নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিপ্লব হাতছাড়া হলো, বিপ্লবের উদ্দেশ্য ব্যার্থ হলো।
কথা হলো বিপ্লব আপনাদের হাতে ছিলো কবে?
আজকের দিনের এই ছাত্র বিপ্লব কোন ইসলামিস্টরা করেনি, না করেছে কোন কম্যুনিস্টরা। আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে যখন আবার সবকিছু স্বাভাবিক, বারোজন সমন্বয়ককে নেওয়া হলো ডিবি হেফাজতে, আর ঠিক তখনই অজ্ঞাত স্থান থেকে তিনজন সমন্বয়ক নতুন ঘোষণা দিলেন। একই সময় অন্যতম শক্তি হিসেবে ফিরে এলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। অথচ তাদের পেছনে লেগে আছে এনএসআই, ডিজিএফআই ও র এর মতো দুধর্ষ গোয়েন্দারা।
পনের দিনের আন্দোলন, মাত্র দুই সপ্তাহ। কোন প্রি-প্লানিং নেই, নিরাপত্তা নেই। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে গুলি ছুড়ছে পালিত বাহিনী। আমি তখনই বলেছিলাম, দেখো এই তরুণদের সাহস কতো, কতোটা বেশি মনোবল! তেইশ-চব্বিশ বছরের তরুণদের কোন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই, জানা নেই কঠিন সময়ে হাসিনা রেজিমের গোয়েন্দারা কীভাবে কাজ করবে। কিন্তু প্রতিটি ডিসিশন টার্গেটে আঘাত করছে, যে ঘোষণাই আসছে তার সবই এক্সিকিউট হচ্ছে। ব্যাপারটা কী!
আন্দোলন করা ও তা এগিয়ে নেওয়া ছাত্রজনতার কাজ, মাইন্ড গেম খেলা নয়; কেননা সেটা করার জন্য সারাজীবন রাজনীতি করে আসা প্রফেশনালরা আছেন। ছিল বিএনপি কিংবা বামদলের লোকেরা; হত্যা, গুম ও ত্রাসের রাজত্বে গেল পনের বছরে যাদের শক্তি কমেছে অনেক। তাই এই আন্দোলনের হাতকে শক্তিশালী করা ছাড়া তাদের উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকা ছিল না। তারা কেউই সম্মুখে ছিল না, পেছন থেকে শক্তি জুগিয়েছে। কিন্তু এসব কাজ কোন ক্রমেই হাসিনা রেজিমের পতনের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
তাহলে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধলো সে কোন ইঁদুর?
হাসিনার দেশ দেশত্যাগের পর হাইলি সিক্যিউরড অবস্থায় ডক্টর মুহম্মদ ইউনুস দেশে প্রত্যাবর্তন করলেন। তিনিও কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি নন, তিনি বড়জোর একজন অবজার্ভার। এতো এতো গোয়েন্দা সংস্থা ও রাজনীতিবিদের নালিফাই করা বেশ কঠিন কাজ। এই কাজটা করতে পারে কেবল হাইলি ট্রেইন্ড, সুপার মটিভেটেড পার্সোনালস। বাকিটা বুঝার দায়িত্ব পাঠকের উপর বর্তায়।
কেমন হবে আগামীর বাংলাদেশ?
আগামী পাঁচ বছরে মডারেট অটোক্রেসি থেকে হাইব্রিড রেজিম কিংবা ডেফিসিয়েন্ট ডেমোক্রেসিতে ফেরার কথা বাংলাদেশের। প্রবল প্রতাপ নিয়ে ফিরে আসার কথা ওয়েস্টার্ন কর্পোরেশনগুলোর। কেননা ভারত-চায়না ব্লক থেকে বাংলাদেশ ওয়েস্টার্ন ব্লকে নোঙড় করেছে। জিওপলিটিক্যাল লোকেশন বাদ দিলেও বাংলাদেশ কিন্তু ১৭০ মিলিয়ন মানুষের দেশ।
৯ই আগস্ট, ২০২৪
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬
নয়া পাঠক বলেছেন: সব কিছুর শেষে যদি দেশে গণতন্ত্র, ন্যায়, আর ভাল হয়, তাতে তো দোষের কিছু দেখছি না। ভাল কাজ কে করল সেটা বিষয় নয়, প্রয়োজনের সময় সবাইকে ভালটাই করতে হবে।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: সব কিছুই কেমন ভাসা ভাসা।আরেকটু স্পষ্ট করলে ভালো হতো।ঘন্টা বেধেছে আর্মী।মাত্র ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছে।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আর্মির গলায় ঘন্টা বেধেছে মার্কিন দুতাবাস? যদি সত্য হয় তাহলে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ তাদের। স্বৈরাচারী হায়েনা আর্মিকে দিয়ে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল বলে পত্রিকায় এসেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬
মনামী বলেছেন: সুন্দর অবজারভেশন