নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুম থেকে উঠে হিমু আজ সারাদিন কাজের একটা তালিকা তৈরি করল।
জুতা কিনবে, এতেই রূপার খুশি হবার কথা।ফুল নিয়ে রূপার সাথে দেখা করতে যাবে।কিন্তু ঝামেলা হল কেয়া ফুল পাওয়া!সেটাও সমস্যা হবার কথা না,কারণ এমন কোন কাজ নাই যে হাকিম মিয়া পারে না।তার সাথে দেখা করতে হবে।
কি পরে যাবে,তারতো হলুদ পাঞ্জাবী ছাড়া আর কিছু নেই!কিছু করার নাই,এতে সমস্যা হবার কথা, কারণ আগের বার তাকে ভিখিরি ভেবে বাড়ির ভেতর ঢুকতে দেয়া হয়নি।
হিমু নতুন জুতা পরে কেয়া ফুল হাতে রওনা দিল।জুতা পরে সে মোটেই ভালোভাবে হাটতে পারছে না।
অতএব রিকশা নিল।
"চাচা আপনার বাড়ি কই?"
কোন উত্তর নেই।
"পোলাপান কয়জন?"
উত্তর নেই।
"চাচা রিকশা চালাতে কষ্ট হলে আমাকে দিন,আপনি আরাম করে বসুন।"
কোন কারণেই হোক রিকশাচালকের এটা ভালো লাগে নি।
"আমি যামু না,,,!"
হিমু তাকে ৫০০ টাকার একটা নোট দিল।বলল পুরোটাই রেখে দিন।চালক অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।
"আমার বাড়ি জামালপুর।চাইর জন পোলাপাইন।"
অবশেষে হিমু কল্যাণপূরের অলিগলিতে ঘুরে রূপার বাসা খুজে পেল।বাসার বাইরে থেকেই ভেতরে ঊৎসবের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে।
দারোয়ান তাকে সহজেই ঢুকতে দিল।হিমু খুব অবাক হল!
হিমু বসার ঘরে বসল।তাকে উকি মেরে দেখা হচ্ছে,দেখে সবাই ভ্রু কুচকাচ্ছে!
তাকে বসার ঘরে ময়নার মা বাসি পোলাও আর গরুভুনা দিয়ে গেল।
"আফারে আইজ দেখতে আইছে,,বৈদেশি জামাই,কি যে সোন্দর।আফায় আফনেরে বইতে কইছে।"
হিমু খুব অবাক হল।রূপা কি করে বুঝল আজ সে আসবে?তার অস্বস্তি লাগছে।
ঠিক তখন রূপা তাড়াহুড়া করে ঘরে এল।
"তোমার জন্য কাল পোলাও রান্না করেছি।,,,,কেয়া ফুল এনেছ!আমি ভেবেছি গোলাপ এনেছ,তাহলে খোঁপায় পরতাম,,,,,বসো, চলে যেও না।এবার মনে হয় আমার বিয়ে হয়ে যাবে!"
সে আবার তাড়াহুড়া করে চলে গেল।
হিমু বাসা থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে,,পেছনে ময়নার মার গলা শোনা গেল,,
"স্যার যাইন গা কেরে,,আফায় বইতে কইছে।খাইয়া গেলেন না,,ওরে খুদা জুতা ফালাইয়া কই যান।"
দারোয়ান অবাক চোখে তাকিয়ে রইল।
হিমুর পেছনে ফিরে তাকাবার সাহস নেই,পাছে চোখের পানি দেখে ফেলে!
হিমুর বাবার কথা মনে হল,"হিমুদের কাদতে নেই,,হিমুরা আনন্দ -কষ্টের,,,,,"
বৃষ্টি শুরু হল।হিমু বৃষ্টিতে হাটবে,,,,
হঠাৎ পিছনে কার ডাক শুনল,,,,
"হিমু,,এই হিমু,,,,,,,"
দৌড়ে আসছে রূপা,,,,!সারা গা ভিজে একাকার।তাকে ভেজা পরীর মত লাগছে,,,হিমু চোখ বন্ধ করল।এমন রূপ একবারই দেখতে হয়!
"আমার কেয়া ফুল না দিয়ে কোথায় যাচ্ছ?"
হিমুর চোখ আরেকবার জলে ভরে গেল!ভাগ্যিস বৃষ্টি হচ্ছে!
"চোখ খোল,,দাঁড়িয়ে রইলে কেন,চল দেখি সামনে গোলাপ পাওয়া যায় কিনা?খোঁপায় গোলাপ পরব।"
বি:দ্র:লেখাটা ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ফেসবুকে লিখেছিলাম।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০২
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হা হা,,,
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মেদহীন, ভালো
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৭
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: মেহরাব হাসান খান বলেছেন: কাকতালীয়, ৪ মিনিটের ব্যবধানে দুজন দুইটা হিমু লিখা প্রকাশ করলাম!
দুইটাতেই "৫০০ টাকার একটি নোট" এর সাদৃশ্য পাইলাম। হিমুর হাতে কি ৫০০ টাকা থাকাই লাগবো?