নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অরুণ আর বরুণ সকাল থেকেই ঝগড়া করছে।অরুণের মোজা বরুণ পরেছে।বরুণের মোজা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।ওরা নিজেদের সাদা মোজা কিভাবে আলাদা করে কে জানে?আম্মা ওদের টিফিনের জন্য স্যান্ডউইচ বানাচ্ছেন। এতক্ষণে দুজনেই মার খেয়ে ফেলতো, কিন্তু মা মারছেন না। বারান্দায় দাত ব্রাশ করছেন পুলিশ কাকা।কাকী পাশে গামছা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, চোখ পিতপিত করে অরুণ বরুণকে দেখছে।যেন ঝগড়া না, চলছে কোন সিনেমা। ক্রিস্টোফার নোলানের সিনেমা!
পুলিশ কাকা মধ্য বয়সী হলেও দারুণ দেখতে। কাকীকে এখনো কিশোরী লাগে।উনার আচরণও কিশোরী মেয়েদের মতই। মাঝেমধ্যে দেখা যায়, কাকী আর সানিয়া কোন বই পড়ে ফিচফিচ করে কাঁদছে।কলেজের সময়টা বাদ দিয়ে সানিয়া কাকীদের ঘরে বা বারান্দায় পরে থাকে।কাকীর সাথে লুডু খেলে।অরুণ, বরুণও সারাবেলা উনাদের ঘরেই থাকে।কাকী তাদের গোসল করিয়ে খাইয়ে দেন, রাতে কাকীর সাথেই ঘুমিয়ে পরে।তবে মাঝ রাতে ঘুম থেকে জেগেই মা মা করে কাঁদে, কাকীকে আর চিনতে পারে না।কাকী ওদের আম্মার কাছে ফিরিয়ে দিয়ে যান।ঘুম থেকে জেগে আম্মা খুব বিরক্ত হন।বলেন,"প্রতিরাতে কি একটা যন্ত্রণা। আর ভাল্লাগেনা।"
আব্বা আম্মাকে থামান,"কি বল রাণু, আস্তে বল।রাতে কথা অনেক দূর যায়, শুনতে পাবেতো।শুনলে মন খারাপ করবে না!মানুষের মন ভাঙা আর মসজিদ ভাঙা সমান।"
"থাকো তুমার ফালতু কথা নিয়ে।এই ঝামেলা আর ভাল্লাগে না।তুমি কালই তাদের এ বাড়ি থেকে বিদায় করে দিবে।" অরুণ, বরুণের এগুলো নিয়ে ঝামেলা নেই, ওরা ঘুম থেকে জেগেই আবার কাকা কাকীর কাছে চলে যায়।
পুলিশ কাকা কাকী আমাদের বাড়ি ভাড়া আছেন অনেক দিন।কাকা মাদার বাড়ি থানার ওসি।যেখানেই পোষ্টিং হোক, কাকী এবাড়ি ছেড়ে যেতে চান না।দুনিয়ায় কিছু মানুষ অকারণে মানুষকে ভালোবাসার অস্বাভাবিক ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। কাকা কাকী তেমনি।সানিয়া, অরুণ, বরুণকে কি যে আদর করেন।আমার মাঝেমধ্যে হিংসা হয়, ইশ কেন যে বড় হলাম? উনাদের কোন সন্তান নেই।এজন্যই হয়তো আমাদের প্রতি ভালোবাসা এত তীব্র!
আমাদের আর কাকাদের ঘর মুখোমুখি, ঊঠোন একটাই।সানিয়া ঘুম থেকে জেগেই উঠোনে পা ছড়িয়ে বসে আছে।চোখ কচলাতে কচলাতে বলল,"ও পুলিশ কাকা, কাল কত ঘুস খেয়েছেন?"
কাকা ছোট শিশিটা দেখিয়ে বলল,"এই দেখ, কমোডের পানি সাথে নিয়ে ঘুরছি, এক চুমুক খেতে পারলেই ঘুষ খাওয়া শুরু করবো। এখনো খেতে পারিনি।হাহা...."
বারান্দায় পেপার পড়া রেখে আব্বা, ঝগড়া থামিয়ে অরুণ, বরুণ, সানিয়া, কাকা, কাকী সবাই উচ্চস্বরে হাসি শুরু করলো। কেবল আম্মা হাসছে না।আম্মা বললেন,"প্রতিদিন একই ঢং।যেন বিশাল কোন জোক বলেছে, সবাই হাহা করে হাসছে।আর পুলিশবেটাও আস্ত ভাং, তুই সারাদিন কমোডের পানি সাথে রাখবি কেন?"
আম্মা কিছুতেই এটা মেনে নিতে পারেন না, তার দুই শিশুপুত্র, এক মেয়ে পুলিশ কাকা কাকীর এত ভক্ত।সেদিন কে জানি সানিয়া প্রেমপত্র লিখেছে! আব্বা, কাকা,কাকী পড়ছেন আর হাহা করে হাসছেন।পুলিশ কাকা বললেন,"ছেলেটা এই আধুনিক যুগেও চিঠি লিখেছে, আর একটা বানানও ভুল নেই।কি ঝকঝকে হাতের লিখা!আমার কাছেতো দারুণ লেগেছে।"
আম্মা খুব রাগ করলেন। মেয়ে সব বলবে মায়ের কাছে, আপন হয়ে গেল বাসায় ভাড়াটিয়া? আম্মা সারাদিন কিছুই খেলেন না।অরুণ, বরুণকে ইচ্ছেমতো মারলেন।
সন্ধ্যায় রাগ ভাঙালেন কাকী।
"আপাগো, সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই।আপনার সন্তান চারটাকে নিজের মনে করি, হইচই করে সময় কাটাই। দুঃখ মনে থাকে না।জানি, আপনি পছন্দ করেন না।আমি ওকে অনেকবার বলেছি, ও কিছুতেই এ বাসা ছাড়বে না।ওরা হাসলে আনন্দ লাগে, মন খারাল দেখলে চারদিক ফাকা ফাকা লাগে।আপনি যদি বললে, আমরা না হয় চলে......."
আম্মা কাকীকে জড়িয়ে কেঁদে ফেললেন।
আমি সদ্য এলএলবি পাস করে বসে আছি।আমার কাজ অনেক টিউশনি করা আর অরুণ, বরুণকে স্কুলে আনা নেয়া।আমার শিশু ভাই দুইটা আমার কাছেই পড়ে, পড়তে চায় না সানিয়া। ও বলে,"দাদা, তোর সাথে সুখ-দুঃখের গল্প করবো। আর তুই মাষ্টার মাষ্টার লুক নিয়ে তাকিয়ে থাকবি?আমার গা জ্বলে, আমি তোর কাছে পড়বো না।"
আমি সকালে অরুণ, বরুণকে কিডস হেভেন স্কুলে দিয়ে পড়াতে যাই।
প্রতিদিন পথ আটকায় এক পাগলী।সে বাশতলা কবরস্থানের পাশে অব্যবহৃত দোকানগুলোতে থাকে।আমাকে দেখলেই দৌড়ে আসে,বলে,"ভাইজান, কিছু একটা খাওয়ান।ও ভাইজান, খিদা লাগছে।কিইন্না দেন কিছু একটা।না দিলে যাইতে দিমু না।" পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকে।
প্রথম দিন খাবার কিনে দিয়েই ভুল করেছি।এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন এই যন্ত্রণা সহ্য করতে হত।যে কারণেই হোক অরুণ, বরুণ পাগলীকে বেশ পছন্দ করলো। প্রতিদিন তারা পাগলীকে তাদের টিফিনের কিছু অংশ দিয়ে যেত।পাগলীও ওদের মাঝেমধ্যে দিত কুড়িয়ে পাওয়া খেলনা।
একদিন দেখলাম পাগলীটার বুক খোলা, কি সুন্দর ফরশা বুক!যে পাগলীটার থাকা,খাওয়া,গোসলের ঠিক নেই তার বুক এত সুন্দর কেন? এটা আমাকে স্পর্শ না করলেও অরুণ, বরুণ খুব কষ্ট পেল।
পরদিন দেখা গেল, পাগলীটা মায়ের একটা শাড়ি পরে বসে আছে।এলোমেলো চুল, মুখে কালচে দাগ পরে আছে, তবুও দেখতে ভালো লাগছিল। সানিয়ার জামা চুরি করার প্রশ্নই আসে না।সানিয়া এই দুটোকে অল্পতেই মারে।আম্মা নিশ্চয়ই টের পাননি, যেদিন সব শাড়ি রোদে দিবেন সেদিন কি হবে বলা যায় না!অরুণ আমাকে কসম কাটালো যদি আমি মাকে বলে দেই, তবে তারাও মাকে বলে দিবে আমি সিগারেট খাই!
কয়েকদিন পর যখন আমি ওদের স্কুলে নিয়ে যাচ্ছি, পাগলীকে দেখা গেল না।গত তিন ধরে পাগলীটার খবর নেই।আমি স্বস্তি পেলাম,চলে গেছে হয়তো কোথাও। আর ঝামেলা নেই।আশেপাশের লোক আমার দিকে উপহাসের চোখে তাকাবে না!
তবে অরুণ,বরুণ খুব ব্যথিত হল।
সেদিন থেকে ওদের পড়ালেখায় মন নেই, ওরা তিন দিন ধরে ঝগড়াও করছে না।মুখ ভার করে এখানে সেখানে বসে থাকে।
সন্ধ্যায় আম্মা আর কাকী সবজি কূটছিলেন।কাকী বললেন,"ও আল্লাহ, আমার পুত্রদের মন খারাপনি গো।" অরুণ, বরুণ আম্মা আর কাকীকে জড়িয়ে সে কি কান্না! সানিয়া দেবদাস পড়ছিল, হইচই শুনে সেও বেড়িয়ে এল।ওরা কোরাস করে বলছে,"আম্মু পাগলী আপা কই গেল?কেউতো তাকে খাবার দেয় না।পুলিশ কাকাকে বল, খুজে এনে দিক।"
সানিয়া, আব্বা হাসতে হাসতে শেষ।ওদের দুজনের নাম হয়ে গেল 'পাগলী প্রেমিক'!
পরদিন পাগলীকে ঠিকই দেখা গেল আগের জায়গায়, শুয়ে আছে।দেখেই অরুণ, বরুণের চোখ চকচক করছে। অরুণ, বরুণ কেউ ওকে জাগাতে চায় না, আবার ওখান থেকে যেতেও চায় না।ভারো যন্ত্রণা।আমিই পাগলীটার গায়ে স্পর্শ করে জাগালাম।
"ও ভাইজান, আমারে ছুইবেন না, ছুইবেন আমারে।বেটা মাইনশের ছোয়া খারাপ। বিষে ভরা।এই যে দেহেন আমার পেট ফুইলা গেছে।"
সেদিন থেকে অরুণ, বরুণ পাগলীর প্রতি বেশিই যত্নশীল হয়ে গেল।সাথে সাথে সানিয়াটাও।প্রায়ই দেখা যায় ওরা দল বেধে পাগলীকে বিকালে আচার নিয়ে দেখতে যায়।
আম্মা আর কাকীর মধ্যে এখন অনেক মিল।আম্মা, কাকী,সানিয়া লাইন ধরে বারান্দায় বসে মাথার উকুন আনে।দেখতে কি যে ভালো লাগে!অরুণ, বরুণ আসেপাশে ঘুর করে বলে,"ও আম্মা, ও আপা, আমাদের মাথার উকুন এনে দাও না।মাথা ভরা উকুন, রাতে ঘুমাতে পারিনা।" ওরা কাকে মা ডাকে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না!
আম্মা বলেন,"রাতে ঘুমাতে পারিস না,তো জেগে জেগে বিছানা ভেজাস নাকি?" ওরা নিশ্চয়ই লজ্জা পায়,তবে আবদার চলতেই থাকে।
একদিন সকালে দেখা গেল, পাগলীর পাশে রক্তমাখা একটা ছেলে শিশু কুইকুই করে কাঁদছে।অরুণ, বরুণ সেদিন স্কুলে গেল না।বাসায়ও ফিরতে চায় না।আমি ওদের নিয়ে সারাবেলা ওখানে দাড়িয়ে রইলাম।পাগলীও ওদের দেখে খুশি।আশ্চর্য!বাচ্চাটা ওদের দেখেই একদম কান্না বন্ধ করে দিল।চারপাশে অনেক মানুষ, আশেপাশের কয়েক মহল্লার লোকজন জড়ো হয়েছে।কি মজা, পাগলীটা মা হয়ে গেল অথচ বাবা হয়নি কেউ!
সানিয়া, কাকী লুডু খেলার জন্য অরুণ, বরুণকে ডাকলো।ওরা খেলবে না।আম্মা আব্বা আগ্রহ নিয়ে লুডু খেলা শুরু করলো। ওরা দুজন মাটিতে কাটাকুটি খেলছে, এতক্ষণে ঝগড়া লেগে যাবার কথা।ওরা কাটাকুটি খেলে আর ঝগড়া হয় না, এমন কখনো হয়নি!
আম্মা লুডু খেলছে, আমি টিভি দেখতে বসলাম।কারও ফুপিয়ে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম।জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখি আমার জমজ ভাইদুটো গলা জড়িয়ে কাদছে।জমজ ভাইদের মধ্যে বোধহয় এমন মিলই থাকে।বরুণটা বিরবির করছে,"অরুণ তুই বলতো, বাচ্চাটাকে কে খাবার দেবে? চল আম্মাকে বলে ওদের বাসায় নিয়ে আসি।"
অরুণ বলল,"আম্মা রাজি হবে না।আবার শাড়ির ব্যাপার জেনে যাবে। দেখিস তুই, আম্মা খুব মারবে।"
মন খারাপ হল।ভাবলাম গিয়ে বাচ্চাটাকে দেখে আসি।
পাগলীকে মাজার চৌরাস্তায় পাওয়া গেল।বাচ্চাটা মাটিতে পরে আছে, অবাক হয়ে চারপাশ দেখছে নিশ্চয়ই। পাগলীটা সব গরীব লোককে হাতেপায়ে ধরছে,"ও ভাই, নিয়া যাও।আমার পোলাটারে নিয়ে যাও।দেইখা যাও, কেমুন চান্দের লাহান পোলা।"
কেউ ফিরে তাকাচ্ছে না।তাদের নিজেরই সমস্যার শেষ নেই,এই শিশু নিয়ে কি করবে?ঝামেলা ছাড়া আরকি?
একজন কোট পরা ভদ্রলোক বাচ্চাটাকে ধরতে চাইলেন।পাগলীটা রেগে গেল, দাঁত খিচিয়ে বলল,"ধরবি না, ধরবি না পোলারে।হারামজাদা তোর শইলে রক্তের গন্ধ।তরে আমি পোলা দিমু না।তর দুই নম্বর টেকা।পোলা ধরলেই খাবি কুপ।"
একটা চ্যালাকাঠ উচিয়ে রইল।ভদ্রলোক বেশ লজ্জা পেলেন।
আমাকে দেখলে নিশ্চয়ই ঝামেলা করবে, এই ঝামেলা নেয়ার মানেই হয় না।অরুণ, বরুণ অবুঝ, আমিতো অবুঝ না!
অরুণ, বরুণ আজ স্কুলে যাবে না।আমি একটু বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবো সার্টিফিকেট তুলতে।
মাজার চৌরাস্তায় পাগলীটা আছে, গরীব লোকদের অনুরোধ করছে ছেলেকে নিয়ে যেতে।কেউ তার কথা শুনছে না।আমি প্রায় লুকিয়ে একটা অটোতে চড়ে বসলাম।
দুপুরে বাসায় ফিরে দেখি কাকী গামলায় একটা বাচ্চাকে গোসল দিচ্ছেন।গোল করে ঘিরে আছে পুলিশ কাকা, অরুণ, বরুণ।আম্মা আব্বা বারান্দায় এককোণে তৃপ্তি নিয়ে এই দৃশ্য দেখছেন।সানিয়া মুখের উপর শরৎবাবুর "দেবদাস" ধরে বারান্দায় পাটিতে শুয়ে আছে।না দেখেও বোঝা যাচ্ছে, ও কাঁদছে!হেচকির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
কি দারুণ একটা উপন্যাস! অথচ শরৎবাবু এটা লিখে দু'বছর ট্রাঙ্কে তালা দিয়ে রেখেছেন। এই লিখা নাকি তার নিজেরই পছন্দ হয়নি।
কাকী একাই কথা বলছেন,"আমার সোনা, ঐ দেখ তোমার দাদা ভাই বাড়ি আসছে।তোমারে কোলে নিয়ে ঘুরবে।তুমি দাদার মত ভার্সিটি পাস দিবা!কান্দে না আব্বা, ঐ দেখ তোমার অরুণ ভাই, বরুণ ভাই। তোমার আপার বই পড়া শেষ হলেই তোমারে কুলে নিবে।কান্দে না আমার আব্বাগো, তোমার জ্যাঠা-জ্যাঠী বারান্দায় দেখ না, কানলে পঁচা কইবো না!"
কবি শেখ ফজলুল করিমের এক টুকরো স্বার্গ নেমে এসেছে আমাদের উঠোনে। লিলুয়া বাতাস বইছে, তোলপাড় করে দিচ্ছে লাল-সাদা বাগানবিলাসের গাছটা।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৫
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আশা রাখি সময় করে পড়বেন।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ভালো গল্প লেখেন, আপনার প্রোফাইলের ছবিটা সুন্দর হওয়ার দরকার, সাহিত্যিক সাহিত্যিক ধরণের!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৩
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: তাই!
ছবিতে ছেলেটার ভাবের প্রকাশ খুব ভালো লাগে। সমাজের অনেক লোককেই এভাবে আঙুল দেখানো উচিত, পারিনা। পড়ালেখা করার এই এক অসুবিধা, ইচ্ছেমতো আচরণ করা যায় না।
ছবিতে সাহিত্যিক ভাব আছে, এমন ছবি আমার নেই।তবে ব্যাটম্যান মুভির জোকারকে ভালো লাগে।ছবি পালটে ওর ছবি দিতে ইচ্ছে করে।দিই না।
তবে আপনার কথা মাথায় রাখলাম।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: দিন দিন আপনার হাতের লেখা শক্তিশালী হচ্ছে।
চালিয়ে যান।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪০
মেহরাব হাসান খান বলেছেন:
প্রিয় রাজীব ভাই, আপনি বলেছেন আনন্দের গল্প লিখতে। এটা আনন্দের গল্প কিনা জানিনা। যেদিন পেপারে কোন এক পাগলীর মা হবার খবর ছাপা হয়েছিল, তার পরপরই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। কাল টেনেটুনে শেষ করেছি।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭
ইসিয়াক বলেছেন: পড়লাম ভালো লেগেছে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫১
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: চেষ্টা করছি আরকি!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০০
ইসিয়াক বলেছেন: পরে এসে পড়ছি......