নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিহান ২ঘন্টা যাবৎ গোসলখানায় বন্দি।অপরাধ গুরুতর। সে অতিথিদের গান শোনাতে পারেনি।তাকে এতক্ষণ আটকিয়ে রাখা হয় না,কিন্তু মা আজ ভুলে গেছেন!আর বাসায় মেহমান তাই তাকে পরিত্যক্ত ওয়াশরুমে বন্দি করা হয়েছে!
নিহান নিশ্চিত আজ একটা তুলকালাম হবে।কারণ মা অল্পতেই সব ভুলে যান!
এখন নিহানের ভাবনার সময়!ভেবে সময় পার করা যাক!আজকের বিষয় গান।সময়োপযোগী গান হল, "ভেঙে মোর ঘরের সিটকানি বের করি কে আমারে?"..রবীন্দ্রনাথ ভারশন।
রবীবাবু একজন যিনি সকল বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন।যেমন,,ডায়রিয়া-কলেরা রুগির জন্য,"আমায় তুলে ধর,,"।গান শোনানোর একটা গান আছে,,"তোমায় গান শোনাবো, তাই আমায় জাগিয়ে রাখো,,, "
আরে রাত জেগে গান শুনাতে হবে কেন,,দিনে শোনালেই পারে!
আর ভাবা যাচ্ছে না,খিদে লাগল মনে হয়।খিদে লাগলে ভাবা যায় না।
রাত ১০ টা।নিহানের মা সুলতানা বেগম ময়লা বাবার আস্তানায় বসে আছেন।বাবার সারাগায়ে ময়লা মাখা।তিনি মুখ হাসি হাসি রাখতে চেষ্টা করছেন,,বাবার সামনে মন খারাপ করন মানা।
বাবা ফোনে কথা বলছেন।
"তর মারে আমি,,,,,,,।হারামজাদা আমার লগে বিটলামি,,তর বংশ আমি নির্বংশ করমু।"
কল কেটে তিনি সুলতানার দিকে তাকালেন।
"কিছু মনে লইয়েন না,,আমি নিচা জাতের মানুষ মুখ আমার খারাপ,,তয় চোখ খারাপ না,মন বালা।"
"কেন আইছেন?"
"আমার মেয়ে হারিয়ে গেছে,,,তাকে খুজে পাচ্ছি না!"
"মাইয়া আরাইছে তয়,আইন্নে মন খারাপ হরবেন,,আসতাছেন কেরে?মনে অয় আইন্নের রঙ লাগছে!"
"ছবি আনছেন? "
সুলতানা নিহানের ছবি দিলেন।
ছবি দেখে ময়লা বাবা বললেন,"আইন্নের মাইয়া কই আছে আমি জানি,,তিন আজার টেহা কনটাক!আগ্রিম টেহা দেন।অহন মাইনষের বিশ্বাস নাই,,,কাম করনের পর টেহা দেয় না।একজন চইদ্দ দিন ঘুরাইতাছে!"
"আমার কাছে ২০০০ টাকা আছে।"
"তাইলে কি; বাড়িত যান,যে আরাইছে হেরে খুইজা কি হরবেন,,হেরে আরাইতে দেন।"
সুলতানা আস্তানা থেকে বের হয়ে হরহর করে বমি করল।তার পেট ময়লার গন্ধে ভরে গেছে।
সুলতানা আলমারি খুলে টাকা বের করছে।তাড়াতাড়ি করায় মাটির ব্যাংক পরে ভেঙে গেল।
এই শব্দে নিহান জেগে উঠল।সে কখন ঘুমিয়ে গেছে টের পায়নি।সে দরজায় শব্দ করতে শুরু করল।তার মা গোসলখানার দরজা খুলে তাকে বের করে চিৎকার শুরু করল,,,
"আমি আগেই বুঝতে পারছিলাম,,ময়লা বাবা পারবেন।আমি বাসায় আসার আগেই তরে বাসায় পাঠাইছে,, তার কি ক্ষমতা!ময়লা বাবার কি ক্ষমতা!"
নিহান শান্তস্বরে বলল,"মা,গু বাবার কাছে গেলে আরো আগেই পেতে।আমি তার কাছেই ছিলাম।"
সুলতানা অবাক হয়ে বলল,"গু বাবা!তার সারা গায়ে গু মাখা?"
"না,,মা! তুমিই আমায় ঐ পায়খানায় বন্দি করে,ভুলে গেছ!"
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৩
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ,, হিমু সাহেব
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমিতো কোনো গুঢ়ার্থ পাই নাই বরং গল্পটা অসমাপ্ত লেগেছে। মনে হয়েছে সুন্দর গল্পটিকে শুরুতেই গলা টিপে মারা হয়েছে।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০৫
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: জনাব,লেখক নতুন আর অত চিন্তা-ভাবনা করে লিখতে পারেন না!তাই অমন হল,,,,,,সে নিজেও অন্যভাবে শেষ করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষে এমন হয়ে গেল।লেখক চেষ্টা করছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫১
একজন সত্যিকার হিমু বলেছেন: হাহাহা ।গল্পটার গূঢ়ার্থ কিন্তু দারুন ।