নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্র ও শাসকের ধর্ম

১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৫:৪০


শাসকের ধর্মই রাষ্ট্রের ধর্ম,
জনগণের ধর্মই শাসকের ধর্ম।

এই সত্যের বিপরীতে অন্য যা যা কায়েম করতে যাবেন, তার সবই ব্যাকফায়ার করবে। তবে একমাত্র ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণ, শাসক ও রাষ্ট্রের মধ্যে থাকা ব্যাবধানগুলোকে দূর করা সম্ভব। যা ধর্মের চেয়েও তীব্র ভূমিকা রাখতে সক্ষম। অন্যভাবে বললে ইনসাফ ছাড়া ধর্মও টিকতে পারে না।

মাৎস্যন্যায় শব্দের অর্থ হলো ছোট মাছকে বড় মাছ কর্তৃক খেয়ে ফেলা। মূলত ছোট ছোট রাজ্য ও স্বতন্ত্র অঞ্চলগুলোকে বড় বড় রাজ্য কর্তৃক গিলে ফেলে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই মাৎস্যন্যায়। শুরু হয় দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার। রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় মাৎস্যন্যায় তথা অরাজক পরিস্থিতি দেখা দেয়। রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক এই বিশৃঙ্খলার হাত থেকে মুক্তি পেতে, ৭৫০ সালে বাংলার প্রধান নাগরিকবৃন্দ গোপাল নামে এক জনপ্রিয় সামন্ত নেতাকে বাংলার রাজপদে নির্বাচিত করেন। শুরু হয় পাল শাসন। তৎকালীন সময়ে রাজা, রাজধর্ম ও জনগণের ধর্ম ছিল বৌদ্ধ৷ শাসক ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা থাকার দরুন পাল সাম্রাজ্য বাংলা ছাড়াও উত্তর বহু এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়৷ বৌদ্ধেদের বাংলায় শৈব সেনেরা উল্লেখযোগ্য মিথস্ক্রিয়ায় সাক্ষর রাখতে পারেনি। যদিও বাংলার মানুষ বরাবরই সিংহাসন ভক্ত ছিলো। আত্মজীবনী বাবরনামায় সম্রাট বাবর লেখেন,
"বাংলার লোকে বলে : আমরা সিংহাসনকে মান্য করি; যিনি এখানে বসবেন তিনিই আমাদের আনুগত্য পাবেন।"

সেন শাসনেই মূলত বাংলায় বৌদ্ধধর্ম বিলুপ্ত হতে থাকে। এমনকি অন্ত্যজ তথা সমাজের নিম্নবর্ণের হিন্দুরাও জুলুম থেকে রেহাই পায় না। আর তাই কখনও বৌদ্ধেরা, কখনও অন্ত্যজেরা লড়াই করার চেষ্টা করে। মুসলিম শাসনে বাংলা অধিকার হওয়ার আগ পর্যন্ত এ লড়াই চলতে থাকে।

বাংলা মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হলেও অন্ত্যজ ও বৌদ্ধদেরকে আমরা শাসকের অনুগত হিসেবেই দেখতে পাই। যার ফলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিম শাসন মানিয়ে নেওয়া সম্ভব ছিল। অন্যদিকে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অভাবে আমরা দেখেছি পাকিস্তানের ভাঙন।

বাংলাদেশের গণমানুষ রাজাকে নিয়ে চিন্তায় মগ্ন নয়। কিন্তু রাজার যেসব নীতি গণমানুষের উপর প্রভাব ফেলে তাকে তারা পর্যালোচনা করে, প্রয়োজনে বিরোধিতা করে। আওয়ামীলীগ ও বিএনপির বিদেশনীতির মতো মধ্যে পার্থক্য আছে, সেটা জনগণের ভাবনার বিষয় নয়, যতক্ষণ না ব্যাক্তির উপর বিদেশনীতির প্রভাব পড়ছে। গণবিপ্লবে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, এসেছে নতুন সরকার। বাংলাদেশের চিরায়ত নিয়মে এই সরকারের সিংহাসনকে জনগণ সমীহ করছে। কিন্তু রাজার নীতি যেন স্বেচ্ছাচারী ও জনমতের বিপরীতে না হয়।

কেননা পরবর্তী ফলাফল কী হবে তা আমরা ইতিহাস থেকেই জানি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের ইনসাফ আর মানবতার ইনসাফ আকাশ পাতাল ফারাক।ধর্ম যেমন আলাদা আলাদা তাদের ইনসাফ ও আলাদা।বিশ্বে মানবতা একটাই তাদের ইনসাফও একটাই।মানুষের কল্যাণ করা।সমাজকে এগিয়ে নেয়া।
প্রত্যেক শাসক তার শ্রেনী চরিত্র অনুযায়ী ক্রিয়া করবে।এই শাসক মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল।এরা প্রগতির পক্ষের শক্তি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.