নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ - পাঠ্যবই সংস্কার কমিটি

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৩


মোল্লারা স্কুলের বই সংশোধন কমিটিতে নেই, সেটা তাদের কাজও না। কিন্তু বই সংশোধন কমিটি নিয়ে মোল্লাদের কথা আছে, কথা আছে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের। আর এই কথা বলার, ক্ষোভ প্রকাশের আগুন জ্বালিয়ে গেছে প্রাক্তন আওয়ামীলীগ সরকার এবং যারা পূর্ববর্তী বই প্রণয়ণে ছিলেন সেই ধুরন্ধর বুদ্ধিজীবীরা। বড়দাগে তারা তাদের প্রতি অর্পিত আমানতের খেয়ানত করেছিলেন।

তারা দেশের জনগণের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় বিশ্বাসের তোয়াক্কা করেননি। তারা তাদের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন ও ওয়েস্টার্ন মনিবদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছেন।

আজাজিল শয়তান পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী জ্বীন ছিলেন, আবু লাহাবও ছিলেন আরবের অন্যতম জ্ঞানী। একজন ইবাদতে অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন, অন্যজন উটের মল দেখেই বলে দিতে পারতেন আরবের কোন এলাকা থেকে এসেছে সেই উট। কিন্তু পরিতাপের বিষয় তাদের প্রাপ্ত জ্ঞান তাদের জন্য নাজাতের ব্যবস্থা করতে পারেনি, তাদের অন্তিম গন্তব্যের পথে কোন সাহায্য হয়ে আসেনি।

এলজিবিটিকিউ টার্ম বিগত পঞ্চাশ বছর আগেও ছিল না। বলতে গেছে অল্প কিছুদিন আগেও পাশ্চাত্যে সমকামীদের চিকিৎসার নিমিত্তে হরমোনাল থেরাপি দেওয়া হতো। অথচ আজ পাশ্চাত্যে ছোট্ট ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে সমকামী আন্দোলন হয়, র‍্যালি বের হয়ে পতাকা নিয়ে। অথচ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এরা নাপাক, যারা কিয়ামতের দিনও নাপাক অবস্থায় উঠবে। সমকামিতার বিরুদ্ধে খ্রিস্টান ধর্মীয় মতবাদগুলোকে উপড়ে ফেলা হয়েছে। বাইবেল এর বিরোধীতা করলেও স্বয়ং পোপকে নালিফাই করা গেছে। কিন্তু পৃথিবীর শক্তিশালী ধর্ম ও দর্শন হিসেবে ইসলামের সাথে পেরে উঠা যাচ্ছে না। মুসলিমরা বিদ্রোহ করছে। তাদের সাথে সরাসরি দর্শনগত দ্বন্দ্ব চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তা-ই এরা শিশুশিক্ষায় হাত দিয়েছে, যেন পরবর্তী জেনারেশনকে ধরা যায়। বাংলাদেশে সমকামিতার প্রকাশ্য সমর্থক ও প্রচারকেরা শিশুদের বই পরিবর্তন কমিটিতে ছিলেন, আর আপনারা ভাবছেন বৃহত্তর এই লড়াকু মুসলিম জনগোষ্ঠী তা মেনে নেবে।
আরও পড়ুন:
(১) সমকামিতার দৌরাত্ম্য
(২) সমকামিতা (Homosexuality)
(৩) কল্যাণ রাষ্ট্র, পুঁজিবাদ ও অন্তরালে স্যাডো গভর্নমেন্ট

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

কাঁউটাল বলেছেন:



পোস্টটি যিনি লিখেছেন
মারুফ তারেক
পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।


এই লন, আপনেরে যুদ্ধ জাহাজ দিয়া দিলাম একটা, এইটা চালায়া অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এরপরে আরও বড় জাহাজ দিমু আপনেরে।



২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: লেজ কাটা সকল শিয়ালই চায়, তাহার মতো বাকী সব শিয়ালের লেজ কেটে ফেলা হউক।

পারিবারিক প্রথা প্রায় বিলোপ পশ্চিমা সংস্কৃতিতে। অবাধ যৌনতা যেখানে জীবনের মূলমন্ত্র। পায়ু পথ লেহন X(( হলো তাদের আধুনিক রুচির পরিচায়ক। তারা চাইবেই বাকীরাও তাদের অনুকরন -অনুসরন করুক।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

নতুন বলেছেন: সমকামিতা আপনি পছন্দ না করতেই পারেন। আপনি স্ট্রেইট হইলে অবশ্যই আপনার ঘৃন্যা আসবে এর কথা মনে করলে বা গে পর্ন দেখলে।

কিন্তু যারা মানুষিক ভাবে সমকামী তারা কিন্তু স্ট্রেইট মনভাবকেই অপছন্দ করে।

এটা কোন রোগ না। এটা পছন্দটা মানুষ জন্মগত ভাবেই পেয়ে থাকে।

আপনি যে সমকামীতা ঘৃন্যা করেন এটা আপনার জন্মগত বৈশিস্ট। এখন আপনি যখন গে পর্ণ দেখতে যাবেন তখন আপনি উত্তেজনা হারাবেন, ঘৃন্যা চলে আসবে। সেক্স করার ইচ্ছাই চলে যাবে ঐ সময়ে।

কারন বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন আপনার জন্মগত বৈশিস্ট।

আপনি একটু চিন্তা করলে, তাদের পরিস্থিততে নিজেকে ভাবার চেস্টা করলে বুঝতে পারবেন, এটা তাদের জন্মগত পছন্দ। এটা আপনি ইচ্ছা করলেই যেমন শিখতে পারবেন না, তেমনি তারাও ইচ্ছা করে শেখে নাই।

তাই শুধুই একটা কিতাবে আছে বলেই একজন মানুষকে ঘৃনা করতে হবে? হত্যা করতে হবে?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩

মারুফ তারেক বলেছেন:
https://www.nature.com/articles/d41586-019-02585-6
অনেকবছর ধরে সমকামিতার জন্য দায়ী গে জিনের খোঁজ করা হচ্ছিল৷ কিন্তু সমকামিতার জন্য দায়ী কোন গে জিনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত কনক্লুশন টেনেছেন এই বলে: সমকামিতা কোন জেনেটিক ব্যাপার নয়, সমকামিতা ইজ এ্যা চয়েজ।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭

নতুন বলেছেন:

আমি তো বলিনাই যে একটা জিন এর জন্য দায়ী।

মানুষের শরীরের রং যেমন একটা স্পেক্টাম। তেমনি মানুষের যৌনতাও একটা স্পেক্টাম।

এখানে ১০০% এসেক্সুচুয়াল মানুষ আছে, তেমনী ১০০% গে এবং ১০০ % স্টেইট মানুষ আছৈ।

ধর্ম নিষেধ করে আসছে কিন্তু তাতে এটা বন্ধ হচ্ছেনা।

এমনকি প্রকৃতিতেই অন্য প্রানীর মাঝে সমকামিতা আছে... তারা কেন এই চয়েস করতে যাবে?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৯

মারুফ তারেক বলেছেন: প্রকৃতিতে ইন্ট্রা ফ্যামিলি সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সও আছে, আবার মানুষ বাদে প্রকৃতির অন্যকেউ পোশাক পড়ে না। এভাবে চলতে থাকলে লজিকের পর লজিক চলতে থাকবে। কেননা প্রকৃতিতে প্রাণী হত্যার বিচারও নেই।

আমরা মানুষ। আমরা জানি কীভাবে প্রজাতির গতিশীলতা, সমাজের হারমনি নষ্ট হয়ে যায়। আর এর বিপরীতে মতবাদ গড়ে উঠে।

সমকামীদের সাথে থাকা ধর্ম গেছে, সায়েন্সও গেছে। গডফাদার রিচার্ড ডকিন্সের পুরস্কারও বাতিল হইছে।
এখন বাকি আছে আচরণের ভিন্নতা।


গাজা ভাং নেশার বস্তু হইলেই বহু দেশে বৈধ। বাংলাদেশে বৈধ বিড়ি।
যাইহোক, এইদেশের মানুষ মনে করে সমকামিতা অপরাধ ও শাস্তিযোগ্য, সুন্দরবনের বানর হইলে সেটা ভিন্ন বিষয়।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রকৃতিতে ইন্ট্রা ফ্যামিলি সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সও আছে, আবার মানুষ বাদে প্রকৃতির অন্যকেউ পোশাক পড়ে না। এভাবে চলতে থাকলে লজিকের পর লজিক চলতে থাকবে। কেননা প্রকৃতিতে প্রাণী হত্যার বিচারও নেই।

আমরা মানুষ। আমরা জানি কীভাবে প্রজাতির গতিশীলতা, সমাজের হারমনি নষ্ট হয়ে যায়। আর এর বিপরীতে মতবাদ গড়ে উঠে।


সময়ের সাথে সমাজের মানুষের ভাবনাতে পরিবর্তন আসে।

শুধুই যৌনতার পছন্দের কারনে কোন মানুষকে হত্যা করা বিশ্বের মানুষরা ভালো মনে করছে না।

দুনিয়াতে অনেক দেশেই মানুষ তার ইচ্ছামতন চলতে পারছে, তার ভাবনার কারনে তাদের সাজা দেওয়া হচ্ছেনা।

আমি একটা জিনিস অপছন্দ করতেই পারি। গা ঘিন ঘিন করে সমকামীতা দেখে, অবাক লাগে কিভাবে মানুষ এমনটা করতে পারে।

কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এটা কিছু মানুষের পছন্দের কারনে তাকে হত্যার মতন সাজার সমর্থন করা যায় না।

তারা যদি কাউকে ধর্ষন করে তার সাজা দিতে হবে, অর্থ তারা যদি আইন ভাঙ্গে তার সাজা দিতে হবে। কিন্তু কারুর পছন্দের কারনে তাদের সমাজে বয়কট করা, তাদের আঘাত করা, হত্যা করার মতন আইন সমর্থন করা যায় না।

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২০

কামাল১৮ বলেছেন: বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে অতি ধার্মীকরাই বেশি সমকামি।তার প্রমান স্কুল ও মাদ্রাসার চিত্র।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.