নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিঃসন্দেহে বলা যায়, আমাদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন। রূপপুর ২৪০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের একটি মাইলফলক অর্জিত হবে। এই প্রকল্পের দায়িত্বে আছে রাশিয়ান কোম্পানী রোসাটম। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সাল নাগাদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তার অর্ধেক সক্ষমতা অর্জন করবে, তথা ১২০০ মেগাওয়াট জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করবে। সবকিছু ঠিক থাকলেও কিছু কথা আছে, যা না বললেই নয়। যদি দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করি, তবে বলা যা এই পৃথিবী শুধুমাত্র একটি প্রজন্মের নয়। পৃথিবীর প্রতি আমাদের পূর্বপুরুষদের যেমন অধিকার ছিল, আমাদের আছে, আমাদের উত্তরপুরুষদেরও থাকবে। এই পৃথিবীর সব সম্পদ ব্যবহার করে শেষ করে দেবার অথবা শুধুমাত্র আমরাই এই পৃথিবীতে বাস করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দূষিত পৃথিবী সৃষ্টি করবার অধিকার আমাদের নেই। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লীর দূর্ঘটনা।
আমাদেরকে বারবার পারমাণবিক চুল্লীর ধ্বংসযজ্ঞের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে পরমানু বর্জ্য ফেলার জন্য বিশেষ কন্টেইনার ব্যাবহার করা যায়,যার মধ্য দিয়ে কোনরূপ তেজস্ক্রিয় রশ্নির বিকিরণ হয় হয়। এরপর কন্টেইনারগুলো সাগরের তলদেশে নিয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে সেই সাগরের তলদেশেও কন্টেইনারের লিকেজ হবার খবর পাওয়া গেছে! আরো একটি কথা না বললেই নয়, এই পারমানবিক বর্জ্য ৪০ হাজার বছর পর্যন্ত সক্রিয় অবস্থায় থাকতে পারে। মানে এখনও যারা পরমাণু ফিউশন ব্যবস্থান বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, তারা কেউওই নিরাপদ নয়। যেকোন সময় এই তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব আবার ফিরে আসতে পারে! মানে আমরা মানুষেরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বসবাসে অযোগ্য পৃথিবী উপহার দিয়ে যাচ্ছি। শুধু বিদ্যুৎ পাওয়া কিংবা প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যাওয়াই উন্নতি মূলকথা নয়, উন্নতির প্রয়োজন মস্তিষ্ক ও মননে,চিন্তায় ও নৈতিকতায়; যার অভাব বর্তমান পৃথিবী খুব ভালোভাবেই অনুধাবন করছে। তাই শুধু উন্নতি নয়, এর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং হুমকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আল্লাহ বাংলাদেশের সহায় হউন।
ছবি কার্টেসীঃ ফেসবুক ও গুগল
বিঃদ্রঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাবেন নিচের লিঙ্কেঃ
http://www.rooppurnpp.gov.bd/
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩১
মারুফ তারেক বলেছেন: কেন যেন মনে হয় আমাদের দেশের প্রকল্পগুলো অতিরিক্ত বাজেট থাকে। হোক সেটা পদ্মা সেতু অথবা মহাসড়ক। পারমাণবিক চুল্লীর মতো বিষয়টা সারা পৃথিবীর জন্যই মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে।
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪০
আবু তালেব শেখ বলেছেন: জীবন হুমকির মুখে ফেলে আমরা বিদ্যুৎ চাইনা।
রাশিয়া নাকি বর্জ্য নিয়ে যাবে?
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
উহা চালু হওয়ার ৫/১০ বছরের মাঝে বিকল হবে।
৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
শাহিন-৯৯ বলেছেন: কিছুদিন আগে একটা নিউজ পড়েছিলাম জার্মানি তাদের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য সেীর বিদ্যুৎ কেন্দ্রীক প্রকল্প হাতে নিচ্ছে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে তারা তাদের চাহিদার ৮০% শতাংশ সেীর বিদ্যুৎ থেকে উৎপন্ন করবে, সেখানে আমরা নতুন করে কেন যে এই বিপদ পথে হাঁটছি?
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৭
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: @ চাঁদগাজী আরও কমিয়ে দিন ২/৩ বছরের মধ্যে।
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে দূরনীতির কারনেই আমরা সব কিছু থেকে পিছিয়ে আছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: একলাখ কোটি টাকার উপর খরচ করে এই মেগা প্রকল্প শ্বেত হস্তীতে পরিণত না হলেই হল। এই পরিমাণ টাকা খরচ করে অন্য উপায়ে ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
সময় বলে দেবে এই পারমানবিক প্রকল্প লাভজনক নাকি জাতির মাথা ব্যথার কারণ ছোট্ট এই দেশে।