নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিমুর দিনকাল ভালো যাচ্ছে না।মাজেদা খালার চিঠি এসেছে,খুব জরুরি।লাল খাম দেখেই বুঝা যাচ্ছে।হিমু খামটা ভালো করে দেখল , কই পাঁচশ টাকার নোট? নাই!!
কিন্তু এমনতো হবার কথা না।মাজেদা খালা চিঠি দিবেন আর তাতে পাঁচশ টাকার নোট থাকবে না, এমনতো কোন দিন হবার কথা না!
হিমুর এখন চিঠি পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না।
সে আমজাদ মিয়ার দোকানে চলে গেল।অনেক দিন রূপাকে কল দেয়া হয় না।
:হ্যালো,,,,
:কেডা?
:আমি রূপার খালু।রূপাকে দিন,,,
:আপায় পড়তাছে,,,দিসটাব দেওন মানা,,
:আপনি বলেন, তার খালু কল দিয়েছেন।
:লইন,খালু জানের সাথে কতা কইন।
:কে?রফিক,,,,আছ কেমন?
:ভালো আছি!আপনি কেমন আছেন দুলা ভাই?
:বেয়াদব ছেলে,,তুমি আবার কল দিয়েছ?আমি তোমাকে পুলিশে দেব!!
:,,,,,,
এটা একটা রহস্য।রূপার বাবা কিভাবে জানি হিমুকে চিনে ফেলে!হিমু আশ্চর্য হল না।
দুপুর ২.৩০।হিমু রূপার ডিপার্টমেণ্টের সামনে বসে আছে।আরো ৪০ মিনিট বসে থাকতে হবে।সময় যাচ্ছে না,খালার চিঠিটা পড়া যায়।
হিমু,
কথায় আছে রক্তের ছিটা সারা জীবন কথা কয়।তুই কি আমার বোনের রক্ত না?তুই আমারে কেমনে ভুলে যাস।এই জন্য শাস্তি, পাঁচশ টাকা দেই না।পত্র পেয়েই কল দিবি,আমি গাড়ি পাঠাব।গাড়িতে পোশাক থাকবে, তুই তাই পরে আসবি।খবরদার অন্য পোশাক পড়ে আসবি না!
ইতি
তোর মাজেদা খালা
আজ আর রূপার সাথে দেখা হল না।হিমু গাড়িতে পোশাক চেঞ্জ করল।স্যুট -টাই!!ফিট হয় নাই,,কিন্তু জুতা একদমই পায়ে লাগছে না!হাটতে গেলেই পা থেকে খুলে যাচ্ছে।
হিমু গাড়িতে চড়ল।গাড়ি চলছে।এসি গাড়িতে হিমুর শরীর কুটকুটানি শুরু হল।
:এইযে ড্রাইভার ভাই,গাড়ি থামান।আমি নামব।
:ম্যাডাম,আপনাকে নিয়েই যেতে বলেছে।না নিয়ে গেলে আমার চাকরি নট।
:আমি যাব, হেটে!এই জুতা নিয়ে যান।
হিমু খালি পায়ে ঢিলেঢালা স্যুট পরে হেটে যাচ্ছে।আশ্চর্য কেউ তার পায়ের দিকে তাকাচ্ছে না।সে একটা মুচির সামনে দিয়ে হেটে গেল।না মুচির কোন ভাবান্তর হল না।আজিব,,,এক সময় মুচিরা পায়ের দিকে তাকাত।ঢাকার শহরের আজব পরিবর্তন হয়েছে।কেউ তার পায়ের দিকে তাকাচ্ছে না!!
প্রথমে লক্ষ্য করল একটা বাচ্চা ছেলে।হিমু তাকে ভেংচি দিল।
:মা,পাগলটা নতুন স্যুট কোথায় পেল?
:চুরি করেছে, বাবা!!
:হ্যালো, মিস,আমি চুরি করি নি।চোর আমার জুতা চুরি করেছে।
মহিলা ভেবাচেকা খেয়ে গেল।মাঝে মাঝে মানুষকে অবাক করে দিতে হিমুর ভালো লাগে!
হিমুর মনে হল,আজ ভরা পূর্ণিমা। তাকে গাজিপুর যেতে হবে।ঘাসে শুয়ে চাদ দেখবে!
নতুন পোশাক আর নতুন চাদ,,কি অদ্ভুত মিল!!
নতুন জুতা হলে একেবারে ষোলকলা পূর্ণ হত,,,জুতা হাতে থাকত!!
হিমুদের আফসোস করতে নেই!
বিঃদ্রঃলেখাটা ১৮ মে,২০১৫ তে ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলাম।
২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হা হা... বেশ খুশি হলাম। এত আগের লিখা পড়েছেন!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: খুব সুন্দর । খুব সুন্দর।