নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভীনদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন মূল কথা নয়। এটা অবশ্যই ঠিক যে মাল্টিপল কালাচারের পৃথিবী থেকে আমরা সিঙ্গেল কালচারের পৃথিবীর দিকে ধাবিত হচ্ছি। ঢাকা শহরে বিবাহবিচ্ছেদের পরিসংখ্যান শুনে আমি অবাক হচ্ছি না, বরং এটা হবারই কথা ছিল।
একসময় গ্রাম একান্নবর্তী পরিবারবহুল ছিল। মানুষ তার গ্রামীণ কৃষি, লোকজ শিল্প নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারল না। পুঁজির লোভে মানুষ শহরে জমায়েত হতে শুরু করল। হ্যাঁ এটাই শিল্প বিপ্লব। ইউরোপে আগে ঘটলেও আমাদের এখানে শিল্প বিপ্লব ঘটেছে অনেক পড়ে। আর এটা কতটুকু মানুষের প্রয়োজনে ঘটেছে কিংবা পুঁজির প্রয়োজনে ঘটেছে, তা নির্ধারণ আলোচনা সাপেক্ষ। ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে যে বহুগামিতা, তা এমনটি ছিল না। এতোটা নিষ্ঠুর ছিল না সংস্কৃতি।
পুঁজির লোভেই মানুষের যাত্রা, যা ব্যক্তি নিজেকে সকল সামাজিক বন্ধন থেকে ছিন্ন করে ফেলে। তার কাছে সোশ্যাল স্টাটাস নামে যেটা বর্তমান তার নাম পুঁজির স্টাটাস(এটা নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হতে পারে)।
বর্তমান যুগে ব্যক্তি সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়েছে। সে শুধুমাত্র নিজের জন্যই আনন্দ পায়। তার জীবনের মূল লক্ষ হয়ে দাঁড়ায় স্রেফ নিজের জন্য বেঁচে থাকা। ব্যক্তি নিজের স্বার্থের উপর কোন ধরনের আঘাতই সে সহ্য করতে পারেনা। আধুনিক পুঁজিবাদ তো মানিয়ে নেওয়া শেখায় না। তাই ব্যক্তি কোন কিছুই ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।
আর একারণেই বর্তমানে মানুষের মধ্যে যোগাযোগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইচ্ছে হলেই ফোনে, ইন্টারনেটে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। কিন্তু মানুষের ভেতরে সংযোগ নেই। দু'জন মানুষ পাশাপাশি বসে থাকে, ঘণ্টার পর ঘন্টা আলোচনা করে যায়। তবু কেউ কাউকে বুঝতে পারে না। তারা চিরকাল অচেনাই থেকে যায়।
পাশ্চাত্যে এই পুঁজির প্রভাব পড়েছে, শুধু ব্যক্তিকেন্দ্রিক পৃথিবীতে মানুষ একা হয়ে পড়েছে। গড়ে ১২ জন মেয়েবন্ধু অথবা ছেলেবন্ধু নিয়েও ওরা আত্নিক প্রশান্তিতে নেই। ছোট বয়সেই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদে ছেলেমেয়েদের ভেতরেও তাদের বাবা-মায়েরা এই ব্যক্তিকেন্দ্রিক নিষঙ্গ পৃথিবীর বীজ বপন করে যাচ্ছেন।
পরিসংখ্যান মতে ঢাকা শহরে প্রতি এক ঘন্টায় একটি করে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। এই সংখ্যাটা কিন্তু এখানেই থেমে যাচ্ছে না। সংখ্যাটা বাড়ছে, অতিদ্রুত বাড়ছে।
তাই মানুষের মানবিক পৃথিবী গড়তে পুঁজিবাদে বিপরীতে যাবার বিকল্প নেই। গ্রামকে তার অধিকার ফিরিয়ে দিন। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোন গোষ্ঠী নয়, সুষম উন্নয়ন করুন। শুধুমাত্র শহরকেন্দ্রিক নয়, কিছু প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নির্দিষ্টতা রেখে সম্পদের সুষম বন্টন করুন। গ্রামকে বাঁচান, মানুষকে বাঁচান।
এরকম যান্ত্রিক মানুষ আমরা চাই না, যে শুধু নিজের জন্য বাঁচবে। মানুষের আবেগ থাকতে হবে, ভালোবাসা থাকতে হবে, পরস্পরের সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হবার জন্য আকর্ষণবোধ থাকতে হবে।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৯
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালোবাসা নিবেন।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: খালি গ্রাম আর যৌথ পরিবার থাকলে ডিভোর্স কমে যাবে সেই ধারণাও ঠিক নয়। ডিভোর্সের অন্যতম একটা কারণও ঐ জরিপে উঠে এসেছে। তা হলো মেয়েেদের আত্মনির্ভরশীলতা। তাহলে তারা এখন আগের মত আর ত্যাগ স্বীকার করতে চাচ্ছে না বোধহয়...
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
মারুফ তারেক বলেছেন: পুঁজিকেন্দ্রিকতার ফলস্বরূপ সামগ্রিক বিক্ষিপ্ততা।
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৭
রাকু হাসান বলেছেন: ভাল বলেছেন আপনি ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৯
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালোবাসা নিবেন।
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫২
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: লাইক রইলো
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৯
মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালোবাসা নিবেন।
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আসেভাসে ভাসে জল
ভাসে হাওয়ায়
আমার একা অন্তরায়!
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩০
মারুফ তারেক বলেছেন: এই নতুন পৃথিবীতে মানুষের যোগাযোগ বেড়েছে, সংযোগ কমে গেছে।
৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২০
নতুন বলেছেন: ডিভোর্স এমন একটা জিনিস যেটা কেউই চায়না.... তাই যখন ডিভোর্স বাড়ে তখন একটা ভালো জিনিস হয়....
সেটা হলো মুখবুজে অন্যায় মেনে নিচ্ছেনা মেয়েরা।
আর সবচেয়ে খারাপ দিক হলো বাচ্চারা খুবই সাফার করে.... তাদের জীবন পাল্টে যায়।
নারী ভালোবাসা পেলে কখনোই ডিভোর্স এর মতন বিষয় কল্পনা করেনা।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
মারুফ তারেক বলেছেন: পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হয়ে যাওয়া মোটে ভালো বিষয় নয়। তোমাকে আমার আর ভালো লাগে না, এই ভালো না লাগার কারন কী? মানুষের বন্ধনগুলো, মূলত পুঁজিকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। আমি মনে করি এর মূল কারন পুঁজিকেন্দ্রিকতার ফলস্বরূপ সামগ্রিক বিক্ষিপ্ততা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৩
লায়নহার্ট বলেছেন: {খুবই সুন্দর লিখেছেন। আপনার সাথে সমস্বরে একটা বলতে চাই----তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি এই ডিজিটাল পৃথিবীর পুঁজিবাদের মূল হাতিয়ার, যত পারুন দূরে থাকুন, ভালো থাকবেন। আপনাকে ধন্যবাদ....}