নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

A learning Advocate!

মেহরাব হাসান খান

আমি H2O,,,,Solid,Liquid & Gas.How do you deserve me?

মেহরাব হাসান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিতৃহত্যা ও অন্যান্য

২৮ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ওরে আল্লা এত্ত বড় বড় বিল্ডিং!আব্বা,আমরা কোন বিল্ডিংয়ে থাকমু?আব্বা আমার দিকে কটমট কইরা চাইল। এর মাইনে ডাহার(ঢাকার) এত এত বড় বড় বিল্ডিংয়ের মইদ্যে একটাও আংগর(আমাদের) না।আমি দইমা গেলাম না।

তুমি একটাও বাড়ি কিনলা না, তয় ডাহা আইলা কেন?কাইল না এত্ত টেকার জমিন বেচলা।টেকা দিয়া কি করলা?জুয়ায় হাইরা গেছনি?আমি একদমে কইলাম।আব্বায় কিছুই কইলো না।

আমি মায়ের মিহি কতা(কথা) ছুরলাম।ও মা,ঢাকায় বাড়ি না কিইন্না আমরা ডাহা আইলাম কেন?আর আব্বায় এত টেকা কি করলো?আমরা থাকমু কই,খামু কি?ঐ দাদা, তুই আমার বড়শি আনছসনি?আমার মা,বড় ভাই হেইদিন কিছুই কয় না।

আমিতো চমক খাইছি হাইঞ্জাবালা(সন্ধ্যাবেলা)।আব্বা আমারে একটা ফার্মেসিতে আর ভাইকে একটা কারেন্টের দোকানে কামে দিয়া দিলো।

আমি চুপ করে গেছি।তবে ভাই একটা কুলফি আমার হাতে দিয়া চইলা গেল।জীবনে ঐ একবারই আমি আইসক্রিম নষ্ট করছি।পুরা আইসক্রিম আত বাইয়া গইল্লা পরছে।খাড়াইয়া রইছি, লড়ছি না।তাই মালিক আত দইরা দোকানে লইয়া গেল।

দুই মাস গেল।মা,বাবা বা ভাইয়ের দেহা নেই।মালিকরে কইলাম,আমি মায়ের কাছে যামু।মালিকে ভেংচি মাইরা কইল,ওরে আমার মা দরদি।তোর বাপে তোর বেতন নিয়া যায়,দরকর অইলে তোরেও নিয়া যাইবো। হুদাই কান্দিস না।

মালিকে আমারে খুব আদর করতো। জড়িয়ে ধরতো,চুম্মা দিতো।একদিন একটু বেশিই জড়াজড়ি করতাছিলো।আমার হাফ প্যান্ট খুইল্লা ফালাইলো,আমার দুই উরুর মাঝখানে কিছু শক্ত কিছু একটা লাগলো। আমি বুইজ্জা গেলাম হের ধান্দা।আমি সিনামাত(সিনেমায়) দেখছি, মিশায় এগুলা করে তয় মাইয়া মাইনশের লগে।আমিতো মাইয়া না,হের লেইগা মালকিন আন্টিরে ডাকলাম।

পরদিন সকালে মালিক আমারে টেকা চুর কইয়া দুকানতে বাইর কইরা দিলো।মাজায় একটা লাত্থিও দিছে।আমি সবাইরে কইছি,আমার দাদায় এলাকার মেম্বর।আমরা নামী মানুষ, বাবায় জুয়া খেইলা সব উড়াইয়া দিছে দেইখা কামে আইছি।কেউ আমার কথা বিশ্বাস করে নাই।আরও মাইরা আমার শাট ছিইড়া দিছে।

দক্ষিণখান গিয়া সারা দিন খুইজা ভাইরে বাইর করছি।ভাইরে সব কইলাম।ভাইয়ে কইলো,তুইতো মাইয়া না।তয় চুপ কইরা থাকতি,কিছুই অইতো না।অহন কাম পাবি কই?বাইতে গেলে আব্বায় তোরে মারবো না!

ভাই আমারে বাইতে দিয়া গেল গা।আমি চাইর মাসেই মায়ে দেহি নাই।মায় কই থাহে জানতামই না।মলির(বাশের) দরজা ঠেইলা ঘরে ঢুইকা গেলাম।দেহি মায় ঘুমায়।মায়ের লগেই হুইলাম,কতদিন মায়ের লগে ঘুমাই না।

আমার লাত্থি দিয়া ফালাইয়া দিলো একটা লেংটা বেডি,আমার মায় না!দূরে যা বান্দির পোলা।আব্বায় কান ধইরা কইলো,দুকান থুইয়া বাইত আইলি কেন?ইচ্ছামত চড় থাপড় মারলো।আমি ব্যথা পাইনাই।ভাবতাছিলাম,আব্বায় আবার বিয়া করছে,তয় আমার মায় কই?

রুমা আন্টিগর(আন্টিদের) আমগাছের তলে বইসা রইছি।মেলা রাইতে মায় আইলো।একটু আগেই হেয় বেডি গেছেগা।

মায় আমারে জড়াইয়া কইলো,আমার বাবায় আইছেনি।কেমনে আইলো?আব্বা,কার লগে আইলা?মুখ হুগনা কেন?হারা দিনে কিছু খাও নাই?আম্মায় গালে চুম্মা দিলো।কই এইবার আমার নুনুতে কিছু অইলো না।
মালিকে চুম্মা দিলে নুনুডা কেমন শক্ত অইয়া যাইতো। দুইজনেই চুম্মা দিলো,গালেই দিলো।তয় এত ফারাক কেন, বুঝি নাই।

রাইতে আব্বায় আমারে আর মায়রে ইচ্ছামত পিডাইলো।আমার গায়ে বেশি লাগে নাই,মায় আমারে বাচাইছে।তয় মায়ের অনেক লাগছে।মায়তো সোন্দর,আমার লাহান কাইল্লা না।যেহানে যেহানে লাগছে নাল অইয়া গেছে,নাল অইয়া কাইট্টা গেছে।

একদিন দাদী মায়ের পিডে খুন্তি দিয়া ছ্যাকা দিছিল।আমি দেখছি,মায় হারা রাইত ঘুমাইতে পারে নাই।হেই দিন আমি আর মায় রুমা আন্টিগর গরের শিড়িত ঘুমাইছি।মায় ঘুমাইতে পারে নাই।কেমনে ঘুমাইবো,মায় তো পিড ছুয়াইতে পারে না।আমি রাইতে যত বার জাগছি দেহি মায় কান্দে।

দাদী খালি মায়ে পিডাইতো,মায় আব্বারে কইলে আব্বাও পিডাইতো।দাদী পিডাইতো, মায় যে খালি নানাগো বাড়ি যাইতে চাইতো।মায় বেড়াইতে গেলে রানবো কেডায়?কাপর ধুইবো কেডায়,গরুরে খাওন দিবো কেডায়?

যেদিন আব্বায় গরুর গোসত দিয়া সিন্নি রানলো।আমগো বাসায় অনেক মাইনশে আইছে।তয় মায় বাইতে নাই।মায় মাইনশের বাসায় কাম করে।ঘরে বওনের জায়গা নাই।একটা চকি।১০ জন মানুষ, কই বইবো?

আমগো গেরামের বাইতে তিনডা গর।একটা বাংলা গর,হেইন্ন(সেখানে) সকলে বহে।ভিতর বাইতে আহে না।আর এইহানে আমরা ফকিন্নির মত থাহি।আমি ভাই দোকানে কাম করি।মায় মাইনশের বাইতে কাম করে।আব্বায় কিছুই করে না,হারা দিন ঘুমায়।মাঝে মইদ্দে অই বেডিরে আনে,দরজা বন্ধ কইরা রাহে।

আব্বায় সিন্নি রানছে।আমি ভাইরে লইয়া আইলাম।ভাই আইতে চায় না,জুর কইরা আনছি।সিন্নি আমি এলকা খামুনি।ভাইরে লইয়াই খামু।আব্বায় কিন্তুক সিন্নি ভালাই রান্দে।যেবার দাদায় মেম্বারি পাস করলো,আব্বায় জমিন বেইচা পাড়ায় সিন্নি দিছে।কি যে স্বাদ।হারা দিন সিন্নিই খাইছি।

বাইতে আইয়া দেহি সিন্নি নাই।আব্বারে জিগাইলাম,সব খাইয়া হালাইলা?মা,আমি, ভাই খামু না!
হেই বেডি কইলো,চুপ থাক।মাতারির পো।আমার পাও টিইপ্পা দে।ভাই চইল্লা গেল।আব্বায় চিক্কুর দিলো,দে পাও টিইপ্পা দে।
হেইদিন খালি পাও টিপছি।আত ব্যথা অইয়া গেছে।তাও দিছি।আমারতো কোন কামও নাই।

মায় আহনের আগে বেডি গেছেগা।মায় হেরে দেহে নাই।

তয় হেইদিন শুক্কুর বার আছিলো, মায়ের শইলডা ভালা না।কেমনে থাকবো,হের হাতেতো গাও অইয়া গেছে।খাইতে পারে না,বুলে কইরা যেই খাওন আনে আব্বায় খায় আমি খাই।মায়ের লেইগা মাঝে মইদ্যে থাহে না।

যেইডা কইতাছিলাম,মায়ের শইল ভালা না।মায় তাড়াতাড়ি বাইত আইল।আমি আমগাছের নিচে বহা।আমারে কইল,আহো আব্বা তোমারে গুসুল করাইয়া দেই।আমি কিছু কইলাম না।মাডিত পাখি আকাইতাছি।

মায় গরে গিয়া আব্বার লগে অই বেডিরে দেইখখা দৌড়াইয়া বাইর অইছে।কানতে কানতে রাস্তায় গেছে, মইরা যাইবো।আমি আচুল দইরা টাইনা রাকছি।মরতে দেই নাই।

আব্বায় মায়রে চুল দইরা টাইনা-হেচড়াইয়া বাইতে লইয়া যায়।আমি কি করমু।গিয়া হেরে মারলাম,গাইল দিলাম।আমারে লাত্থি দিয়া ফালাইয়া দিলো।আমি না পারি তো কি অইছে!ভাইরে ডাকতে গেলাম।ভাইতো আহে না,জুর কইরা আনছি।ভাইরে কইলাম,মায়রে মাইরা ফালাইলো।
ভাই কয়,মারবো না।বাচাইয়া রাখবো। মায় মরলে হের নবাবী শ্যাষ অইয়া যাইবো না!হের লেইগা মায়রে এক্কেরে(একেবারে) মারবো না!

দুই ভাই বাইতে আইয়া দেহি।মায়তো নাই।কই গেল মায়?মায়রে খুইজা পাই না।ভাই গেছেগা।আমি হারা দিন মাইরে খুজলাম।মায়রে কই পাই?রাইতে ভাইরে গিয়া কইলাম,ভাই কিছু কয় না।খালি অন্য মিহি চাইয়া থাহে।

আমি এলকা(একলা)বাইতে আইছি।আইন্ধার(অন্ধকার) অত ডরাই নাই।তয় কুত্তায় যেই ঘেই ঘেই শুরু করছে, ডরাইয়া মুইত্তা দিছি।ডরামু না কেন?রাইত অনেক অইছে, রাস্তায় কেউ নাই!

মলির বেড়ার ফাক দিয়া দেহি,আব্বায় হুইত্তা রইছে।ঐ বেডি কাপড় খুইল্লা লেংটা অইতাছে।মাতায় রক্ত উইট্টা(উঠে) গেল, আমার মায় এই বেডির লেইগা কই গেছে খুইজা পাই না।আর হেয় এই বেডিরে লইয়া মইজা রইছে,,,,

রুমা আন্টিগরে বডিদাও(বটিদা) বাইরে রান্ধনগরেই(রান্নাঘরে) থাহে।গিয়া লইয়া আইছি।আইয়া গরে ডুইকা দেহি হেরা জড়াজড়ি কইরা হুইত্তা রইছে!কুপাইয়া কাইট্টা ফালাফালা কইরা দিছি।ইচ্ছামত কুপাইছি।যা, অহন মায়রে মার!আর খেদাবি(তাড়িয়ে দেয়া) মায়রে?

এই অইলো আমার বাপরে মারার ঘটনা।আপনের আগেও আরও তিনজন উকিল-মোক্তার আইছে,হুইন্না(শুনে) গেছে।আর আহে(আসে) নাই!

এতক্ষণ একবারও রাকিব আমার দিকে তাকায়নি।এবার ঠিক চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো, "ও ছার,আমার কি ফাসি অইবো নি?সিনামাত দেখছি, খুন করলে ৩০২ দারা দিয়া ফাসি অয়।আপনে কি আমারে বাচাইতে আইছেন, না ফাসি দিবার আইছেন।আপনে কি জজ না বেরিসটার?"

আমি রাকিবের গালে হাত রাখলাম।রাকিব বললো, বুঝছি আপনেও আর আইবেন(আসবেন) না।তয় পুলিশরে একটু কইবেন,আমারে অন্য হানে রাকতে।বাইরে ম্যাইট্টা চান্নি(চাঁদ) উডে, এই ছুডু(ছোট) জালানা দিয়া দেহা যায় না!তয় মায়ের লেইগা আর পেটপুড়ে না।আব্বারে মাইরা হালাইছি। মায়ের আর কষ্ট নাই,কেউ মারবো না!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কি ঠিক হলো?
এখন বাকিটা জীবন জেলে কাটাতে হবে।

২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৪২

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: শিশুদের শাস্তি হয় না।

২| ২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কিশোর সংশোধনাগার....

২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:২৬

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: সেখানে আরও সমস্যা জটিল হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.