নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিদিন সকালে বাইকটাকে ধোয়ামোছা করা অভ্যাস হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাইকের সিটটা একটু বেশি সময় নিয়ে পরিষ্কার করি। তুমি একদমই ধুলো পছন্দ করতে না, বাইকে করে যতবার তোমায় নিয়ে বাইরে গেছি ততবার সিটের ধুলো নিয়ে অভিযোগ ছিল।
আচ্ছা এখনও কি ধুলো তোমার অপছন্দের?
মোবাইলটা বেজে উঠলো, স্ক্রিনে ভেসে উঠলো সেই চেনা নাম্বারটা।
:হ্যালো....
:শোনো,আজকে তিনটায় কাসুন্দি রেস্টুরেন্ট'এ আসবে।কোন অজুহাত না,তুমি আসবে।
আর কোন কথা না বলেই কল কেটে দিলো, আমি কেন যাবো! আর আমার কোর্টে কাজও আছে।ভালো আছি কিনা,তাও জিজ্ঞেস করলো না।আমি যাবো না দেখা করতে!
পিয়ার সাথে আমার প্রেম ছিলো ৩ বছর।সমস্যাটা তৈরি হল আমরা যখন বিয়ে করতে চাইলাম।সে ছিল দেবনাথ আর আমি খান,হিন্দু মুসলিম বিয়ে হবে কি করে?আমি বাকি কট্টরপন্থী ছেলেদের মত তাকে মুসলিম হতে বললাম। সে রাজি না।হয় আমাকে হিন্দু হতে হবে,নয়তো আমরা যার যার মত থাকবো।কিন্তু আমার জন্য,দেশের বাকি ছেলেদের মত এটা মেনে নেয়া সম্ভব ছিল না।সেও রাজি না,সে পরিবার পরিজন ছাড়ছে,সব সম্পর্ক ছাড়ছে,আমাকেও কিছু ছাড় দিতে হবে,আমি কেন দেব না।
আমি বেকে বসলাম।কিন্তু একদম সহজ ছিল না ব্যপারটি। পিয়ার পেটে তখন আমার বাচ্চা,আমি বাকি নিচু ছেলেদের মত তাকে এবরশন করাতে বললাম। পিয়া আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-চড় মেরে সেই যে চলে গেল, আর দেখা হয়নি।সেটাও ২০১০ সালের কথা।আমিও খোজ নেইনি,যে মেয়ে ভালোবাসার জন্য ধর্ম ছাড়তে পারবে না তার সাথে আবার কিসের প্রেম?
আজ প্রায় ৮ বছর পর সে কল দিয়ে বলে,এখানে এসো।যেন সব আগের মতই আছে!কিছুই আগেরমত নেই।যাবো না আমি দেখা করতে!
০২ঃ৫৯এ আমি কাসুন্দি'র সামনে বাইক থামাতেই দু'জন জমজ বাচ্ছা দৌড়ে এল।ছোট ছেলেটা বাইক ধরতে যাবে,ছোট মেয়েটা বলে উঠলো
:এটা ধরবে না।এটার সিটে ধূলোয় ভরা।একদম ধরবে না।
পিয়াও সিটে ময়লা থাকলে এমনি রিয়্যাক্ট করতো।
একজন ভদ্রলোক এগিয়ে এসে হ্যান্ডশেক করলেন।ধরে নিলাম, ইনি পিয়ার হাসবেন্ড।
পিয়া এগিয়ে এলো। পিয়া আগের মতই আছে।বরং গায়ের রংটা ফ্রোজেন'এর কুইন এলছা'র মত হয়েছে।তাতে আমার কি?সে আমার কেউ না।
ছেলে-মেয়ে দু'টি আমার পাশে এসে বসলো।ছেলেটি বললো, মাম্মা,ইনি আমার কি হন?ইনাকে বল না,আমাকে বাইক চালাতে শিখাবেন কিনা?
পিয়া বললো, শাবাব একটু চুপ করে বস।ইনি অবশ্যই তোমাকে শেখাবেন।কারণ ইনার কাজই হল বাজে কাজগুলোকে যত্ন নিয়ে করা।আমি বললাম,তোমার ছেলের নাম শাবাব কেন রেখেছ?এটাতো আমাদের ছেলের নাম হওয়ার কথা ছিল।এখন নিশ্চয় বলবে না,মেয়েটির নামও ছাফিনা?
আমাকে অবাক করে দিয়ে পিয়া বললো, হ্যা,আমার মেয়েটির নামও ছাফিনা।আর তাদের বাবার দেয়া নামই রেখেছি।
শাবাব,ছাফিনা একসাথে বলে উঠলো, তুমি আমাদের বাবা?এতদিন কোথায় ছিলে?আমি পাথর হয়ে গেলাম!
পিয়া আমার পাশে এসে বসলো;বললো, হ্যা,ছাফিনা আমার মতই নোংরা একদম পছন্দ করে না।তবে শাবাব তোমার মতই, এত মিথ্যে বলে,আর একদম অগোছালো নোংরা। তবে সারাদিন তোমার কথাই জিজ্ঞেস করে।আর আমি মিথ্যে বলতে বলতে ক্লান্ত।তাই নিয়ে এসেছি। তোমার সন্তানের দায়িত্ব আমি কেন নেব?তুমি যদি আর ধর্ম নিয়ে টানাটানি না কর,তবে আমি কিছুটা শেয়ার করতে পারি........
আমরা বাড়ি ফিরছি,শাবাব বললো, বাবা ১২০ গতি উঠাওতো!ছাফিনা চিৎকার করে বললো, না না বাবা!তুমি নিশ্চিত এক্সিডেন্ট করবে।
২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: পরেরবার আবার চেষ্টা করবো!পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: মোটামোটি।
২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: দাদা, হইছে কি; লিখে রেখেছি অনেকদিন আগেই।প্লটও মাথায় ছিল,কিন্তু কোনভাবেই শেষ করতে পারছিলাম না।তাই টেনেটুনে শেষ করেছি আরকি!
আচ্ছা, আমি পাশ করেছিতো?
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: দারুন,তবে আরেকটু আকর্ষন দরকার ছিলো।