নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবরি মসজিদকে রাম মন্দিরে রূপায়নের রূপকল্প

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০


রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাবরি মসজিদ ভাঙাকে বেআইনি বলেছিল ভারতের আদালত, কিন্তু বজরঙ্গী দলের কারো বিচার হয়নি। প্রতিটি এক্সট্রিমিস্টের ছবি ও ভিডিও থাকার পরও তারা বহাল তবিয়তে ছিল ও আছে, যদিও আদালত বলেছিল তারা অপরাধী।

এই মসজিদ যেমন ভারতের কোন ওলী-আউলিয়ার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তেমনি যে রাম মন্দির দাবি করা হয়েছিল তার মধ্যেও কোন হিন্দু সাধুসন্তের নাম আসেনি। যদিও মসজিদের ভেতরে মূর্তি পাওয়ার ঘটনা চমকপ্রদ এবং একথা বিশ্বাস করতেই কষ্ট হয়। উল্লেখ্য, মসজিদ প্রতিষ্ঠা করার আগে সেই জমিকে কিনে ওয়াকফ করতে হয়, এরমধ্যে চার্চের মতো পরবর্তীতে বিক্রির নিয়ম থাকে না। মানে মসজিদ চিরদিন মসজিদই থাকে, পরিবর্তন করা যায় না। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) কে এক পাদ্রী চার্চে নামাজ পড়তে অনুমতি দিয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে দখল হয়ে যাবার আশংকায় তিনি চার্চের অদূরে খোলা জায়গায় গিয়ে নামাজ পড়েন।

যাইহোক, বাবরি মসজিদ ভাঙা ও রামমন্দির প্রতিষ্ঠার পুরো ঘটনাটি মুসলিমদের বিপক্ষে হিন্দুদের বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওরা মনে করছে মসজিদ ভাঙনের মাধ্যমে মুসলিমদেরকে হারিয়ে দিয়েছে, বেইজ্জতি করেছে। আর তাই নিতান্ত ছোট একটি ঘটনাকে পুরো পৃথিবীর হিন্দু সমাজের বড় একটি অংশ বিজয় হিসেবে, প্রতিহিংসা হিসেবে গ্রহণ করেছে। এতে বাংলাদেশের বহু হিন্দুও শামিল। আমি মনে করি অন্যায়ভাবে একটি মন্দির ভাঙার জন্য ব্যথিত হলে, মসজিদের জন্যও বেদনা থাকা চাই।

এই ভাঙন ও প্রতিষ্ঠার ফলে হিন্দু ধর্মের বিশেষ লাভ হয়েছে বলে মনে করি না। বরং ভারতের হিন্দু-মুসলিমের সৌহার্দপূর্ণ অবস্থান ও হারমনি নষ্ট হয়েছে। এই হারমনি ঠিক করতে হয়তো শত বছর কেটে যাবে৷ এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে বিজেপি দল বিশেষ ফায়দা লুটেছে, তারা প্রমাণ করতে চেয়েছে তারাই একমাত্র হিন্দুধর্মকে রক্ষা করতে পারে৷

দাঙ্গা ও ভাঙন বাদেও যে চাওয়া-পাওয়ার সুরাহা করা যায়, তার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। এই ঘটনাকে গ্লোরিফাই করা মূর্খতার শামিল।

বাংলাদেশে কোন হিন্দু মন্দির এক্সট্রিমিস্টদের দ্বারা ভাঙনের আগে আমি বাধা হয়ে দাঁড়াতে চাই।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯

বিজন রয় বলেছেন: ধর্ম মানুষকে কত নিচে নামাতে পারে এটা তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত!!

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

এম ডি মুসা বলেছেন: আমি গতকাল ফেসবুক কমেন্ট বক্স নানা জনের মন্তব্য দেখেছি! আসল কি মন্দির গড়া মসজিদ এর ভিতরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে! এতে বাংলাদেশের মানুষ কোন মন্দির ভাঙচুর করে মসজিদ গড়ার পক্ষে আমি নই। আমি অন্য ধর্মের লোকদের এবং মন্দির মসজিদ গির্জা, কে অক্ষুন্ন রাখতে দাবি জানাই!

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

এম ডি মুসা বলেছেন: সৃষ্টিকর্তার থেকে কোন অশনিসংকেত ছাড়া এই রাম মন্দির নির্মাণ করে এটা নিয়ে শুধু কথা বলে লাভ নেই

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

নতুন বলেছেন: এটা বিজেপির ভোটে জেতার ট্রাম্প কার্ড মাত্র।

বতর্মানে মানুষ ধর্ম নিয়ে এতো চিন্তিত না। তাই এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবেনা।

মানুষ বুঝতে পারবে যে এটা ভোটের খেলা,।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন যে, বাংলাদেশের বহু হিন্দুও বাবরিমসজিদ-বামমন্দির'এর ঘটনায় জড়িত! আপনি কিভাবে তা জানেন? হনুমানের মত লেজের আগুন ছড়াচ্ছেন? আমি জানি না, সামু কেন আপনাকে লালন পালন করছে?

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সোনাবদ্দা................পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য, উৎপল দাস, দেব দুলাল গুহ, সুধাংশু কুমার সরকার, গোবিন্দ প্রামানিক, অভিষেক শুভ্র...............এরা কোন দেশের হিন্দু? ঘরের চিপায় বইসা হনুমানের মতোন লাফালাফি করলে হবে? নাকি চোখ-কান খোলা রাইখা চাইরদিকে নজর রাখতে হবে!!! ;)

সামু কেন আপনারে লালন পালন করতাছে, এইটাও আমি বুঝি না। =p~

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: নিম্ন আদালতের রায় চ্ড়ান্ত না।ভারতের সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে সেটাই চুড়ান্ত।বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় বাংলাদেশে বহু মন্দির ভাঙা হয়েছে তার কোনটারই কি কোন বিচার হয়েছে।বিচার তো দুরের কথা কোন মামলা কি হয়েছে।ভারতে তবু বিচার হয়েছে এবং হিন্দু মুসলমান সবাই মেনে নিয়েছে।আমাদের দেশে তো মামলাই হয় নাই।এখানেই ভারতের সাথে আমাদের পার্থক্য।

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আলোচনাটা শুধুমাত্র ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে করলে ভালো হতো।আমি সেকারণে কমেন্টটি শুধু ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে করছি। (সাম্প্রদায়িকতা বিষ বৃক্ষের ন্যায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের সুশীল সমাজে এই মূহুর্তে এমন ন্যাক্কারজনক রাজনীতি নেই।এই জন্য সাধুবাদ আপামর জনসাধারণের প্রাপ্য।)

ভারতে যে শিক্ষিত সমাজ নেই তা নয়। কিন্তু গনতন্ত্রে রাজনৈতিক কারবারীরা রিমোট কন্ট্রোল করে। পদোন্নতি ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে সেখানে ঔচিত্য অনুচিত্য তুচ্ছ হয়ে দাঁড়ায়।ফলে তথাকথিত লেখাপড়া জানারা সাফল্যের পিছনে ছুটতেই থাকে। হাইকোর্ট সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিরাও মানুষ।ক্যারিয়ারের চিন্তায় পদোন্নতি অপরদিকে দুর্গম এলাকায় না গিয়ে রাজধানীতে থাকার স্বপ্ন ওনাদেরও থাকাটাই স্বাভাবিক।।

যাইহোক কাজেই কথায় আসি।ভারতে এই মুহূর্তে পাঁচশত বছরের আবেগ সাফল্য পেয়েছে মোদি দেবতার হাত ধরে। অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা দেশবাসীর। সাফল্য মানুষকে স্বপ্ন দেখায়। কাজেই আশা করবো খুব শিগগিরই গো বলয়ে থেকে গোটা ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি অনুসারী হিন্দুরা মোদিজীকে দেবতার আসনে বসিয়ে বিগ্রহের মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে পূজা অর্চনা শুরু করবেন।আর করবেন নাই বা কেন?স্বামীনাথন মোদিজীর কৃতিত্ব অপরিসীম। বিষয়টি অভিনব যে ভারতের সুদীর্ঘকালের বস্তাপচা সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ভারত মহাসাগরের ডুবিয়ে মেরে মোদিজীর ধর্মাশ্রয়ী ভারত প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। গতকাল দিকে দিকে শঙ্খ উলুধ্বনির মাধ্যমে মা বোনেরা গুরুদেব মোদিজীর হাত ধরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় সাক্ষী থেকেছেন।অনেকে আবার উপবাস পালন করেছেন। কাজেই স্বামীনাথন মোদিজীর হাত ধরে একবিংশ শতাব্দীর ভারত রামায়ণের যুগে ফিরে যেতে পেরেছে তার সিংহভাগ কৃতিত্ব ওনার প্রাপ্য।আরো অনেককিছুই মোদিজী নিয়ে আসবেন বলে আমরা আশাবাদী। বিজ্ঞান বিজ্ঞান কারিগরি কারিগরি করা ছাতার মাথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে রামায়ণের যুগে গুরুকেন্দ্রিক টোল চতুষ্পাঠীতে পরিণত করে কেবল বেদ বিদ্যা ও উপনিষদ শিক্কার ব্যবস্থা করে এক অখন্ড রামায়ণাশ্রিত ভারত তৈরি করে মর্তকে সাক্ষাৎ স্বর্গে পরিণত করার সুযোগ করে দিবেন।আর বাকি বিধর্মীরা মূলত মুসলিমরা মুক্তাস আব্বাস নকভি,সাহনওয়াজ হুসেনদের মতো আহম্মদীয় হিন্দু হয়ে বজরংবলী আর এস এসের সঙ্গে হিন্দু ধর্মের বিজয় কীর্তন করতে পারলে তাদের লাভ। অন্যথায় যোগি আদিত্যনাথের বুলডোজার তৈরি।ওসব আদালত ফাদালতের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।যোগিজি যাকে ভালোবাসবেন তার জন্য যমরাজ প্রস্তুত। কাজেই আগামী একশো বছর ভারতে মোদিজীর রামরাজত্ব বলবৎ থাকবে। টাইম মেশিনে এমন রামায়ণের যুখকে ফিরিয়ে এনে এক রাষ্ট্র এক ধর্ম এক ভাষা প্রতিষ্ঠার দেবতা মোদিজি জয়তু।

তবে হতে পারে সেটা অন্যদের চোখে পৈশাচিক কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়ে খামোখা কেন নিজেদের উল্লাসিকতা, পৈশাচিক,হিংস্ররতা, উন্মাদনাকে অন্তরে পুষে রাখতে হবে। কাজেই মোদির হাত ধরে ভারত পুরানো সেক্যুলারিজম থেকে বের হয়ে হিন্দুরাষ্ট্র তৈরির দিকে এগিয়ে চলেছে। অহিন্দুরা এখন থেকে সমঝে চলবেন।

৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মসজিদ মন্দির কিংবা গীর্জা যারা ভাঙে এরা আসলে পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য মানুষ। সাম্প্রদায়িকতা খুবই বিশ্রী। মুসলিম মৌলবাদীদের মতো হিন্দু মৌলবাদীরাও নোংরা। জাস্ট মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: ভালো লিখেছেন @মারুফ

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম যতদিন থাকবে, ততদিন শুধু পৃথিবীর ক্ষতিই হবে।

১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মোদিজী ভারতের জনগণকে ভালোই আই ওয়াস করলেন। আর জনগণ এখন তাদের সেই আই ওয়াসকৃত চোখ দিয়ে মোদিজীকে দেবতা মনে করতে থাকবে। তারা মোদিজীকে ক্ষমতায় আনার জন্য বার বার চেষ্টা করতে থাকবে। ----অথচ জনগণ হয়ে গেল ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা --। মোদিজী ভোটের রাজনৈতিক খেলায় ১০০ এর ভিতর ১০০ পেয়েছেন------

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.