নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ আমার চিত্রার বিয়ে।আরে আমার সাথে না,অন্যজনের সাথে।চিত্রা আমার আপু ছিল,কিন্তু তবু সে আমারই ছিল।কিভাবে?সে কথায় পরে আসা যাক।
চিত্রার আজ বিয়ে হয়নি।কিভাবে হবে! সে সালফিউরিক এসিডের ৩০% দ্রবণ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
যেহেতু আমি তার খুব কাছের ছোট ভাই,আর ফলের রসের গ্লাসটা তার ঘরে আমিই নিয়ে গিয়েছি; তাই পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় ডেকে এনেছে।
আমি মুহিব।কাহিনীর প্রয়োজনে আমার বর্ণনা দেয়া দরকার।আমি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়ছি।আমার উচ্চতা ৪'৪",গায়ের রঙ খুব কালো। সচরাচর মেয়েরা এমন ছেলেদের সাথে মিশে না।কিন্তু আমার সাথে মিশে, কারণ আমি ব্যাচের টপার!
পাঠক ভাবছেন,আমি অহংকারী। হ্যা,আসলেই তাই।এটা ছাড়া আমার অহংকার করার আর কিছু নেই যে।
আমি জানি, পুলিশ আমাকে সন্দেহ করছে।এজন্য আমাকে মারতেও পারে।এতে আমি মোটেই চিন্তিত নই।আমার নিজের একটা প্ল্যান আছে।
আমি জানি,আমি যদি পুলিশের কাছে মাইরের চোটে স্বীকার করি এতে আমার কিছু হবে না।কারণ ধারা ১৬১,ফৌজদারি কার্যবিধি, পুলিশের কাছে অপরাধ স্বীকার করলে সেটার উপর ভিত্তি করে কোর্ট শাস্তি দিবে না।আর আমি কোর্টে দাঁড়িয়ে বলে দিব, পুলিশ আমাকে অত্যাচার করেছে।পুলিশ নিজেই বিপদে পরে যাবে।বুঝতে হবে,আমি আইনে টপার!
পুলিশ আমার কাছে তথ্য নিবে,অপরাধ স্বীকার করিয়ে লিখিতভাবে সাক্ষর নিবে?কোন লাভ নাই।ধারা ২৪,২৫,২৬ এবং ২৭, সাক্ষ্য আইন,পুলিশের কাছে জবানবন্দি কোর্টে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।কাজেই খালাস!
আর পুলিস আমাকে সন্দেহ করলেও।এখানে আমার intention আর motive কি তা প্রমাণ করতে পারবে না!অপরাধ প্রমাণে intention, motive থাকতেই হয়।
আমি যে চিত্রার ভাই,ছোট ভাই।তার আর আমার মাঝে অন্য কি ছিল, সেটা আমি আর সে জানি!কেবল দুজন!
আমি আটঘাট বেধেই নেমেছি।খুব সোজা আমি অন্যকে ফাসিয়ে দিবো। কাকে ফাঁসাবো এটাই ভাবছি,রাশেদ ভাইকে নয়তো আরিফ ভাইকে?কারণ চিত্রা এদের দুজনকে চিঠি লিখেছিল, বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে।খুব সোজা,আমার কাছে তার লিখা চিঠি আছে।আমি যে চিত্রার সব প্রেমের সাক্ষী।
পাঠক চিত্রা আপুকে নাম ধরে ডাকছি দেখে ভাবছেন ;আমি হয় বেয়াদব, নয়তো সাইকো? আপনিই বলুন,ভালোবাসার মানুষকে আপু ডাকবো কেন?
শুরুটা অনেক আগেই হয়েছিল। তখন আমি ৮ম শ্রেণিতে পড়তাম, চিত্রা ১০ম শ্রেণিতে। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে সে রঙ নাম্বার ছবির "প্রেমে পড়েছে মন, প্রেম পড়েছে...."
গানে নেচেছিল।আমি তখনই তার প্রেমে পরেছিলাম।
অনূষ্ঠান শেষে চিত্রা আমায় ডেকেছিল।
:তোর নাম কিরে?
:মু-মু-মুহিব!
:তুই অমন করে সারাক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকিস কেন!
:কে বলল?
:কে বলবে আবার,,? আমি নিজেই দেখলাম!
নাচের পরে থেকে তুই কেবল আমাকেই দেখলি!
:.......
আমি মাথা নিচু করে রইলাম।
:ভালো লাগে আমায়?সত্যি করে বলবি"
:না,,মানে....হ্যা!
:তুইতো শিশু!মাত্র এইটে পড়িস!
:তাকে কি?...
বলেই দৌড়ে পালিয়েছিলাম!
তারপর থেকেই শুরু চিত্রা আমার হয়েগিয়েছিল।আমার কোন দোষ নাই!সে নিজেই সবার কাছে আমার পরিচয় করিয়ে দিত,আমি তার মিনি বয়ফ্রেন্ড!
আমি মেনেই নিয়েছিলাম।কিন্তু বিপত্তি ঘটলো যখন রাশেদ ভাই তাকে অফার করলো।আর সে রাজিও হয়ে গেল।খুব কেঁদেছিলাম সেদিন।আমি অনেকবার তাদের প্রেম ভেঙে দিয়েছি।চিত্রার হয়ে আমি ভুলভাল চিঠি লিখে দিতাম।কিন্তু আবার ঠিক হয়ে যেতো।
খুব রাগ হয়েছিল,যখন চিত্রা আরিফ ভাইয়ের অফারেও রাজি হল!একসাথে তিনজন?
আমারতো মরে যেতেই ইচ্ছে করলো যেদিন চিত্রা আমাদের বাসায় আরিফ ভাইয়ের সাথে দরজা বন্ধ করেদিল।
:তুমি দরজা বন্ধ করে কি করলে?
:হা হা হা,তুই বুঝবি না!
:আমি বুঝি সব বুঝি!আমি ছোট না?
:তুই বড় এদিকে আয়তো!
হ্যা,চিত্রা আমায় জড়িয়ে ধরেছিল।তার হাত এমন জায়গায় ছিল যে আমার সারা শরীরের ইন্দ্রিয় একসাথে উত্তেজিত হয়েছিল।
তারপর আমি আর চিত্রা অনেকবার এই স্বর্গীয় সুখ পেয়েছি।প্রতিবার তাকে জিজ্ঞেস করেছি,তুমি কাকে ভালোবাসো।সে সবসময় বলেছে, সে আমাকে ভালোবাসে।
আমি চিত্রা ছাড়া কিছু ভাবিনি।ক্লাসের সুন্দরি মেয়েটা যখন কথা বলতে চাইতো, আমি এড়িয়ে যেতাম।আমার কি দোষ,আমি চিত্রায় ডুবে গিয়েছিলাম!
আর সে কিনা আমায় ছেড়ে অন্যকে বিয়ে করছিল।সে আমায় সমাজের দোহায় দিল!আসলে সমাজই সব?আমাদের প্রেম কিছু না?শুধু তাই না,সে আরিফ ভাই,রাশেদ ভাইকেও এমন ভালোবাসতো?খুব জানতে চাইতাম,সে হাসতো!
এখন ভালো হয়েছে,সব শেষ!
আমি খুব বেশি কিছু করিনি।কয়েকটা ব্যাটারির পানি থেকে তাপে এসিড আলাদা করেছি।তারপর সেটা ফলের রসে মিশিয়েছি,ব্যস!
চিত্রাকে বিয়ের শাড়িতে কি যে ভালো লাগছিল!আমার কোন দোষ নেই,সেই ঘর থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে আমাকে ডেকেছিল!
:শোন,মুহিব,মন খারাপ করিস না।আমি তোকে অনেক ভালোবাসি।
:আর আরিফ, রাশেদ ভাইকে?
:ধুর,,ঐসব বলিস নাতো।তোর দুলাভাই ডাক্তার!
:.....
তারপর জুসটা খেল,আর মুহূর্তেই শেষ!আমার খারাপও লাগেনি।বিশ্বাস করুন,চিত্রার শেষ চুম্বন আমাকে আজ অতটা আনন্দ দেয়নি,দেহে আলোড়ন তোলেনি!
যে চিত্রা আমার নয়,সে কারো নয়!
যাই,পুলিশ আমাকে ডাকলো!
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫২
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ,প্রশংসা করার জন্য!এটা অসম প্রেমই
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪
অবনি মণি বলেছেন: ভালো।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: উপস্থাপনা সুন্দর, এটা প্রেম নয় এটা অন্য কিছু
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫২
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: এটা প্রেমই,আমি সেভাবেই লিখতে চেয়েছি!
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
হাঙ্গামা বলেছেন: খাবারটা মরেই গেল !!!
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: Sad,খাবার আবার কী দোষ করলো?
৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরব্বিাস! একি! প্রেম?
না সাইকো ফিকশন
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৪
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: এটা প্রেমই,তব উভয়ের মিশ্রণও হতে পারে!
৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নিজের ভালো লাগার মানুষ অন্য কারও হয়ে গেলে সেটা মেনে নেওয়া সত্যিই খুব কঠিন।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২১
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: কিন্তু প্রতিনিয়ত তাই হয়,আমরা মেনেও নেই!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসম প্রেম, নাকি যৌন তাড়না !!
গল্প ভালো লেগেছে
পটভূিুম সুন্দর, উপস্থাপনও
নান্দনিক। শুভেচ্ছা রইলো।