেখিনি।
নাম কি হলে ভালো হত বলুনতো।
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ।চমৎকার হয়েছে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০২
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার মনটা শিশুদের মত!
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার মনটা শিশুদের মত!
তাই নাকি ? কি করে বুঝলেন ?........হা হা হা
শুভকামনা ও দোয়া রইলো।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: কেবল শিশু মন সবকিছুতে মোহিত হয়, বুড়ো মন সমস্যা খোজে আর বিরক্ত হয়।
আমি আগেও দেখেছি, সবাই একটু ইতস্তত করলেও আপনি বলেন, দারুণ! বেশ ভালো লাগে।
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গল্পের চাইতেও এই প্রতিউত্তরটা বেশি মনে ধরেছে-
"লেখক বলেছেন: কেবল শিশু মন সবকিছুতে মোহিত হয়, বুড়ো মন সমস্যা খোজে আর বিরক্ত হয়।
আমি আগেও দেখেছি, সবাই একটু ইতস্তত করলেও আপনি বলেন, দারুণ! বেশ ভালো লাগে।"
ইসিয়াক ভাই'র মনটা আসলেই শিশু। সব কিছুই ভালো লাগে। ক্ষেত্রবিশেষ কথাটা আমার ক্ষেত্রে, আমার সাথেও যায়!
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৯
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হাহা...
উনি সবসময় আমার লিখার প্রশংসা করেন।
আর রাজীব ভাই মাঝে মাঝে যে লেখাটি লিখে আমি স্বস্তি পাই সেটাকেও ভালো বলেন না, যেটা লিখে নিজেই অস্বস্তিতে থাকি সেটাকে ভালো বলেন।
যাইহোক আপনাদের জন্যই চেষ্টা করে যাচ্ছি আরকি!
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১
মাহের ইসলাম বলেছেন: ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০০
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আশা করি সাথেই থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: গল্পের নামটা সার্থক মনে হচ্ছে না।