নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের চাপিয়ে দেওয়া চিন্তার ব্যবচ্ছেদ

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:০১


এক,
ওয়েস্টার্ন ন্যারেটিভ অনুযায়ী নার্গেস মোহাম্মদি নারী জাগরণের দূত ও মানবাধিকার কর্মী, যার ফলশ্রুতিতে ২০২৩ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পান। যদিও ইরানের আইন অনুযায়ী বর্তমানে জেলে আছেন। কারণ শরীআহ অনুযায়ী ইরানে মৃত্যুদণ্ডের আইন থাকলেও তিনি মৃত্যুদণ্ড বিরোধী আইন পাশের সংগ্রাম করেছেন। তিনি ইরানের ডিফেন্ডার্স অভ দ্য হিউম্যান রাইটস সেন্টারের উপপ্রধান, যার প্রধান শিরিন এবাদি ২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেল পান। এরা মূলত নব্য-শরীয়তবাদ নিয়ে কাজ করছেন, মানে প্রথাগত ইসলামকে এই নারীরা অস্বীকার করেন।

ওয়েস্টের বড় বড় কর্পোরেশন কিংবা সরকারগুলোর উচ্চপদস্থ লোকদের দুর্নীতি ও কূটকৌশল প্রকাশ ছাড়া দ্বিতীয় কোন কাজ করেননি জুলিয়ান আসাঞ্জ, তিনিও আজ জেলে আছেন।

অপরাধের জন্য একটি রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কেউ শাস্তি পাচ্ছেন, তথাপি তিনি হয়ে গেলেন নোবেল লরিয়েট। আবার ওবামার মতো লোক যিনি টনের পর টন বোমা ফেলেছেন, তিনি হয়েছেন শান্তির দূত (নোবেল লরিয়েট)।
আমি ঠিক জানি না মানব সভ্যতার উন্নতি ও ক্রমবিকাশে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় নার্গিস মোহাম্মদিরা কতটুকু কাজ করেছেন। কিন্তু আমি জানি, একজন জুলিয়ান আসাঞ্জ জেলে থাকবার কারণে এই পৃথিবীতে এখনও তার রিপলেসমেন্ট তৈরি হয়নি। ওয়েস্টার্ন ন্যারেটিভ অনুযায়ী জুলিয়ান আসাঞ্জের মতো লোক যারা সত্যকে প্রকাশ করে দেয়, তারা অপরাধী। এ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনের মতো লোক, যারা জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, নিরাপত্তার ভয়ে তাদেরকে দেশ ছাড়তে বাধ্য হতে হয়।

ইউক্রেনের প্রতিরোধযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধে রূপান্তরিত হলেও প্যালেস্টাইনিদের যুদ্ধ হয়ে যায় টেরোরিস্ট এ্যাটাক। প্যারিসে কিংবা বার্লিনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে খুব সহজেই ইজরায়েলের সাথে সলিডারিটি প্রদর্শন করা যায়, কিন্তু ফ্রি প্যালেস্টাইন বললেই জেল।

দুই,
নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম শহরের অলিতে-গলিতে গাজার গন্ধ। জার্মানিকে ইউরোপের পতিতালয় বলা হলেও একক শহর হিসেবে আমস্টারডাম সেক্স ট্যুরিজমের জন্য বিখ্যাত।
সম্প্রতি জার্মানিও প্রকাশ্যে গাজা সেবনকে বৈধ করেছে এবং একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি গাজা গাছ লাগাতে পারবে। তো এর ইমপ্যাক্ট কোথায় পড়ছে? শহরের অলিতে-গলিতে গাজার গন্ধ শুরু হয়েছে। সিগারেটের গন্ধ তেমন তীব্র না হলেও গাজার গন্ধ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

ওয়েস্টে প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের নেশা করাকে জনগণের স্বাধীনতার স্বীকৃতি হিসেবে ধরা হয়। যদিও বাংলাদেশে তা সিগারেট এবং সার্টেন এক্সটেন্ডে অ্যালকোহল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, তা-ও আবার নির্দিষ্ট জায়গায়।
প্রকাশ্যে বিভিন্ন নেশা সেবনে কিছু মানুষকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে একথা খুব সত্য। কিন্তু এর ফলে সমাজের বিশাল অংশের স্বাধীনতা যে খর্ব করা হয়েছে, সে বিষয়ে ওয়েস্টের নেতারা চিন্তিত নন। কেননা বিশাল সংখ্যক মানুষ নেশায় আসক্ত হলেও সমাজের বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু গাজা সেবন করে না। তবে জার্মানির ক্ষেত্রে সমাজের প্রায় ৮৫ শতাংশ এ্যাডালটস অ্যালকোহল পান করেন।

মূলত এক একটি রেজিম এক এক ধরনের ন্যারাটিভ তৈরি করে। তার বা তাদের চিন্তাও সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়। ফ্রি স্পিচ পৃথিবীতে ছিল না কোনদিন, থাকারও কথা নয়। ফ্রি স্পিচ কথাটাও ওয়েস্টের সৃষ্টি, যদিও ওয়েস্ট নিজেই তা মানে না।

ছবি: http://www.pixels.com

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৭

অধীতি বলেছেন: ফ্রি স্পিচ একটা ভাওতাবাজি।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.