নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকাল আটটায় দরজা ঠক ঠক করা মানেই সাব্বির ভাই এসেছে।কেয়া দরজা খুলল।
:কেয়া নাস্তা দে,খুব খিদে পেয়েছে।
:আপনি এত ফকির কেন?সকালবেলাই ভিক্ষা করতে চলে এলেন!
:আমি ফকির!
:হ্যা,শাহ্বাগ,নিউমার্কেটে ভিক্ষুক থালা নিয়ে বসে,আর আপনার হাতে থালা নেই!কাজ কিন্তু একটাই!
সাব্বির অবাক হল না।এরকম কথা কেয়া প্রতিবার বলে।তারপরেও নাস্তা দিবে এটা সে জানে।
সে মাসুদের ঘরে চলে গেল।আগামি শুক্রবার কেয়ার বিয়ে। তাকে থাকতে হবে,সব কাজ করতে হবে।
কেয়া তার বাবা,ভাই আর সাব্বিরকে খাবার দিয়ে গেল।তারা সবাই তার বিয়ে নিয়ে কথা বলছে।
কেয়া নিজের ঘরে এল।সে সাব্বিরকে চিঠি লিখবে,আজই লিখতে হবে।
সাব্বির ভাই,
আপনার সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ছিল।আপনি জানেন,আমার কাছে ২৫০ টা ট্রিপটিন বড়ি আছে?বড়িগুলা আমি অনেকদিন ধরে জমিয়েছি। আমার বিয়ের আগের রাতে আমি এগুলা একসাথে খাব।তবে আপনি যদি বলেন,কেয়া বড়িগুলা আমায় দিয়ে দে ;আমি দিয়ে দিব।
ইতি,
কেয়া
সে ভাবল চিঠিটা সে নিজেই সাব্বিরের হাতে দিবে,এখনি দিবে।তবে তারকাছে চিঠিটা আদিখ্যেতা মনে হচ্ছে।ছোট্ট চিঠিটায় বড়ির কথা তিনবার বলা আছে। কি দরকার,সে সোজাসুজি বললেই পারে।আর সাব্বির ভাই যে কি এতদিনেও এটা বুঝতে পারল না!
সে দ্রত ডাইনিংরুমে এল।তার বাবা একা বসে আছে!
:সাব্বির ভাই কোথায়?
:মাসুদ আর সাব্বির, চলে গেছে।বিয়ের সামিয়ানা ভাড়া করতে, কার্ড বিলি করবে,তাদের কি বিশ্রাম আছে!ছোটবোনের বিয়ে বলে কথা!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৫
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: এখানে জীবনের তুচ্ছতা প্রকাশ করতে চাইনি,,চেয়েছি মানুষের ভালোবাসা প্রকাশে অপারগতা,ভালোবাসা বুঝতে না পারার অক্ষমতা প্রকাশ করতে।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০০
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: চিঠিটা আর দেয়া হলো না!! দুঃখ!!
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
কোন আবেগই পেলাম না। কেয়ার মাঝে হয়তো আবেগ আছে, কিন্তু তার চিঠিতে কোন আবেগই নেই।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১১
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: চিঠিতে আবেগ প্রকাশ করার চেষ্টা করেও পারি নি।চিঠি দীর্ঘ হয়ে যায়।এখানে চিঠি মুখ্য ছিল না,তার অপূর্ণ প্রেম মুখ্য ছিল!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: হুম, গল্পের এই চরিত্রের মত আবেগ তৈরি হয়।কিন্তু জীবনতো এতটা তুচ্ছ নয়!